কোন বাংলাদেশী ইংল্যান্ডে গিয়ে, যদি কোন প্রমানাদি ছাড়াই নিজেকে সে দেশের নাগরিক দাবি করে, তাহলে সে দেশের সরকার কি তা মেনে নিবে? . কখনোই না; পাসপোর্ট, ভিসা সহ উপযুক্ত প্রমাণাদি সরবরাহ করলেই শুধু তিনি সে দেশের নাগরিক সুবিধা লাভ করতে পারেন; অন্যথা তিনি যদি নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমান দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তার কথার কোন মূল্যই থাকবেনা, তা তিনি নিজেকে যতই ইংল্যান্ডের নাগরিক দাবি করেন না কেন। . একইভাবে, ইসলামেও উপযুক্ত প্রমাণাদি ব্যতীত মৌখিক সাক্ষ্যের কোন মূল্য নেই। আর ইসলামে শুধু এক ধরনের প্রমাণই গ্রহণযোগ্য, আর তা হল, ব্যক্তির আমল। বাহ্যিক আমল ছাড়া ইসলামী শরিয়তে মৌখিক সাক্ষের কোন দামই নেই। ফরয আমল পালন ব্যতীত একজন ব্যক্তি নিজেকে যতই মুসলিম দাবি করুক না কেন, ইসলামের দৃষ্টিতে সে অমুসলিম বলেই বিবেচিত হবে। . কারণ, ইসলাম শুধু তাত্ত্বিক নয় একটি বাস্তবিক ধর্মও বটে। তাই ইসলামের আইন-কানুন কেবল বিশ্বাস করলে হবে না, বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগও করতে হবে; শুধুমাত্র তবেই আপনি একজন খাটি মুসলিম বলে বিবেচিত হবেন। . ইসলামের মুল ভিত্তি হল "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। এর মাধ্যমে আমরা স্বীকৃতি দেই যে, আমরা আলাহ তা'লাকেই একমাত্র ইলাহ হিসেবে গ্রহন করেছি, আমরা একমাত্র তারই ইবাদত করব এবং নিজের জীবনে আল্লাহ তা'লার সমস্ত হুকুম-আহকাম মেনে চলব। . আল্লাহকে মানব কিন্তু আল্লাহ্*র আইন-কানুন মেনে চলব না, এমন দ্বিমুখী নীতির সুযোগ ইসলাম রাখে নি। . তাছাড়া বর্তমান সমাজে এমন অনেকেই রয়েছে যারা, ইসলামী আইন-কানুন মেনে চলার ন্যূনতম আবশ্যিকতাও বোধ করে না, এই ভেবে যে; কলিমা পড়েছি, জান্নাত তো সুনিশ্চিত। . জেনে রাখুন, এভাবে চলতে থাকলে এই কলিমা কেয়ামতের দ্বীন আপনার পরিত্রান নয় বরং পরিতাপের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। কারণ আমল বিহীন সাক্ষ্য, মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য; এবং মুনাফিকের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। . আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।[সুরা আদ- যারিয়াতঃ ৫৬
Announcement
Collapse
No announcement yet.
আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।
Collapse
X
Comment