বর্তমান যুগে ইসলামী বিশ্বের সামনে যে পরিস্হিতি দৃশ্যমান, এমতাবস্থায় একজন মুসলমানের কী করা উচিত ? কার সঙ্গ দেয়া উচিত ? নাকি চুপ করে বসে থাকবে ? কিছু লোকের ধারনা, এটা ফেতনার যুগ| ফেতনার সময় কারো সঙ্গ দেয়া উচিত নয়, বরং চুপ থাকা উচিত| প্রশ্নগুলোর জবাব জানার আগে আমাদের জানা উচিত যে, নবী কারীম ( সাঃ ) প্রত্যেক যুগের ফেতনা পৃথক পৃথক বর্ণনা করেছেন| প্রত্যেক ফেতনা বর্ণনা করার সাথে সাথে তা থেকে বাঁচার পদ্ধতিও বলেছেন| এমন নয় যে, প্রত্যেক ফেতনা থেকে একই পদ্ধতিতে বাঁচা যাবে| এক ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য অন্য ফেতনা থেকে বাঁচার পদ্ধতি অবলম্বন করলে চলবে, এমনটিও নয়| সহজে বুঝার জন্য আমরা এখানে হাদীস উল্লেখ করছি , যেগুলোতে নবী কারীম (সাঃ) বিভিন্ন ফেতনা বর্ণনা করেছেন এবং সেগুলোতে কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তাও বলে দিয়েছেন|
১. আবু যর গিফারী রা. বলেন, রাসূল (সাঃ) আমাকে বলেন, তোমাদের তখন কী হবে যখন তোমাদের উপর এমন শাসক হবে, যারা নামাযকে আপন সময় থেকে পিছনে নিয়ে আদায় করবে ? অথবা নামাযকে তার আপন সময় থেকে সরিয়ে বরবাদ করে আদায় করবে ? আবু যর রা. জিঙ্গেস করলেন, তখন আপনি আমাকে কী করতে আদেশ করেন ? তিনি বললেন, তোমরা নামাযকে তার ওয়াক্ত অনুযাযী আদায় করবে| যদি শাসকদের সাথে পড়তেও হয়, তাহলে পড়বে| সেটা তোমাদের জন্য নফল হয়ে যাবে| [ মুসলিম শরীফ ]
ফায়দাঃ এই হাদীসে রাসূল (সাঃ) নামাযের ওয়াক্তকে বরবাদ করার ফেতনার ব্যাপারে সর্তক করেছেন এবং তার সমাধানও বলেছেন| এখন এখানে যদি কেউ এ কথা বলে, এটি একটি ফেতনা| ফেতনার সময় ঘরে চুপ করে বসে যাওয়া উচিত, তাহলে সঠিক হবে ? না | চিকিৎসা সেটি-ই করতে হবে, যেটি নবুওয়াতের যবানে বাতলে দিয়েছেন| সুতরাং উমাইয়া যুগে এই ভবিষ্যবাণী বাস্তবায়িত হয়েছে| বিশেষত হাজ্জায বিন ইউসুফের সময়| যেসব উলামায়ে কেরাম তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বের হয়েছেন তার কারনসমূহের একটি হলো, নামাযের ওয়াক্ত নষ্ট করা|
২্| আদ্বুল্লাহ বি আব্বাস রা. থেকে বর্ণীত, রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, ফেতনার যুগে সেই ব্যাক্তি সর্বত্তম,যে নিজের ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরবে এবং আল্লাহর দুশমনদের পিছনে ধাওয়া করবে| আল্লাহর দুশমনদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করবে এবং ভীতি প্রদর্শন করবে| অথবা সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের বাসগৃহে স্বেচ্ছায় বন্দী হয়ে থাকবে এবং আল্লাহর হকসমূহ আদায় করবে|
ফায়দাঃ এই হাদীসে ফেতনার সময় জিহাদকারীদেরকে সর্বত্তম বলা হয়েছে|
সুতরাং বর্তমান এই সময়কে নিজের মনগড়া দৃষ্টিতে না দেখে, চুপ করে বসে না থেকে| কুরআন ও হাদীসে যেভাবে এই বর্তমান সময়ে ফেতনা নির্মুল করতে বলা হয়েছে, সেভাবে যাতে আমরা এগিয়ে যেতে পারি , সেদিকে সর্তক থাকতে হবে | যাতে আমরা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত না হয়্| আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন| আমীন.....!!!!
১. আবু যর গিফারী রা. বলেন, রাসূল (সাঃ) আমাকে বলেন, তোমাদের তখন কী হবে যখন তোমাদের উপর এমন শাসক হবে, যারা নামাযকে আপন সময় থেকে পিছনে নিয়ে আদায় করবে ? অথবা নামাযকে তার আপন সময় থেকে সরিয়ে বরবাদ করে আদায় করবে ? আবু যর রা. জিঙ্গেস করলেন, তখন আপনি আমাকে কী করতে আদেশ করেন ? তিনি বললেন, তোমরা নামাযকে তার ওয়াক্ত অনুযাযী আদায় করবে| যদি শাসকদের সাথে পড়তেও হয়, তাহলে পড়বে| সেটা তোমাদের জন্য নফল হয়ে যাবে| [ মুসলিম শরীফ ]
ফায়দাঃ এই হাদীসে রাসূল (সাঃ) নামাযের ওয়াক্তকে বরবাদ করার ফেতনার ব্যাপারে সর্তক করেছেন এবং তার সমাধানও বলেছেন| এখন এখানে যদি কেউ এ কথা বলে, এটি একটি ফেতনা| ফেতনার সময় ঘরে চুপ করে বসে যাওয়া উচিত, তাহলে সঠিক হবে ? না | চিকিৎসা সেটি-ই করতে হবে, যেটি নবুওয়াতের যবানে বাতলে দিয়েছেন| সুতরাং উমাইয়া যুগে এই ভবিষ্যবাণী বাস্তবায়িত হয়েছে| বিশেষত হাজ্জায বিন ইউসুফের সময়| যেসব উলামায়ে কেরাম তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বের হয়েছেন তার কারনসমূহের একটি হলো, নামাযের ওয়াক্ত নষ্ট করা|
২্| আদ্বুল্লাহ বি আব্বাস রা. থেকে বর্ণীত, রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, ফেতনার যুগে সেই ব্যাক্তি সর্বত্তম,যে নিজের ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরবে এবং আল্লাহর দুশমনদের পিছনে ধাওয়া করবে| আল্লাহর দুশমনদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করবে এবং ভীতি প্রদর্শন করবে| অথবা সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের বাসগৃহে স্বেচ্ছায় বন্দী হয়ে থাকবে এবং আল্লাহর হকসমূহ আদায় করবে|
ফায়দাঃ এই হাদীসে ফেতনার সময় জিহাদকারীদেরকে সর্বত্তম বলা হয়েছে|
সুতরাং বর্তমান এই সময়কে নিজের মনগড়া দৃষ্টিতে না দেখে, চুপ করে বসে না থেকে| কুরআন ও হাদীসে যেভাবে এই বর্তমান সময়ে ফেতনা নির্মুল করতে বলা হয়েছে, সেভাবে যাতে আমরা এগিয়ে যেতে পারি , সেদিকে সর্তক থাকতে হবে | যাতে আমরা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত না হয়্| আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন| আমীন.....!!!!
Comment