অর্থঃ-হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক|[ সূরা: আত তাওবাহ,আয়াত ১১৯]
আল্লাহ তাআলা বলেন, বড় গুনাহ যদি তোমরা ছেড়ে দাও ছোট গনাহ গুলো আমি এমনিতেই মাফ করে দেব|এখন এই আলোচনা মানে এই না যে, আমরা শুধু বয়ান শুনলেই গুনাহগুলো আমাদের থেকে ছুটে যাবে|এই গুনাহ গুলো ছাড়ার জন্য আমাদের কিছু করতে হবে,একটু চেষ্টা করতে হবে,একটু কষ্ট করতে হবে,এই চেষ্ট এবং কষ্টের বরকতে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই গুনাহ গুলো থেকে মাহফুজ রাখবেন|ইন... কিন্তু যদি এই চেষ্টাটুকু আমরা না করি,তাহলে হাজারো আলোচনা আমাদের সামনে হতে পারে,কিন্তু আমি যে গুনাহের ড্রেনে পড়া ছিলাম,যে গুনাহের গর্ত আমি আগেও ছিলাম,এখনও সেভাবেই থাকব,এই গুনাহকে বাঁচার কোন উপায় আমার সামনে আসবে না|যে কথাটি আমি আপনি অনেকবার শুনেছি,কুরআন এবং হাদীসের আলোকে গুনাহ বর্জন করা,আল্লাহ তাআলার নাফরমানি গুলো বর্জন করা,এটা এত বেশি গুরুত্বপর্ণ | আল্লাহর হাবীব (সাঃ) এরশাদ করেন,যে এক জাররা পরিমাণ , এক অণু পরিমাণ গুনাহের কাজ বর্জন করা সমস্ত দীন ও ইনসানের ইবাদতের চেয়েও আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক প্রিয় | বুর্যগণেদীন বলেন,এই গুনাহের দৃষ্টান্ত হলো বিষের মত আর আমরা যে সকল নফল ইবাদত করি ,লম্বা লম্বা তাসবিহ আর যিকির আজকার করি ,এই গুলো ভিটামিনের মত|একজন ব্যক্তি সে একদিকে বিষ পান করে , আর অন্য দিকে অনেক পাওয়ারফুল ভিটামিনও সে খায় | কিন্তু বলেন বিষের সঙ্গে যখন সে এই ভিটামিন খাবে ,তখন কী এই ভিটামিন কাজ করবে নাকি এই বিষ তাকে শেষ করে দিবে |আমরা যদি গুনাহগুলো বর্জন না করি ,গুনাহের কাজ আমরা করতেই থাকি তার পাশাপাশি আমরা বড় তাহাজ্জুদের সিরিয়াল লগাইয়া রাখি না কেন , এর পাশাপাশি আমরা দৈনন্দিন লাখো লাখো তাসবিহ পাঠ করি না কেন| গুনাহ গুলো যদি বর্জন না করি তাহলে এই নফল ইবাদত কোন কাজে আসবে না| সেই বিষ আমার সব ইবাদত শেষ করে দেবে| এই জন্য শরীয়তের দৃষ্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ কাজ হলো গুনাহ বর্জন করা|দেখেন ইবলিসের ব্যাপারে আমরা জানি | আল্লাহর মাখলুকের মধ্যে ইবলিস এত বেশি ইবাদত করেছে,বলা হয় আসমান ও জমীনের এমন কোন জায়গা খালি নাই,যেখানে সে সিজদাহ করে নাই আল্লাহর জন্য | কত বেশি ইবাদত সে করছে,ইবাদত তার দ্বারা কোন অংশে কম হয় নাই বরং এত বেশি ইবাদত সে করছে,যেটুকু আমাদের দ্বারা হয় নাই, হয়তো বা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত কোন বান্দাহ দ্বারা সম্ভব হবে না|কিন্তু সমস্যা ছিল কোন জায়গায় তাকাক্বুর বা হিংসা , অহংকারের মত বড় বড় গুনাহগুলো সে বর্জন করে নাই|যার কারনে এই গুনাহগুলো তার জীবনের সকল ইবাদত শেষ করে দিয়েছে|শুধু ইবাদত গুলো শেষই করে নাই তাকে আল্লাহ তাআলা তার দরবার থেকে এমনভাবে বিতারিত করেছে যে, আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলা তাওবাহ এর দরজা খোলা রাখছেন ,কিন্তু তার জন্য তাওবাহ এর দরজা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন| যে কিয়ামত পর্যন্ত তার তাওবাহ কোনদিন কবুল হবে না | কিন্তু তার ইবাদতের কমতি কোথায় , ইবাদত তো সে কম করে নাই | কিন্তু তার দুষ্টটা কোন জায়গায় সে গুনাহ বর্জন করে নাই| গুনাহ তার ভিতরে ছিল এই জন্য তার এত ইবাদত তার কোন কাজে আসেনি | আজকে আমাদের অবস্থা তাই | টুকটাক যাই ইবাদত আমরা করি ,এই ইবাদতের ফল আমরা এজন্য পায় না যে এই ইবাদত গুলোর পাশাপাশি আমরা হাজারো গুনাহের মধ্যে লিপ্ত| এই গুনাহগুলো যতদিন আমরা বর্জন না করব ততদিন আমাদের ইবাদত কোন কাজে আসবে না| এর মানে এই না, এখন আমরা নামায পড়তেছি নামায ছেড়ে দেবে,গুনাহ ছাড়ার পড় থেকে পর থেকে নামাজ শুরু করব ,না |ফরয আমল গুলো তো অবশ্যই করব|কিন্তু নফল ইবাদতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব যেন থাকে আমার আল্লাহর নাফরমানি বর্জন করার ব্যাপারে |আমার রাত কী রাত তাহাজ্জুত এটা যদি সম্ভব হয় ভালো ,কিন্তু তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপণ হলো ,আমার ঘরে পর্দার ব্যবস্থা চালু করা|তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপর্ণ হলো আমার উর্পাজনকে হালাল করা,তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপর্ণ হলো মিথ্যা বর্জন করা,তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপর্ণ তাকাব্বরি,হিংসা ,বিদ্বেষ দিল থেকে বের করা|জাহেরী এবং বাতেনী বড় বড় গুনাহগুলো বর্জন করা| এইজন্য গুনাহগুলো বর্জন করা আল্লাহর নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ আমল|
আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন| আমীন......
[চলবে-ইন.....]
আল্লাহ তাআলা বলেন, বড় গুনাহ যদি তোমরা ছেড়ে দাও ছোট গনাহ গুলো আমি এমনিতেই মাফ করে দেব|এখন এই আলোচনা মানে এই না যে, আমরা শুধু বয়ান শুনলেই গুনাহগুলো আমাদের থেকে ছুটে যাবে|এই গুনাহ গুলো ছাড়ার জন্য আমাদের কিছু করতে হবে,একটু চেষ্টা করতে হবে,একটু কষ্ট করতে হবে,এই চেষ্ট এবং কষ্টের বরকতে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই গুনাহ গুলো থেকে মাহফুজ রাখবেন|ইন... কিন্তু যদি এই চেষ্টাটুকু আমরা না করি,তাহলে হাজারো আলোচনা আমাদের সামনে হতে পারে,কিন্তু আমি যে গুনাহের ড্রেনে পড়া ছিলাম,যে গুনাহের গর্ত আমি আগেও ছিলাম,এখনও সেভাবেই থাকব,এই গুনাহকে বাঁচার কোন উপায় আমার সামনে আসবে না|যে কথাটি আমি আপনি অনেকবার শুনেছি,কুরআন এবং হাদীসের আলোকে গুনাহ বর্জন করা,আল্লাহ তাআলার নাফরমানি গুলো বর্জন করা,এটা এত বেশি গুরুত্বপর্ণ | আল্লাহর হাবীব (সাঃ) এরশাদ করেন,যে এক জাররা পরিমাণ , এক অণু পরিমাণ গুনাহের কাজ বর্জন করা সমস্ত দীন ও ইনসানের ইবাদতের চেয়েও আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক প্রিয় | বুর্যগণেদীন বলেন,এই গুনাহের দৃষ্টান্ত হলো বিষের মত আর আমরা যে সকল নফল ইবাদত করি ,লম্বা লম্বা তাসবিহ আর যিকির আজকার করি ,এই গুলো ভিটামিনের মত|একজন ব্যক্তি সে একদিকে বিষ পান করে , আর অন্য দিকে অনেক পাওয়ারফুল ভিটামিনও সে খায় | কিন্তু বলেন বিষের সঙ্গে যখন সে এই ভিটামিন খাবে ,তখন কী এই ভিটামিন কাজ করবে নাকি এই বিষ তাকে শেষ করে দিবে |আমরা যদি গুনাহগুলো বর্জন না করি ,গুনাহের কাজ আমরা করতেই থাকি তার পাশাপাশি আমরা বড় তাহাজ্জুদের সিরিয়াল লগাইয়া রাখি না কেন , এর পাশাপাশি আমরা দৈনন্দিন লাখো লাখো তাসবিহ পাঠ করি না কেন| গুনাহ গুলো যদি বর্জন না করি তাহলে এই নফল ইবাদত কোন কাজে আসবে না| সেই বিষ আমার সব ইবাদত শেষ করে দেবে| এই জন্য শরীয়তের দৃষ্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ কাজ হলো গুনাহ বর্জন করা|দেখেন ইবলিসের ব্যাপারে আমরা জানি | আল্লাহর মাখলুকের মধ্যে ইবলিস এত বেশি ইবাদত করেছে,বলা হয় আসমান ও জমীনের এমন কোন জায়গা খালি নাই,যেখানে সে সিজদাহ করে নাই আল্লাহর জন্য | কত বেশি ইবাদত সে করছে,ইবাদত তার দ্বারা কোন অংশে কম হয় নাই বরং এত বেশি ইবাদত সে করছে,যেটুকু আমাদের দ্বারা হয় নাই, হয়তো বা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত কোন বান্দাহ দ্বারা সম্ভব হবে না|কিন্তু সমস্যা ছিল কোন জায়গায় তাকাক্বুর বা হিংসা , অহংকারের মত বড় বড় গুনাহগুলো সে বর্জন করে নাই|যার কারনে এই গুনাহগুলো তার জীবনের সকল ইবাদত শেষ করে দিয়েছে|শুধু ইবাদত গুলো শেষই করে নাই তাকে আল্লাহ তাআলা তার দরবার থেকে এমনভাবে বিতারিত করেছে যে, আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলা তাওবাহ এর দরজা খোলা রাখছেন ,কিন্তু তার জন্য তাওবাহ এর দরজা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন| যে কিয়ামত পর্যন্ত তার তাওবাহ কোনদিন কবুল হবে না | কিন্তু তার ইবাদতের কমতি কোথায় , ইবাদত তো সে কম করে নাই | কিন্তু তার দুষ্টটা কোন জায়গায় সে গুনাহ বর্জন করে নাই| গুনাহ তার ভিতরে ছিল এই জন্য তার এত ইবাদত তার কোন কাজে আসেনি | আজকে আমাদের অবস্থা তাই | টুকটাক যাই ইবাদত আমরা করি ,এই ইবাদতের ফল আমরা এজন্য পায় না যে এই ইবাদত গুলোর পাশাপাশি আমরা হাজারো গুনাহের মধ্যে লিপ্ত| এই গুনাহগুলো যতদিন আমরা বর্জন না করব ততদিন আমাদের ইবাদত কোন কাজে আসবে না| এর মানে এই না, এখন আমরা নামায পড়তেছি নামায ছেড়ে দেবে,গুনাহ ছাড়ার পড় থেকে পর থেকে নামাজ শুরু করব ,না |ফরয আমল গুলো তো অবশ্যই করব|কিন্তু নফল ইবাদতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব যেন থাকে আমার আল্লাহর নাফরমানি বর্জন করার ব্যাপারে |আমার রাত কী রাত তাহাজ্জুত এটা যদি সম্ভব হয় ভালো ,কিন্তু তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপণ হলো ,আমার ঘরে পর্দার ব্যবস্থা চালু করা|তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপর্ণ হলো আমার উর্পাজনকে হালাল করা,তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপর্ণ হলো মিথ্যা বর্জন করা,তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপর্ণ তাকাব্বরি,হিংসা ,বিদ্বেষ দিল থেকে বের করা|জাহেরী এবং বাতেনী বড় বড় গুনাহগুলো বর্জন করা| এইজন্য গুনাহগুলো বর্জন করা আল্লাহর নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ আমল|
আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন| আমীন......
[চলবে-ইন.....]
Comment