আমাদের সমাজে ব্যাপক প্রচলিত সংশয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো- ইসলাহে নফস ও আত্নশুদ্ধি ছাড়া জিহাদ করা যাবে না।
এর পক্ষে যেসব খোঁড়া দলীল দিয়ে থাকে তার মধ্যে একটা হলো- উহুদের ময়দানে কয়েকজন সাহাবীর ভুলের কারণে সকলকেই বিপদের সম্মুখিন হতে হয়েছে। যার ইসলাহে নফস হয়নি তাকে জিহাদে নিলেও তার কারণে সকলের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিরসন:
শরীয়ত সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরয করেছে। ফাসেকের উপর জিহাদ ফরয নয় এমন কোন কথা শরীয়তে নেই। কুরআন হাদিসে বরং ফাসেক ও গুনাহগার ব্যক্তিকে জিহাদে গিয়ে নিজের গুনাহ মাফ করানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। গুনাহ মাফের সহজ ত্বরীকা জিহাদ। যে ব্যক্তি শহীদ হলো তার সকল গুনাহ মাফ। এমনকি ঋণের গুনাহ পর্যন্ত মাফ করে দেয়া হবে। অতএব, ফাসেক ব্যক্তির গুনাহ মাফের জন্য জিহাদের চেয়ে উত্তম কোন পন্থা নেই।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
وَمَنْ كَانَ كَثِيرَ الذُّنُوبِ فَأَعْظَمُ دَوَائِهِ الْجِهَادُ ؛ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَغْفِرُ ذُنُوبَهُ كَمَا أَخْبَرَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ بِقَوْلِهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى : يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ. اهـ
“আর যে ব্যক্তি অত্যধিক পাপী তার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হচ্ছে জিহাদ। কেননা আল্লাহ্ তাআলা তার গোনাহ মাফ করে দেবেন। যেমনটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁর কিতাবে তাঁর এ বাণীর মাধ্যমে জানিয়েছেন-
يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ‘তিনি তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন’।” [মাজমুউল ফাতাওয়াঃ ২৮/৪২১]
কুরআন হাদিসে এ ব্যাপারে দলীল প্রমাণের কোন অভাব নেই। আমি বিস্তারিত দলীল প্রমাণের দিকে যাচ্ছি না।
কুরআন হাদিসের দিকে তাকালে একেবারে সুস্পষ্টই বুঝা যায় যে, শরীয়ত ফাসেকদেরকে জিহাদে যেতে নিষেধ করেনি, বরং উদ্বুদ্ধ করেছে। কারণ, ফাসেকের ফিসকের দ্বারা সে নিজে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ঠিক কিন্তু তার জিহাদের দ্বারা ইসলাম টিকে থাকবে, মুসলমানরা রক্ষা পাবে। পক্ষান্তরে তাকে জিহাদে না নিয়ে জিহাদ বন্ধ করে দিলে তার চেয়ে জঘন্যরা তথা কাফেররা মুসলমানদের উপর চড়াও হয়ে বসবে। তারা ইসলাম ধ্বংস করবে। মুসলমানদের দ্বীন দুনিয়া সবই বরবাদ করে ছাড়বে। এর চেয়ে বরং ফাসেকদেরকে সাথে নিয়ে কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে সামর্থ্য মত ইসলাম টিকিয়ে রাখা এবং মুসলমানদেরকে হেফাযত করাই শ্রেয়। এ কারণেই শরীয়ত ফাসেক আমীরের সাথে মিলে জিহাদ করাকে ফরয করেছে।
আবু দাউদ শরীফে হযরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
الجهاد واجب عليكم مع كل أمير برا كان أو فاجرا
“নেককার বদকার সব ধরণের আমীরের সাথে মিলেই জিহাদ করা তোমাদের উপর ফরয।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৫৩৫; বাবুন ফিল গাজবি মাআ আইম্মাতিল জাওর)
দারা কুতনীর রিওয়াতে এসেছে,
والجهاد واجب عليكم مع كل أمير برا كان أو فاجرا وإن عمل بالكبائر
“নেককার বদকার সব ধরণের আমীরের সাথে মিলেই জিহাদ করা তোমাদের উপর ফরয, যদিও সে কবীরা গুনাহকারী হয়ে থাকে।” (সুনানে দারা কুতনী, ২: ৪৩)
ফাসেক আমীরের সাথে মিলে জিহাদ করা শুধু ফরযই নয়, বরং আহলে সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআহ্ এর অন্যতম আকীদা ও মূলনীতি। ইবনে তাইমিয়া রহ. এর বক্তব্যে বিষয়টি ফুঠে উঠবে ইনশাআল্লাহ।
শুধু তাই নয়, মুজাহিদ বাহিনীর সদস্যরা যদি চরম পর্যায়ের ফাসেকও হয় তবুও তাদেরকে সাথে নিয়ে জিহাদ করতে হবে।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
ولهذا كان من أصول أهل السنة والجماعة الغزو مع كل بر وفاجر، فإن الله يؤيد هذا الدين بالرجل الفاجر، وبأقوام لاخلاق لهم، كما أخبر النبي صلى الله عليه وسلم، لأنه إذا لم يتفق الغزو إلا مع الأمراء الفجار، أو مع عسكر كثير الفجور، فأنه لابد من أحد أمرين: إما ترك الغزو معهم فيلزم من ذلك استيلاء الآخرين الذين هم أعظم ضررا في الدين والدنيا، وإما الغزو مع الأمير الفاجر فيحصل بذلك دفع الأفجرين، وإقامة أكثر شرائع الإسلام، وإن لم يمكن إقامة جميعها، فهذا هو الواجب في هذه الصورة، وكل ما أشبهها، بل كثير من الغزو الحاصل بعد الخلفاء الراشدين لم يقع إلا على هذا الوجه. اهـ
“এ কারণেই আহলে সু্ন্নাহ্ ওয়াল জামাআহ্ এর মূলনীতিসমূহের মধ্য থেকে একটি মূলনীতি হচ্ছে- নেককার বদকার সকলের সাথে মিলেই জিহাদ করা। কেননা, আল্লাহ তাআলা এই দ্বীনকে সাহায্য করবেন পাপাচারি ব্যক্তির দ্বারা এবং এমন সম্প্রদায়ের দ্বারা (আখেরাতে) যাদের কোন প্রাপ্য নেই, যেমনটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়েছেন। কেননা, যখন পাপাচারি উমারা কিংবা অত্যধিক পাপাচারি সেনাবাহিনীর সাথে মিলে ছাড়া জিহাদ করা সম্ভব না হয়, তখন দুই বিষয়ের কোন একটা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে: হয়তো জিহাদ তরক করতে হবে, যার পরিণতিতে দ্বীন দুনিয়া উভয় ক্ষেত্রেই তাদের চেয়েও অধিক ক্ষতিকর অন্য সম্প্রদায় চড়াও হয়ে যাবে; নতুবা পাপাচারি আমীরের সাথে মিলে জিহাদ করতে হবে, যার ফলে অধিকতর পাপিষ্ঠদেরকে প্রতিহত করা এবং পূর্ণ শরীয়ত না হলেও শরীয়তের অধিকাংশ বিধান কায়েম করা সম্ভব হবে। এই সূরতে এবং এ জাতীয় অন্য সকল সূরতে এটিই ফরয। বরং খুলাফায়ে রাশিদীনের পর অনেক যুদ্ধ এভাবেই হয়েছে।” (মাজমুউল ফাতাওয়া, ২৮: ৫০৬-৫০৭)
ইমাম জাসসাস রহ. বলেন,
أن الجهاد واجب مع الفساق كوجوبه مع العدول، وسائر الآي الموجبة لفرض الجهاد لم يفرق بين فعله مع الفساق ومع العدول الصالحين، وأيضا فإن الفساق إذا جاهدوا فهم مطيعون في ذلك كما هم مطيعون لله في الصلاة والصيام وغير ذلك من شرائع الإسلام، وأيضا فإن الجهاد ضرب من الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر، ولو رأينا فاسقا يأمر بمعروف وينهى عن منكر كان علينا معاونته على ذلك، فكذلك الجهاد، فالله تعالى لم يخص بفرض الجهاد العدول دون الفساق، فإذا كان الفرض عليهم واحدا لم يختلف حكم الجهاد مع العدول، ومع الفساق. اهـ
“ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তিদের সাথে মিলে জিহাদ করা যেমন ফরয, ফাসেকদের সাথে মিলে জিহাদ করা তেমনি ফরয। যেসব আয়াত জিহাদ ফরয করেছে সেগুলোর কোনটিই ন্যায়পরায়ণ সৎ লোকদের সাথে মিলে জিহাদ করা এবং ফাসেকদের সাথে মিলে জিহাদ করার মাঝে পার্থ্যক্য করেনি। তাছাড়া ফাসেকরা যখন জিহাদ করছে তখন তারা এক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার ফরমাবরদার যেমন নামায, রোযা ও শরীয়তের অন্যান্য বিধি-বিধানের বেলায় ফরমাবরদার। এ ছাড়াও জিহাদ হচ্ছে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের এক প্রকার। আমরা যদি ফাসেককে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার করতে দেখি, তাহলে আমাদের উপর আবশ্যক হবে এতে তাকে সাহায্য করা। জিহাদও তেমনই। আল্লাহ তাআলা ফাসেকদেরকে বাদ দিয়ে শুধু নেককারদের উপর জিহাদ ফরয করেননি। সবার উপর যখন সমভাবেই ফরয, তখন নেককারদের সাথে মিলে জিহাদ করা আর ফাসেকদের সাথে মিলে জিহাদ করার বিধান ভিন্ন ভিন্ন হবে না।” (আহকামুল কুরআন, ৩: ১৫৪)
যেসব ফাসেককে জিহাদে নেয়া নিষেধ:
উপরোক্ত আলোচনা থেকে পরিষ্কার যে, ফাসেকদের উপর জিহাদ ফরয। তাদেরকে জিহাদের ফরয আদায়ের জন্য জিহাদ করতে হবে। নেককারদেরকেও ফাসেকদের সাথে মিলে জিহাদ করতে হবে। তবে যেসব ফাসেকের দ্বারা জিহাদের উপকার না হয়ে বরং ক্ষতি হবে তাদেরকে জিহাদে নিতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَلَوْ أَرَادُوا الْخُرُوجَ لَأَعَدُّوا لَهُ عُدَّةً وَلَكِنْ كَرِهَ اللَّهُ انْبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ اقْعُدُوا مَعَ الْقَاعِدِينَ (46) لَوْ خَرَجُوا فِيكُمْ مَا زَادُوكُمْ إِلَّا خَبَالًا وَلَأَوْضَعُوا خِلَالَكُمْ يَبْغُونَكُمُ الْفِتْنَةَ وَفِيكُمْ سَمَّاعُونَ لَهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ (47)
(আর যদি তারা বের হওয়ার ইচ্ছা করত, তবে তার জন্য তারা সরঞ্জাম প্রস্তুত করত। কিন্তু আল্লাহ তাদের বের হওয়াকে অপছন্দ করলেন, ফলে তাদেরকে পিছিয়ে দিলেন, আর বলা হলো, ‘বসে থাক তোমরা বসে থাকা লোকদের সাথে।’ যদি তারা তোমাদের সাথে বের হতো তবে তোমাদের মাঝে ফাসাদই বৃদ্ধি করতো এবং তোমাদের মাঝে ছুটোছুটি করতো তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির অনুসন্ধানে। আর তোমাদের মাঝে এমন লোকও রয়েছে যারা তাদের কথায় কান দেবে। আল্লাহ জালেমদের ব্যাপারে পূর্ণ অবগত আছেন। ) (তাওবা, ৪৬-৪৭)
অতএব, যারা ফিতনা সৃষ্টি করবে এবং যাদের দ্বারা অন্য মুজাহিদরা বিভ্রান্ত হবে তাদেরকে জিহাদে নেয়া যাবে না।
কুরআন হাদিসের আলোকে আইম্মায়ে কেরাম কয়েক ধরণের লোককে জিহাদে নিতে নিষেধ করেছেন:
১. المخذل তথা এমন ব্যক্তি যে মুসলমানদের মাঝে কাফেরদের ভীতি সৃষ্টি করে। কাফেরদের শক্তি সামর্থ্যের কথা প্রচার করে করে এবং মুসলমানদেরকে দুর্বল বলে প্রচার করে তাদেরকে হীনমন্য করে তুলে।
২. المرجف তথা এমন ব্যক্তি যে মুসলমানদের মাঝে বিভিন্ন গুজব, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ এবং কথা-বার্তা প্রচার করে। যেমন- মুসলমানদের অমুক বাহিনী নিহত হয়ে গেছে, অমুক দিক থেকে তাদের বিরুদ্ধে শত্রদের অতিরিক্ত সহায়ক বাহিনী এসে পৌঁছেছে, অমুক জায়গায় তাদের জন্য শত্রুদের গুপ্ত বাহিনী ওৎপেতে বসে আছে… ইত্যাদী মিথ্যা সংবাদ।
৩. الخائن তথা খিয়ানতকারী। যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করে। তাদের গোপন বিষয়াদি জেনে শত্রুদেরকে অবগত করে।
এই তিন প্রকার ফাসেককে জিহাদে নেয়া নিষেধ।
ইমাম নববী রহ. বলেন,
يمنع المخذل من الخروج في الجيش فإن خرج رده ... والمخذل من يخوف الناس بأن يقول عدونا كثير وخيولنا ضعيفة ولا طاقة لنا بهم ونحو ذلك وفي معناه المرجف والخائن فالمرجف من يكثر الأراجيف بأن يقول قتلت سرية كذا أو لحقهم مدد للعدو من جهة كذا أو لهم كمين في موضع كذا والخائن من يتجسس لهم ويطلعهم على العورات بالمكاتبة والمراسلة. اهـ
“ المخذل কে সেনাবাহিনীর সাথে বের হতে হতে দেয়া হবে না। বের হয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। … المخذل হচ্ছে যে ব্যক্তি লোকজনের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করে। যেমন বলে- শত্রু অনেক; আমাদের ঘোড়াগুলো দুর্বল; তাদের সাথে পেরে উঠার শক্তি আমাদের নেই- ইত্যাদী। এ ব্যক্তির মতোই হচ্ছে المرجف এবং الخائن- المرجف হচ্ছে যে ব্যক্তি প্রচুর গুজব রটায়। যেমন বলে- অমুক বাহিনী নিহত হয়ে গেছে; অমুক দিক থেকে তাদের বিরুদ্ধে শত্রদের অতিরিক্ত সহায়ক বাহিনী এসে পৌঁছেছে; অমুক জায়গায় তাদের জন্য শত্রুদের গুপ্ত বাহিনী ওৎপেতে বসে আছে। আর الخائن হচ্ছে যে ব্যক্তি শত্রু পক্ষের গোয়েন্দা হয়ে কাজ করে। চিঠি মারফত বা লোক মারফত গোপন বিষয়াদি তাদেরকে অবগত করে।” (রওজাতুত ত্বলিবীন, ৭: ৪৪২)
আবু ইসহাক সিরাজী রহ. (মৃত্যু ৪৭৬হি.) বলেন,
وإذا أراد الخروج عرض الجيش ولا يأذن لمخذل ولا لمن يعاون الكفار بالمكاتبة لقوله عزوجل (لو خرجوا فيكم ما زادواكم إلا خبالا ولاوضعواخلالكم يبغونكم الفتنة) قيل في التفسير لاوقعوا بينكم الاختلاف، وقيل لا شرعوا في تفريق جمعكم، ولان في حضورهم إضرار بالمسلمين. اهـ
“যখন রওয়ানা হওয়ার ইচ্ছা করবে তখন সেনাবাহিনীর প্রদর্শনী নেবে। কোন مخذل কে সাথে যেতে অনুমতি দেবে না। যে চিঠি মারফত কাফেরদেরকে সহায়তা করবে তাকেও না। আর তা আল্লাহ তাআলার এই বাণীর কারণে –
لَوْ خَرَجُوا فِيكُمْ مَا زَادُوكُمْ إِلَّا خَبَالًا وَلَأَوْضَعُوا خِلَالَكُمْ يَبْغُونَكُمُ الْفِتْنَةَ (যদি তারা তোমাদের সাথে বের হতো তবে তোমাদের মাঝে ফাসাদই বৃদ্ধি করতো এবং তোমাদের মাঝে ছুটোছুটি করতো তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির অনুসন্ধানে।) এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘তোমাদের মাঝে মতবিরোধ সৃষ্টি করতো।’ এও বলা হয় যে, ‘তোমাদের জামাআতকে চীন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলার প্রয়াস চালাতো।’ তাছাড়া এদের উপস্থিতির কারণে মুসলমানদের ক্ষতি হবে।” (আল-মুহাযযাব, ৫: ২৩৮)
সারকথা- যার দ্বারা জিহাদের ক্ষতি হবে তাকে নেয়া যাবে না; এছাড়া বাকিদেরকে নেয়া হবে।
***
Comment