আমাদের দেশে তারাবীর নামাযের উপর বড়ই জুলুম করা হয়। তাড়াহুড়া করে কোনমতে আদায় করে নেয়া হয়, যেন একটা জঞ্জাল মাথা থেকে সরানো হল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন! সুন্নত – মুস্তাহাব তো পরের কথা, অনেক ক্ষেত্রে ফরয ওয়াজিবের প্রতিই লক্ষ্য রাখা হয় না। এতে যে শুধু সওয়াব কমে যায় তাই না, বরং অনেক সময় সওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হয়ে যায়, এমনকি নামাযই হয় না।
ত্রুটি তো অনেক; বলবো কয়টা। এখানে সংক্ষিপ্তাকারে কয়েকটা বিষয় উল্লেখ করা হল:
১. ইশা ও বিতরের নামাযে সুন্নত কেরাত পড়া চাই। তারাবীর কারণে তাড়াহুড়া করে মাগরীবের কেরাত দিয়ে ইশা ও বিতর না পড়া চাই।
২. ইশার ফরযের পর দুই রাকাআত সুন্নত ধীরে স্থিরে পড়া চাই।
৩. তারাবীহ্ সহ সকল নামাযে তাকবীরে তাহরীমা বলে দাঁড়ানোর পর ইমামের জন্য সানা এবং আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়া এবং মুক্তাদিদের জন্য শুধু সানা পড়া সুন্নত। কিন্তু তারাবীর নামাযে এর প্রতি কোনই খেয়াল রাখা হয় না। আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়েই আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন… পড়া শুরু করে দেয়া হয়। এমনটা না করা চাই।
৪. প্রথম রাকাআত শেষ করার পর দ্বিতীয় …তৃতীয় … চতুর্থ সকল রাকাআতেই সূরা ফাতিহার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে হয়। কিন্তু তারাবীর নামাযে এর কোন খেয়ালই করা হয় না। প্রথম রাকাআত শেষ করে দাঁড়িয়েই আলহামদু লিল্লাহ… পড়তে শুরু করে।
৫. নামাযের ওয়াজিব ফরযগুলোর প্রতি খেয়াল রাখা চাই। তাড়াহুড়ার কারণে কোন ওয়াজিব-ফরয ছুটে গেলে তো নামাযই হবে না।
৬. কেরাত এমনভাবে পড়া চাই যেন বু্ঝে আসে।
৭. সূরা ফাতিহার সাত আয়াতের প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা নি:শ্বাসে পড়া চাই। সম্পূর্ণ সূরা এক দমে না পড়া চাই।
৮. শেষ বৈঠকে অন্তত তাশাহুদ এবং দুরূদ শরীফ পড়তে হবে। মুসল্লীগণ বিরক্ত হওয়ার আশঙ্খা থাকলে দোয়া মা’ছূরা না পড়লেও চলবে। কিন্তু তাশাহুদ এবং দুরূদ শরীফ ছাড়া যাবে না। দুরূদ শরীফ সুন্নত। বার বার সুন্নত ছেড়ে দিলে শুধু যে সওয়াব কম হবে তাই না, বরং গুনাহের পর্যায়েও পৌঁছে যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুন।
ত্রুটি তো অনেক; বলবো কয়টা। এখানে সংক্ষিপ্তাকারে কয়েকটা বিষয় উল্লেখ করা হল:
১. ইশা ও বিতরের নামাযে সুন্নত কেরাত পড়া চাই। তারাবীর কারণে তাড়াহুড়া করে মাগরীবের কেরাত দিয়ে ইশা ও বিতর না পড়া চাই।
২. ইশার ফরযের পর দুই রাকাআত সুন্নত ধীরে স্থিরে পড়া চাই।
৩. তারাবীহ্ সহ সকল নামাযে তাকবীরে তাহরীমা বলে দাঁড়ানোর পর ইমামের জন্য সানা এবং আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়া এবং মুক্তাদিদের জন্য শুধু সানা পড়া সুন্নত। কিন্তু তারাবীর নামাযে এর প্রতি কোনই খেয়াল রাখা হয় না। আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়েই আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন… পড়া শুরু করে দেয়া হয়। এমনটা না করা চাই।
৪. প্রথম রাকাআত শেষ করার পর দ্বিতীয় …তৃতীয় … চতুর্থ সকল রাকাআতেই সূরা ফাতিহার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে হয়। কিন্তু তারাবীর নামাযে এর কোন খেয়ালই করা হয় না। প্রথম রাকাআত শেষ করে দাঁড়িয়েই আলহামদু লিল্লাহ… পড়তে শুরু করে।
৫. নামাযের ওয়াজিব ফরযগুলোর প্রতি খেয়াল রাখা চাই। তাড়াহুড়ার কারণে কোন ওয়াজিব-ফরয ছুটে গেলে তো নামাযই হবে না।
৬. কেরাত এমনভাবে পড়া চাই যেন বু্ঝে আসে।
৭. সূরা ফাতিহার সাত আয়াতের প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা নি:শ্বাসে পড়া চাই। সম্পূর্ণ সূরা এক দমে না পড়া চাই।
৮. শেষ বৈঠকে অন্তত তাশাহুদ এবং দুরূদ শরীফ পড়তে হবে। মুসল্লীগণ বিরক্ত হওয়ার আশঙ্খা থাকলে দোয়া মা’ছূরা না পড়লেও চলবে। কিন্তু তাশাহুদ এবং দুরূদ শরীফ ছাড়া যাবে না। দুরূদ শরীফ সুন্নত। বার বার সুন্নত ছেড়ে দিলে শুধু যে সওয়াব কম হবে তাই না, বরং গুনাহের পর্যায়েও পৌঁছে যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুন।
Comment