Announcement

Collapse
No announcement yet.

হেলথ টিপস (২)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হেলথ টিপস (২)

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
    প্রিয় ভাইয়েরা , আজকের বিষয় ,গেজ / পাইলস ।
    ইনশাল্লাহ এখানে আমরা আলোচনা করব ঔষধ ছাড়া বিকল্প কিছু নিয়ে । কারণ মুজাহিদিনরা যুদ্ধের সময় এমনএমন জায়গায় সফর করবে যেখানে অষুধ মিলবে না । তাই আজকে অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করব ,ইনশাল্লাহ।
    গেইজ / পাইলস , এই রোগটি অনেক যন্ত্রনাদায়ক । যার হয় তাকে অতিষ্ট করে তুলে ।
    গেইজ / পাইলস তিন ধরণের । ১/ মলদারের ভেতরের রাস্তা ফেটে গিয়েও হয়ে থাকে । এটা হয় সাধারণত পাইখানা কঠিন হওয়ার কারণে । এর দ্বারা রক্ত বের হয় এবং ব্যথা অনুভব হয় ।
    ২/ মলদারের ভেতরের রাস্তায় আঙ্গুরের মত কিছু একটা বের হয় । এর দ্বারাও রক্ত বের হয় এবং ব্যথা অনুভব হয় ।
    ৩/ মলদারের বাহিরে আঙ্গুরের মত একটা বুটা সৃষ্টি হয় । এর দ্বারাও রক্ত বের হয় এবং ব্যথা হয় ।

    চিকিৎসা :

    ১০/১৫ টা ছানা বুট রাত্রে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া । এর দ্বারা পাইখানা স্বাভাবিক থাকবে । আর স্বাভাবিক থাকলে এই রোগটি দেখা দেয় না ।
    এপদ্ধতি হলো ১ নাম্বারের জন্য । আর কারো যদি ২/৩ হয়ে থাকে ,তাহলে দ্রুত একজন হোমিও ডাক্তার দেখানো দরকার ।
    সম্মান নেইকো নাচে গানে,
    আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

  • #2
    আমার বোন হোমিও ডাক্তার তিনি বলেছে, হোমিও ঔষধের মাধ্যমে পাইলস সম্পূর্ণ ভাল হবে ন। রুগি যতদিন ঔষধ খাবে ততদিন মিশে থাকবে অর্থাৎ কোন প্রকার কষ্ট হবে না। ঔষধ থামালে পাইলস দেখা দিবে। ওপারেশন হল একমাত্র সমাধান।

    Comment


    • #3
      জি ভাই হোমিও চিকিৎসাটা তুলনামূলক ভাবে অ্যালোপেথিক থেকে ভালো
      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

      Comment


      • #4
        অর্শ বা পাইলস রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

        অর্শ বা পাইলস রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
        তীব্র বেদনা দায়ক এবং জটিল রোগগুলোর মধ্যে অর্শ বা পাইলস হলো একটি। এটি মানুষের মলদ্বারের রোগ। এ রোগে মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে, চারপাশে বা একপাশে, একটি বা একাধিক, গোলাকৃতি বা সুচাল গুটিকা দেখা দেয়। এ গুটিকাগুলোকে 'বলি'বা 'গেজ' বলা হয়। পায়খানা করার সময় এ বলিগুলো থেকে অভ্যন্তরীণ সমস্যার অনুপাতে কারো অধিক পরিমাণে, কারো স্বল্প পরিমাণে রক্ত যায়। আবার অনেকের রক্ত যায়ই না।



        সৃষ্টির ইতিবৃত্ত :-
        প্রতিনিয়ত আবহাওয়া ও খাদ্যাদি থেকে নানা রকম বিষ ও রোগ জীবাণু আমাদের দেহের ভেতরে প্রবেশ করে। শক্তিশালী জীবনীশক্তি এ বিষসমূহের কিছু দেহাভ্যন্তরে ধ্বংস করে ও কিছু পায়খানা প্রস্রাব ও ঘর্ম ইত্যাদি স্বাভাবিক স্রাবের মাধ্যমে বাইরে বের করে দিয়ে দেহকে সুস্থ রাখে। এমন কিছু জীবাণু আছে যেগুলোকে জীবনীশক্তি ধ্বংস করতে পারে না এবং নিষ্কাশিত করাও জীবনীশক্তির সামর্থ্য হয় না। সে জীবাণুগুলো দেহের মধ্যকার ত্রিদোষ (সোরা, সিফিলিস, সাইকোসিস)-এর যে কোনো দোষ বা দোষসমূহের দ্বারা প্রবল শক্তি অর্জন করে এবং মারাত্মক ব্যধির সৃষ্টি করে জীবনীশক্তির পতন ঘটানোর চেষ্টা করে। এ অবস্থায় জীবনীশক্তি যে কোনো স্রাবকারী নতুন পথের সৃষ্টি করে ওই প্রবল বিষ বা বিষবাষ্প বের করে যন্ত্রটিকে রক্ষা করার চেষ্টা করে।

        অর্শের কারণ :-
        পুরনো কোষ্ঠকাঠিন্য।
        লিভার সিরোসিস, যকৃতে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চয় ও অত্যধিক মস্তিষ্কের কাজ।
        মূত্রাশয়ের গোলযোগ, প্রোস্টেট ক্যান্সার, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জরায়ুতে চাপ পড়লে।
        আকৃতি অনুযায়ী প্রকারভেদ :-
        ছোলার মতো,
        আঙুরের মতো,
        খেজুর গাছের শিকড়ের মতো,
        রেশন গাছের গোটার মতো,
        খেজুরের মতো,
        ডুমুরের মতো।
        শিরা স্ফীতির ওপর প্রকারভেদ যথা :-
        ১. মলদ্বারের অভ্যন্তরে অর্শ : ১-২ ইঞ্চি ভেতরের দিকে শিরার স্ফীতি হয়ে বলির সৃষ্টি হয়। একে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।
        প্রথমতঃ মলদ্বারের ভেতর থেকে ব্যথাহীন রক্তপাত হয়। কিন্তু অর্শের বলি মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে না।
        দ্বিতীয়তঃ বলি মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে, তবে মলত্যাগের পর নিজেই ভেতরে চলে যায়।
        তৃতীয়তঃ বলিগুলো বাইরে বের হয়ে আসে এবং হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে না দিলে বাইরেই থেকে যায়।
        ২. মলদ্বারের বাইরে অর্শ : মলদ্বারের বাইরে বলির সৃষ্টি হয় এবং হাত দিয়ে তা অনুভব করা যায় এবং
        ৩. মিশ্র অর্শ : এক্ষেত্রে মলদ্বারের ভেতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই অর্শের বলি পাওয়া যায়।

        লক্ষণসমূহ :-
        পায়খানা করার সময় অত্যধিক বা অল্প পরিমাণে রক্ত যেতে পারে।
        গুহ্য দ্বারে জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যায়।
        টাটানি ও যন্ত্রণা।
        কাঁটাবিদ্ধ অনুভূতি।
        মাথা ধরা ও মাথা ভার বোধ।
        উরুদেশ, বক্ষ, নাভির চারপাশে ব্যথা ও মলদ্বারে ভার বোধ।
        কোমর ধরা ও কোষ্ঠবদ্ধতা।
        অর্শ রোগে আক্রান্তদের করণীয় :-
        নিয়মিত পায়খানা করা।
        পেটে হজম হতে চায় না এমন খাদ্য বর্জন করা।
        চিকিৎসকের পরামর্শমতো বিশ্রাম নেয়া।
        হাতুরে ডাক্তার বা কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা না করা।
        প্রতিরোধের উপায় :-
        কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা।
        নিয়মিত ঘুমানো।
        পরিমাণ মতো পানি পান করা।
        অতিরিক্ত পরিশ্রম না করা।
        তরলও সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণ।
        অধিক মশলা জাতীয় খাদ্য পরিহার করা।
        হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :-
        হোমিওপ্যাথি রোগ নিরাময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র ও সদৃশ উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। এটি উপসর্গ ও জটিলতা মুছে ফেলে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থায় রোগীর ফিরে যাবার একমাত্র উপায়। সদৃশবিধানের লক্ষ্য শুধু অর্শ চিকিত্সা নয়, তার অন্তর্নিহিত কারণ ও স্বতন্ত্র প্রবণতা মোকাবেলায়ও সহায়তা করে। স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন এবং চিকিত্সার জন্য, রোগীকে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ও রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
        ******** আধুনিক হোমিওপ্যাথি *********
        ১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪
        ফোন: ০১৭২৭-৩৮২৬৭১, ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫

        Comment

        Working...
        X