দলীল-প্রমাণ
আমাদের মূল আলোচনা ছিল ‘কি কি কারণে একজন মুসলমান হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে’- তা নিয়ে। বিষয়টি বুঝার জন্য প্রাসঙ্গিক আরও বিভিন্ন বিষয় এসে গেছে। এতক্ষণ যা আলোচনা হল তার সারকথা-
[আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার, উপস্থিত যুলুম ও অন্যায় প্রতিহত করা, হুদুদ-কেসাস কায়েম করা: সবগুলোই উম্মাহর দায়িত্ব। তবে বিশেষ মাসলাহাতের কারণে হুদুদ কেসাস কায়েম করার দায়িত্ব খলিফা, সুলতান, উমারা, কাজি ও ক্ষমতাশীলদের উপর; আর আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার, উপস্থিত যুলুম ও অন্যায় প্রতিহত করা সকলেরই দায়িত্ব। প্রশাসন-সাধারণ জনগণ সকলেই তা আঞ্জাম দিতে পারবে। এ দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে গিয়ে যদি অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে, তাহলে প্রশাসনের ন্যায় সাধারণ জনগণও অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। হত্যা ছাড়া প্রতিহত করা সম্ভব না হলে হত্যাও করতে পারবেন।]
আমাদের আলোচনা যেহেতু আমরা বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার নিয়ে, তাই আমরা হুদুদ-কেসাসের আলোচনায় যাবো না। আবার আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের মধ্য থেকে শুধু মুসলিম হত্যার বিষয়টিই যেহেতু আমাদের আলোচনার বিষয়, তাই আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার নিয়েও বিস্তারিত কোন আলোচনা এখানে করবো না। আল্লাহ তাআলা যদি তাওফিক দেন তাহলে তা নিয়ে অন্য সময় স্বতন্ত্র রিসালায় আলোচনা করবো। এখানে শুধু মুসলিম হত্যার বিষয়টির উপরই ক্ষান্ত করবো।
মুসলিম হত্যার বিষয়টি ঠিক ঠিক মতো বুঝার জন্য (সাধারণ জনগণ অস্ত্র প্রয়োগ ও হত্যার অধিকার রাখে কি’না?)- তা জানার দরকার ছিল। তাই এ ব্যাপারে কিঞ্চিত আলোচনা করা হল। এখানে তার কয়েকটি দলীল এবং আইম্মায়ে কেরামের কয়েকটি বক্তব্য উল্লেখ করবো। ওমা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ!
******************
দলীল: সাধারণ জনগণ অস্ত্র প্রয়োগ ও হত্যার অধিকার রাখে
কুরআনে কারীম থেকে দলীল
{وَلْتَكُنْ مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلى الخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ اْلمُنكَرِ وَأُوْلَئِكَ هُمُ المُفْلِحُونَ}
“তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা চাই- যারা (মানুষকে) কল্যাণের দিকে ডাকবে, সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজে বাধা দেবে। আর এরূপ লোকই সফলকাম।” (আলে ইমরান: ১০৪) এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয়:
- আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার ফরয এবং তা ফরযে কেফায়া। কারণ, আল্লাহ তাআলা উম্মাহর প্রত্যেকের উপর অত্যাবশ্যকরূপে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার ফরয করেননি, বরং তাদের মধ্য থেকে এ কাজের জন্য একটি দল থাকার আদেশ দিয়েছেন। কাজেই উম্মাহর একটি অংশ এ কাজ করলেই বাকিদের উপর থেকে দায়িত্ব-ভার সরে যাবে। আর কেউ-ই তা আদায় না করলে সকলেই গুনাহগার হবে।
- আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার শুধু মুসলিম প্রশাসনের দায়িত্ব নয়, বরং গোটা উম্মাহর সকলেরই তা তা দায়িত্ব। কারণ, আল্লাহ তাআলা গোটা উম্মাহকে সম্বোধন করে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের আদেশ দিয়েছেন। একে শুধু শাসক শ্রেণীর সাথে খাছ করেননি।
- জনসাধারণও প্রয়োজনে অস্ত্র প্রয়োগ ও হত্যা করতে পারবে। কারণ, আল্লাহ তাআলা আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের আদেশ দিয়েছেন। কাজেই কোন অন্যায় দেখা গেলে তা প্রতিহত করতে হবে। যদি নরম গরম কথা, হুমকি ধমকি কিংবা অস্ত্রবিহীন মারপিটে অন্যায় প্রতিহত হয়ে যায়, তাহলে তো ভালই; অন্যথায় অস্ত্র প্রয়োগে এমনকি হত্যা করে তা প্রতিহত করতে হবে। কারণ, আল্লাহ তাআলা আয়াতে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের কোন নির্দিষ্ট স্তরের বৈধতা দিয়ে অন্য স্তরকে হারাম করেননি, বরং নিঃশর্তভাবে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের আদেশ দিয়েছেন। এতে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের সকল স্তরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। কাজেই আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের সর্বনিম্ন স্তর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তর তথা অস্ত্র প্রয়োগ ও হত্যাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
কুরআনে কারীমের বহু আয়াতে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার নিয়ে আলোচনা এসেছে। আমি আরও কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করছি:
২. আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
{كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ...}
“তোমরাই (দুনিয়ায়) সর্বোত্তম জাতি। মানুষের কল্যাণের জন্যই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। (শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে তোমাদের কাজ হচ্ছে) তোমরা দুনিয়ার মানুষদের সৎকাজে আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজে বাঁধা দেবে।” (আলে ইমারান: ১১০) এ আয়াত আগের আয়াতে অনুরূপ।
৩. আল্লাহ তাআলা লুকমান আলাইহিস সালামের উপদেশ বিবৃত করেন-
{يَابُنَيَّ أَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَاصْبِرْ عَلَى مَا أَصَابَكَ إِنَّ ذَلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ}
“ওহে আমার পুত্র! নামায কায়েম কর, লোকদের সৎকাজে আদেশ দাও ও মন্দ মন্দ কাজে বাঁধা দাও এবং (এ কারণে) তোমার যে কষ্ট দেখা দেয় তাতে সবর কর। নিশ্চয়ই এটা বড় হিম্মতের কাজ।” (লুকমান: ১৭) ৪. আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
{لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُودَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ ◌ كَانُوا لَا يَتَنَاهَوْنَ عَنْ مُنْكَرٍ فَعَلُوهُ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ}
“বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছে, তাদের উপর দাঊদ ও ঈসা ইবনে মারয়ামের যবানীতে লা’নত বর্ষিত হয়েছে। কেননা, তারা আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে এবং সীমালংঘন করেছে। তারা যেসব গর্হিত কাজ করতো, তা থেকে একে অপরকে বারণ করতে না। তারা যা করতো, নিঃসন্দেহে তা ছিল নিকৃষ্ট।” (মায়েদা: ৭৮-৭৯) নাহি আনিল মুনকারের মতো ফরয দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার কারণে বনী ঈসরাঈলের উপর লা’নত বর্ষিত হয়েছে।
৫. আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
{وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا فَإِنْ بَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَقَاتِلُوا الَّتِي تَبْغِي حَتَّى تَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللَّهِ}
“মুসলিমদের দুটি দল পরস্পর আত্মকলহে লিপ্ত হলে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিও। অতঃপর তাদের একটি দল যদি অন্য দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দল বাড়াবাড়ি করছে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যাবত না সে আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে।” (হুজুরাত: ৯)
মুসলমানদের এক দল আরেক দলের সাথে দ্বন্দ্ব-মারামারিতে লিপ্ত হলে, তাদের মাঝে শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। যদি তারা এর মাধ্যমে বারণ হয়ে যায় তো ভাল; অন্যথায় যে দল বাড়াবাড়ি করবে, মীমাংসায় রাজি না হবে- তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে, যুদ্ধ করা হবে, যতক্ষণ না তারা তাদের বাড়বাড়ি ও সীমালঙ্গন ছাড়তে বাধ্য হয়। এখানে তাদেরকে যেহেতু অস্ত্র প্রয়োগ ও যুদ্ধ ব্যতীত বারণ রাখা সম্ভব না, তাই শরীয়ত অস্ত্র প্রয়োগ করার আদেশ দিয়েছে।
এ ছাড়াও আরোও অনেক আয়াতে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের আলোচনা এসেছে। এখানে এ কয়টা আয়াতই উল্লেখ করা হল।
সুন্নাহ্ থেকে দলীল
১. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ((من رأى منكم منكرا فليغيره بيده فان لم يستطع فبلسانه فان لم يستطع فبقلبه وذلك اضعف الايمان))
“তোমাদের যে কেউ কোন মন্দ কাজ দেখবে, সে যেন স্বহস্তে (শক্তিবলে) তা প্রতিহত করে। যদি তাতে সক্ষম না হয়, তাহলে যেন তার যবান দিয়ে প্রতিহত করে। যদি তাতেও সক্ষম না হয়, তাহলে যেন অন্তর দিয়ে প্রতিহত করে। আর এ (অন্তর দিয়ে প্রতিহত করা) হল দুর্বলতম ঈমান।” (সহীহ মুসলিম: ১৮৬) এ হাদিস প্রমাণ করে:
- আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার উম্মাহর সামর্থ্যবান প্রতিটি সদস্যের উপর ফরয। কারণ, হাদিসে ব্যাপকভাবে সকলের প্রতিই আদেশ জারি করা হয়েছে। বিশেষ কোন শ্রেণীর মাঝে সীমাবদ্ধ করা হয়নি। তবে পূর্বে আয়াতে বলা হয়েছে যে, কোন একদল তা আদায় করে নিলে বাকিদের দায়িত্ব-ভার সরে যাবে।
- হাদিসে শক্তি প্রয়োগে প্রতিহত করার আদেশ এসেছে। অতএব, যদি কথায় কাজ না হয়, তাহলে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি, বরং নিঃশর্তভাবে শক্তি প্রয়োগের আদেশ এসেছে। অতএব, যদি অস্ত্রবিহীন মারপিটে কাজ না হয়, তাহলে অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। যদি হত্যা করা ছাড়া প্রতিহত করা সম্ভব না হয়, তাহলে হত্যা করে হলেও অন্যায় প্রতিহত করতে হবে।
এ ছাড়াও অসংখ্য হাদিসে আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের আদেশ দেয়া হয়েছে। আমি এখানে আরও কয়েকটা হাদিস উল্লেখ করছি:
২. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
((ما من نبي بعثه الله في أمة قبلي إلا كان له من أمته حواريون وأصحاب يأخذون بسنته ويقتدون بأمره، ثم إنها تخلف من بعدهم خلوف، يقولون ما لا يفعلون، ويفعلون ما لا يؤمرون، فمن جاهدهم بيده فهو مؤمن، ومن جاهدهم بلسانه فهو مؤمن، ومن جاهدهم بقلبه فهو مؤمن، وليس وراء ذلك من الإيمان حبة خردل))
“আমার পূর্বে যত উম্মতের কাছে যত নবী পাঠানো হয়েছে, তাদের সকলেরই নিজ উম্মতের মধ্য থেকে কতক হাওয়ারি ও সাহাবী ছিল, যারা তার সুন্নত আঁকড়ে ধরতো এবং তার আদেশের আনুগত্য করতো। তারা অতিক্রান্ত হওয়ার পর নিকৃষ্ট উত্তরসূরিরা তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে। তারা এমনসব কথা বলবে, যা তারা করে না এবং এমন কর্ম করবে, যার আদেশ তাদের দেয়া হয়নি। যে স্বহস্তে (শক্তি প্রয়োগে) তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে, সে মুমিন। যে নিজ যবান দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে, সেও মুমিন। সে নিজ অন্তর দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে, সেও মুমিন। এ(অন্তর দিয়ে জিহাদ করা)র বাহিরে সরিষার দানা বরাবর ঈমানও নেই।” (সহীহ মুসলিম: ১৮৮) ৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
((إن الناس إذا رأوا الظالم فلم يأخذوا على يديه أوشك أن يعمهم الله بعقاب))
“যখন লোকজন জালেমকে (জুলুম করতে) দেখেও তার হাত না আটকাবে, তখন অচিরেই আল্লাহ তাআলা ব্যাপকভাবে তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন।” (আবু দাউদ: ৪৩৪০) ৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
((ما من قوم يعمل فيهم بالمعاصى ثم يقدرون على أن يغيروا ثم لا يغيروا إلا يوشك أن يعمهم الله منه بعقاب))
“যখন কোন সম্প্রদায়ে গুনাহের কাজ হয়, আর জাতির অন্য লোকসকল তা প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও প্রতিহত না করে, তখন অতিশীঘ্রই আল্লাহ তাআলা ব্যাপকভাবে তাদের উপর তার আযাব নাযিল করেন।” (আবু দাউদ: ৪৩৪০) ৫. ইমাম মুসলিম রহ. বর্ণনা করেন-
عن أبى هريرة قال جاء رجل إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال يا رسول الله أرأيت إن جاء رجل يريد أخذ مالى قال « فلا تعطه مالك ». قال أرأيت إن قاتلنى قال « قاتله ». قال أرأيت إن قتلنى قال « فأنت شهيد ». قال أرأيت إن قتلته قال « هو فى النار ».
“হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে আরজ করল- ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি বলেন, যদি কোন ব্যক্তি আমার মাল কেড়ে নিতে আসে? তিনি জওয়াব দিলেন- তাকে তোমার মাল দেবে না। ঐ ব্যক্তি আরজ করল- কি বলেন, যদি সে আমার সাথে মারামারিতে লিপ্ত হয়? তিনি জওয়াব দিলেন, তুমিও তার সাথে মারামারি কর। ঐ ব্যক্তি আরজ করল- কি বলেন, যদি সে আমাকে হত্যা করে ফেলে? তিনি জওয়াব দিলেন, তাহলে তুমি শহীদ হবে। ঐ ব্যক্তি আরজ করল- কি বলেন, যদি আমি তাকে হত্যা করে ফেলি? তিনি জওয়াব দিলেন, তাহলে সে জাহান্নামী হবে।” (সহীহ মুসলিম: ৩৭৭) ৬. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
(من قتل دون ماله فهو شهيد ومن قتل دون أهله أو دون دمه أو دون دينه فهو شهيد)
“যে ব্যক্তি তার মাল রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হবে- সে শহীদ। যে তার পরিবার, তার নিজ প্রাণ বা দ্বীন রক্ষার্থে নিহত হবে- সেও শহীদ।” (আবু দাউদ: ৪৭৭২) শেষোক্ত হাদিস দু’টিতে জান, মাল, ইজ্জত-আব্রু, দ্বীন বা পরিবার পরিজন রক্ষার্থে অস্ত্র প্রয়োগ এমনকি হত্যা পর্যন্ত করার সুস্পষ্ট অনুমতি দেয়া হয়েছে।
Comment