তুমি করো প্রতি বিদ্বেষ রাখবে শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যেই। এ জন্য না যে, সে তোমার প্রতি খারাপ আচারণ করেছে। বরং তুমি তাকে ঘৃণা করবে। যেহেতু সে আল্লার শত্রু। এটাই ইবরাহীম আ: এর আদর্শ। আল্লাহ তায়ালা ইবরাহীম আ: সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন: ‘তোমাদের মধ্যে ইবরাহীম ও তার সঙ্গীদের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে, যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিলেন: আমরা তোমাদের থেকে এবং আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের ইবাদাত কর তাদের থেকে সম্পর্কহীন। আমরা তোমাদের মানি না। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে চিরোকালের জন্য প্রকাশ্য শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়ে গেছে, যে পর্ন্ত না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন’। (সূরা মুমতাহিনা, ৪)
কিয়ামতের দিন, যেদিন আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তায়ালা যেই সাত শ্রেণীর ব্যক্তিকে আরশের ছায়াতলে ছায়া দান করবেন। তাদের এক শ্রেণী হল, “ঐ দুই ব্যক্তি যারা একে অন্যকে আল্লাহ তায়ালার জন্যই ভালোবেসেছিল। আল্লাহ তায়ালার জন্যই তারা একত্রিত হত আবার আল্লাহ তায়ালার জন্য তারা পৃথক হত”। সুতরাং আল্লাহ তায়ালার জন্য ভালোবাসা এবং তার জন্যই বিদ্বেষ রাখা গুরুত্ত্বপুর্ণ একটা বিষয়। কারণ, এটা হক ও বাতিলের মাঝে ব্যবধানকারী। তাই দেখার বিষয়, আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে ভালোবাসেন তাদের প্রতি ভালোবাসা আমার মধ্যে পুরাপুরি আছে কি না এবং আল্লাহ তায়ালা যাদের প্রতি বিদ্ধেষ রাখেন তাদের প্রতি বিদ্ধেষ আমার মধ্যে পরিপুর্ণভাবে আছে কি না? যদি থাকে তাহলে বুঝা যাবে আমি পরিপুর্ণ হকের উপর আছি। পক্ষান্তরে যদি না থাকে তাহলে বুঝা যাবে আমি পরিপুর্ণ হকের উপর এখনও উঠতে পারিনি। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: ‘হে ঈমানদারগণ, যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় কর তাহলে তিনি তোমাদেরকে দান করবেন (সত্য-মিথ্যার মাঝে) পার্থক্যকারী বস্তু’। (সূরা আনফাল, ২৯) সুতরাং মুমিনের কাছে থাকবে (সত্য-মিথ্যার মাঝে) পার্থক্যকারী। সে এর মাধ্যমে সত্য- মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করবে।
তাই উলামাগণ মানুষের মাঝের এই মুহাব্বাতকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন।
১. তাঁরা এমন এক শ্রেণী যারা শুধু মুহাব্বাত পাওয়ারই যোগ্য, তাঁদের ভালোবাসার সাথে বিদ্বেষ মিশ্রিত হবে না। তাঁরা হলেন, ফেরেশতা, নবী-রাসূলগণ এবং খালেছ মুমিন, যেমন, ছাহাবাগণ। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: তারা বলে: হে আমাদের রব! আপনি আমাদের ও আমাদের (সেই) ভাইদের ক্ষমা করুন, যারা আমাদের পুর্বে ঈমানে দাখিল হয়েছে এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি কোনো বিদ্বেষ রাখবেন না।( সূরা হাশর, ১০) এবং সালফে সালেহীন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। যেহেতু তারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করার কারণে তাদের আক্বিদা সচ্ছ,এবং তাদের মতাদর্শ সত্য।
২. যারা শুধু ঘৃণা পাওয়ারই যোগ্য, এদের সাথে ভালোবাসার কোন মিশ্রণ ঘটবে না। এরা হল, কাফের, মুশরিক, আল্লাহর শত্রু। আল্লাহ তায়ালা বলেন: হে ঈমানদারগণ তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরুপে গ্রহণ কর না। (সূরা মুমতাহিনা, ১) অর্থাৎ এমন বন্ধু যে, তোমরা তাদেরকে ভালোবাসবে, অভিভাবকরুপে গ্রহণ করবে, তাদেরকে সাহায্য করবে এবং তাদের থেকে কষ্টদায়ক জিনিস প্রতিহত করবে। বরং তোমাদের উপর ওয়াজিব হল, তদের থেকে পরিপুর্ণভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করা। কেননা তারা আল্লাহর দুশমন। আল্লাহ তায়ালা বলেন: আপনি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়কে এমন পাবেন না যে, তারা এমন লোকদের সাথে বন্ধুত্ত্ব করে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত, হোক না ওরা তাদের পিতা, পুত্র, ভাই বা জ্ঞাতি- গোষ্ঠী। এমন লোকদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন। এবং নিজের রুহ দ্বারা তাদের সাহায্য করেছেন। তিনি তাদের এমন সব উদ্যানে দাখিল করবেন, যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহীত, যাতে তারা অনন্তকাল থাকবে। (সূরা মুজাদালা, ২২)
আব্দুল ওয়াহাব নজদী রহ: এই আয়াতকে দলিল হিসাবে উল্ল্যেখ করে বলেন: প্রত্যেক মুমিনের এটা জানা থাকা কর্তব্য যে, যারা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে ভালোবাসে তাদের জন্য যায়েজ নেই- যারা আল্লহ এবং আল্লাহর রাসূলের বিরোধিতায় লিপ্ত তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা।
সুতরাং বর্তমান সমস্ত দেশের সরকার, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ সরকারী যত বাহিনী আছে তাদেরকে যেহেতু আমরা মুরতাদ মনে করি, তাই তাদের প্রতি পরিপুর্ণ বিদ্ধেষ রাখতে হবে। তাদের সাথে বন্ধুত্ব্যের কোনও সুযোগ নেই। বরং এদের থেকে সম্পু্র্ণরুপে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
তবে যেহেতু দেশের প্রস্থিতি এবং তাগুত বাহিনীর আস্ফালনের কারণে তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের ঘষনা দেয়া যাচ্ছে না সেহেতু আপাতোত তাদের সাথে উপরে উপরে সম্পর্ক রাখা যেতে পারে। কিন্তু অন্তরে অবশ্যই তাদের প্রতি বিদ্ধেষ রাখতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন।
• বাকি রইল তিন নম্বর, যাদের মধ্যে মুহাব্বাত ও বিদ্বেষের সংমিশ্রণ ঘটবে। এদের আলোচনা পরে করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
কিয়ামতের দিন, যেদিন আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তায়ালা যেই সাত শ্রেণীর ব্যক্তিকে আরশের ছায়াতলে ছায়া দান করবেন। তাদের এক শ্রেণী হল, “ঐ দুই ব্যক্তি যারা একে অন্যকে আল্লাহ তায়ালার জন্যই ভালোবেসেছিল। আল্লাহ তায়ালার জন্যই তারা একত্রিত হত আবার আল্লাহ তায়ালার জন্য তারা পৃথক হত”। সুতরাং আল্লাহ তায়ালার জন্য ভালোবাসা এবং তার জন্যই বিদ্বেষ রাখা গুরুত্ত্বপুর্ণ একটা বিষয়। কারণ, এটা হক ও বাতিলের মাঝে ব্যবধানকারী। তাই দেখার বিষয়, আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে ভালোবাসেন তাদের প্রতি ভালোবাসা আমার মধ্যে পুরাপুরি আছে কি না এবং আল্লাহ তায়ালা যাদের প্রতি বিদ্ধেষ রাখেন তাদের প্রতি বিদ্ধেষ আমার মধ্যে পরিপুর্ণভাবে আছে কি না? যদি থাকে তাহলে বুঝা যাবে আমি পরিপুর্ণ হকের উপর আছি। পক্ষান্তরে যদি না থাকে তাহলে বুঝা যাবে আমি পরিপুর্ণ হকের উপর এখনও উঠতে পারিনি। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: ‘হে ঈমানদারগণ, যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় কর তাহলে তিনি তোমাদেরকে দান করবেন (সত্য-মিথ্যার মাঝে) পার্থক্যকারী বস্তু’। (সূরা আনফাল, ২৯) সুতরাং মুমিনের কাছে থাকবে (সত্য-মিথ্যার মাঝে) পার্থক্যকারী। সে এর মাধ্যমে সত্য- মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করবে।
তাই উলামাগণ মানুষের মাঝের এই মুহাব্বাতকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন।
১. তাঁরা এমন এক শ্রেণী যারা শুধু মুহাব্বাত পাওয়ারই যোগ্য, তাঁদের ভালোবাসার সাথে বিদ্বেষ মিশ্রিত হবে না। তাঁরা হলেন, ফেরেশতা, নবী-রাসূলগণ এবং খালেছ মুমিন, যেমন, ছাহাবাগণ। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: তারা বলে: হে আমাদের রব! আপনি আমাদের ও আমাদের (সেই) ভাইদের ক্ষমা করুন, যারা আমাদের পুর্বে ঈমানে দাখিল হয়েছে এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি কোনো বিদ্বেষ রাখবেন না।( সূরা হাশর, ১০) এবং সালফে সালেহীন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। যেহেতু তারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করার কারণে তাদের আক্বিদা সচ্ছ,এবং তাদের মতাদর্শ সত্য।
২. যারা শুধু ঘৃণা পাওয়ারই যোগ্য, এদের সাথে ভালোবাসার কোন মিশ্রণ ঘটবে না। এরা হল, কাফের, মুশরিক, আল্লাহর শত্রু। আল্লাহ তায়ালা বলেন: হে ঈমানদারগণ তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরুপে গ্রহণ কর না। (সূরা মুমতাহিনা, ১) অর্থাৎ এমন বন্ধু যে, তোমরা তাদেরকে ভালোবাসবে, অভিভাবকরুপে গ্রহণ করবে, তাদেরকে সাহায্য করবে এবং তাদের থেকে কষ্টদায়ক জিনিস প্রতিহত করবে। বরং তোমাদের উপর ওয়াজিব হল, তদের থেকে পরিপুর্ণভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করা। কেননা তারা আল্লাহর দুশমন। আল্লাহ তায়ালা বলেন: আপনি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়কে এমন পাবেন না যে, তারা এমন লোকদের সাথে বন্ধুত্ত্ব করে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত, হোক না ওরা তাদের পিতা, পুত্র, ভাই বা জ্ঞাতি- গোষ্ঠী। এমন লোকদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন। এবং নিজের রুহ দ্বারা তাদের সাহায্য করেছেন। তিনি তাদের এমন সব উদ্যানে দাখিল করবেন, যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহীত, যাতে তারা অনন্তকাল থাকবে। (সূরা মুজাদালা, ২২)
আব্দুল ওয়াহাব নজদী রহ: এই আয়াতকে দলিল হিসাবে উল্ল্যেখ করে বলেন: প্রত্যেক মুমিনের এটা জানা থাকা কর্তব্য যে, যারা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে ভালোবাসে তাদের জন্য যায়েজ নেই- যারা আল্লহ এবং আল্লাহর রাসূলের বিরোধিতায় লিপ্ত তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা।
সুতরাং বর্তমান সমস্ত দেশের সরকার, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ সরকারী যত বাহিনী আছে তাদেরকে যেহেতু আমরা মুরতাদ মনে করি, তাই তাদের প্রতি পরিপুর্ণ বিদ্ধেষ রাখতে হবে। তাদের সাথে বন্ধুত্ব্যের কোনও সুযোগ নেই। বরং এদের থেকে সম্পু্র্ণরুপে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
তবে যেহেতু দেশের প্রস্থিতি এবং তাগুত বাহিনীর আস্ফালনের কারণে তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের ঘষনা দেয়া যাচ্ছে না সেহেতু আপাতোত তাদের সাথে উপরে উপরে সম্পর্ক রাখা যেতে পারে। কিন্তু অন্তরে অবশ্যই তাদের প্রতি বিদ্ধেষ রাখতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন।
• বাকি রইল তিন নম্বর, যাদের মধ্যে মুহাব্বাত ও বিদ্বেষের সংমিশ্রণ ঘটবে। এদের আলোচনা পরে করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
Comment