Announcement

Collapse
No announcement yet.

যেসব কারণে একজন মুসলমান হত্যার উপযুক্ত হয়ে- ১০

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যেসব কারণে একজন মুসলমান হত্যার উপযুক্ত হয়ে- ১০

    তিন. সমকামিতা
    মানব ইতিহাসে এটি অতীব জঘন্য অপরাধ। সর্বপ্রথম লূত আলাইহিস সালামের কওম এই জঘন্য কর্মে লিপ্ত হয়। এদের পূর্বে এই কর্মের চিন্তা কারো মাথায় আসেনি। আল্লাহ তাআলা এদেরকে এমন ভয়াবহভাবে ধ্বংস করেছেন, যা অন্য কোন কওমকে করেননি। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

    وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنَ الْعَالَمِينَ (80) إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ (81) وَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا أَخْرِجُوهُمْ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ (82) فَأَنْجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ (83) وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِينَ (84)
    “আমি লূতকেও পাঠালাম। যখন তিনি নিজ সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কি এমন অশ্লীল কর্ম করছ, যা তোমাদের আগে সারা বিশ্বে কেউ করেনি? তোমরা কামেচ্ছা পূরণের জন্য নারীদের ছেড়ে পুরুষদের কাছে যাও! (আর এটা তো কোন আকস্মিক ব্যাপার নয় বরং তোমরা এমন লোক যে, (সভ্যতার) সীমা চরমভাবে লংঘন করেছো। তার সম্প্রদায়ের উত্তর ছিল কেবল এই যে, ‘এদেরকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। এরা তো এমন লোক, যারা বড় পবিত্র থাকতে চায়।’ অতঃপর (যখন আমার আযাব এলো,) তখন আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে (জনপদ থেকে বের করে) রক্ষা করলাম। তবে তার স্ত্রী ছাড়া। সে অবশিষ্ট লোকদের মধ্যে শামিল থাকলো (যাদের উপর আযাব আপতিত হল)। আমি তাদের উপর (পাথরের) বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং চেয়ে দেখ, অপরাধীদের পরিণাম কেমন ভয়াবহ হয়েছিল!” (আ’রাফ: ৮০-৮৪)

    وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِينَ (58)
    “আমি তাদের উপর বর্ষণ করলাম এক মারাত্মক (পাথর) বৃষ্টি। আগে থেকেই যেসব লোককে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের উপর বর্ষিত সে বৃষ্টি কতই না মন্দ ছিল!” (নামল: ৫৮)

    فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهَا حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ مَنْضُودٍ (82) مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ وَمَا هِيَ مِنَ الظَّالِمِينَ بِبَعِيدٍ (83)
    “অতঃপর যখন আমার আদেশ এসে গেল, তখন আমি সে জনপদের উপর দিককে নিচের দিকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তাদের উপর থাকে থাকে পাকা মাটির পাথর বর্ষণ করলাম, যা আপনার প্রতিপালকের পক্ষ হতে চিহ্নিত ছিল। সে জনপদ এই জালিমদের থেকে দূরে নয়।” (হুদ: ৮২-৮৩)

    فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ مُشْرِقِينَ (73) فَجَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ (74) إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِينَ (75)
    “সুতরাং সূর্যোদয় হওয়া মাত্রই মহানাদ তাদের আঘাত করল। অনন্তর আমি সে ভূখণ্ডকে উল্টিয়ে উপর-নিচ করে দিলাম এবং তাদের উপর পাকা মাটির পাথর-ধারা বর্ষণ করলাম। নিশ্চয়ই অনুসন্ধানীদের জন্য এসব ঘটনার মাঝে বহু নিদর্শন রয়েছে।” (হিজর: ৭৩-৭৫)



    হাদিস শরীফে সমকামিদের হত্যা করে দিতে বলা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    (من وجدتموه يعمل عمل قوم لوط فاقتلوا الفاعل والمفعول به)
    “কাউকে লূত আলাইহিস সালামের কাওমের মতো কাজ (অর্থাৎ সমকামিতা) করতে দেখলে যে করেছে এবং যার সাথে করেছে, তাদের উভয়কে হত্যা করে দাও।” (আবু দাউদ: ৪৪৬৪ , তিরিমিযি: ১৪৫৬)



    তবে সমকামিদের শাস্তির ব্যাপারে আইম্মায়ে কেরামের দ্বিমত আছে:


    কেউ কেউ বলেন, তাদেরকে সর্বাবস্থায় হত্যা করে দিতে হবে।

    কেউ কেউ বলেন, তাদের শাস্তি যিনার শাস্তির অনুরূপ। অর্থাৎ অবিবাহিত হলে একশো বেত্রাঘাত আর বিবাহিত হলে রজম তথা প্রস্তরাঘাতে হত্যা। তাদের মতে সমকামিতা যিনার মতোই হদের অন্তর্ভুক্ত।

    আবার কারো কারো মতে তাদের শাস্তি হদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাদের শাস্তি যিনার শাস্তির অনুরূপ নয়। আবার সর্বাবস্থায় তাদের হত্যা করাও আবশ্যক নয়। বরং তাদের শাস্তি তা’যিররূপে গণ্য। তা’যির বলা হয় অনির্ধারিত শাস্তিকে। অর্থাৎ ইমামুল মুসলিমীন যে ধরণের শাস্তি উপযুক্ত মনে করবেন দিতে পারবেন। যদি প্রহার ও বন্দীর দ্বারাই তারা বিরত হবে মনে হয়, তাহলে এতেই ক্ষান্ত রাখবেন। কিন্তু যারা এ কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে, তাদেরকে হত্যা করে দেবেন। বিবাহিত হলেও, অবিবাহিত হলেও।


    ইমামুল মুসলিমীন এদেরকে অত্যন্ত ভয়াবহ পন্থায় হত্যা করবেন। যেমন:


    ১. আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেবেন।
    ২. কিংবা দেয়াল ধ্বসিয়ে দিয়ে চাপা দিয়ে হত্যা করবেন।
    ৩. কিংবা উঁচু পাহাড় বা বিল্ডিংয়ের উপর থেকে নিক্ষেপ করবেন। পড়ন্ত অবস্থায় উপর থেকে পাথর বর্ষণ করবেন, যেমনটা লূত আলাইহিস সালামের কওমের সাথে করা হয়েছে।
    ৪. কিংবা অতীব দূর্গন্ধময় স্থানে আটকে রাখবেন, যতক্ষণ না দূর্গন্ধের প্রকটতায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
    (দেখুন: হেদায়া: ২/৫১৬, ফাতহুল কাদির: ৫/২৪৯-২৫২, রদ্দুল মুহতার: ৪/২৭)


    বি.দ্র.
    জুলহাজ মান্নান ও তার সমকামি বন্ধু সামির মাহবুব তনয় যদি মুরতাদ নাও হয়ে থাকতো, তাহলেও শুধু এ সমকামিতার অপরাধে এবং তার প্রচার-প্রসারের অপরাধেই তাদের হত্যা করে দেয়া আবশ্যক হতো। *এমন নাপাক কীটদের যমিনে বেঁচে থাকার অধিকার নেই।





  • #2
    জাযাকাল্লাহু খাইরান
    الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ وَأُولَئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ

    “যারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে এবং উত্তম কথাসমূহের অনুসরণ করে; এরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের আল্লাহ তা’আলা সৎপথে পরিচালিত করেন, আর এরাই হচ্ছে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষ।” (সূরা আয যুমার ৩৯: ১৮)

    Comment

    Working...
    X