চার. নামায তরককারী
নামায তরককারীর ব্যাপারে আইম্মায়ে কেরামের মতভেদ রয়েছে।
হানাফি মাযহাব মতে নামায তরককারীকে বন্দী করে শাস্তি দিতে থাকা হবে। যতদিন নামায পড়তে শুরু না করবে, ততদিন জেলে আটকে রেখে শাস্তি দিতেই থাকা হবে। হয়তো নামায পড়তে সম্মত হবে, নয়তো এভাবে বন্দী অবস্থায়ই মারা যাবে।
আর আইম্মায়ে সালাসা (মালেক, শাফিয়ি ও আহমাদ) রাহিমাহুমুল্লাহর অভিমত অনুযায়ী- বন্দী করার পর যদি নামায পড়তে সম্মত না হয়, তাহলে হত্যা করে দেয়া হবে।
তবে কি হিসাবে হত্যা করা হবে সেটাতে মতভেদ আছে। আহমদ রহ. এর মতে সে মুরতাদ হয়ে গেছে। মুরতাদ হিসেবে হত্যা করা হবে। আর মালেক রহ. ও শাফিয়ি রহ. এর মতে হদরূপে হত্যা করা হবে, যেমন বিবাহিত যিনাকারকে হদরূপে হত্যা করা হয়। অর্থাৎ তাদের মতে সে মুরতাদ হয়নি, তবে যিনার শাস্তির মতো নামায তরকের শাস্তি হল- হত্যা।
অর্থাৎ আহমাদ রহ. এর মতে নামায তরককারী মুরতাদ। মুরতাদ হিসেবে তাকে হত্যা করা হবে। আর বাকি তিন ইমামের মতে মুরতাদ নয়। তবে মালেক রহ. ও শাফিয়ি রহ. এর মতে হদরূপে হত্যা করা হবে। আর আবু হানিফা রহ. এর মতে জেলে বন্দী রেখে শাস্তি দেয়া হবে।
[দেখুন: কিতাবুস সালাত ওয়া হুকমু তারিকিহা- ইবনুল কায়্যিম রহ. (৭৫১হি.); পৃষ্ঠা: ১২-১৩]
পাঁচ. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটুক্তিকারী
আইম্মায়ে কেরাম সকলে একমত যে, সাধারণ মুরতাদের শাস্তি হল- হত্যা করে দেয়া। তবে যদি তাওবা করে মুসলমান হয়ে যায় তাহলে তার তাওবা কবুল করা হবে। তখন আর হত্যা করা হবে না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে যে কটুক্তি করবে, সে সর্বসম্মতিতে মুরতাদ। তবে সাধারণ মুরতাদ যেমন তাওবা করে মুসলমান হয়ে গেলে তার তাওবা কবুল করে হত্যা না করে ছেড়ে দেয়া হয়, এর ব্যাপারেও এমনটি করা হবে কি’না সেটা মতভেদপূর্ণ।
মালেকি ও হাম্বলি মাযহাব মতে দুনিয়াতে তার তাওবা গ্রহণযোগ্য নয়। তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করতে হবে। কেননা, তাদের মতে কটুক্তিকারী মুরতাদের শাস্তি হদের অন্তর্ভুক্ত। আর হদ তাওবা করার দ্বারা মাফ হয় না। যেমন- কারো ব্যাপারে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে যিনা প্রমাণিত হওয়ার পর যদি সে তাওবা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে আখেরাতে মাফ করবেন ঠিকই, কিন্তু দুনিয়াতে অবশ্যই তার উপর যিনার শাস্তি কায়েম করতে হবে। তদ্রূপ কটুক্তিকারী (মুসলিম হোক অমুসলিম হোক) তাওবা করে মুসলমান হয়ে গেলে আখেরাতে আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ পেয়ে যাবে, কিন্তু দুনিয়াতে অবশ্যই তাকে হদরূপে হত্যা করে দিতে হবে।
শাফিয়ি মাযহাব মতে কটুক্তিকারীর শাস্তি কোন কোন সূরতে হদের অন্তর্ভুক্ত (তখন তাকে মুসলমান হয়ে গেলেও হত্যা করে দিতে হবে) আর কোন কোন সূরতে হদের অন্তর্ভুক্ত নয় (তখন তাওবা করে মুসলমান হলে মাফ করে দেয়া হবে)।
হানাফি মাযহাব মতে কটুক্তিকারী মুরতাদের শাস্তি অন্যান্য মুরতাদদের মতোই। হদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই তাওবা করে মুসলমান হয়ে গেলে হত্যা করা হবে না। তবে কোন যিম্মি যদি কটুক্তির পর তাওবা করে মুসলামন হয়, তাহলে তার ব্যাপারে একটু ভিন্নতা আছে। তাহলো- যদি পাকড়াও করার আগেই মুসলমান হয়ে যায়, তাহলে হত্যা করা হবে না। আর পাকড়াও করার পর মুসলমান হয়ে গেলেও হত্যা করে দিতে হবে।
[দেখুন: ফাতাওয়া শামী, ৪/২৩৩, বাবুল মুরতাদ; ৪/২১৫, বাবুল উশরি ওয়াল খারাজি ওয়াল জিযইয়া]
নামায তরককারীর ব্যাপারে আইম্মায়ে কেরামের মতভেদ রয়েছে।
হানাফি মাযহাব মতে নামায তরককারীকে বন্দী করে শাস্তি দিতে থাকা হবে। যতদিন নামায পড়তে শুরু না করবে, ততদিন জেলে আটকে রেখে শাস্তি দিতেই থাকা হবে। হয়তো নামায পড়তে সম্মত হবে, নয়তো এভাবে বন্দী অবস্থায়ই মারা যাবে।
আর আইম্মায়ে সালাসা (মালেক, শাফিয়ি ও আহমাদ) রাহিমাহুমুল্লাহর অভিমত অনুযায়ী- বন্দী করার পর যদি নামায পড়তে সম্মত না হয়, তাহলে হত্যা করে দেয়া হবে।
তবে কি হিসাবে হত্যা করা হবে সেটাতে মতভেদ আছে। আহমদ রহ. এর মতে সে মুরতাদ হয়ে গেছে। মুরতাদ হিসেবে হত্যা করা হবে। আর মালেক রহ. ও শাফিয়ি রহ. এর মতে হদরূপে হত্যা করা হবে, যেমন বিবাহিত যিনাকারকে হদরূপে হত্যা করা হয়। অর্থাৎ তাদের মতে সে মুরতাদ হয়নি, তবে যিনার শাস্তির মতো নামায তরকের শাস্তি হল- হত্যা।
অর্থাৎ আহমাদ রহ. এর মতে নামায তরককারী মুরতাদ। মুরতাদ হিসেবে তাকে হত্যা করা হবে। আর বাকি তিন ইমামের মতে মুরতাদ নয়। তবে মালেক রহ. ও শাফিয়ি রহ. এর মতে হদরূপে হত্যা করা হবে। আর আবু হানিফা রহ. এর মতে জেলে বন্দী রেখে শাস্তি দেয়া হবে।
[দেখুন: কিতাবুস সালাত ওয়া হুকমু তারিকিহা- ইবনুল কায়্যিম রহ. (৭৫১হি.); পৃষ্ঠা: ১২-১৩]
পাঁচ. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটুক্তিকারী
আইম্মায়ে কেরাম সকলে একমত যে, সাধারণ মুরতাদের শাস্তি হল- হত্যা করে দেয়া। তবে যদি তাওবা করে মুসলমান হয়ে যায় তাহলে তার তাওবা কবুল করা হবে। তখন আর হত্যা করা হবে না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে যে কটুক্তি করবে, সে সর্বসম্মতিতে মুরতাদ। তবে সাধারণ মুরতাদ যেমন তাওবা করে মুসলমান হয়ে গেলে তার তাওবা কবুল করে হত্যা না করে ছেড়ে দেয়া হয়, এর ব্যাপারেও এমনটি করা হবে কি’না সেটা মতভেদপূর্ণ।
মালেকি ও হাম্বলি মাযহাব মতে দুনিয়াতে তার তাওবা গ্রহণযোগ্য নয়। তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করতে হবে। কেননা, তাদের মতে কটুক্তিকারী মুরতাদের শাস্তি হদের অন্তর্ভুক্ত। আর হদ তাওবা করার দ্বারা মাফ হয় না। যেমন- কারো ব্যাপারে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে যিনা প্রমাণিত হওয়ার পর যদি সে তাওবা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে আখেরাতে মাফ করবেন ঠিকই, কিন্তু দুনিয়াতে অবশ্যই তার উপর যিনার শাস্তি কায়েম করতে হবে। তদ্রূপ কটুক্তিকারী (মুসলিম হোক অমুসলিম হোক) তাওবা করে মুসলমান হয়ে গেলে আখেরাতে আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ পেয়ে যাবে, কিন্তু দুনিয়াতে অবশ্যই তাকে হদরূপে হত্যা করে দিতে হবে।
শাফিয়ি মাযহাব মতে কটুক্তিকারীর শাস্তি কোন কোন সূরতে হদের অন্তর্ভুক্ত (তখন তাকে মুসলমান হয়ে গেলেও হত্যা করে দিতে হবে) আর কোন কোন সূরতে হদের অন্তর্ভুক্ত নয় (তখন তাওবা করে মুসলমান হলে মাফ করে দেয়া হবে)।
হানাফি মাযহাব মতে কটুক্তিকারী মুরতাদের শাস্তি অন্যান্য মুরতাদদের মতোই। হদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই তাওবা করে মুসলমান হয়ে গেলে হত্যা করা হবে না। তবে কোন যিম্মি যদি কটুক্তির পর তাওবা করে মুসলামন হয়, তাহলে তার ব্যাপারে একটু ভিন্নতা আছে। তাহলো- যদি পাকড়াও করার আগেই মুসলমান হয়ে যায়, তাহলে হত্যা করা হবে না। আর পাকড়াও করার পর মুসলমান হয়ে গেলেও হত্যা করে দিতে হবে।
[দেখুন: ফাতাওয়া শামী, ৪/২৩৩, বাবুল মুরতাদ; ৪/২১৫, বাবুল উশরি ওয়াল খারাজি ওয়াল জিযইয়া]
Comment