ভারতে বসবাসকারী কথিত বাংলাদেশিরা কেন বারবার জঘন্য মন্তব্যের শিকার হচ্ছে?
বিবিসি বাংলা,ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, উগ্র হিন্দুরা ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের ব্যাপারে একেরপর এক জঘন্য মন্তব্য করে যাচ্ছে।
ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ভারতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশীদের ‘উইপোকা’র সঙ্গে তুলনা করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতার সাথে দাবি করে, এক এক করে তাদের সবার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
কিছুদিন আগেই বিজেপির আর এক প্রভাবশালী নেতা রাম মাধব কথিত অবৈধ বিদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে ঘোষণা করেছিল, এখন রাজস্থানের একটি জনসভায় স্বয়ং বিজেপি সভাপতি বাংলাদেশীদের উইপোকা বলে জঘন্য মন্তব্য করছে।
বিজেপির দলীয় প্রধানের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি তুলে তেলেঙ্গানার এমএলএ রাজা সিং বলেন, ‘রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীরা সসম্মানে দেশ না ছাড়লে তাঁদের গুলি করে নির্মূল করা হবে।’ সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এমনিভাবে, প্রায় সাড়ে চার বছর আগে ভারতে ভোটের প্রচারে নেমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিল, ক্ষমতায় এলে তার সরকার অবৈধ বাংলাদেশীদের লোটাকম্বল নিয়ে ফেরত পাঠাবে।
একই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে।
শনিবার রাজস্থানের গঙ্গাপুরে এক জনসভায় বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ‘দীমক’ বা উইপোকা বলে অভিহিত করে বলে, “এরা ভারতীয় যুবকদের রুটিরুজি বা চাকরি কেড়ে নিচ্ছে, গরিবের খাবারে ভাগ বসাচ্ছে।”
“আমি আজই ঘোষণা করছি, আগামী বছর মোদী সরকার ক্ষমতায় এলে এদের প্রত্যেককে বেছে বেছে ভোটার তালিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে।”
কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা রাম মাধব ঘোষণা করেছে, আসামের নাগরিক তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়বে তাদের বাংলাদেশে ডিপোর্ট করাটাই তাদের দলের নীতি।
কথিত অবৈধ বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে বিজেপির আচমকা এভাবে তেড়েফুঁড়ে ওঠাটা ভোটের ভাবনা থেকেই, এ কথা অবশ্য মানছেন না দলের পলিসি রিসার্চ সেলের অনির্বাণ গাঙ্গুলি।
[SIZE=4]এখন বিজেপির বক্তব্য খুব পরিষ্কার – বিগত কয়েক দশকে আসাম-পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলা যেভাবে মুসলিমপ্রধান হয়ে উঠেছে, সেই প্রবণতা ঠেকাতেই তাদের ‘বাংলাদেশী হঠাও’ অভিযান চলছে।
সবকিছুর আসল কারণ হল কট্টরপন্থী হিন্দুদের সাম্প্রদায়িকতা..
এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ খুবই কম যে এনআরসি বিষয়টি বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ও কট্টরপন্থী আসামবাসীদের এক দ্বিমুখী আক্রমণ, যেখানে মুসলমানদের সংখ্যা বেশ উল্লেখযোগ্য। আসামে মুসলমানেরা তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ। ভারতশাসিত কাশ্মীরের পর তা একে দ্বিতীয় জনবহুল মুসলিম রাজ্যে পরিণত করেছে।
এই আচরণের প্রবক্তারা তাঁদের সাম্প্রদায়িক মনোভাব পরিষ্কার করেছেন। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার আশ্বস্ত করেছে, যাঁরা হিন্দুধর্মীয় বিশ্বাসের অনুসারী, এনআরসিতে নাম না থাকলেও তাঁদের চিন্তার কারণ নেই। অমিত শাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল ২০১৬’ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ এবং অন্যদের নাগরিকত্ব (ভারতের) নিশ্চিত করবে। তাই এনআরসি প্রয়োগের প্রধান নিশানা যে মুসলমানেরা, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
তার জন্য বিজেপির সর্বোচ্চ নেতা উইপোকা বলে গালাগাল দিতেও কুণ্ঠিত হবে না, মিত্র প্রতিবেশী দেশ তাতে যা-ই মনে করুক না কেন!
বিবিসি বাংলা,ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, উগ্র হিন্দুরা ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের ব্যাপারে একেরপর এক জঘন্য মন্তব্য করে যাচ্ছে।
ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ভারতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশীদের ‘উইপোকা’র সঙ্গে তুলনা করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতার সাথে দাবি করে, এক এক করে তাদের সবার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
কিছুদিন আগেই বিজেপির আর এক প্রভাবশালী নেতা রাম মাধব কথিত অবৈধ বিদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে ঘোষণা করেছিল, এখন রাজস্থানের একটি জনসভায় স্বয়ং বিজেপি সভাপতি বাংলাদেশীদের উইপোকা বলে জঘন্য মন্তব্য করছে।
বিজেপির দলীয় প্রধানের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি তুলে তেলেঙ্গানার এমএলএ রাজা সিং বলেন, ‘রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীরা সসম্মানে দেশ না ছাড়লে তাঁদের গুলি করে নির্মূল করা হবে।’ সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এমনিভাবে, প্রায় সাড়ে চার বছর আগে ভারতে ভোটের প্রচারে নেমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিল, ক্ষমতায় এলে তার সরকার অবৈধ বাংলাদেশীদের লোটাকম্বল নিয়ে ফেরত পাঠাবে।
একই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে।
শনিবার রাজস্থানের গঙ্গাপুরে এক জনসভায় বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ‘দীমক’ বা উইপোকা বলে অভিহিত করে বলে, “এরা ভারতীয় যুবকদের রুটিরুজি বা চাকরি কেড়ে নিচ্ছে, গরিবের খাবারে ভাগ বসাচ্ছে।”
“আমি আজই ঘোষণা করছি, আগামী বছর মোদী সরকার ক্ষমতায় এলে এদের প্রত্যেককে বেছে বেছে ভোটার তালিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে।”
কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা রাম মাধব ঘোষণা করেছে, আসামের নাগরিক তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়বে তাদের বাংলাদেশে ডিপোর্ট করাটাই তাদের দলের নীতি।
কথিত অবৈধ বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে বিজেপির আচমকা এভাবে তেড়েফুঁড়ে ওঠাটা ভোটের ভাবনা থেকেই, এ কথা অবশ্য মানছেন না দলের পলিসি রিসার্চ সেলের অনির্বাণ গাঙ্গুলি।
[SIZE=4]এখন বিজেপির বক্তব্য খুব পরিষ্কার – বিগত কয়েক দশকে আসাম-পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলা যেভাবে মুসলিমপ্রধান হয়ে উঠেছে, সেই প্রবণতা ঠেকাতেই তাদের ‘বাংলাদেশী হঠাও’ অভিযান চলছে।
সবকিছুর আসল কারণ হল কট্টরপন্থী হিন্দুদের সাম্প্রদায়িকতা..
এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ খুবই কম যে এনআরসি বিষয়টি বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ও কট্টরপন্থী আসামবাসীদের এক দ্বিমুখী আক্রমণ, যেখানে মুসলমানদের সংখ্যা বেশ উল্লেখযোগ্য। আসামে মুসলমানেরা তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ। ভারতশাসিত কাশ্মীরের পর তা একে দ্বিতীয় জনবহুল মুসলিম রাজ্যে পরিণত করেছে।
এই আচরণের প্রবক্তারা তাঁদের সাম্প্রদায়িক মনোভাব পরিষ্কার করেছেন। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার আশ্বস্ত করেছে, যাঁরা হিন্দুধর্মীয় বিশ্বাসের অনুসারী, এনআরসিতে নাম না থাকলেও তাঁদের চিন্তার কারণ নেই। অমিত শাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল ২০১৬’ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ এবং অন্যদের নাগরিকত্ব (ভারতের) নিশ্চিত করবে। তাই এনআরসি প্রয়োগের প্রধান নিশানা যে মুসলমানেরা, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
তার জন্য বিজেপির সর্বোচ্চ নেতা উইপোকা বলে গালাগাল দিতেও কুণ্ঠিত হবে না, মিত্র প্রতিবেশী দেশ তাতে যা-ই মনে করুক না কেন!