ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ : নিহত ১
নয়া দিগন্ত অনলাইন ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:১৮
ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ :
দুপক্ষের সংঘর্ষে টঙ্গির ইজতেমা ময়দান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে এক জনের প্রাণ হারানোর কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। মাওলানা সাদ আহমাদ কান্ধলভী ও মাওলানা জোবায়ের আহমেদ সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মুসল্লি। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, সংঘর্ষে ইসমাইল নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দুইপক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শহীদ আহসান উল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মুনিরা জানান, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১১৩ জন আহত মুসল্লি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। যাদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বেশিরভাগই হাত বা পা ভাঙা অবস্থায় এসেছে।
শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে মাওলানা জোবায়েরপন্থীরা এর বিরোধিতা করেন এবং জোড় ইজতেমা প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এর আগেই মাওলানা জোবায়ের আহমেদের সমর্থকরা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেন। সকালে মাওলানা সাদপন্থীরা ইজতেমা ময়দানে গেলে ময়দানের প্রতিটি গেটে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে সাদপন্থীরা ময়দানে ঢোকার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এতে দুইপক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটার আঘাতে মো. সাইফুল ইসলাম (৪০), মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম (৫৫), হাফেজ আবু বক্কর (৩৫), মো. গোলাম কিবরিয়াসহ (৪২) অন্তত শতাধিক মুসল্লি আহত হন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামি’য়া মোহাম্মাদিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহা.ফয়সাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, সকাল থেকেই তারা ময়দানে ছিলেন। কিন্তু ভারতের মাওলানা সাদের সমর্থকরা হঠাৎ করেই তাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন,‘ দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতেই ভারতের সাদ বাহিনী দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তারা আমাদের চাপাতি,রড, পিস্তল, হকস্টিকসহ নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়িছে। এই হামলার বিচার আগামীকাল থেকে দেশ অচল করে দেব আমরা।’
নয়া দিগন্ত অনলাইন ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:১৮
ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ :
দুপক্ষের সংঘর্ষে টঙ্গির ইজতেমা ময়দান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে এক জনের প্রাণ হারানোর কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। মাওলানা সাদ আহমাদ কান্ধলভী ও মাওলানা জোবায়ের আহমেদ সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মুসল্লি। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, সংঘর্ষে ইসমাইল নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দুইপক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শহীদ আহসান উল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মুনিরা জানান, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১১৩ জন আহত মুসল্লি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। যাদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বেশিরভাগই হাত বা পা ভাঙা অবস্থায় এসেছে।
শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে মাওলানা জোবায়েরপন্থীরা এর বিরোধিতা করেন এবং জোড় ইজতেমা প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এর আগেই মাওলানা জোবায়ের আহমেদের সমর্থকরা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেন। সকালে মাওলানা সাদপন্থীরা ইজতেমা ময়দানে গেলে ময়দানের প্রতিটি গেটে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে সাদপন্থীরা ময়দানে ঢোকার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এতে দুইপক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটার আঘাতে মো. সাইফুল ইসলাম (৪০), মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম (৫৫), হাফেজ আবু বক্কর (৩৫), মো. গোলাম কিবরিয়াসহ (৪২) অন্তত শতাধিক মুসল্লি আহত হন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামি’য়া মোহাম্মাদিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহা.ফয়সাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, সকাল থেকেই তারা ময়দানে ছিলেন। কিন্তু ভারতের মাওলানা সাদের সমর্থকরা হঠাৎ করেই তাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন,‘ দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতেই ভারতের সাদ বাহিনী দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তারা আমাদের চাপাতি,রড, পিস্তল, হকস্টিকসহ নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়িছে। এই হামলার বিচার আগামীকাল থেকে দেশ অচল করে দেব আমরা।’
Comment