এক সপ্তাহে জম্মু কাশ্মির বাংলাদেশি অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি
ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর আলোচনার জের ধরেই জম্মু-কাশ্মির থেকে ও রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন রাষ্ট্রীয় বজরং দলের (আরবিডি) এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি তোলা হয়। গত দশ বছরে কোনও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঘটেনি উল্লেখ করে আসাম বিজেপির সংবাদ সম্মেলনের কয়েকদিনের মাথায় এই আলটিমেটাম দিলো তাদের ভাবাদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) পরিবারের সদস্য সংগঠন আরবিডি। কাশ্মিরের গভর্নর সত্য পাল মালিকের কাছে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেরও বিতারণের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তারা। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’কে প্রচারণার হাতিয়ার করেছিল শাসক দল বিজেপি। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজুর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলো, ভারতে প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছে। তবে ১০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আসাম বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত ১০ বছরে কোনও বাংলাদেশি অবৈধ পন্থায় ভারতে প্রবেশ করেনি। ৩ দিন পর ১৪ জানুয়ারি (সোমবার) জম্মু কাশ্মির থেকে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোগিঙ্গা বিতাড়নের দাবি তোলা হলো।
জম্মু শহরের নারোয়াল এলাকাতেই মূলত মিয়ানমার থেকে আসার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বসবাস। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার তত্বাবধানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী জম্মুতে বসতি গেড়েছে। দিল্লিসহ অন্যান্য কিছু শহরেও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করেছে। সোমবার উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরের নিকটবর্তী নারোয়াল বাইপাসে একটি শপিং মলের সামনে জড়ো হয়। সেসময় তাদের হাতে ছিল ত্রিশুল, প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা।তারা অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের স্লোগান দেয়।
আরবিডির রাজ্য প্রধান রাকেশ বজরঙ্গি সমাবেশে বলেন, এই বিক্ষোভের মাধ্যমে আমরা গভর্নরের প্রশাসনের প্রতি সতর্কবার্তা দিলাম। তিনি দাবি করেন, ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ও রোহিঙ্গাদের অবস্থান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তার দাবি অনুযায়ী, এই অভিবাসীরা মাদক পাচারের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং তারা এই অঞ্চলের সংস্কৃতির জন্যও হুমকি।অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে গভর্নরকে এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আরবিডি। সরকার যদি সেটাতে ব্যর্থ হয় তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতেও রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জম্মু কাশ্মিরে আন্দোলন হয়েছিলো। শহরটিতে রোহিঙ্গাবিরোধী বড় বড় হোর্ডিং লাগিয়েছিলো স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল প্যান্থার্স পার্টি।
ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর আলোচনার জের ধরেই জম্মু-কাশ্মির থেকে ও রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন রাষ্ট্রীয় বজরং দলের (আরবিডি) এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি তোলা হয়। গত দশ বছরে কোনও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঘটেনি উল্লেখ করে আসাম বিজেপির সংবাদ সম্মেলনের কয়েকদিনের মাথায় এই আলটিমেটাম দিলো তাদের ভাবাদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) পরিবারের সদস্য সংগঠন আরবিডি। কাশ্মিরের গভর্নর সত্য পাল মালিকের কাছে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেরও বিতারণের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তারা। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’কে প্রচারণার হাতিয়ার করেছিল শাসক দল বিজেপি। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজুর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলো, ভারতে প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছে। তবে ১০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আসাম বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত ১০ বছরে কোনও বাংলাদেশি অবৈধ পন্থায় ভারতে প্রবেশ করেনি। ৩ দিন পর ১৪ জানুয়ারি (সোমবার) জম্মু কাশ্মির থেকে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোগিঙ্গা বিতাড়নের দাবি তোলা হলো।
জম্মু শহরের নারোয়াল এলাকাতেই মূলত মিয়ানমার থেকে আসার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বসবাস। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার তত্বাবধানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী জম্মুতে বসতি গেড়েছে। দিল্লিসহ অন্যান্য কিছু শহরেও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করেছে। সোমবার উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরের নিকটবর্তী নারোয়াল বাইপাসে একটি শপিং মলের সামনে জড়ো হয়। সেসময় তাদের হাতে ছিল ত্রিশুল, প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা।তারা অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের স্লোগান দেয়।
আরবিডির রাজ্য প্রধান রাকেশ বজরঙ্গি সমাবেশে বলেন, এই বিক্ষোভের মাধ্যমে আমরা গভর্নরের প্রশাসনের প্রতি সতর্কবার্তা দিলাম। তিনি দাবি করেন, ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ও রোহিঙ্গাদের অবস্থান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তার দাবি অনুযায়ী, এই অভিবাসীরা মাদক পাচারের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং তারা এই অঞ্চলের সংস্কৃতির জন্যও হুমকি।অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে গভর্নরকে এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আরবিডি। সরকার যদি সেটাতে ব্যর্থ হয় তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতেও রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জম্মু কাশ্মিরে আন্দোলন হয়েছিলো। শহরটিতে রোহিঙ্গাবিরোধী বড় বড় হোর্ডিং লাগিয়েছিলো স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল প্যান্থার্স পার্টি।
Comment