ভারতের পুলিশ হচ্ছে মুসলিম বিদ্বেষী। মুসলমান হত্যায় তারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে। ২০০২ সালের গুজরাটে দাঙ্গা হচ্ছে তার অব্যর্থ প্রমাণ। ১৩ জুলাই হামলার দুইদিন পর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ডক্টরেটধারী সুখ্যাত রাজনৈতিক ও সাবেক মন্ত্রী সুরামানিয়ম একটি নিবন্ধ লিখেন ‘হাউ টু ওয়াইপ আউট ইসলামিক টেরর’ নামে। কোনো দলের প্রমাণ ছাড়াই হামলার জন্য মুসলমানদের দায়ী ঠাওরান এই গুণধর ভারতীয়। ৯ দিন পর নারোতে গুলীবর্ষণে হত্যাকান্ডের জন্য একইভাবে মুসলমানদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট ও সান।
কর্ণাটক রাজ্যের সালেগাঁওয়ে একটি মুসলিম কবরস্থানে ২০০৬ সেপ্টেম্বরে বিস্ফোরণে নিহত হয় ৩৫ ব্যক্তি। হত্যাকান্ডের দোষ সংবাদ মাধ্যম মুসলমানদের ঘাড়ে চাপায়। হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে মারা যান ১০ জন মুসলমান। কিন্তু পরবর্তীতে তদন্তে প্রকাশ পায় সালেগাঁওয়ে ও মক্কা মসজিদে হামলা চালিয়েছিল হিন্দু জঙ্গী জাতীয়তাবাদীরা।
২০০৬ সালে সাচার কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, পর্যাপ্ত সংখ্যক যোগ্য আইনজীবীর অভাবে ভুগছেন মুসলিম জনগণ। দুর্দশার শেষপ্রান্তে নিক্ষিপ্ত ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে অনুপস্থিত। তাদের বোবা কান্নার আওয়াজ মানবতাবাদীদের কর্ণকুহরে কখনো পৌঁছেনা। মে ২০০৮-এ ১৪ বছরের এক মুসলিম কিশোরকে তুলে নিয়ে যায় গুজরাট পুলিশ। বন্দুকের ডগায় গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে বন্দীশিবিরে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ছেলেটির মায়ের দরখাস্তে সাড়া দিয়ে কোর্ট তার মুক্তির আদেশ দেয় এবং দশদিন পর ওই কিশোর মুক্তি পায়। আদালতে মোকদ্দমা এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ভয়াবহ পরিণতি ভুগতে হবে বলে ছেলেটির পরিবারকে পরে পুলিশ শাসিয়ে দেয়। ভারতীয় আইনজীবীরা মুসলিমদের পক্ষে মোকদ্দমা চালাতে প্রায়শই ইতস্ততঃ করেন। অবলম্বনহীন একটি জনসম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়।
সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ওপর অবৈধ পন্থায় বর্বর নির্যাতনের সংবাদ মাধ্যমে কোনোকালে ফুটে ওঠে না। সন্দেহভাজনদের জন্য টর্চার সেল কায়েম করা হয়। আইনবহির্ভূত কয়েদখানা তৈরি হয় তাদের জন্য। পুলিশ এনকাউন্টারের নামে তাদের হত্যা করা হয়। বেআইনী পুলিশ বর্বরতায় সাক্ষ্য-প্রমাণ লোপাট করে দেয়া হয়। এভাবেই বেপরোয়া হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন ভারত জুড়ে নির্দোষ মুসলিম জনগণ শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে। ২০০৯ জুলাইয়ে ‘দি উইক’ মুসলিম বন্দীদের কাছ থেকে জোর-জুলুমভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৫টি টর্চার চেম্বার খুঁজে পাওয়ার খবর প্রকাশ করে। ‘দি উইক’ মন্তব্য করে টর্চার চেম্বারগুলো হচ্ছে ভারতের নিজস্ব পদ্ধতির গুয়ান্তানামো বে বা বিটমো।
আল্লাহ আমাদের ভাই-বোনদের হেফাযত করুন।
কর্ণাটক রাজ্যের সালেগাঁওয়ে একটি মুসলিম কবরস্থানে ২০০৬ সেপ্টেম্বরে বিস্ফোরণে নিহত হয় ৩৫ ব্যক্তি। হত্যাকান্ডের দোষ সংবাদ মাধ্যম মুসলমানদের ঘাড়ে চাপায়। হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে মারা যান ১০ জন মুসলমান। কিন্তু পরবর্তীতে তদন্তে প্রকাশ পায় সালেগাঁওয়ে ও মক্কা মসজিদে হামলা চালিয়েছিল হিন্দু জঙ্গী জাতীয়তাবাদীরা।
২০০৬ সালে সাচার কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, পর্যাপ্ত সংখ্যক যোগ্য আইনজীবীর অভাবে ভুগছেন মুসলিম জনগণ। দুর্দশার শেষপ্রান্তে নিক্ষিপ্ত ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে অনুপস্থিত। তাদের বোবা কান্নার আওয়াজ মানবতাবাদীদের কর্ণকুহরে কখনো পৌঁছেনা। মে ২০০৮-এ ১৪ বছরের এক মুসলিম কিশোরকে তুলে নিয়ে যায় গুজরাট পুলিশ। বন্দুকের ডগায় গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে বন্দীশিবিরে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ছেলেটির মায়ের দরখাস্তে সাড়া দিয়ে কোর্ট তার মুক্তির আদেশ দেয় এবং দশদিন পর ওই কিশোর মুক্তি পায়। আদালতে মোকদ্দমা এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ভয়াবহ পরিণতি ভুগতে হবে বলে ছেলেটির পরিবারকে পরে পুলিশ শাসিয়ে দেয়। ভারতীয় আইনজীবীরা মুসলিমদের পক্ষে মোকদ্দমা চালাতে প্রায়শই ইতস্ততঃ করেন। অবলম্বনহীন একটি জনসম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়।
সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ওপর অবৈধ পন্থায় বর্বর নির্যাতনের সংবাদ মাধ্যমে কোনোকালে ফুটে ওঠে না। সন্দেহভাজনদের জন্য টর্চার সেল কায়েম করা হয়। আইনবহির্ভূত কয়েদখানা তৈরি হয় তাদের জন্য। পুলিশ এনকাউন্টারের নামে তাদের হত্যা করা হয়। বেআইনী পুলিশ বর্বরতায় সাক্ষ্য-প্রমাণ লোপাট করে দেয়া হয়। এভাবেই বেপরোয়া হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন ভারত জুড়ে নির্দোষ মুসলিম জনগণ শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে। ২০০৯ জুলাইয়ে ‘দি উইক’ মুসলিম বন্দীদের কাছ থেকে জোর-জুলুমভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৫টি টর্চার চেম্বার খুঁজে পাওয়ার খবর প্রকাশ করে। ‘দি উইক’ মন্তব্য করে টর্চার চেম্বারগুলো হচ্ছে ভারতের নিজস্ব পদ্ধতির গুয়ান্তানামো বে বা বিটমো।
আল্লাহ আমাদের ভাই-বোনদের হেফাযত করুন।
Comment