আলে সঊদের অনুগত পত্রিকায় সমসাময়িক মুজাহিদ ও ইখওয়ান নেতৃবৃন্দকে সন্ত্রাসী আখ্যাদান এবং আলে সঊদের বাস্তবতা !!
সূত্র:http://gazwah.net/?p=22233
আমেরিকার পা চাটা গোলাম আলে সঊদ (সৌদি সরকার/সৌদি রাজ পরিবার) এর অনুগত “মাক্কাহ নিউজপেপার” নামে একটি পত্রিকা গত কয়েকদিন পূর্বে (তাদের ভাষায়) বিংশ শতাব্দী ও একবিংশ শতাব্দীর ৪০ জন ইসলামপন্থী নেতাকে বিশ্ব সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে। পত্রিকাটি প্রতিবেদনের শিরোনাম দিয়েছে, “إرهابيا تعلموا في مدرسة الإخوان 40 ” অর্থ হচ্ছে- “ইখওয়ানের প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়েছে যে ৪০ সন্ত্রাসী” !
উক্ত পত্রিকাটি টুইটারে তাদের এই আর্টিকেলের যে শিরোনাম দিয়েছে তা হচ্ছে,
“40 إرهابيا عالميا تأثروا بأفكار جماعة الإخوان ” অর্থ হচ্ছে- “যে চল্লিশ বিশ্ব-সন্ত্রাসী ইখওয়ান দলের চিন্তাধারার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছে।”
.
বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, এই তালিকায় বিগত ও বর্তমান শতাব্দীর এমন সব আলেম, মুজাহিদ ও ইসলামপন্থীদের নাম রয়েছে, যারা ইসলামের জন্য এমনসব ত্যাগ ও কুরবানি করেছেন, যা ইসলামের চির-শত্রু ইহুদি-খ্রিস্টানদের রাগান্বিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। যাদের কর্মকাণ্ড ইসলামের চির-শত্রু ইহুদি-খ্রিস্টানদের রাগান্বিত ও ক্ষুব্ধ করেছে, তারা ত্বগুত আলে সঊদের পত্রিকায় কেন সন্ত্রাসী আখ্যা পেলো ?! কাফির-মুশরিকদের সাথে আলে সঊদের সখ্যতা দেখলে যে কেউ আশা করি তা বুঝতে সক্ষম হবেন। এই তালিকায় সেইসব মুজাহিদ ও আলেমদের নামও রয়েছে, যারা তাদের ইল্*ম, কুরবানি ও জিহাদের জন্য দুনিয়ার মুসলিমদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন।
সৌদির ঐ পত্রিকাটি উক্ত তালিকায় ৪০ জনের নাম প্রকাশ করে ” যাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন –
১) আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক আমীর শহীদ শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ্*।
২) বিংশ শতাব্দীতে জিহাদের মুজাদ্দিদ বা পূণর্জাগরণকারী এবং আরব-আজমের মাঝে ঐতিহাসিক সেতুবন্ধনকারী প্রখ্যাত মুজাহিদ আলেম শহীদ শাইখ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ্*।
৩) আল-কায়দার বর্তমান আমীর হাকীমুল উম্মাহ্* শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ্*।
৪) আল-কায়দা গ্লোবাল জিহাদের সমর্থক আলেম শাইখ হানী আস-সিবাইয়ী হাফিযাহুল্লাহ্*।
৫) উস্তাজ সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ রহিমাহুল্লাহ্*।
৬) উস্তাজ হাসান আল-বান্না রহিমাহুল্লাহ্*।
৭) টুইনটাওয়ারে হামলার পরিকল্পনাকারী আল-কায়েদার সম্মানিত মুজাহিদ দায়িত্বশীল শাইখ খালিদ শেখ মুহাম্মাদ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)।
8) লেবাননে বন্দী জিহাদপন্থী আলেম শাইখ উমার বাকরি (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)।
এই তালিকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যেসব নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেঃ-
১। হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শাইখ আহমাদ ইয়াসিন রহিমাহুল্লাহ্*।
২। হামাসের সামরিক প্রধান খালেদ মিশাল।
৩। হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ও গাজার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া।
৪। ইসরায়েলের হাতে নিহত হামাসের নেতা আব্দুল আযিয রানতিসি।
এই তালিকায় ইখওয়ান/ব্রাদারহুডের যেসব নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেঃ-
১। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান মুহাম্মাদ বাদি’।
২। মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ব্রাদারহুড নেতা মুহাম্মদ মুরসি।
৩। মুসলিম ব্রাদারহুডের উপদেষ্টা স্কলার ইউসুফ আল-কারদাওয়ি।
৪। ব্রাদারহুডের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ বেলতাজি।
৫। ব্রাদারহুডের কেন্দ্রীয় নেতা খাইরাত আল-শাতের।
এছাড়া উক্ত রিপোর্টে ইখওয়ান/ব্রাদারহুডের আরো অনেক নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে।
এছাড়া এই তালিকায় উপমহাদেশে জামায়া’তে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদুদিরও নাম রয়েছে। তালিকায় আইএসের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদিরও নাম রয়েছে।
রিপোর্টটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে আলে সঊদের দালাল পত্রিকা তা রিমুভ করে দেয়। তবে নিম্নের লিঙ্কের মিডিয়ায় উক্ত রিপোর্টটি কপি করে প্রচার করা হয় যা এখনো বিদ্যমান।
দেখুন….. https://todayyemen.com/details.php?id=170980
.
উপরোক্ত রিপোর্টের প্রেক্ষাপটে সৌদি সরকার এবং তার অনুগতদের ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাথে সখ্যতা বুঝার জন্য উক্ত ৪০ জনের মধ্য থেকে শুধুমাত্র দু’জন ব্যক্তির প্রসঙ্গে কিছু কথা বলবো।
প্রথম ব্যক্তিটি হচ্ছেন- বিংশ শতাব্দীতে জিহাদের মুজাদ্দিদ প্রখ্যাত মুজাহিদ আলেম শহীদ শাইখ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ্*, যিনি কুফফার রাশিয়াকে আফগানিস্তানে পরাজয়ের এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং ১৯৮৯ সালেই শহীদ হন। শাইখ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহি. এর সঙ্গে আলে সঊদের তেমন কোনো সমস্যা ছিলোনা বললেই চলে।
তিনি সৌদি আরবে প্রকাশ্যে হজ্জ করতে গিয়েছেন। বহুবার শাইখ আব্দুল্লাহ্* বিন বায রহি. এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। আর এটি কোনো গোপনীয় বিষয় নয় যে, সেসময় সৌদি সরকার আফগান মুজাহিদদেরকে সহায়তাও করেছিল। তাহলে শুধুমাত্র রাশিয়া এবং ইহুদিদের বিরুদ্ধে জিহাদকারী শাইখ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহি. কীভাবে বিশ্ব-সন্ত্রাসী হলেন ???
তার মানে যেই মুসলিম ও মূ’মিন ব্যক্তি আমেরিকা,রাশিয়া, ইহুদি ও ইসলামের চিরন্তন দুশমনদের কাছ থেকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গির তকমা/উপাধি পেয়েছেন, তিনি আলে সঊদের কুকুরদের থেকেও একই তকমা/উপাধি পেয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় আলে সঊদ ইসলামের দুশমনদের পথের সুস্পষ্ট অনুসারী।
.
দ্বিতীয় ব্যক্তিটি হচ্ছেন, হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শাইখ আহমাদ ইয়াসিন রহিমাহুল্লাহ্*। হামাসের চিন্তাধারার সাথে হক্বপন্থী মুজাহিদদের ব্যাপক তফাৎ/ব্যবধান থাকলেও আমরা বলবো,
শাইখ আহমাদ ইয়াসিন শুধুমাত্র দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্যই হামাস প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং হামাস শুধুমাত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করে যাচ্ছে। দখলদার ইসরায়েল ছাড়া অন্য কোনো রাষ্ট্রের দিকে লক্ষ্য করে হামাস একমুঠো বালুও নিক্ষেপ করেনি।
তাহলে সেই হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শাইখ আহমাদ ইয়াসিন কীভাবে সৌদি সরকারের মদদপুষ্ট পত্রিকার কাছে বিশ্ব-সন্ত্রাসী হয় ?? তার মানে যিনি দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কাছে বিশ্ব-সন্ত্রাসী, তিনি-ই কুফফারদের পা চাটা গোলাম আলে সঊদের কুকুরদের কাছে বিশ্ব-সন্ত্রাসী !!! এতে প্রমাণিত হয়, আলে সঊদ ইয়াহুদিদের সুস্পষ্ট দালাল ব্যতিত অন্য কিছু নয়।
এভাবেই ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তাওহীদের ভূমি দখল করে রাখা ত্বগুত আলে সঊদ। আল্লাহ্* তাআ’লা পূণ্যভূমি মক্কা-মাদিনাকে ইসলামের দুশমনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কুকুরদের হাত থেকে রক্ষা করুন এবং সত্যিকার তাওহীদবাদী মূমিনদেরকে তার প্রতিনিধিত্ব দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আ’লামীন।
উক্ত পত্রিকাটি টুইটারে তাদের এই আর্টিকেলের যে শিরোনাম দিয়েছে তা হচ্ছে,
“40 إرهابيا عالميا تأثروا بأفكار جماعة الإخوان ” অর্থ হচ্ছে- “যে চল্লিশ বিশ্ব-সন্ত্রাসী ইখওয়ান দলের চিন্তাধারার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছে।”
.
বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, এই তালিকায় বিগত ও বর্তমান শতাব্দীর এমন সব আলেম, মুজাহিদ ও ইসলামপন্থীদের নাম রয়েছে, যারা ইসলামের জন্য এমনসব ত্যাগ ও কুরবানি করেছেন, যা ইসলামের চির-শত্রু ইহুদি-খ্রিস্টানদের রাগান্বিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। যাদের কর্মকাণ্ড ইসলামের চির-শত্রু ইহুদি-খ্রিস্টানদের রাগান্বিত ও ক্ষুব্ধ করেছে, তারা ত্বগুত আলে সঊদের পত্রিকায় কেন সন্ত্রাসী আখ্যা পেলো ?! কাফির-মুশরিকদের সাথে আলে সঊদের সখ্যতা দেখলে যে কেউ আশা করি তা বুঝতে সক্ষম হবেন। এই তালিকায় সেইসব মুজাহিদ ও আলেমদের নামও রয়েছে, যারা তাদের ইল্*ম, কুরবানি ও জিহাদের জন্য দুনিয়ার মুসলিমদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন।
সৌদির ঐ পত্রিকাটি উক্ত তালিকায় ৪০ জনের নাম প্রকাশ করে ” যাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন –
১) আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক আমীর শহীদ শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ্*।
২) বিংশ শতাব্দীতে জিহাদের মুজাদ্দিদ বা পূণর্জাগরণকারী এবং আরব-আজমের মাঝে ঐতিহাসিক সেতুবন্ধনকারী প্রখ্যাত মুজাহিদ আলেম শহীদ শাইখ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ্*।
৩) আল-কায়দার বর্তমান আমীর হাকীমুল উম্মাহ্* শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ্*।
৪) আল-কায়দা গ্লোবাল জিহাদের সমর্থক আলেম শাইখ হানী আস-সিবাইয়ী হাফিযাহুল্লাহ্*।
৫) উস্তাজ সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ রহিমাহুল্লাহ্*।
৬) উস্তাজ হাসান আল-বান্না রহিমাহুল্লাহ্*।
৭) টুইনটাওয়ারে হামলার পরিকল্পনাকারী আল-কায়েদার সম্মানিত মুজাহিদ দায়িত্বশীল শাইখ খালিদ শেখ মুহাম্মাদ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)।
8) লেবাননে বন্দী জিহাদপন্থী আলেম শাইখ উমার বাকরি (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)।
এই তালিকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যেসব নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেঃ-
১। হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শাইখ আহমাদ ইয়াসিন রহিমাহুল্লাহ্*।
২। হামাসের সামরিক প্রধান খালেদ মিশাল।
৩। হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ও গাজার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া।
৪। ইসরায়েলের হাতে নিহত হামাসের নেতা আব্দুল আযিয রানতিসি।
এই তালিকায় ইখওয়ান/ব্রাদারহুডের যেসব নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেঃ-
১। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান মুহাম্মাদ বাদি’।
২। মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ব্রাদারহুড নেতা মুহাম্মদ মুরসি।
৩। মুসলিম ব্রাদারহুডের উপদেষ্টা স্কলার ইউসুফ আল-কারদাওয়ি।
৪। ব্রাদারহুডের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ বেলতাজি।
৫। ব্রাদারহুডের কেন্দ্রীয় নেতা খাইরাত আল-শাতের।
এছাড়া উক্ত রিপোর্টে ইখওয়ান/ব্রাদারহুডের আরো অনেক নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে।
এছাড়া এই তালিকায় উপমহাদেশে জামায়া’তে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদুদিরও নাম রয়েছে। তালিকায় আইএসের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদিরও নাম রয়েছে।
রিপোর্টটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে আলে সঊদের দালাল পত্রিকা তা রিমুভ করে দেয়। তবে নিম্নের লিঙ্কের মিডিয়ায় উক্ত রিপোর্টটি কপি করে প্রচার করা হয় যা এখনো বিদ্যমান।
দেখুন….. https://todayyemen.com/details.php?id=170980
.
উপরোক্ত রিপোর্টের প্রেক্ষাপটে সৌদি সরকার এবং তার অনুগতদের ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাথে সখ্যতা বুঝার জন্য উক্ত ৪০ জনের মধ্য থেকে শুধুমাত্র দু’জন ব্যক্তির প্রসঙ্গে কিছু কথা বলবো।
প্রথম ব্যক্তিটি হচ্ছেন- বিংশ শতাব্দীতে জিহাদের মুজাদ্দিদ প্রখ্যাত মুজাহিদ আলেম শহীদ শাইখ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ্*, যিনি কুফফার রাশিয়াকে আফগানিস্তানে পরাজয়ের এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং ১৯৮৯ সালেই শহীদ হন। শাইখ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহি. এর সঙ্গে আলে সঊদের তেমন কোনো সমস্যা ছিলোনা বললেই চলে।
তিনি সৌদি আরবে প্রকাশ্যে হজ্জ করতে গিয়েছেন। বহুবার শাইখ আব্দুল্লাহ্* বিন বায রহি. এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। আর এটি কোনো গোপনীয় বিষয় নয় যে, সেসময় সৌদি সরকার আফগান মুজাহিদদেরকে সহায়তাও করেছিল। তাহলে শুধুমাত্র রাশিয়া এবং ইহুদিদের বিরুদ্ধে জিহাদকারী শাইখ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহি. কীভাবে বিশ্ব-সন্ত্রাসী হলেন ???
তার মানে যেই মুসলিম ও মূ’মিন ব্যক্তি আমেরিকা,রাশিয়া, ইহুদি ও ইসলামের চিরন্তন দুশমনদের কাছ থেকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গির তকমা/উপাধি পেয়েছেন, তিনি আলে সঊদের কুকুরদের থেকেও একই তকমা/উপাধি পেয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় আলে সঊদ ইসলামের দুশমনদের পথের সুস্পষ্ট অনুসারী।
.
দ্বিতীয় ব্যক্তিটি হচ্ছেন, হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শাইখ আহমাদ ইয়াসিন রহিমাহুল্লাহ্*। হামাসের চিন্তাধারার সাথে হক্বপন্থী মুজাহিদদের ব্যাপক তফাৎ/ব্যবধান থাকলেও আমরা বলবো,
শাইখ আহমাদ ইয়াসিন শুধুমাত্র দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্যই হামাস প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং হামাস শুধুমাত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করে যাচ্ছে। দখলদার ইসরায়েল ছাড়া অন্য কোনো রাষ্ট্রের দিকে লক্ষ্য করে হামাস একমুঠো বালুও নিক্ষেপ করেনি।
তাহলে সেই হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শাইখ আহমাদ ইয়াসিন কীভাবে সৌদি সরকারের মদদপুষ্ট পত্রিকার কাছে বিশ্ব-সন্ত্রাসী হয় ?? তার মানে যিনি দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কাছে বিশ্ব-সন্ত্রাসী, তিনি-ই কুফফারদের পা চাটা গোলাম আলে সঊদের কুকুরদের কাছে বিশ্ব-সন্ত্রাসী !!! এতে প্রমাণিত হয়, আলে সঊদ ইয়াহুদিদের সুস্পষ্ট দালাল ব্যতিত অন্য কিছু নয়।
এভাবেই ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তাওহীদের ভূমি দখল করে রাখা ত্বগুত আলে সঊদ। আল্লাহ্* তাআ’লা পূণ্যভূমি মক্কা-মাদিনাকে ইসলামের দুশমনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কুকুরদের হাত থেকে রক্ষা করুন এবং সত্যিকার তাওহীদবাদী মূমিনদেরকে তার প্রতিনিধিত্ব দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আ’লামীন।
সূত্র:http://gazwah.net/?p=22233
Comment