উইঘুর নারী ও তার ৪ সন্তানকে কমিউনিস্ট চীনের হাতে তুলে দিয়েছে মানবতার ধ্বজাধারী বেলজিয়াম!
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/06/16/23741/
২০ লক্ষাধিক উইঘুর মুসলিমকে বন্দী করে রেখেছে কমিউনিস্ট চীন সরকার। সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর জাতিগত নিধন চালাচ্ছে রাষ্ট্রটি। এরূপ বর্বরতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রগুলোর শাসকগোষ্ঠী, বরং চীনের সাথে তাদের দহরম-মহরম যেন নষ্ট না হয় সেজন্য উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতনের পক্ষেও কথা বলেছে মুসলিম নামধারী এসকল শাসকগোষ্ঠী। কথিত মানবতার ধ্বজাধারী পশ্চিমারাও উইঘুরদের পক্ষে কথা বলে না, বরং মানবাধিকারের দাবিদার বেলজিয়াম সম্প্রতি এক উইঘুর নারীকে তার ৪সন্তানসহ চীনের হিংস্র কমিউনিস্টদের হাতে তুলে দিয়েছে।
আবলিমিত তুরসুন নামে একজন উইঘুর, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশে ছিলেন। দেশে ফিরে আসতে চাইলে উরুমকিতে বসবাসরত তার পরিবার সতর্ক করে দেয়।তাই, কমিউনিস্ট চীন সরকারের বর্বরতার কবল থেকে বাঁচতে তিনি বেলজিয়ামে চলে যান। তাৎক্ষণিকভাবেই তিনি তার স্ত্রী ও চার সন্তানের জন্য ভিসা পেতে বেলজিয়াম দূতাবাসে আবেদন করেন। অনেকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পরিবারটিকে সাহায্য করেনি বেলজিয়াম। বরং দুইদিনের জন্য চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে যেতে বলে পরিবারটিকে বিপদে ফেলে তারা। চীনে উইঘুর মুসলিমদের চলাফেলার উপরও যথেষ্ট নজরদারি করা হয়। তাই, এ কাজটি খুবই কঠিন ছিল তাদের জন্য।
তবুও গত ২৬শে মে, তুরসুনের স্ত্রী ইউরিয়ীতিগুলি অ্যাবোলা তাদের চার সন্তান (যাদের বয়স ৫,১০,১২ এবং ১৭ বছর) নিয়ে গোপনীয়ভাবে বেইজিংয়ে যান, যেন তাদের ভিসার আবেদন পত্রটির কাজ সম্পন্ন করা যায়। এসময় তারা গভীর রাতে বেইজিংয়ে পৌঁছান, যেন এয়ারপোর্ট পুলিশ ও কোন হোটেলে প্রবেশে চেকিং এর সম্মুখীন না হতে হয়। চীনে উইঘুরদেরকে হোটেলে জায়গা দেওয়া নিষেধ এবং তাদের উপস্থিতির সংবাদ পেলেই পুলিশকে জানানোর নির্দেশ আছে। তাই, আগেই তাদের এক বন্ধু একটি হোটেলে কক্ষ ভাড়া নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু, এত গোপনীয়তা অবলম্বন সত্ত্বেও বেইজিংয়ে পৌঁছানোর এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যেই তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য করা হয়। পরে বেইজিং পুলিশ তাদের দরজায় করাঘাত করে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরের দিন সন্ধ্যায়ও পুলিশ আসে, তাদেরকে উরুমকিতে ফিরে যেতে বলে।
তুরসুনের স্ত্রী অ্যাবোলা ভয় পাচ্ছিলেন। কেননা, যদি তাদেরকে উরুমকিতে ফেরত পাঠানো হয় তাহলে দ্বিতীয়বার আর উরুমকি থেকে বের হতে দিবে না এবং বন্দী করে ফেলবে। তার আতঙ্ক বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করে, কেননা বেলজিয়াম রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির পক্ষ থেকে জানানো হয়- ভিসা প্রক্রিয়া শেষ হতে তিনমাস সময় লাগবে! প্রকৃতপক্ষে, ভিসা কেবল দুইদিন পরেই প্রদান করা হয়। ততক্ষণে যা হবার হয়ে গেছে। পরিবারটি যতক্ষণ পর্যন্ত না ভিসা কার্যক্রম শেষ হচ্ছে দূতাবাস কার্যালয় ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলো। আর, বেলজিয়াম দূতাবাস থেকে পরিবারটিকে তাড়িয়ে দিতে চাইনিজ পুলিশদেরকে ডেকে পাঠানো হলো। জোরপূর্বকভাবে পরিবারটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। আর এভাবেই হয়রানি করে পরিবারটিকে বন্দী করা হলো। স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলো তার স্ত্রীকে! পিতা থেকে তার সন্তানদেরকে। কিছু নিষ্পাপ বাচ্চার জীবন ধ্বংস হলো মানবতার ধ্বজাধারীদের হাতে! এক নিরীহ নারী বলি বলেন নারী স্বাধীনতার বুলি আওড়ানোদের আঘাতে!
গত ১২ই জুন পর্যন্ত ১১দিন যাবৎ তুরসুন তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তিনি জানেন না তার স্ত্রী-সন্তান কোথায় আছে, কেমন আছে!
আবলিমিত তুরসুন নামে একজন উইঘুর, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশে ছিলেন। দেশে ফিরে আসতে চাইলে উরুমকিতে বসবাসরত তার পরিবার সতর্ক করে দেয়।তাই, কমিউনিস্ট চীন সরকারের বর্বরতার কবল থেকে বাঁচতে তিনি বেলজিয়ামে চলে যান। তাৎক্ষণিকভাবেই তিনি তার স্ত্রী ও চার সন্তানের জন্য ভিসা পেতে বেলজিয়াম দূতাবাসে আবেদন করেন। অনেকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পরিবারটিকে সাহায্য করেনি বেলজিয়াম। বরং দুইদিনের জন্য চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে যেতে বলে পরিবারটিকে বিপদে ফেলে তারা। চীনে উইঘুর মুসলিমদের চলাফেলার উপরও যথেষ্ট নজরদারি করা হয়। তাই, এ কাজটি খুবই কঠিন ছিল তাদের জন্য।
তবুও গত ২৬শে মে, তুরসুনের স্ত্রী ইউরিয়ীতিগুলি অ্যাবোলা তাদের চার সন্তান (যাদের বয়স ৫,১০,১২ এবং ১৭ বছর) নিয়ে গোপনীয়ভাবে বেইজিংয়ে যান, যেন তাদের ভিসার আবেদন পত্রটির কাজ সম্পন্ন করা যায়। এসময় তারা গভীর রাতে বেইজিংয়ে পৌঁছান, যেন এয়ারপোর্ট পুলিশ ও কোন হোটেলে প্রবেশে চেকিং এর সম্মুখীন না হতে হয়। চীনে উইঘুরদেরকে হোটেলে জায়গা দেওয়া নিষেধ এবং তাদের উপস্থিতির সংবাদ পেলেই পুলিশকে জানানোর নির্দেশ আছে। তাই, আগেই তাদের এক বন্ধু একটি হোটেলে কক্ষ ভাড়া নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু, এত গোপনীয়তা অবলম্বন সত্ত্বেও বেইজিংয়ে পৌঁছানোর এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যেই তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য করা হয়। পরে বেইজিং পুলিশ তাদের দরজায় করাঘাত করে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরের দিন সন্ধ্যায়ও পুলিশ আসে, তাদেরকে উরুমকিতে ফিরে যেতে বলে।
তুরসুনের স্ত্রী অ্যাবোলা ভয় পাচ্ছিলেন। কেননা, যদি তাদেরকে উরুমকিতে ফেরত পাঠানো হয় তাহলে দ্বিতীয়বার আর উরুমকি থেকে বের হতে দিবে না এবং বন্দী করে ফেলবে। তার আতঙ্ক বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করে, কেননা বেলজিয়াম রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির পক্ষ থেকে জানানো হয়- ভিসা প্রক্রিয়া শেষ হতে তিনমাস সময় লাগবে! প্রকৃতপক্ষে, ভিসা কেবল দুইদিন পরেই প্রদান করা হয়। ততক্ষণে যা হবার হয়ে গেছে। পরিবারটি যতক্ষণ পর্যন্ত না ভিসা কার্যক্রম শেষ হচ্ছে দূতাবাস কার্যালয় ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলো। আর, বেলজিয়াম দূতাবাস থেকে পরিবারটিকে তাড়িয়ে দিতে চাইনিজ পুলিশদেরকে ডেকে পাঠানো হলো। জোরপূর্বকভাবে পরিবারটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। আর এভাবেই হয়রানি করে পরিবারটিকে বন্দী করা হলো। স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলো তার স্ত্রীকে! পিতা থেকে তার সন্তানদেরকে। কিছু নিষ্পাপ বাচ্চার জীবন ধ্বংস হলো মানবতার ধ্বজাধারীদের হাতে! এক নিরীহ নারী বলি বলেন নারী স্বাধীনতার বুলি আওড়ানোদের আঘাতে!
গত ১২ই জুন পর্যন্ত ১১দিন যাবৎ তুরসুন তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তিনি জানেন না তার স্ত্রী-সন্তান কোথায় আছে, কেমন আছে!
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/06/16/23741/
Comment