ধর্ষিতাকে ওদের নামে মামলা হবে না বলে থানা থেকে বের করে দিল ওসি!
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/12/24657/
রাতভর গণধর্ষণের শিকার হয়ে এক নারী সকালে মাগুরার শ্রীপুর থানায় যান মামলা করতে। কিন্তু থানার ওসি মামলা না নিয়ে সারা দিন তাকে বসিয়ে রাখেন এবং উল্টো তার বিরুদ্ধেই মামলা ঠুকে দেয়ার ভয় দেখায়।
সন্ধ্যায় তাকে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়। সারা রাত পাশবিক নির্যাতনের শিকার এ নারীকে দিনভর কিছু খেতেও দেয়নি পুলিশ।
এমন অভিযোগ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের এক গৃহবধূর। এ ঘটনার পর দু’সপ্তাহ ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং মাতব্বরদের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য নানাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ জানান, ২৮ জুন রাতে তার স্বামী পেশাগত কাজে ফরিদপুর জেলায় ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া তার শিশুসন্তানকে নিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এমন সময় একই গ্রামের দিপুল নামে পরিচিত এক যুবক দরজায় কড়া নাড়লে তিনি দরজা খুলে দেয়। কিন্তু দিপুল একই গ্রামের মাজেদুল ও আশরাফুল নামে আরও দুই যুবককে নিয়ে ঘরে ঢুকে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
শুধু তাই নয়, কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ধর্ষণকারী ওই তিন যুবক লকার ভেঙে জমির কাগজপত্র, কানের দুল এবং ব্যাংকের দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেকে অস্ত্রের মুখে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যায়।
সকালে ওই গৃহবধূ এ ঘটনায় মামলা করতে শ্রীপুর থানায় গেলে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখে। এমনকি ডাক্তারি পরীক্ষার অনুরোধ জানালেও সে সেই ব্যবস্থা না করে ভয় দেখিয়ে তাকে বের করে দেয়।
ওই গৃহবধূ বলে, তিন যুবক রাতভর আমার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। তার ওপর সারা দিন অভুক্ত অবস্থায় থানায় বসিয়ে রেখে ওসি বলে, ওদের নামে মামলা হবে না।
হলে তোমার নামে হবে। আর এখন সে (ওসি) প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে বাড়িতে পাঠিয়ে ঘটনা মীমাংসা করে ফেলতে চাপ দিচ্ছে। না করলে ওসি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখাচ্ছে।
জানা গেছে, এর আগে ১৪ মে সকালে শ্রীপুরের চরশ্রীপুর গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় এলাকাবাসী দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও শ্রীপুর থানার ওসি মাহবুব সিগারেট চুরির মামলা দিয়ে ধর্ষণকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।
বিশ্লেষকগণ মতামত ব্যক্ত করেছেন, এ সমস্ত ওসিদের মত সরকারী বাহিনীদের জন্যই আজ দেশে ধর্ষণসহ সকল অপরাধ মহামারী আকারে সয়লাব করেছে।
সন্ধ্যায় তাকে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়। সারা রাত পাশবিক নির্যাতনের শিকার এ নারীকে দিনভর কিছু খেতেও দেয়নি পুলিশ।
এমন অভিযোগ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের এক গৃহবধূর। এ ঘটনার পর দু’সপ্তাহ ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং মাতব্বরদের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য নানাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ জানান, ২৮ জুন রাতে তার স্বামী পেশাগত কাজে ফরিদপুর জেলায় ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া তার শিশুসন্তানকে নিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এমন সময় একই গ্রামের দিপুল নামে পরিচিত এক যুবক দরজায় কড়া নাড়লে তিনি দরজা খুলে দেয়। কিন্তু দিপুল একই গ্রামের মাজেদুল ও আশরাফুল নামে আরও দুই যুবককে নিয়ে ঘরে ঢুকে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
শুধু তাই নয়, কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ধর্ষণকারী ওই তিন যুবক লকার ভেঙে জমির কাগজপত্র, কানের দুল এবং ব্যাংকের দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেকে অস্ত্রের মুখে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যায়।
সকালে ওই গৃহবধূ এ ঘটনায় মামলা করতে শ্রীপুর থানায় গেলে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখে। এমনকি ডাক্তারি পরীক্ষার অনুরোধ জানালেও সে সেই ব্যবস্থা না করে ভয় দেখিয়ে তাকে বের করে দেয়।
ওই গৃহবধূ বলে, তিন যুবক রাতভর আমার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। তার ওপর সারা দিন অভুক্ত অবস্থায় থানায় বসিয়ে রেখে ওসি বলে, ওদের নামে মামলা হবে না।
হলে তোমার নামে হবে। আর এখন সে (ওসি) প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে বাড়িতে পাঠিয়ে ঘটনা মীমাংসা করে ফেলতে চাপ দিচ্ছে। না করলে ওসি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখাচ্ছে।
জানা গেছে, এর আগে ১৪ মে সকালে শ্রীপুরের চরশ্রীপুর গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় এলাকাবাসী দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও শ্রীপুর থানার ওসি মাহবুব সিগারেট চুরির মামলা দিয়ে ধর্ষণকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।
বিশ্লেষকগণ মতামত ব্যক্ত করেছেন, এ সমস্ত ওসিদের মত সরকারী বাহিনীদের জন্যই আজ দেশে ধর্ষণসহ সকল অপরাধ মহামারী আকারে সয়লাব করেছে।
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/12/24657/
Comment