বাংলায় আল-কায়েদার প্রচারে আতংকে তাগুত বাহিনী, আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট!
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/13/24723/
নির্যাতিত উম্মাহর কান্নার আওয়াজ, উম্মাহর রাহবারদের দিকনির্দেশনা, উম্মাহর বীর সন্তানদের বিজয়ের সংবাদ বাংলার মুসলিম সমাজে পৌঁছে দিচ্ছেন সত্যানুসারী মুজাহিদিন মিডিয়াগুলো ।
মুজাহিদিন মিডিয়ার এসকল কর্মকাণ্ড পছন্দ নয় তাগুতদের। তারা চায় মুসলিমদের উপর হওয়া নির্যাতনের খবরগুলো চাপা পড়ে যাক, খেলাফত পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে উম্মাহর কল্যাণে নিজেদের জীবন বিপন্নকারী মুজাহিদগণের সুখ-দুঃখের সংবাদগুলো উম্মাহর কানে না পৌঁছাক। সর্বোপরি তারা হলুদ মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে মুজাহিদগণকে উম্মাহর কাছে ‘জঙ্গী-সন্ত্রাসী’ প্রমাণ করার যে হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে অনেকটা বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন মুজাহিদিন মিডিয়াগুলো। তাই, এসকল তাগুতগোষ্ঠীর দেহ-মনে আগুন লেগে গেছে, তাদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদসংস্থা ‘আনন্দবাজার’ এর একটি রিপোর্ট থেকে এমনই বুঝা যায়।
গত ১২ই জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘‘জঙ্গিদের জন্য বাংলা ভাষায় আল কায়েদার ‘আচরণবিধি’! ’’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে তারা মুজাহিদগণের মিডিয়াগুলোর ব্যাপারে আশংকা প্রকাশ করেছে। তারা ‘আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন’ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি প্রকাশনার বিষয়টি উল্লেখ করে বাংলা ভাষায় আল-কায়েদার প্রচারণার বিষয়টি সামনে এনেছে। তবে, চরম হাস্যকর বিষয় হলো- সারাজীবন মিথ্যাচার করে আসা এসকল মিডিয়াগুলোর বুঝ ক্ষমতাও অতি সংকীর্ণ এবং নিজেদেরকে ‘জ্ঞানী’ জাহির করে অহংকার প্রদর্শন করা এসকল হলুদ মিডিয়াগুলো মুজাহিদিনের ব্যাপারে চরমমাত্রায় ‘অজ্ঞ’ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আনন্দবাজারের রিপোর্টটিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় উপমহাদেশের জিহাদি মুজাহিদিনদের জন্য আদর্শ আচরণবিধি প্রকাশ করল আল কায়েদা। বাংলা ভাষায় ওই আচরণবিধি একটি অডিও বার্তার মাধ্যমে প্রকাশ করল আল কায়েদা।’
অথচ, বাস্তবতা হলো- এই আচরণবিধি আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ কর্তৃক আরো প্রায় ২ বছর আগেই বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে আল-কায়েদা উপমহাদেশের বাংলাদেশ শাখার অফিসিয়াল ফোরাম ‘দাওয়াহ ইলাল্লাহ’তে আচরণবিধিটি পোস্ট করা হয়। এখন কেবল ‘আচরণবিধি’ রেকর্ড করে অডিও ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
তারপর রিপোর্টটিতে আরো বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের এক জিহাদি আল কায়েদার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হয়। তার নামে গজল তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।’
অথচ, যে গজলটির কথা তারা বলছে, সেটি মুজাহিদ ভাই সাদ্দাম রহিমাহুল্লাহ এর নামে তৈরি করা হয়নি, বরং তিনি নিজেই গজলটি গেয়েছিলেন।
এছাড়াও, সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া আল-কায়েদার সম্মানিত আমীর হাকিমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ এর কাশ্মীর বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তার ব্যাপারেও ‘মূর্খতা’র পরিচয় দিয়েছে হলুদ মিডিয়াগুলো। ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ করেছিল আল-কায়েদার অফিসিয়াল প্রচারমাধ্যম ‘আস-সাহাব মিডিয়া’। ভিডিওতে সুস্পষ্টভাবেই ‘আস-সাহাব মিডিয়া’ এর নাম উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু, হাস্যকর বিষয় হচ্ছে হলুদ মিডিয়াগুলো ‘আস-সাহাব মিডিয়া’ এর স্থানে ‘আল-শাবাব মুজাহিদিন’ এর নাম প্রচার করে বলেছে, ‘আল-শাবাব মুজাহিদিন’ (উল্লেখ্য, হারকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকান শাখা) নাকি ভিডিও বার্তাটি সামনে এনেছে।
এভাবেই কেবল ধারণার উপর ভিত্তি করে হলুদ মিডিয়াগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুজাহিদিনের ব্যাপারে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আসছে, যেন মুজাহিদগণের প্রতি জনমনে খারাপ ধারণা জন্মায়। আর, যেহেতু মুজাহিদগণের মিডিয়াগুলো তাদের সেসকল মিথ্যা প্রচারণার বিরোধীতা করেন এবং সত্য খবর প্রচার করেন, তাই তারা মুজাহিদগণের প্রচারণা বন্ধেরও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও মহান আল্লাহ তা’য়ালার সাহায্য ও অনুগ্রহে মুজাহিদগণ উম্মাহর কাছে সত্য বার্তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব যথাসাধ্য আঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফলে, তাগুত বাহিনীর ঘুমও হারাম হয়ে গেছে, যা বুঝা যায় আনন্দবাজার পত্রিকার প্রকাশিত রিপোর্টে।
মুজাহিদিন মিডিয়ার এসকল কর্মকাণ্ড পছন্দ নয় তাগুতদের। তারা চায় মুসলিমদের উপর হওয়া নির্যাতনের খবরগুলো চাপা পড়ে যাক, খেলাফত পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে উম্মাহর কল্যাণে নিজেদের জীবন বিপন্নকারী মুজাহিদগণের সুখ-দুঃখের সংবাদগুলো উম্মাহর কানে না পৌঁছাক। সর্বোপরি তারা হলুদ মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে মুজাহিদগণকে উম্মাহর কাছে ‘জঙ্গী-সন্ত্রাসী’ প্রমাণ করার যে হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে অনেকটা বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন মুজাহিদিন মিডিয়াগুলো। তাই, এসকল তাগুতগোষ্ঠীর দেহ-মনে আগুন লেগে গেছে, তাদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদসংস্থা ‘আনন্দবাজার’ এর একটি রিপোর্ট থেকে এমনই বুঝা যায়।
গত ১২ই জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘‘জঙ্গিদের জন্য বাংলা ভাষায় আল কায়েদার ‘আচরণবিধি’! ’’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে তারা মুজাহিদগণের মিডিয়াগুলোর ব্যাপারে আশংকা প্রকাশ করেছে। তারা ‘আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন’ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি প্রকাশনার বিষয়টি উল্লেখ করে বাংলা ভাষায় আল-কায়েদার প্রচারণার বিষয়টি সামনে এনেছে। তবে, চরম হাস্যকর বিষয় হলো- সারাজীবন মিথ্যাচার করে আসা এসকল মিডিয়াগুলোর বুঝ ক্ষমতাও অতি সংকীর্ণ এবং নিজেদেরকে ‘জ্ঞানী’ জাহির করে অহংকার প্রদর্শন করা এসকল হলুদ মিডিয়াগুলো মুজাহিদিনের ব্যাপারে চরমমাত্রায় ‘অজ্ঞ’ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আনন্দবাজারের রিপোর্টটিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় উপমহাদেশের জিহাদি মুজাহিদিনদের জন্য আদর্শ আচরণবিধি প্রকাশ করল আল কায়েদা। বাংলা ভাষায় ওই আচরণবিধি একটি অডিও বার্তার মাধ্যমে প্রকাশ করল আল কায়েদা।’
অথচ, বাস্তবতা হলো- এই আচরণবিধি আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ কর্তৃক আরো প্রায় ২ বছর আগেই বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে আল-কায়েদা উপমহাদেশের বাংলাদেশ শাখার অফিসিয়াল ফোরাম ‘দাওয়াহ ইলাল্লাহ’তে আচরণবিধিটি পোস্ট করা হয়। এখন কেবল ‘আচরণবিধি’ রেকর্ড করে অডিও ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
তারপর রিপোর্টটিতে আরো বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের এক জিহাদি আল কায়েদার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হয়। তার নামে গজল তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।’
অথচ, যে গজলটির কথা তারা বলছে, সেটি মুজাহিদ ভাই সাদ্দাম রহিমাহুল্লাহ এর নামে তৈরি করা হয়নি, বরং তিনি নিজেই গজলটি গেয়েছিলেন।
এছাড়াও, সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া আল-কায়েদার সম্মানিত আমীর হাকিমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ এর কাশ্মীর বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তার ব্যাপারেও ‘মূর্খতা’র পরিচয় দিয়েছে হলুদ মিডিয়াগুলো। ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ করেছিল আল-কায়েদার অফিসিয়াল প্রচারমাধ্যম ‘আস-সাহাব মিডিয়া’। ভিডিওতে সুস্পষ্টভাবেই ‘আস-সাহাব মিডিয়া’ এর নাম উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু, হাস্যকর বিষয় হচ্ছে হলুদ মিডিয়াগুলো ‘আস-সাহাব মিডিয়া’ এর স্থানে ‘আল-শাবাব মুজাহিদিন’ এর নাম প্রচার করে বলেছে, ‘আল-শাবাব মুজাহিদিন’ (উল্লেখ্য, হারকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকান শাখা) নাকি ভিডিও বার্তাটি সামনে এনেছে।
এভাবেই কেবল ধারণার উপর ভিত্তি করে হলুদ মিডিয়াগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুজাহিদিনের ব্যাপারে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আসছে, যেন মুজাহিদগণের প্রতি জনমনে খারাপ ধারণা জন্মায়। আর, যেহেতু মুজাহিদগণের মিডিয়াগুলো তাদের সেসকল মিথ্যা প্রচারণার বিরোধীতা করেন এবং সত্য খবর প্রচার করেন, তাই তারা মুজাহিদগণের প্রচারণা বন্ধেরও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও মহান আল্লাহ তা’য়ালার সাহায্য ও অনুগ্রহে মুজাহিদগণ উম্মাহর কাছে সত্য বার্তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব যথাসাধ্য আঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফলে, তাগুত বাহিনীর ঘুমও হারাম হয়ে গেছে, যা বুঝা যায় আনন্দবাজার পত্রিকার প্রকাশিত রিপোর্টে।
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/13/24723/
Comment