Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্* নিউজ ll ১৪ই যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ১৭ই জুলাই, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্* নিউজ ll ১৪ই যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ১৭ই জুলাই, ২০১৯ ঈসায়ী।

    সুনামগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষের ত্রাণের জন্য হাহাকার!







    টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানিবন্দী হয়ে হাজার হাজার মানুষ ত্রাণ না পাওয়ায় হাহাকার করছে।


    সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে পানিবন্ধী পরিবারগুলোতে।

    পানিবন্দী হওয়ায় মানুষজন বাড়ি থেকে বের হতেও পারছে না। বন্যা কবলিত গ্রামগুলোতে অবস্থানকারী মানুষজন ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় আছে। ত্রাণ না পাওয়ায় হাহাকার বিরাজ করছে।


    কথা হয় তাহিরপুর উপজেলা সদরে সরকারি সহযোগিতা নিতে আসা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রতনশ্রী গ্রামের বাসীন্দা ফিরোজা বেগমের সাথে। তিনি জানান, বসতভিটা ঢেউয়ের কবলে ভেঙ্গে পড়ায় তারা সবাই প্রতিবেশী ও নিকটাত্মীয়দের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। ২ সপ্তাহ ধরে স্বামীর বাড়ি বন্যায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় তিনিও এখন বাবার বাড়িতে উঠেছেন। কিন্তু কোন সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ছেলে মেয়ে নিয়ে বড় অসহায় অবস্থায় আছেন।


    গবিন্দশ্রী গ্রামের কালা মিয়া(৭৮) জানান, ‘তার বাড়ি পানিতে পুরোপুরি ডুবে গেছে। কিন্তু কোন সহযোগিতা পাইনি। উপজেলার ভূমি অফিসে ত্রাণ দিচে শুনে আইয়া লাইনে দাঁড়াইছি পরে প্যাকেট দেওয়া বন্ধ করে দিছে।



    একই কথা জানালেন উপজেলার শুবলাগাঁও গ্রামের বিধবা নারী সমলা বেগম(৬৬)। তিনি জানান, স্বামী ছেলে কেউ নাই। মেয়ে ছিল তাদের বিয়ে দিয়েছি তারা এখন স্বামীর বাড়িতে। বন্যায় বাড়ি পানির নিছে। কিন্তু কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।



    উপজেলার হাওড়পাড়ের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, হাওড়ের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে তাদের বসত বাড়ি ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন হবার পথে। পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ত্রাণ পাচ্ছেন না।

    তাহিরপুরের মানুষ বারবার ফসল হারিয়ে দিশেহারা এবং সাম্প্রতিক বন্যায় মানুষের বসতভিটা, রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সকলেই দিশেহারা। ত্রাণের পরিমান বাড়ানো খুবই প্রয়োজন।


    তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন জানায়, তার ইউনিয়নে দুইশতাধিক পরিবার এখনও পানিবন্ধী রয়েছে।


    সূত্র: নয়া দিগন্ত







    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/16/24789/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে গরুর গোশত থাকার অজুহাতে মাদরাসায় আগুন ধরালো উগ্র হিন্দুরা!




    ভারতের উত্তর প্রদেশের গরুর গোশত থাকার অজুহাত দেখিয়ে একটি মাদরাসায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
    গত মঙ্গলবার বিজেপি শাসিত ফতেপুর জেলায় এমন ঘটনা ঘটে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ওই মাদরাসার পেছনের একটি জায়গায় গবাদি পশুর দেহাবশেষ পাওয়া যায়।

    এতে কিছু উগ্র হিন্দু মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে । পরে উগ্রপন্থিরা মাদরাসায় ভাঙচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
    তবে ওই ঘটনায় পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।

    সূত্র: পার্সটুডে






    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/17/24801/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
      এই কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুন এই কামনা মহান রবের দরবারে...!
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        চট্টগ্রামে স্কুল শিশুদের ‘হরে রাম’ বলানো ‘রামরাজত্ব’ প্রতিষ্ঠা স্বপ্নেরই অংশ!




        নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা করেছিলো এক উগ্র শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টান ক্রুসেডার। হামলার পেছনে ছিল ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং নিজেদের আধিপত্য কায়েম করা।

        ‘নিউজিল্যান্ড! সে তো অনেক দূর! আমার এত চিন্তা কীসে!?’- এরকম ভাবার কোন সুযোগ নেই। কেননা, আপনি নিরাপদ নন, নিরাপদ নয় আপনার মসজিদও! আগামী শুক্রবার যে আপনার মসজিদে এরকম হামলা হবে না, সে নিশ্চয়তা আপনি দিতে পারবেন না! কেন জানেন? নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলাকারী উগ্র সন্ত্রাসী শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টান যে চেতনার ধারকবাহক, একই চেতনাধারী এক শ্রেণি আপনার পাশেই বাস করে, আপনার প্রতিবেশী! তারা হলো উপমহাদেশে ‘রামরাজত্ব’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকারী উগ্র মুশরিক হিন্দুত্ববাদীরা!
        হ্যাঁ, আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি, সতর্ক করছি। যেন আপনি সচেতন হোন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তবে, কেবল ধারণার উপর ভিত্তি করেই আমার এই সতর্ক করা নয়। বরং, এ এক বাস্তবতা এবং চরম সত্য। উপমহাদেশের হিন্দুত্ববাদীদের সাথে ঐ উগ্র শ্বেতাঙ্গদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্বন্ধে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাতে ২০১৮ সালের ১৩ই ডিসেম্বর একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। [১] সেখানে বলা হয়, শ্বেতাঙ্গবাদী, নব্য নাৎসি এবং হিন্দুত্ববাদীরা মিলে এমন একটি মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে যা বর্ণবাদ, বিদেশী বিদ্বেষ, বিভেদসৃষ্টিকরণের জন্ম দিবে!

        নতুন এই জোড়াতালি দেওয়া দলটিকে সাধারণত “অল্টারনেটিভ-রাইট বা অল্টার-রাইট” বলে সম্বোধন করা হয়। এই দলটি তাদের মতবাদকে ভারতের সমাজব্যবস্থায় বাস্তবায়নের আশা ব্যক্ত করেছে। তাদের সকলের মনোযোগ এখন ভারতের উপর! এরই লক্ষ্যে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ভারতে কাজ করে যাচ্ছে!
        এছাড়াও, আল-জাজিরার ঐ রিপোর্টটিতে হিন্দুত্ববাদীদের সাথে বহির্বিশ্বের অন্যান্য ইসলামবিদ্বেষী, বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ দলগুলোর সখ্যতার বিষয়ে আরো অনেক প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো, ট্রাম্প বা শ্বেতাঙ্গরা যেরূপ সারাবিশ্বে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে চায়, ঠিক সেভাবেই হিন্দুত্ববাদীরাও উপমহাদেশে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়! ভারতকে প্রতিষ্ঠা করতে চায় একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে, যেখানে থাকবে না কোন মুসলিমের নাম-গন্ধ! [আলজাজিরার রিপোর্টটির উপর ভিত্তি করে বাংলায় রচিতশ্রেষ্ঠত্বের লড়াইসিরিজ পড়ুন এই লিংকেhttps://telegra.ph/War-Of-Superiority-Series-07-16 ]

        আজ এটা কেবল খাতা-কলম আর তাদের পরিকল্পনাই নয়, বরং বাস্তবে প্রমাণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা। উগ্র শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টান ক্রুসেডার যখন নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা করে অর্ধশত মুসলিমকে নির্মমভাবে হত্যা করে, তখন উপমহাদেশের হিন্দুত্ববাদীদের আনন্দ-উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মত! এমনকি তাদের কতক তখন হিন্দুদের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছিল যে, ভারতেও যেন মুসলিমদের মসজিদে এরূপ হামলা করা হয়।
        ভারতে মুসলিমদের উপর চলমান বর্বরতম আগ্রাসন সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শুরুর ধাপ। গত ১৭ই জুন ২০১৯ ঈসায়ী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি মসজিদে সালাত আদায়রত মুসল্লিদের উপর বোমা হামলার ঘটনা তাদের উক্ত নিকৃষ্ট পরিকল্পনা ও চেতনারই অংশ। [২] মুসলিমদেরকে জয়শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা, গো-রক্ষার নামে মুসলিমদেরকে হত্যা করা, মুসলিমদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে উগ্র ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা, মুসলিম নারীদেরকে গণধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া এবং বাংলাদেশ দখল করার হুমকি দেওয়াসহ ইসলামবিদ্বেষী নানা কার্যক্রম উপমহাদেশে তাদের রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনারই অংশ।

        কিন্তু, ভারতে ইসলামবিদ্বেষী এসকল কার্যক্রম মুসলিমদের গভীর নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটায়নি, সেক্যুলারিজমের ফাঁদে আটকা পড়া এ জাতি নিজ ধর্ম-ভূমি প্রতিরক্ষার দায়িত্ব আদায়ের প্রতি মনোযোগী হতে পারেনি। সে সুযোগে হিন্দুত্ববাদী জাতি একের পর এক আঘাত হেনে চলেছে, প্রকাশ্যে লিপ্ত হয়েছে ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডে। উপমহাদেশে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে অবুঝ শিশুদের মাঝে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রসাদ বিতরণ করেছে হিন্দুরা। এর মধ্যে, ‘ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির’ নামে একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত গত ৭/৮ই জুলাই (ভিডিওটি তাদের পেজ থেকে সরিয়ে দেওয়ায়, সঠিক তারিখটা দিতে পারছি না) এক ‘লাইভ’ ভিডিওতে দেখা যায়, চট্টগ্রামের বাকলিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবুঝ বাচ্চাদের মাঝে খাদ্যবিতরণের সময় তাদেরকে ‘হরে রাম, হরে কৃষ্ণ’ বলাচ্ছে হিন্দুরা![৩]

        চট্টগ্রামে এর আগেও হিন্দুত্ববাদীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০১৬ সালে কুরবানীর ঈদে চট্টগ্রামের হালিশহরে উগ্র হিন্দুরা গরু কোরবানিতে বাধা দেয় এবং গরু জবাই করলে মুসলিমদের গর্দান ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলো সেখানকার উগ্র হিন্দুরা।[৪] এছাড়া, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী মুশরিক ‘হিন্দু সেনা’দের কার্যক্রম সম্পর্কেও রয়েছে বিভিন্ন তথ্য।

        এসব কিছুই উপমহাদেশে ‘রামরাজত্ব’ প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমের অংশ। কিন্তু উগ্র হিন্দুদের এসকল কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে মুসলিমদের নিরবতা বড়ই দুঃখজনক। আরো আফসোসের বিষয় হলো হিন্দুস্তানের যুদ্ধের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেওয়া সুস্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণীর ব্যাপারে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়া। এ শ্রেণির লোকদের জেনে রাখা উচিত, ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ সম্পর্কে কোন ভবিষ্যদ্বাণী হাদিসে যদি নাও থাকতো, তবুও বর্তমান পরিস্থিতিই আমাদেরকে এক বিশাল যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে!

        আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা আমাদেরকে ইসলামী শরীয়ার আলোকে বাস্তব পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ্য রেখে করণীয় নির্ধারণ করার এবং এর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন।


        তথ্যসূত্র:
        [১] https://www.aljazeera.com/indepth/op...144618283.html
        [২] https://www.youtube.com/watch?v=xFOzd_V2RiQ
        [৩] https://archive.org/details/video_20190717

        [৪] https://youtu.be/xxTlESj4dOU





        সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/17/24824/


        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আপনাদের মেহনতকে কবুল করুন,আমিন।
          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

          Comment

          Working...
          X