সুনামগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষের ত্রাণের জন্য হাহাকার!
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/16/24789/
টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানিবন্দী হয়ে হাজার হাজার মানুষ ত্রাণ না পাওয়ায় হাহাকার করছে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে পানিবন্ধী পরিবারগুলোতে।
পানিবন্দী হওয়ায় মানুষজন বাড়ি থেকে বের হতেও পারছে না। বন্যা কবলিত গ্রামগুলোতে অবস্থানকারী মানুষজন ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় আছে। ত্রাণ না পাওয়ায় হাহাকার বিরাজ করছে।
কথা হয় তাহিরপুর উপজেলা সদরে সরকারি সহযোগিতা নিতে আসা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রতনশ্রী গ্রামের বাসীন্দা ফিরোজা বেগমের সাথে। তিনি জানান, বসতভিটা ঢেউয়ের কবলে ভেঙ্গে পড়ায় তারা সবাই প্রতিবেশী ও নিকটাত্মীয়দের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। ২ সপ্তাহ ধরে স্বামীর বাড়ি বন্যায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় তিনিও এখন বাবার বাড়িতে উঠেছেন। কিন্তু কোন সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ছেলে মেয়ে নিয়ে বড় অসহায় অবস্থায় আছেন।
গবিন্দশ্রী গ্রামের কালা মিয়া(৭৮) জানান, ‘তার বাড়ি পানিতে পুরোপুরি ডুবে গেছে। কিন্তু কোন সহযোগিতা পাইনি। উপজেলার ভূমি অফিসে ত্রাণ দিচে শুনে আইয়া লাইনে দাঁড়াইছি পরে প্যাকেট দেওয়া বন্ধ করে দিছে।
একই কথা জানালেন উপজেলার শুবলাগাঁও গ্রামের বিধবা নারী সমলা বেগম(৬৬)। তিনি জানান, স্বামী ছেলে কেউ নাই। মেয়ে ছিল তাদের বিয়ে দিয়েছি তারা এখন স্বামীর বাড়িতে। বন্যায় বাড়ি পানির নিছে। কিন্তু কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।
উপজেলার হাওড়পাড়ের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, হাওড়ের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে তাদের বসত বাড়ি ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন হবার পথে। পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ত্রাণ পাচ্ছেন না।
তাহিরপুরের মানুষ বারবার ফসল হারিয়ে দিশেহারা এবং সাম্প্রতিক বন্যায় মানুষের বসতভিটা, রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সকলেই দিশেহারা। ত্রাণের পরিমান বাড়ানো খুবই প্রয়োজন।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন জানায়, তার ইউনিয়নে দুইশতাধিক পরিবার এখনও পানিবন্ধী রয়েছে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে পানিবন্ধী পরিবারগুলোতে।
পানিবন্দী হওয়ায় মানুষজন বাড়ি থেকে বের হতেও পারছে না। বন্যা কবলিত গ্রামগুলোতে অবস্থানকারী মানুষজন ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় আছে। ত্রাণ না পাওয়ায় হাহাকার বিরাজ করছে।
কথা হয় তাহিরপুর উপজেলা সদরে সরকারি সহযোগিতা নিতে আসা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রতনশ্রী গ্রামের বাসীন্দা ফিরোজা বেগমের সাথে। তিনি জানান, বসতভিটা ঢেউয়ের কবলে ভেঙ্গে পড়ায় তারা সবাই প্রতিবেশী ও নিকটাত্মীয়দের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। ২ সপ্তাহ ধরে স্বামীর বাড়ি বন্যায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় তিনিও এখন বাবার বাড়িতে উঠেছেন। কিন্তু কোন সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ছেলে মেয়ে নিয়ে বড় অসহায় অবস্থায় আছেন।
গবিন্দশ্রী গ্রামের কালা মিয়া(৭৮) জানান, ‘তার বাড়ি পানিতে পুরোপুরি ডুবে গেছে। কিন্তু কোন সহযোগিতা পাইনি। উপজেলার ভূমি অফিসে ত্রাণ দিচে শুনে আইয়া লাইনে দাঁড়াইছি পরে প্যাকেট দেওয়া বন্ধ করে দিছে।
একই কথা জানালেন উপজেলার শুবলাগাঁও গ্রামের বিধবা নারী সমলা বেগম(৬৬)। তিনি জানান, স্বামী ছেলে কেউ নাই। মেয়ে ছিল তাদের বিয়ে দিয়েছি তারা এখন স্বামীর বাড়িতে। বন্যায় বাড়ি পানির নিছে। কিন্তু কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।
উপজেলার হাওড়পাড়ের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, হাওড়ের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে তাদের বসত বাড়ি ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন হবার পথে। পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ত্রাণ পাচ্ছেন না।
তাহিরপুরের মানুষ বারবার ফসল হারিয়ে দিশেহারা এবং সাম্প্রতিক বন্যায় মানুষের বসতভিটা, রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সকলেই দিশেহারা। ত্রাণের পরিমান বাড়ানো খুবই প্রয়োজন।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন জানায়, তার ইউনিয়নে দুইশতাধিক পরিবার এখনও পানিবন্ধী রয়েছে।
সূত্র: নয়া দিগন্ত
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/16/24789/
Comment