কৌশলে মুসলমানদের শুকর খাওয়াচ্ছে হিন্দুরা’ নেই কোন প্রতিবাদ!
শুকরের গোশত, হাড়, চর্বি খাওয়া, ব্যবহার করা মুসলমানদের জন্য চিরতরে হারাম। তাই কোন মুসলমান জেনে শুনে শুকর খাবে না। তাই মুশরিক হিন্দুরা কৌশলে বিভিন্ন জিনিসের সাথে মিশানো হচ্ছে শুকরের গোশত, হাড়, চর্বি।
স্বদেশ বার্তাসহ দেশের অন্যান্য নিউজ পোর্টালের বরাতে জানা যায়, গতকাল (৩রা আগস্ট) বাংলাদেশের রাজধানীর নিকটে ধামরাইয়ে একটি ভোজ্যতেল তৈরীর কারখানায় অভিজান চালিয়ে র্যাব- ৩ হাজার মেট্রিক টন শুকরের গোশত, হাড়, চর্বি জব্দ করে। ঐ প্রতিষ্ঠানটি শুকরের গোশত দিয়ে ভোজ্য সয়াবিন তেল, মাছ-মুরগীর ফিড তৈরী করছিলো। প্রতিষ্ঠানটিতে অভিজান চালিয়ে ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন শুকরের চর্বি, গোশত ও হাড় আমদানির চালান ফরম জব্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির নাম কেবিসি এগ্রো (প্রাঃ) লিমিটেড, তারা হেলথ কেয়ার নামক সয়াবিন তেল, রাইস ব্যান ওয়েল ও মাছ মুরগীর ফিড তৈরী করতো।
কেবিসি এগ্রো (প্রাঃ) লিমিটেড নামক কোম্পানির মালিকের নাম ‘রাজকুমার আগরওয়াল’, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম সুধীর চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপকের নাম তাপস দেবনাথ। ‘রাজকুমার আগরওয়াল’ লোকটা ভারতীয় ব্যবসায়ী। পশ্চিমবঙ্গে তার ‘বনসল অয়েল’ নামক একটি ভোজ্যতেল কোম্পানি ছিলো, যা কয়েক বছর আগে আর্থিক দৈন্যতায় বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশে উত্তরবঙ্গে ‘রাজকুমার আগরওয়াল এন্ড কোং এর নাম শোনা যায়।
উল্লেখ্য ভারতীয় ব্যবসায়ী রাজকুমার আগরওয়াল ঢাকার পার্শ্ববর্তী ধামরাইয়ে বেশ কয়েক বছর আগে প্রায় ৪ একর যায়গার উপর এই কেবিসি এগ্রো নামক ফ্যাক্টরি তৈরী করে। ফ্যাক্টরির দৈনিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল।
পাঠক! লক্ষ্য করুণ- ধামরাইয়ে কেবিসি এগ্রো থেকে জব্দ হয়েছে ৩ হাজার মেট্রিক টন শুকরের মাংশ, হাড় ও চর্বি। পরিমাণটা বুঝতে পারছেন?
একটা বড় ট্রাকে যদি ৫ মেট্রিক টন আটে, তবে ৩ হাজার টন মানে ৬০০ ট্রাক শুকরের মাংশ, চর্বি ও হাড় রেডি রাখা হয়েছিলো এসব খাদ্য বানানোর জন্য। এছাড়া পূর্বের চালান উদ্ধার করা হয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন শুকরের চর্বি, মাংস ও হাড় আমদানির হিসেব। ট্রাক দিয়ে হিসেব করলে যার পরিমাণ দাড়ায় ৬০ হাজার ট্রাক শুকর পণ্য। যা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মুসলমানরা খাদ্যের মাধ্যমে সাবার করে ফেলেছে !
অথচ, কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ও শাহজালাল ভার্সিটিতে পৃথক ঘটনায় হিন্দুদের বিরিয়ানীর মধ্যে গরুর গোশত দেয়ায় হিন্দুরা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। যে ক্যান্টিন থেকে খাবার দেয়া হয়েছিলো তার মালিককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। আমার কথা হলো- মুসলমানরা হিন্দুদের ২ টুকরা গরুর গোশত খাওয়ালে যদি হিন্দুরা এত প্রতিবাদ করতে পারে, তবে হিন্দুরা যে মুসলমানদের খাবারের মধ্যে ৬০ হাজার ট্রাক শুকর গোশত-হাড়-চর্বি ঢুকিয়ে দিছে, তার প্রতিবাদ কি মুসলমানরা করবে??
আরেকটি কথা, অন্য ধর্মের লোকরা মুসলমানদের কোন খাবার দিলে তারা তা গোগ্রাসে গিলে ফেলে, ভাবে- আহারে কত ভালো মানুষ। কিন্তু সেই খাবারের মধ্যে কি লুকিয়ে আছে সেটা বিচার করে না। এক রাজকুমার আগারওয়াল যদি বাংলাদেশের মুসলমানদের ৬০ হাজার ট্রাক শুকর খাওয়াতে পারে, তবে বাকি সব অমুসলিম মুসলমানদের কি খাওয়াবে, তার হিসেব মুসলমানরাই করে দেখুক। এখনো কি আমাদের চেতনাবোধ জাগ্রত হবে না?!!
Comment