Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ * নিউজ ll ১৫ যিলহজ ১৪৪০ হিজরী। ll১৭ আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী। in উম্মাহ সংবাদ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ * নিউজ ll ১৫ যিলহজ ১৪৪০ হিজরী। ll১৭ আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী। in উম্মাহ সংবাদ

    জালেম শাসকগোষ্ঠীর চক্রান্তের শিকার কওমি মাদরাসাসহ চামড়ার অর্থের সাথে সংশ্লিষ্টরা!


    গত কয়েক বছর থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পশুর চামড়ার দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে; অথচ, চামড়াজাত দ্রব্যের দাম অনেক বেশি! এভাবে গরিব মুসলিমদেরকে তাদের প্রাপ্য হক্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবার কোরবানির ঈদে বাংলাদেশে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে এবারে যা ঘটেছে সেটি অনেক বড় ‘বিপর্যয়ের’ সাথে তুলনা করা যায়। চামড়ার দাম এতটাই নিম্নগামী হয়েছে যে বিষয়টি অনেকের মাঝে বেশ হতাশা তৈরি করেছে।
    ঈদে চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে লক্ষাধিক পিস পশুর চামড়া ধ্বংস করা হয়েছে। যার বেশির ভাগ মাটি চাপা দেয়া হয়। কিছু ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। চামড়ার মূল্য না থাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে পড়ে দেশের চামড়া বাজার। দামে ধ্বস নামায় প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার চামড়া লেনদেন হয়। এবার কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে রীতিমতো অরাজক অবস্থা তৈরি হওয়ায় গরুর ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ এবং ছাগলের ৮০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়েছে।

    বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) তথ্য অনুযায়ী, বছরে গড়ে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪.৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১.৮২ শতাংশ ছাগলের, ২.২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১.২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া। বিটিএ হিসাব অনুযায়ী, প্রায় অর্ধেকের মতো চামড়া নষ্ট হয়েছে বা সংরক্ষণ করা যাবে না। তাছাড়া যে চামড়া কেনাবেচা হয়েছে তাও নির্ধারিত দরের অনেক কম। সেই হিসাবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার মতো চমড়ার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাঁচা চামড়ার খুচরা ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ট্যানারির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

    রাজধানীর সরজমিনে দেখা গেছে, দেশের অনেক এলাকায় ক্রেতা খুঁজে না পাওয়ায় সরকার-নির্ধারিত দর তো দূরের কথা, চামড়া বিক্রিই করা যায়নি। দাম না পেয়ে প্রতিবাদস্বরূপ অনেকে চামড়া ফেলে দিয়েছেন, মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন। কোথাও কোথায় পুড়িয়ে ফেলা হয়। আবার কোথায় নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। দর না থাকায় চামড়া সঠিকভাবে সংগ্রহে জোর দেননি ব্যবসায়ীরা। আবার গরম আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে চামড়া বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। ফলে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি চামড়া এবার নষ্ট হয়েছে। এ কারণে আড়তে নিয়ে এসেও দাম না পেয়ে চামড়া ফেলে দিতে হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। সূত্র: মানবজমিন

    কোরবানীর চামড়া বরাবরই গরীব-মিসকিন ও এতিমের হক। যারা আল্লাহর হুকুম পালনে গরু,মহিষ, ছাগল বা হালাল পশু কোরবানী করেন, সেই পশুর চামড়া বিক্রির টাকা স্থানীয় মাদরাসার গরীব ছাত্র, এতিম-মিসকিন বা গরীব মানুষের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়ে থাকেন। কিন্তু কয়েক বছর হলো সেই চামড়ার দাম পাচ্ছেন না পশু কোরবানী দাতারা। এবার কোরবানীর পশুর চামড়ার দাম এমন কমা কমেছে যে, বিক্রির জন্য ক্রেতাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লাখ টাকার কোরবানীর গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। চামড়ার দাম না পাওয়ায় কোরবানী দাতাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে মাটিতেই পুঁতে দিচ্ছেন।

    গ্রাম-গঞ্জে সাধারণত হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কোরবানীর চামড়া সংগ্রহ করে তা পরে বিক্রি করে দেন। কিন্তু, এবার তারাও চামড়া নিয়ে খুব বেশি তৎপরতা দেখাননি। কোথাও কোথাও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা চামড়া সংগ্রহের পর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তা রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন বলেও খবর আসছে।

    তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে সিলেটে নগরীতে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৮০০ পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছিল খাসদবির দারুস সালাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ চামড়া বিক্রি করে যে টাকা আয় হতো তা দিয়ে মাদ্রাসার কিছুটা খরচ চলত। কিন্তু অন্যান্যবারের মতো এবারো চামড়াগুলো সংগ্রহ করলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় সেগুলো রাস্তায় ফেলে দিয়ে এসেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

    জানা গেছে, সারাদিনে সংগ্রহ করা ৮০০টি পশুর চামড়া নিয়ে ঈদের দিন রাতে আম্বরখানায় বিক্রি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্রেতারা মাত্র ২৫-৩০ টাকা দাম করছিলেন প্রতিপিস চামড়ার। এসময় চামড়া সিলেটের ব্যবসায়ীরা অজুহাত দেখান তারা গতবারের দেয়া চামড়ার টাকাই এখনো ঢাকা থেকে পাননি। সেগুলো বকেয়া থাকায় এবার তারা দাম দিয়ে চামড়া কিনতে পারছেন না। এমনকি এই টাকায় তারা যে চামড়াগুলো কিনছেন সেগুলোও বিক্রি করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।

    একপর্যায়ে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের ন্যায্য দাম দেয়ার দাবি জানিয়ে বলা হয় প্রয়োজনে বাকিতে চামড়াগুলো কিনে নিতে। ছয়মাস পরে টাকা দিলেও হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেটিও মানেন নি। ফলে চামড়া ব্যবসায়ীদের গঠিত সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ স্বরুপ ৮০০ চামড়া আম্বরখানায় ফেলে চলে যান তারা।

    জানা যায়, ঢাকা এবং এর আশপাশ থেকে চামড়া সংগ্রহ করে পুরান ঢাকায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসছেন। তাদের মধ্যে যমন ব্যবসায়ীরা রয়েছেন, তেমনি মাদরাসা-মক্তবের লোকজনও রয়েছেন। কিন্তু, ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তারা।

    সাধারণত কোরবানীর ঈদের দিন সকাল থেকেই কোরবানীর পশুর চামড়া কিনতে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা শহরের অলিগলি এবং গ্রাম গঞ্জের পাড়া-মহল্লায় চামড়া কেনার জন্য অপেক্ষা করেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে হুজুরদেরও দেখা যেত। পশু কোরবানীর পর সেই চামড়া কেনার জন্য টানাটানিও করেন। কিন্তু এবার সে দৃশ্য দেখা যায়নি। হাতেগোনা কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী এক থেকে দেড় লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ৫শ’টাকার বেশি দাম বলেননি। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চামড়া পড়ে থাকতেও দেখা গেছে।
    সব মিলিয়ে এবছর চামড়াখাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। এ খাত দিনদিন নিন্মমুখী হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কওমি মাদরাসাসহ চামড়ার অর্থ পাওয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা!
    দেশের কওমি মাদরাসাগুলোয় সুবিধাবঞ্ছিত লাখ লাখ ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করেন। এরা প্রায় সকলেই গরিব ঘরের সন্তান এবং অনেকেরই বাবা-মা নেই। এই অসহায় এতিদের কেউ অন্যের সহায়তায়, কেউ লিল্লাহ বোর্ডিং-এ থেকে লেখাপড়া করেন। বিপুলসংখ্যক এই শিক্ষার্থীর লেখাপড়া থাকা-খাওয়া তথা ভরণপোষণের অর্থ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ পেয়ে থাকেন অন্যের দান থেকে। বিশেষ করে ঈদুল ফিরতের সময় জাকাত এবং ঈদুল আজহার কোরবানির চামড়া মাদরাসায় দান করা টাকা থেকে বছরের অর্ধেক সময় এদের ভরণপোষণ হয়। কিন্তু এবার সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম বিপর্যয়ে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়লো কওমি মাদরাসাগুলো। কওমি মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্ররা বলছেন, কওমি মাদরাসার অধিকাংশ ছাত্র গরিব। মাদরাসায় লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের বিশাল ব্যয় রয়েছে। এই বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র অসহায়, এতিম শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে খাবার পেয়ে থাকেন। বছরের ৩ থেকে ৪ মাসের ব্যয় অর্থ সাধারণত কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির খাত থেকে আসতো। কিন্তু এবার চামড়ার দাম বাজারে কৃত্রিম বিপর্যয় হওয়ায় সেটা সম্ভব হবে না।

    ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও থাকা-খাওয়াতে ব্যাঘাত ঘটবে। তবে জামিয়া ইসলামিয়া শায়েখ জাকারিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল রব ইউসূফী মনে করেন মাদরাসা পড়–য়া এতিম-গরিব শিক্ষার্থীদের রিজিক আল্লাহর হাতে। তবে যারা সিন্ডিকেট করে চামড়া দর পতন ঘটিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটেছেন তাদের বিচার হওয়া উচিত।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছরই ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেন কওমি মাদরাসাগুলো শিক্ষার্থীরা। এই চামড়া বিক্রির টাকা কওমি মাদরাসাগুলোর অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখে। এ টাকা গরিব ছাত্রদের পড়ালেখা, থাকা-খাওয়ার পেছনে খরচ করা হয়। ঢাকার লালবাগের একটি কওমি মাদরাসার এক শিক্ষক ইনকিলাবকে বলেন, কোরবানির চামড়া থেকে আসা টাকা দরিদ্র, অসহায়, এতিম শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়া ও লেখাপড়ায় ব্যয় করা হতো। কিন্তু এবার সেটায় উপর তলার (ট্যানারি মালিক) চোখ পড়ায় সেটা হয়নি। আল্লাহ হয়তো চালিয়ে নেবেন তবে মাদরাসার এতিম শিশুদের কষ্ট হবে। রামপুরা জামিয়া কারিমিয়া আরাবিয়া মাদরাসার শিক্ষা সচিব মুফতি হেমায়েত বলেন, চামড়ার দাম কম হওয়ায় কওমি মাদরাসার বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

    ঢাকার একটি মাদরাসার শিক্ষক জানান, ২০১৮ সালে ঈদুল আজহায় তার মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঘুরে ঘুরে প্রায় দেড় হাজার গরুর চামড়া সংগ্রহ করেছিল। প্রত্যেকটি চামড়া ১ হাজার টাকা ধরে বিক্রি করা হয়। ৫ বছর আগে যদিও একটি চামড়া ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হতো। এবার (২০১৯) ঈদে এক হাজার ওপরে চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু, চামড়া বিক্রির জন্য কোনও গ্রাহক না পেয়ে মাদরাসার খরচে গাড়ি ভাড়া করে একজন আড়তদারকে দেয়া হয়েছে। তারা এখনো কোনও দাম দেয়নি। পরে বাজার দর অনুযায়ী টাকা দেয়া হবে এমন আশ্বাস দিয়েছেন মাত্র।

    রামপুরা নতুনবাগ জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসার মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আরমান বলেন, চামড়া বিক্রির টাকা দিয়ে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের খরচের একটি অংশের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এটা হয়তো খুব বেশি বড় নয়। কিন্তু তারপরও চামড়া বিক্রির খাত থেকে এই টাকা আসতো। এবার সেটা হচ্ছে না। এবারের ঈদে আমাদের শিক্ষার্থীরা ৪শ’ গরু চামড়া সংগ্রহ করে। একজন পরিচিত ব্যক্তির কাছে তা ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি করেছি। অথচ গত বছর ঈদুল আজহায় ২৮০টি গরুর চামড়া তুলে প্রতিটি ৯শ’টাকা দরে বিক্রি করেছি। এবার চামড়ার দাম নেই।
    জাকাত, কোরবানির পশুর চামড়া ও চামড়া বিক্রির টাকা কওমি মাদরাসার আয়ের অন্যতম উৎস। শুধু এই ঈদুল আজহার সময়েই কোরবানির পশুর চামড়া থেকে কমপক্ষে চার মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা।
    কওমি মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সরকার চামড়া মার্কেটটাকে কিছু লোকের হাতে তুলে দিয়েছে। সরকার কাঁচা চামড়া রফতানি করতে না দেয়ার ফলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রসেসিং এবং ট্যানারিতে পাঠানোটা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তখন মনোপলি এক কন্ট্রোল ট্যানারি মালিকদের হাতে চলে যায়। এ সুযোগটাই ট্যানারি মালিকরা নিয়ে সহজেই সিন্ডিকেট করে পানির দরে চামড়া কেনার সুযোগ নিচ্ছে। সরকার কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দিলে ট্যানারি মালিকরা প্রতিযোগিতায় আসতে বাধ্য হত। সরকার ইচ্ছে করেই এমনটি করেছে। যেন দেশের কওমি মাদরাসাসহ চামড়ার অর্থের সাথে সংশ্লিষ্ট হক্বদ্বাররা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
    যারা সিন্ডিকেট করে পরিকল্পিতভাবে চামড়ার দামে বিপর্যয় ঘটিয়ে গরিব এতিমদের হক খেয়েছে তারা চরম অন্যায় করেছে। তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়া উচিত। এতিমদের হক্ব খেয়ে, গরিব মুসলিমদেরকে তাদের প্রাপ্য হক্ব থেকে বঞ্চিত করে কয়েকজন মানুষ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে এটা মেনে নেয়া যায় না।
    তথ্যসূত্র: ইনকিলাব, মানবজমিন
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ঈদের দিন কুফফার বাহিনীর হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ১,২৪০০০ সিরিয়ান মুসলিম!


    ঈদুল আজহার দিনটিও নিরাপত্তা ও আনন্দে কাটেনি সিরিয়ার মুসলিমদের। ঈদের দিন সন্ত্রাসবাদী রাশিয়া এবং সিরিয়ার তাগুত সরকারের হামলায় উত্তর সিরিয়ার চুক্তিবদ্ধ কথিত সহিংসতামুক্ত এলাকা থেকে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মুসলিম বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে আনাদুলো এজেন্সির বরাত দিয়ে জানায় বার্তাসংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর।

    উত্তর সিরিয়ার সিভিল রেসপন্স কোঅর্ডিনেটরস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মুহাম্মদ হাল্লাজ আনাদুলো এজেন্সিকে বলে, রাশিয়া এবং সরকারী বাহিনী ইদলিবের খান শেইখোনের দিকে অগ্রযাত্রা করলে প্রায় ১,২৪০০০ সাধারণ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

    হাল্লাজের তথ্য মতে, ১৯,২৩১টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে ইদলিবের আতমা, দেইর হাসসান এবং কাফারলুসিন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

    হাল্লাজ মনে করেন, যদি তাগুত সরকার এবং তার মিত্রদলগুলো তাদের অপারেশনের পরিসীমা বাড়ায় তাহলে অন্তত দশ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারেন।

    উল্লেখ্য, ২০১৭সালের মে মাসে তুরস্ক, রাশিয়া এবং ইরান সিরিয়ার ইদলিবকে সহিংসতামুক্ত এলাকা ঘোষণা করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু, কুফফার বাহিনীর চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চুক্তি ভঙ্গ করে ঐ এলাকাগুলোতে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে।

    ‘সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস’ এর প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯সালের ২৬শে এপ্রিল থেকে ২৭শে জুলাই পর্যন্ত কথিত সহিংসতামুক্ত এলাকায় কুফফার বাহিনীর হামলায় ২০৮ শিশুসহ কমপক্ষে ৭৮১জন মুসলিম নিহত হয়েছেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সিরিয়ায় চলছে গণহত্যা, কথিত সহিংসতামুক্ত এলাকায় নিহত ১০জন মুসলিম!


      সিরিয়ায় চলছে সন্ত্রাসী কুফফার জোট বাহিনীর গণহত্যা। মুসলিমদের উপর হামলে পড়েছে কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী রাশিয়া, সিরিয়ার হিংস্র তাগুত সরকার এবং তার মিত্রদলসমূহ। গত বুধবারে রাশিয়া ও সিরিয়ার তাগুত সরকারী বাহিনী উত্তর সিরিয়ার কথিত সহিংসতামুক্ত এলাকায় বিমান হামলা করে। এতে, অন্তত ১০জন মুসলিম নিহত হয়েছেন বলে হোয়াইট হেলমেট সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির বরাত দিয়ে জানায় আনাদুলো এজেন্সি নামক বার্তাসংস্থা।

      আনাদুলো এজেন্সির সূত্রে জানা যায়, ইদলিবের খান শেইখোন, মাআরাত আল-নোমান, বিদামা এবং মাদায়া শহরের জনবসতিপূর্ণ এলাকাসমূহ এবং হামা প্রদেশের লাতামেনাহ এবং কাফরজিতা শহরে কামান এবং বিমান হামলা চালায় সন্ত্রাসী কুফফার জোট বাহিনী।

      এসময় মেডিকেল সেন্টারেও ১৭টি বিমান হামলা করা হয়েছে বলে জানা যায়। বিমান হামলার ফলে একজন নার্স এবং একজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মাআরেত হার্মার এক মেডিকেল সেন্টারে নিহত হয়েছেন।

      জেনে রাখার বিষয় হলো, তুরস্ক এবং রাশিয়া ইদলিব অঞ্চলকে হামলামুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু, এখন সেখানেই চলছে সিরিয়ান মুসলিমদের উপর নির্মম গণহত্যা। লাখো মানুষ হয়েছেন বাস্তুচ্যুত।

      ‘সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস’ এর প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯সালের ২৬শে এপ্রিল থেকে ২৭শে জুলাই পর্যন্ত কথিত সহিংসতামুক্ত এলাকায় কুফফার বাহিনীর হামলায় ২০৮ শিশুসহ কমপক্ষে ৭৮১জন মুসলিম নিহত হয়েছেন।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        রোহিঙ্গারা কি মরণ ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে!?

        সন্ত্রাসী বৌদ্ধগোষ্ঠী রোহিঙ্গা *মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালিয়ে দেশছাড়া করেছে প্রায় দু’বছর হয়ে গেলো। ঐসময় সন্ত্রাসবাদী বৌদ্ধদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে আশ্রয় নেন লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম। কিন্তু, এখানেও নিরাপদ বা শান্তিতে নেই তারা। অসামাজিক পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা। এমন পরিস্থিতিতে চারটি শিবিরের ৩ হাজার ৫৪০জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। আগামী ২২শে আগস্ট এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানায় গণমাধ্যমসমূহ। কিন্তু, মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি নন রোহিঙ্গা মুসলিমরা! কেন?

        কারণ হলো মিয়ানমারে মুসলিমদের জন্য মরণ ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে ফিরিয়ে নিতে চাইলেও সেখানে ফিরে যাওয়ার মত পরিবেশ তৈরি করেনি সন্ত্রাসবাদী বৌদ্ধগোষ্ঠী। বরং, চরম হিংস্র আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে মিয়ানমারে। বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে লড়াই চলছে মিয়ানমারের বৌদ্ধ সরকারের। বিভিন্ন সংস্থা জানাচ্ছে, মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য এখনো নিরাপদ নয়। আবারো গণহত্যা চালাতে পারে হিংস্র বৌদ্ধগোষ্ঠী।

        তাই, বিশ্লেষকগণ মনে করেন, এরকম পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদেরকে হিংস্র বৌদ্ধদের হাতে তুলে দেওয়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সুস্পষ্ট অন্যায়। আর, বাংলাদেশের মুসলিম জনসাধারণ তাদের রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই-বোনদের খোঁজখবর না দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবে বলেও মনে করেন তারা।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          Allah sokol muslim dar ka hafazot koran amin

          Comment


          • #6
            এদেশে এখন প্রকৃতভাবে ইন্ডিয়া চালাচ্ছে।
            ان المتقین فی جنت ونعیم
            سورة الطور

            Comment


            • #7
              আল্লাহ আপনাদের কে কবুল করুন,আমিন।
              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

              Comment


              • #8
                আহ........প্রিয় *উম্মাহ, তোমাদের অবস্থা কত করুণ...আমরা যেন নির্বাক দর্শক ছাড়া আর কিছুই করতে পারছি না..........হে আল্লাহ, আপনি আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদেরকে তাওফিক দান করুন। উম্মাহকে হেফাযত করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment

                Working...
                X