হিন্দু সন্ত্রাসের জেরে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো ভারতের রাজস্থানে!
রাজস্থানের হিন্দুত্ববাদী পুলিশ বাহিনী।
ভারতে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে সন্ত্রাসবাদী গো-পূজারী মুশরিক হিন্দুদের বর্বরতা। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়পুরে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের ধারাবাহিকতায় গত রবিবার আবারো দুই দলের মধ্যে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা ‘দ্য ওয়্যার’ জানিয়েছে, গত ২৫শে আগস্ট রবিবারে রাজস্থানের সাওয়াই মধুপুর জেলার গঙ্গাপুর শহরের জামা মসজিদ এলাকায় সন্ত্রাসবাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুশরিক হিন্দুরা এক মিছিল করে। ঐসময় তারা উদ্দেশ্যপ্রোণিদিতভাবে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী নানা প্রকারের স্লোগান দিতে থাকে। আর, এতেই উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
স্থানীয় মুসলিম নেতা আমীন সরদার ‘দ্য ওয়্যার’কে জানান, প্রতি বছর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা ১০০ সদস্য নিয়ে ছোট আকারে মিছিল বের করলেও এবার তারা মিছিলে প্রায় ৪০০০ মুশরিকের সমাবেশ ঘটিয়েছে। এর পেছনে তাদের উদ্দেশ্য কেবল এটাই যে, হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের কাছ থেকে জামা মসজিদ এলাকার মধ্য দিয়ে মিছিল করার অনুমতি পাওয়া।
আমীন সরকার আরো জানান, জামা মসজিদ এলাকায় পৌঁছে সন্ত্রাসবাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা সেখানে কমপক্ষে ২০০ লোক জড়ো করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রায় ১০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করে। পরে যখনই তারা জড়ো হয় সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের মিছিলের শেষ দিক থেকে কিছু মুশরিক তলোয়ার উঁচু করে ধরে এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে নানা প্রকারের খারাপ স্লোগান দিতে থাকে। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের কিছু লোক তাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে এবং জবাবে তারাও আমাদের দিকে পাথর ছুঁড়ে।
ঐ মিছিলে মুশরিক হিন্দুদের মুসলিমবিরোধী স্লোগানের বেশ কয়েকটি ভিডিও আছে এবং পুলিশবাহিনী নিজেরাও ঐ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। মুশরিক হিন্দুদের স্লোগানের মধ্যে একটা স্লোগান এমন যে, ‘হিন্দুস্তানে থাকলে হলে, চুপচাপ থাকতে হবে।’
কিন্তু, এসকল মুশরিক হিন্দু সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করেনি ভারতের মুশরিক হিন্দুত্ববাদী পুলিশবাহিনী। বরং, গ্রেফতার করেছে মুসলিমদেরকে। এ অভিযোগ করে আমীন সরকার জানান ‘কেন আমাদের নিয়ে খারাপ মন্তব্যকারী লোকদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?’
ঐ অঞ্চলের আরেক নেতা জানিয়েছেন, ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী পুলিশকে মুশরিকদের মুসলিমবিরোধী স্লোগান সম্পর্কে বার বার বলা হলেও তারা কানে নেয়নি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা যা করতে তাদেরকে আদেশ করেছে, তারা তাই করেছে।
সংবাদসংস্থা ‘দ্য ওয়্যার’ জানিয়েছে, ঐ অঞ্চলে পরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এটা নিয়ে এ মাসের মধ্যেই রাজ্যটিতে ২টি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। এর আগে জয়পুরে ঈদ উল আযহার দিন মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঐসময়ও, মুশরিকরা মুসলিমবিদ্বেষী স্লোগান দিয়েছিল।
Comment