Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২২ মুহাররম ১৪৪১ হিজরী # ২২সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২২ মুহাররম ১৪৪১ হিজরী # ২২সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ভুলবশত হত্যার কারণে ১০ লাখ রুপি, একটি গাই ও ২টি বকরি দিয়্যত হিসাবে আদায় করলো আফগান তালেবান





    গত ২১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশের “সাবিরিয়ু” জেলায় যুদ্ধ চলাকালীন মুহুর্তে ভুলবষত শুত্রু বাহিনীর সদস্য সন্দেহে উক্ত জেলার “হাজি জমহুর গুল” কে হত্যা করেন একজন তালেবান মুজাহিদ। যার পরে মাকতুলের পরিবার ইমারতে ইসলামিয়ার বিচার বিভাগে বিচার দায়ের করে, পরে সকল স্বাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে উক্ত তালেবান যোদ্ধাকে দিয়ত আদায় করতে আদেশ দেয় ইসলামি আদালত।

    পরে ইমারতে ইসলামিয়ার পক্ষহতে উক্ত পরিবারকে দিয়ত হিসাবে ১০ লাখ আফগান রুপি, ১টি গাই ও ২টি বাকরী প্রদান করা হয়। এছাড়াও আরো বেশ কিছু জিনিস উক্ত পরিবারকে প্রদান করেন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।
    এদিকে মাকতুলের পরিবার ইমারতে ইসলামিয়ার এমন ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ রায়ে মুগ্ধ হয়ে উক্ত মুজাহিদকে ক্ষমা করে দেন এবং ইমারতে ইসলামিয়ার পক্ষহতে দেওয়া সকল অর্থ, গাই ও বাকরী ফিরত দিয়ে দেন, পরে ইমারতে ইসলামিয়ার আবেদনের পর মাত্র ২ লাখ রুপি গ্রহণ করেন মাকতুলের পরিবার।

    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/22/26990/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগের চার নেতার ছত্রচ্ছায়ায় রমরমা ক্যাসিনো


    ঢাকার স্পোর্টস ক্লাবগুলো ঘিরে কয়েক দশক ধরে রমরমা জুয়ার আসর বসানো হচ্ছে। তবে বছর চারেক আগে এই জুয়ার আসরগুলোকে ক্যাসিনোতে উন্নীতকরণ শুরু হয়।

    ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানীজুড়ে ক্যাসিনোর বিস্তার ঘটে। ওই নেতারাই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে ক্যাসিনো পরিচালনা করে আসছিল। ঢাকার নামিদামি বেশ কয়েকটি ক্লাব, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মূলত রাজধানীর মতিঝিল থানার বিভিন্ন এলাকার স্পোর্টস ক্লাবগুলোয় জুয়ার আসরকে ক্যাসিনোতে উন্নীত করার মূল উদ্যোক্তা হল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানেই ক্যাসিনো যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। এ কাজে সম্রাটের সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো খোলা ও সেগুলো পরিচালনায় যুক্ত হয় সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতাও। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হল স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সন্ত্রাসী মোল্লা মো. আবু কাওছার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সন্ত্রাসী এ কে এম মোমিনুল হক সাঈদ।

    কালের কন্ঠের বরাতে জানা যায় সম্রাট যুবলীগের প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে।
    ২০১৬ সালের দিকে ঢাকায় তাঁর ক্যাসিনো কালচার শুরুর ঘটনা সবার জানা। কিন্তু নগদ অর্থের লোভে সবাই এত দিন মুখ খোলেনি। সন্ত্রাসী যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে সম্রাট অর্থ ও লোকজন দিয়ে সহযোগিতা করত।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের একজন সহসভাপতি কালের কণ্ঠকে বলে, ‘ঢাকার ক্লাবগুলোতে জুয়া খেলা চললেও ক্যাসিনো ছিল না। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতারা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ক্যাসিনোর বিস্তার ঘটিয়েছে। ’

    স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ২০১৮-১৯ মেয়াদে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি। এ ক্লাবে দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাসিনো পরিচালনা করা হয়।

    একটি সূত্র জানায়, দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্ত্রাসী খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া নিয়ন্ত্রণ করত ইয়ংমেনস, আরামবাগ ও মেরিনার্স ক্লাবসহ আরো কয়েকটি ক্লাব। তবে তাঁর গুরু ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এসব ক্লাবের ক্যাসিনো থেকে সম্রাট প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পেত। খালেদকে যুবলীগের রাজনীতিতে অগ্রভাগে আসার সুযোগ করে দেয় সম্রাট।
    ইসমাইল হোসেন সম্রাট সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করত তিনটি ক্যাসিনো। এগুলো হচ্ছে—মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, ব্রাদার্স ক্লাব ও বনানী এলাকার গোল্ডেন ঢাকা। এ ছাড়া মতিঝিল এলাকার ফুটবল ক্লাব আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব, সোনালী অতীত, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ ছিল সম্রাটের হাতে। ওই ক্লাবগুলো মতিঝিল থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে। স্থানীয় কতিপয় যুবলীগ নেতার মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হতো।

    যুবলীগের একটি সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী ইসমাইল হোসেন সম্রাটের হাত ধরে যুবলীগের রাজনীতি ও অপরাধজগতে পূর্ণ প্রতিষ্ঠা পেলেও এক বছর ধরে খালেদ নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছিল। এরই মধ্যে তাঁর নিজস্ব বাহিনীও গড়ে উঠেছে। তবে এখনো সম্রাট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি। রাজধানীর মুগদা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, সবুজবাগ, খিলগাঁও ও রামপুরা এলাকার সব কটি সরকারি দপ্তরের টেন্ডারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছিল খালেদের হাতে।
    ক্যাসিনো থেকে টেন্ডারবাজি পর্যন্ত খালেদের হয়ে নিয়ন্ত্রণ করত গোড়ান এলাকার কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, যুবলীগ দক্ষিণের সদস্য খায়রুল, উজ্জল রাজু ও রইস। তাঁদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল খালেদ বাহিনী।

    অপরাধজগতের নানা দিকেই বিচরণ সন্ত্রাসী যুবনেতাদের। টেন্ডারবাজি, মাদক কারবার থেকে ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করত দক্ষিণ যুবলীগের সন্ত্রাসী নেতারা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ক্রীড়া পরিষদ, রেল ভবন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, যুব ভবন, কৃষি ভবনসহ সরকারি দপ্তরগুলোর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ সন্ত্রাসী যুব ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের হাতে। একাধিক সূত্র জানায়, ক্যাসিনোর আয় থেকে শুরু করে টেন্ডারসহ নানা খাত থেকে আসা টাকার ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ক্যাশিয়ার ছিল যুবলীগ দক্ষিণের সহসভাপতি আরমান। তাঁর কাছেই বিভিন্ন খাতের টাকা জমা হতো। সম্রাটের নির্দেশেই ওই অর্থ খরচ হতো নানা পথে।
    এ ছাড়া ইসমাইল হোসেন সম্রাটের হয়ে ক্যাসিনো থেকে টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া দেখাশোনা করে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মতিঝিল এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদ, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সরোয়ার হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদ, সহসভাপতি মুরসালিন, মনির হোসেন, মনা ও রানা। যুবনেতাদের হয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে টেন্ডার শফি বা শিবির শফি এবং বিআইডাব্লিউটিএর টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে মনির হোসেন।
    গত বছরের শেষ দিকে সিঙ্গাপুরে ইসমাইল হোসেন সম্রাটের চীনা বান্ধবী সিন্ডি লির জন্মদিনে বড় আকারের একটি পার্টির আয়োজন করে সম্রাট। জাঁকজমকপূর্ণ ওই পার্টিতে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যায় সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ দক্ষিণের সহসভাপতি আরমান। সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদ, শেখ সোহেল ও সাবেক এক প্রতিমন্ত্রীর এপিএস মিজানুর রহমান।

    সিঙ্গাপুরে ওই পার্টিতে যোগ দেওয়া গ্রুপটিই মূলত বাংলাদেশে ক্যাসিনোর প্রধান হোতা। তারা দেশে ক্যাসিনোর নিন্ত্রয়ক হলেও সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও দুবাইতে গিয়ে নিয়মিত জুয়া খেলত বলে যুবলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছে।
    মতিঝিলকেন্দ্রিক ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনো ছাড়াও রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর ও উত্তরা এলাকায় দুটি ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করে একজন আওয়ামী লীগ ও একজন যুবলীগ নেতা। ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্লাবের ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করত সম্রাট। একসময় কলাবাগান এলাকার স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিরোধের কারণে ওই ক্যাসিনো বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্লাবটির সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল আলম ফিরোজসহ ধানমণ্ডির স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ওই ক্যাসিনো চালু করে। রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে একটি ক্যাসিনো পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর যুবলীগের নেতা সরোয়ার হোসেন। মিরপুরের রূপনগর ও দুয়ারীপাড়া এলাকায় একাধিক স্থানে জুয়ার আসর বসিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
    রাজধানীর মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্রে দীর্ঘদিন ধরে হাউজিসহ নানা জুয়া খেলা হতো। পরে ক্লাবটিকে ক্যাসিনোতে উন্নীত করা হয়। ক্লাবটি পরিচালনায় যুক্ত রয়েছেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/22/26964/



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ফেনীতে মালাউন এসআইসহ পাঁচজনের গণধর্ষণের শিকার বিধবা নারী




      ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) সুজন কুমার দাস, সঞ্জু শিকদার, আফলাছসহ পাঁচজন মিলে এক মুসলিম বিধবা নারীকে ধর্ষণ করেছে।


      ওই নারী জবানবন্দিতে বলেছেন, অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা সুজনও তাকে ধর্ষণ করেছিল। তবে পুলিশের ভয়ে তিনি মামলার এজহারে এএসআই সুজনকে আসামি করেনি।
      ওই বিধবার স্বজনরা জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর সোনাপুর গ্রামে কালা মিয়া ও তার ছেলে মাসুদসহ কয়েকজনের হামলার শিকার হয় ওই বিধবার পরিবার।

      তখন ওই সোনাগাজী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নারী। তা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিল এএসআই সুজন। এরপর থানায় এক নারী প্রতারকের খপ্পরে পড়েন ওই নারী।
      বিধবা ওই নারীর অভিযোগ, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রহিমা নামে ওই প্রতারকের সহযোগিতায় সঞ্জু শিকদার, আফলাছসহ পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করে, তার সঙ্গে থাকা গহনা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ঘটনাটি নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার হুমকি দেয়।

      সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/22/26974/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হবিগঞ্জে শিক্ষিকা ও দুই ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা





        হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দুই ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ ওরফে ফুল মিয়া

        গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনা ঘটে

        ফুল মিয়া গোলগাঁও এলাকার বাসিন্দা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি
        আহতরা হলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার (৪০), গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আবদুল হান্নান রমিজের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১০) এবং চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শাহজাহান মিয়ার মেয়ে শারফিন আক্তার ()

        স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিয়মিত স্কুলে না আশার অভিযোগে এক ছাত্রীকে মারপিট করে বিদ্যালয়ের দাতাসদস্য ফুল মিয়া। সময় প্রধান শিক্ষিকা এবং উল্লেখিত দুই ছাত্রী প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকেও মারপিট করে ওই ব্যক্তি

        নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন ফুল মিয়া। শিক্ষিকা ছাত্রীদের মারপিটের উপযুক্ত বিচার দাবি জানিয়েছেন তারা

        সূত্র: যুগান্তর
        সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/22/26977/

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          শুদ্ধি অভিযান, অন্তর্কোন্দল, নাকি চক্রান্তের নতুন ধাপ?




          বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কোন নৈতিক আদর্শবান দল নয়। খুন, ধর্ষণ, হত্যা, রাহাজানি, মাদকব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, ভবন দখল এমনকি ব্যাংক দখলের সাথেও জড়িয়ে আছে এ দলের নাম। আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যারা সবসময় মাঠদখল এবং লাঠালাঠির রাজনীতি করে আসছে। গত ১১ বছরে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ তারা শুষে নিয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ব্যাংকের অর্থ চুরি, অসংখ্য ঘটনায় তারা হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। এসব অপরাধের কোনটারই বিচার হয়নি। হবার কথাও না। কারণ এসব অপরাধের সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের লোকজন থেকে শুরু করে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং হাসিনা নিজে। এগুলো বাংলাদেশের ওপেন সিক্রেট।
          তবে, এবারে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা! চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা আর টাকার বিনিময়ে কমিটি গঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নিত্যদিনের অভিযোগ হলেও, এবার এসব অভিযোগেই ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করলো শেখ হাসিনা! এতদিনের অপকর্মের পর হঠাৎ কি জেগে উঠলো আওয়ামী লীগের নৈতিকতা? এতো রাতের বেলা সূর্য উদিত হওয়ার মত অসম্ভব ব্যাপার। যে অপরাধের কারণে ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে বিদায় করা হলো, সেই একই অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের ছোট-বড় প্রায় সকল নেতা। তাহলে কেন এই রদবদল?
          ছাত্রলীগের ঘটনার রেশ কাটার আগেই শুরু হল যুবলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান। বহু বছর যাবৎ প্রশাসনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য মদদে,সংসদ সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের উচ্চপদস্থ নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে চলে আসা ঢাকার বেশ কয়েকটি জুয়ার আড্ডাখানার বিরুদ্ধে হঠাৎ কেন অভিযোগ-অভিযান? কেন আজ হঠাৎ যুবলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা গ্রেফতার? হঠাৎ হাসিনার এ পরিবর্তনে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে তো বলেই ফেললো, এতদিন কি এগুলো কেউ জানতো না? হঠাৎ কেন ধরপাকড় চলছে? প্রশ্নটা আসলে আমারও!
          যে ছাত্রলীগ আর যুবলীগ দিয়ে ক্যাম্পাস আর রাজপথ দখল করে রেখেছে হাসিনা, আজ কেন তাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হল হুকুমের গোলাম র*্যাব আর পুলিশ বাহিনীকে? আবার গ্রেফতার যুবলীগ নেতা শামীমের সাথে র*্যাব প্রধান বেনজিরের দহরম মহরমের খবরও ফাঁস হয়েছে। বেনজিরের মাধ্যমেই র*্যাব হেডকোয়ার্টারের ৫০০ কোটি টাকার কাজ পেয়েছিল শামীম। সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক ঘোলাটে পরিস্থতির। মানুষের মনে ঘুরছে নানা প্রশ্ন।
          এসব প্রশ্নের সম্ভাব্য জবাব হিসাবে বাজারে রটেছে বেশ কিছু গুজব।
          এক ভাষ্যমতে শেখ হাসিনা ক্যান্সারে আক্রান্ত। হাসিনার পর ক্ষমতায় কে আসবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে শেখ পরিবারে। হাসিনার সাথে তার বোন রেহানার চলছে ঠাণ্ডা লড়াই। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে লীগের অনেকেই ঝুঁকছে রেহানার দিকে। ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে রদবদল, যুবলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেফতার- এগুলো সেই দ্বন্দ্বেরই প্রতিক্রিয়া বলে দাবি অনেকের! এভাবে রেহানাপন্থীদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলেও অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
          এসব গুজবের সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করা কঠিন। সময়ই একসময় বলে দিবে এগুলোর বাস্তবতা। তবে সবমিলিয়ে তাগুত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, বিবাদ চলছে, তা স্পষ্ট।
          এ ঘটনাগুলো শুনে মনে পড়ছে প্রায়ই সংবাদপত্রের পাতায় দেখা এক শিরোনামের কথাঃ ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ!’। ঐ ঘটনাগুলো আঞ্চলিক। কিন্তু, এবার সম্ভবত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। যেকোনমূল্যে ক্ষমতা অর্জনের আদর্শে যারা বিশ্বাসী তারা ক্ষমতার জন্য দলীয় নেতাকেও ‘সরিয়ে দিতে’ দ্বিতীয়বার ভাববে বলে মনে হয় না।
          পুরো পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করে কিছু আওয়ামী নেতার বক্তব্য। যেমন হাসিনা সরকারের ধর্ম(!) প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছে, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়য্ন্ত্র হলে গেরিলা যুদ্ধ করে প্রতিহত করা হবে।’ গেরিলা যুদ্ধ তো করে বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশে আজ সবচেয়ে বড় খেলোয়ার আওয়ামী লীগ। পুলিশ-প্রশাসন-সেনাবাহিনী, তাদেরই হাতে। তাহলে তারা কাদের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ করবে? কে সেই প্রবল প্রতিপক্ষ? দেশের কেউ নিশ্চয় না। তাহলে কি ভারত?
          শেখ আব্দুল্লাহরা কি মনে করছে ভারতের মদদে আওয়ামী লীগের এক অংশ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করছে? আর, সেই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধেই কি হাসিনা সরকার অভ্যন্তরীণ ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালাচ্ছে? রব্বানী-শোভন-খালেদ-শামীমরা কি এ চক্রান্ত দমনের অংশ হিসাবে আজ দণ্ডিত? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু দালাল হলুদ মিডিয়াতে চেপে যাচ্ছে সবই।
          অন্যদিকে, হাসিনা সরকারের অর্থের ঝুলিও খালি হয়ে পড়েছে। অর্থাভাবে আছে সরকার। সরকারী ব্যাংকগুলোর টাকা শেষ হওয়ার পর হাসিনার নজর এখন পড়েছে পেট্রো বাংলার মত বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে। ১২ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রথম আলোর ‘টাকার খোঁজে সরকার’ শিরোনামের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সোয়া ২ লাখ কোটি টাকা আছে। যার ৭৫% টাকা দিয়ে সরকারের খরচ মেটাতে একটি নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ। কিন্তু, এতে আবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন ‘এবিবি’র চেয়ারম্যান। তার মতে, এভাবে টাকা তুলে নিলে ব্যাংকগুলো বড় ধরণের সমস্যায় পড়ে যাবে। আসলে শুধু ব্যাংক না, এভাবে টাকা তোলা হলে ভেঙ্গে পড়বে দেশের পুরো অর্থনীতি। কেবল গরীব না, পেটে লাথি পড়বে শহুরে মধ্যবিত্তেরও। অন্যদিকে চীনও সরে পড়ছে সরকারের পাশ থেকে। জানিয়ে দিয়েছে আপাতত নতুন কোন অর্থায়ন তারা করবে না।
          কিন্তু, সরকারের অর্থ চায়। অনুগত চ্যালাচামুণ্ডাদের পুষতে বিপুল অর্থ দরকার হাসিনার। তাই, বিশাল এই অর্থ চাহিদা মেটাতে দেশ যে বড় ধরণের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
          একদিকে সরকারের অভ্যন্তরীণ বিবাদ অন্যদিকে দেশের চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়। সবমিলিয়ে জটিল আকার ধারণ করছে দেশের পরিস্থিতি। আর, এরকমই একটি সুযোগের অপেক্ষায় হয়তো দিন গুণছে এদেশের শত্রু এবং মুসলিমদের শত্রু উগ্র হিন্দুরা। উগ্র হিন্দুরা প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়েছে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার। কীভাবে তা প্রতিষ্ঠিত হবে তার ইঙ্গিতও সাম্প্রতিক সময়ে তারা দিয়েছে।
          একদিকে, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কার্যালয় থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ জায়গায় উগ্র হিন্দুদের বসানো হচ্ছে, ইসকনের বেশে চলছে দেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রচার, বাংলাদেশে কাল্পনিক হিন্দু নির্যাতনের নালিশ ট্রাম্পের কাছে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আবার ভারতীয় উগ্র হিন্দু নেতারা বাংলাদেশ দখলের প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে আসাম থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ এদেশে ঠেলে দেয়ার। এরই মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে দিন দিন অবনতি হচ্ছে দেশের পরিস্থিতির। আর এরকম এক পরিস্থিতির অপেক্ষাতেই হয়তো রয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। হয়তো এমন কোন সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে উপমহাদেশে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার প্রকল্পকে।

          সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/22/26984/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            শুধু বাংলাদেশি মুসলিমদের তাড়াতে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি প্রয়োজন’- দিলীপ ঘোষ




            বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের জন্যই এনআরসির প্রয়োজন আছে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি মালাউন দিলীপ ঘোষ।
            সময় নিউজ টিভি সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে সে এ মন্তব্য করেছে।

            এ সময় দিলীপ ঘোষ বলেছে, যারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ঢুকেছে, অনুপ্রবেশকারী মুসলিম তাদের জন্যই এনআরসি দরকার আছে।’

            বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলেছে। এ সম্পর্কে বলেছে, ‘ওপার বাংলা থেকে যারা উদ্বাস্তু হিন্দু এসেছে তারা এ ভারতে থাকবে। এখানে নাগরিকত্ব বিল পাস হলেই আমরা তাদের নাগরিকত্ব দেব। এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।’
            শুধু বাংলাদেশি মুসলিমদের তাড়াতে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি প্রয়োজন। হিন্দুদের কোন ভয় নাই।

            সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/22/26998/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              থানায় প্রকাশ্যে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করল মালাউন ওসি শিশির কুমার পাল




              বরিশালের উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শিশির কুমার পাল এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রীকে থানার মধ্যে প্রকাশ্যে মারধর করেছে।
              এতে ওই বৃদ্ধার গালে রক্তাক্ত জখম এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে জখমের সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে রাশিদা বেগম (৬২) নামের ওই বিধবাকে মারধরের পর তার গালে সিগারেটের আগুনের ছ্যাকা দিয়েছে কনস্টেবল পুলিশ সদস্য জাহিদ।
              এ ঘটনার পরপরই নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধাকে থানা সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের সামনে চিৎকার করে কান্না করতে দেখা যায়।
              খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে ওসির হাতে মারধরের শিকার বৃদ্ধা রাশিদা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘জাহিদ পুলিশ এই চায়ের দোকানে (থানা সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে বাচ্চুর দোকান) বসে আমার গালে সিগারেটের আগুনের ছ্যাকা দিয়ে পুড়িয়েছে। দেয়ালের সাথে আমার মাথা ঠুকিয়েছে। পিঠে ও ঘাঁড়ে ছয় থেকে সাতটি ঘুষি দিয়েছে। পাশের লোকজন ও দোকানদার না থাকলে আমাকে মেরেই ফেলতো। মারধরের সাথে আমার মা-বোন নিয়েও গালিগালাজ করেছে।’

              এ সময় রাশিদা কাঁদতে থাকে আরো বলে ‘মার খেয়ে ওসির কাছে গেলাম ওসি আবারও মারলো। পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হয়ে আমি সাথে সাথে ওসি শিশির কুমার পালকে বিষয়টি জানাই। এ সময় সেখানে উপস্থিত থানার আরও একজন পুলিশ কর্মকর্তা ওসিকে ঘটনার সাক্ষি দেয়।

              এ ঘটনায় ওসি শিশির কুমার পালের কাছে বিচার দিতে গেলে সে ডিআইজির কাছে যেতে বলে। এ সময় রাশিদা বেগম তাকে বিচার করার জন্য বললে ওসি তার চুলের মুঠি ধরে মারধর করে। একপর্যায় তাকে উঠিয়ে মাটিতে আছাড় দিলে রাশিদা বেগম সেখানেই মলত্যাগ করেন।

              এ সময় রাশিদা বেগমের ছেলে বাবু এসে প্রতিবাদ করলে তাকে থাপ্পড় দেওয়াসহ সাদা কাগজে সই নেওয়া হয়। এছাড়া, রাশিদা বেগমের সঙ্গে থাকা ১৩ হাজার টাকা দামের একটি স্বর্ণের চেইনও নিয়ে যায় তারা। এই ঘটনায় মামলা করলে তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
              পরে আবার আমাকে গালি দিয়ে বলে, ‘শালির ঝি শালি বের হ, এখানে আসছো কেনো।’ এরপর শুরু করে দুই গালে থাপ্পড়। এক পর্যায়ে ওসি থাপ্পড় দিতে দিতে তার রুম থেকে বের করে দেয়। তারপরও আবার বাইরে এসে আমাকে গলা ধাক্কাতে ধাক্কাতে থানার পশ্চিম পাশ্বের ব্রিজের গোড়ায় মাটিতে ফেলে দিয়েছে। এতে হাত-পায়ের অনেক স্থানের চামড়া উঠে গেছে।

              কেনো এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে জানতে চাইলে বৃদ্ধা রাশিদা এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার পানিচত্বর এলাকার বাসিন্দা। তার স্বামী মঈন উদ্দিন মাতবর একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর পূর্বে তার স্বামী দায়িত্ব পালনকালে মারা যায়। গত দেড় বছর আগে রাশিদার বড় ছেলে রাসেলের বৌ খুন করে তার ছেলে রাসেল ও হাসানকে।

              বৃদ্ধা রাশিদার ছোট ছেলে পরিবহন শ্রমিক বাবু (২১) জানায়, দুই সহোদর ভাই ভাবীর হাতে খুন হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার বৃদ্ধা মা রাশিদা বরিশাল পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অফিসে দৌড়ঝাপ করতেছিলো। প্রায় প্রতিদিন যাতায়াত করতে হতো পিবিআই অফিসে। এজন্য তার মা বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কালাম নামের এক ব্যক্তির বাসায় ভাড়া থাকত। সেখানে মায়ের কাছে প্রায়ই তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছোট বোন (১১) বেড়াতে যেতো।
              নির্যাতিতা রাশিদা জানান, প্রায় এক মাস আগে মেয়ে তার কাছে বেড়াতে আসলে মেয়েকে ওই ভাড়া বাসায় রেখে তিনি (রাশিদা) মামলার কাজে বরিশাল শহরে যান। এই সুযোগে বাসা থেকে স্থানীয় শুক্কুর, বোরহান, আনিচ, কালামসহ বেশ কয়েকজন বখাটে মিলে তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

              এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গত ২৪ দিন আগে তার মেয়েকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পুলিশ সংবাদ দিয়ে তাকে থানায় ডেকে মেয়েকে তার হাতে বুঝিয়ে দেন।
              এ সময় বৃদ্ধা রাশিদা থানার ওসি শিশির কুমার পালকে বলে, ‘দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। কিন্তু ওসি তাকে বলে আপনার মেয়ে পেয়েছেন আপনি চলে যান বিচার হয়ে গেছে।’
              এ অবস্থায় থানা থেকে মেয়েকে নিয়ে বৃদ্ধা রাশিদা বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথে পূর্বের অভিযুক্তরাই আবার তার মেয়েকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন আবারও থানায় এলে ওসির কথানুযায়ী অভিযোগ লিখে জমা দেয়। কিন্তু তাতেও কোনো সুফল না পেয়ে পরদিন নতুন করে আবার একটি অভিযোগ দিলে ওসি রাশিদার সামনে অভিযোগ ছিঁড়ে ফেলে দেয়।
              বৃদ্ধা রাশিদা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, এভাবে ৩ বার ওসির কাছে অভিযোগ দিয়েছি আর প্রত্যেকটি অভিযোগ ওসি তার সামনেই ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে বলে, ‘এসব নিয়ে সময় নষ্ট করা সম্ভব না।’
              এদিকে মেয়েকে ছিনিয়ে নেয়া বখাটেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়ায় তার স্বজনরা রাশিদার ভাড়া বাসায় তালা ঝুঁলিয়ে দেয়।

              রাশিদা আরও বলেন, গত বুধবার (১১ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় ওসি আমাকে থানায় ডেকে আনে। সন্ধ্যায় আমি থানায় ওসির সাথে দেখা করতে রুমে গেলে সে বলেছে, আপনি একটু পরে আসেন, আপাতত থানার বাইরে চায়ের দোকানে গিয়ে বসেন।’

              ওসির কথানুযায়ী রাশিদা তার রুম থেকে বেরোতেই পুলিশ সদস্য জাহিদ তাকে বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করলে জানায় মাদারীপুর। এরপর একটু সামনে এগিয়ে থানার পশ্চিম পাশের গেটের কাছে আসলে বৃদ্ধা রাশিদাকে জাহিদ পুনরায় বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করে। তিনি একই উত্তর দেন। পরবর্তীতে থানার সামনের বাচ্চুর চায়ের দোকানে গিয়ে বসলে ওই পুলিশ সদস্য জাহিদ ফের রাশিদাকে বলে আপনার বাড়ি কোথায়, এখানে কি?
              এ সময় বৃদ্ধা রাশিদা রেগে গিয়ে জাহিদকে জানায় ‘কয়েকবার তো বললাম মাদারীপুর, শোনেননি।’ এরপরই পুলিশ সদস্য জাহিদ তাকে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে গালে সিগারেটের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

              নির্যাতিতা রাশিদা ও তার ছেলে বাবুর দাবী, রেঞ্চ ডিআইজির কাছে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় থানার ওসি শিশির কুমার পাল রাশিদার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই ওসি শিশির কুমার পাল ও পুলিশ সদস্য জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা।

              সূত্র: নয়া দিগন্ত, দৈনিক আমার সংবাদ
              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/22/27001/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। প্তিয় ভাইয়েরা, শহিদ ভাইদের সাথে ফুল দেওয়া থাকে, এবিষয়ে একটু ক্লিয়ার করলে উত্তম হয়!
                ان المتقین فی جنت ونعیم
                سورة الطور

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল মেহনতকে কবুল করুন এবং মুসলিম উম্মাহকে হিফাযত করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X