মোহাম্মদপুরে বৃদ্ধার ১২ লাখ টাকার গরু লুটে নিয়ে গেল সন্ত্রাসী যুবলীগ-কৃষকলীগ নেতারা!
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা উদ্যানের একতা হাউজিং এলাকায় সুদের টাকা পরিশোধ করাতে না পারায় অশিতীপর এক বৃদ্ধার গরুর খামার থেকে জোরপূর্বক ৪টি গরু লুট করে নিয়েছে স্থানীয় কৃষক লীগ ও যুবলীগের নেতারা।
গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় আদাবর থানা কৃষক লীগ নেতা ফালান মিয়া ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাগরসহ স্থানীয় ক্যাডাররা রাতে খামার থেকে ১২ লাখ টাকার গরু লুটে নিয়ে যায়। ওই সময় বৃদ্ধা জরিনা বেগমের (৭৮) পুত্রবধূ শাহনাজ বেগম বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধরও করা হয়।
সকালে খামারের পাশেই নিজ বসত ঘরে দরজায় দুটি তালা মেরে দেয় সন্ত্রাসীরা। অল্প কিছু সুদের টাকার জন্য এভাবে রাতের বেলায় গরুর খামার থেকে গরু লুটে নিয়ে যাওয়া ও বসত ঘরের দরজায় তালা মেরে দেয়ায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নিরীহ এই পরিবারটি। বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের হতে ও খেতেও দিচ্ছে না।
ওই ঘটনার পর গত মঙ্গলবার সকালে শাহনাজ বেগম মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ জিডি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে আদাবর থানা কৃষকলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ফালান মিয়া বলে, টাকা পাই বলেই গরু নিয়েছি, টাকা দিলে গরু ফেরত দিবো।
তাই বলে রাতের বেলা খামার থেকে জোর করে গরু নিয়ে যাবে? জবাবে সে বলে, টাকা পাইতে হইলে তো এর চেয়ে ভালো কিছু আমি দেখি না। এখানে পুলিশ টুলিশের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। তবে গরু লুটে নিয়েও ক্ষান্ত নেই সাগর, একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে পরিবারটিকে, থানা পুলিশকে জানালে তাদের মেরে লাশ বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হবে।
শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন (৫৬)। স্বাধীনতার পর থেকেই ঢাকায় বসবাস করে এবং ৩০ বছর ধরে গাড়ি চালিয়ে অল্প অল্প করে টাকা সঞ্চয় করেছেন। সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকায় চার বছর আগে চারটি দুধাল গুরু কেনেন দেলোয়ার হোসেন। গরুগুলো পালন করেন দেলোয়ারের স্ত্রী শাহনাজ বেগম এবং তাঁর বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম।
বউ-শাশুরীর পরিশ্রমে চারটি গরু থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে খামারের গরুর সংখ্যা। চার বছরের ব্যবধানে খামারে গরু হয় ১৭টি। গরুর খামার বড় করার জন্য মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধের একতা হাউজিং ৩ নাম্বার ৪৯ নাম্বারের খালি প্লটটি ভাড়া নিয়ে আরো বড় করে খামারটি নির্মাণ করেন। খামারটি নির্মাণ করতে খরচ হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা।
কিন্তু নতুন প্লটে গরুর খামারটি বেশি দিন টিকে থাকত পারেনি, কারণ আবুল হাসেমের ৪৯ নম্বরের প্লটি বুড়িগঙ্গা নদীর জমি দখল করেই গড়ে উঠেছিল। তাই চলতি বছরের মার্চে বিআইডাব্লিউটিএ অভিযান চালিয়ে গরুর খামারটি গুড়িয়ে দেয়। ওই অবস্থায় বউ শাশুরির গরুর খামারের ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়। পাশপাশি বিপদের উপর আরো বিপদ এসে দেখা দেয় এই পরিবারে, সম্প্রতি খামারের তিনটি গরু হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে মারা যায় আরো কষ্টের মধ্যে পড়ে যায়।
গরুর খামার সম্প্রসারণ করতেই শাহনাজ বেগম স্থানীয় মো. ফালান মিয়ার কাছ থেকে শতকরা ১২ টাকা হারে টাকা নেন এক লাখ টাকা, ফালান মিয়া আদাবর থানা কৃষক লীগের সদস্য। একইভাবে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাগরের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ও জামাল মোল্লার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পলাশ মিয়ার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, পারুলী বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদে নেয়।
সম্প্রতি ৪৯ নম্বর প্লটের খামারটি ভেঙ্গে দেয়ার পর পার্শ্ববর্তী ৩৯ নম্বর প্লটে আবার নতুন করে গরুর খামারটি করতে গিয়ে চার লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। সুদের উপর চার লাখ ২০ টাকায় টাকা এনে নতুন করে খামারটি করতে গিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে যান দেলোয়ার হোসেন ও শাহনাজ দম্পতি। বিগত দুই মাস সুদের টাকা দিতে পারেনি যুবলীগ নেতা মো. সাগর ও কৃষক লীগ নেতা ফালান মিয়া, জামাল মোল্লা, তমাল ও পলাশকে।
আর সুদের টাকার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরেই খামার থেকে গুরু নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু শাহনাজ ও দেলোয়ার ও তাঁর বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম হাজারো আকুতি জানায়, তাদের কয়েক মাস তাদের সময় দেয়ার জন্য, অন্তত ছয় মাস সময় দিলেই সুদ-আসলে পুরো টাকা সবাইকে পরিশোধ করে দিবো। কিন্তু শাহনাজ ও দেলোয়ারের কোন কথাই শুনছে না যুবলীগ-কৃষক লীগ নেতারা, সুদের টাকা শেষ পর্যন্ত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ফালান মিয়া, সাগর, তমালসহ স্থানীয় ক্যাডাররা দেলোয়ার হোসেনের গরুর খামারে গিয়ে ১২ লাখ টাকা মূল্যের চারটি অস্ট্রেলিয়ান দুধাল গরু লুটে নিয়ে যায়। রাতের বেলা খামারের গরু নেয়ার সময় বাধা দিলে শাহনাজ বেগমকে মারধর করে তমালসহ ক্যাডাররা।
ঢাকা উত্তর সিটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিট যুবলীগের নেতা এবং দুর্ধর্ষ ক্যাডার মো. সাগরের কাছ থেকে শতকরা ১০ টাকা হারে সুদের উপর এক লাখ ৫০ নেতা নিলেও খামার থেকে গরু লুটে নিয়ে যায় প্রায় ৬ লাখ টাকার দুটি গরু। আর কৃষক লীগ নেতা ফালান মিয়া শতকরা ১২ টাকা হারের উপর ১ লাখ টাকা নিলেও ৭ লাখ টাকার দুটি দুধাল গাভি গরু লুটে নিয়ে যায়।
গরু লুটে নেয়ার পর মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করতে যায়, কিন্তু পুলিশ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন ব্যাপারী ক্যাডার হিসেবে পরিচিত যুবলীগের মো. সাগর।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, সুদের টাকা দুই মাস দিতে পারিনি বলে আমার খামার থেকে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকার গরু লুটে নিয়ে যায় মো. সাগর ও ফালান মিয়া ও তমাল।
দেলোয়ার হোসেনের বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম কাদঁতে কাঁদতে বলেন, অনেক কষ্ট করে খামারে গরু পালছিলাম, চারটি গরু থেকে ১৭টি পর্যন্ত হয়েছিল। কিন্তু এলাকার সাগর ও ফালান খামার থেকে চারটি গুরু নিয়ে যায়। আমার ছেলে ওদের ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছে না। বাবারে, আমাদের এতো বছরের সব কষ্ট ধুলিসাৎ করে দিলো বলেই মাটিতে গড়িয়ে বিলাপ করেন। পাশেই দাড়িয়ে থাকা দেলোয়ারের মেঝো মেয়ে সীমা আক্তার দাদীর কান্না দেখে জড়িতে ধরে কাঁদতে থাকেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/27/27224/
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা উদ্যানের একতা হাউজিং এলাকায় সুদের টাকা পরিশোধ করাতে না পারায় অশিতীপর এক বৃদ্ধার গরুর খামার থেকে জোরপূর্বক ৪টি গরু লুট করে নিয়েছে স্থানীয় কৃষক লীগ ও যুবলীগের নেতারা।
গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় আদাবর থানা কৃষক লীগ নেতা ফালান মিয়া ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাগরসহ স্থানীয় ক্যাডাররা রাতে খামার থেকে ১২ লাখ টাকার গরু লুটে নিয়ে যায়। ওই সময় বৃদ্ধা জরিনা বেগমের (৭৮) পুত্রবধূ শাহনাজ বেগম বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধরও করা হয়।
সকালে খামারের পাশেই নিজ বসত ঘরে দরজায় দুটি তালা মেরে দেয় সন্ত্রাসীরা। অল্প কিছু সুদের টাকার জন্য এভাবে রাতের বেলায় গরুর খামার থেকে গরু লুটে নিয়ে যাওয়া ও বসত ঘরের দরজায় তালা মেরে দেয়ায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নিরীহ এই পরিবারটি। বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের হতে ও খেতেও দিচ্ছে না।
ওই ঘটনার পর গত মঙ্গলবার সকালে শাহনাজ বেগম মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ জিডি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে আদাবর থানা কৃষকলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ফালান মিয়া বলে, টাকা পাই বলেই গরু নিয়েছি, টাকা দিলে গরু ফেরত দিবো।
তাই বলে রাতের বেলা খামার থেকে জোর করে গরু নিয়ে যাবে? জবাবে সে বলে, টাকা পাইতে হইলে তো এর চেয়ে ভালো কিছু আমি দেখি না। এখানে পুলিশ টুলিশের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। তবে গরু লুটে নিয়েও ক্ষান্ত নেই সাগর, একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে পরিবারটিকে, থানা পুলিশকে জানালে তাদের মেরে লাশ বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হবে।
শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন (৫৬)। স্বাধীনতার পর থেকেই ঢাকায় বসবাস করে এবং ৩০ বছর ধরে গাড়ি চালিয়ে অল্প অল্প করে টাকা সঞ্চয় করেছেন। সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকায় চার বছর আগে চারটি দুধাল গুরু কেনেন দেলোয়ার হোসেন। গরুগুলো পালন করেন দেলোয়ারের স্ত্রী শাহনাজ বেগম এবং তাঁর বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম।
বউ-শাশুরীর পরিশ্রমে চারটি গরু থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে খামারের গরুর সংখ্যা। চার বছরের ব্যবধানে খামারে গরু হয় ১৭টি। গরুর খামার বড় করার জন্য মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধের একতা হাউজিং ৩ নাম্বার ৪৯ নাম্বারের খালি প্লটটি ভাড়া নিয়ে আরো বড় করে খামারটি নির্মাণ করেন। খামারটি নির্মাণ করতে খরচ হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা।
কিন্তু নতুন প্লটে গরুর খামারটি বেশি দিন টিকে থাকত পারেনি, কারণ আবুল হাসেমের ৪৯ নম্বরের প্লটি বুড়িগঙ্গা নদীর জমি দখল করেই গড়ে উঠেছিল। তাই চলতি বছরের মার্চে বিআইডাব্লিউটিএ অভিযান চালিয়ে গরুর খামারটি গুড়িয়ে দেয়। ওই অবস্থায় বউ শাশুরির গরুর খামারের ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়। পাশপাশি বিপদের উপর আরো বিপদ এসে দেখা দেয় এই পরিবারে, সম্প্রতি খামারের তিনটি গরু হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে মারা যায় আরো কষ্টের মধ্যে পড়ে যায়।
গরুর খামার সম্প্রসারণ করতেই শাহনাজ বেগম স্থানীয় মো. ফালান মিয়ার কাছ থেকে শতকরা ১২ টাকা হারে টাকা নেন এক লাখ টাকা, ফালান মিয়া আদাবর থানা কৃষক লীগের সদস্য। একইভাবে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাগরের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ও জামাল মোল্লার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পলাশ মিয়ার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, পারুলী বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদে নেয়।
সম্প্রতি ৪৯ নম্বর প্লটের খামারটি ভেঙ্গে দেয়ার পর পার্শ্ববর্তী ৩৯ নম্বর প্লটে আবার নতুন করে গরুর খামারটি করতে গিয়ে চার লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। সুদের উপর চার লাখ ২০ টাকায় টাকা এনে নতুন করে খামারটি করতে গিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে যান দেলোয়ার হোসেন ও শাহনাজ দম্পতি। বিগত দুই মাস সুদের টাকা দিতে পারেনি যুবলীগ নেতা মো. সাগর ও কৃষক লীগ নেতা ফালান মিয়া, জামাল মোল্লা, তমাল ও পলাশকে।
আর সুদের টাকার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরেই খামার থেকে গুরু নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু শাহনাজ ও দেলোয়ার ও তাঁর বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম হাজারো আকুতি জানায়, তাদের কয়েক মাস তাদের সময় দেয়ার জন্য, অন্তত ছয় মাস সময় দিলেই সুদ-আসলে পুরো টাকা সবাইকে পরিশোধ করে দিবো। কিন্তু শাহনাজ ও দেলোয়ারের কোন কথাই শুনছে না যুবলীগ-কৃষক লীগ নেতারা, সুদের টাকা শেষ পর্যন্ত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ফালান মিয়া, সাগর, তমালসহ স্থানীয় ক্যাডাররা দেলোয়ার হোসেনের গরুর খামারে গিয়ে ১২ লাখ টাকা মূল্যের চারটি অস্ট্রেলিয়ান দুধাল গরু লুটে নিয়ে যায়। রাতের বেলা খামারের গরু নেয়ার সময় বাধা দিলে শাহনাজ বেগমকে মারধর করে তমালসহ ক্যাডাররা।
ঢাকা উত্তর সিটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিট যুবলীগের নেতা এবং দুর্ধর্ষ ক্যাডার মো. সাগরের কাছ থেকে শতকরা ১০ টাকা হারে সুদের উপর এক লাখ ৫০ নেতা নিলেও খামার থেকে গরু লুটে নিয়ে যায় প্রায় ৬ লাখ টাকার দুটি গরু। আর কৃষক লীগ নেতা ফালান মিয়া শতকরা ১২ টাকা হারের উপর ১ লাখ টাকা নিলেও ৭ লাখ টাকার দুটি দুধাল গাভি গরু লুটে নিয়ে যায়।
গরু লুটে নেয়ার পর মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করতে যায়, কিন্তু পুলিশ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন ব্যাপারী ক্যাডার হিসেবে পরিচিত যুবলীগের মো. সাগর।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, সুদের টাকা দুই মাস দিতে পারিনি বলে আমার খামার থেকে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকার গরু লুটে নিয়ে যায় মো. সাগর ও ফালান মিয়া ও তমাল।
দেলোয়ার হোসেনের বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম কাদঁতে কাঁদতে বলেন, অনেক কষ্ট করে খামারে গরু পালছিলাম, চারটি গরু থেকে ১৭টি পর্যন্ত হয়েছিল। কিন্তু এলাকার সাগর ও ফালান খামার থেকে চারটি গুরু নিয়ে যায়। আমার ছেলে ওদের ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছে না। বাবারে, আমাদের এতো বছরের সব কষ্ট ধুলিসাৎ করে দিলো বলেই মাটিতে গড়িয়ে বিলাপ করেন। পাশেই দাড়িয়ে থাকা দেলোয়ারের মেঝো মেয়ে সীমা আক্তার দাদীর কান্না দেখে জড়িতে ধরে কাঁদতে থাকেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/27/27224/
Comment