Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৫ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৪ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৫ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৪ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর আর দাম কমেনি, বেড়েছে মুরগির মাংসের



    ভারত গত রোববার রপ্তানি বন্ধের পর পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়েছিল। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম আর কমেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার আগের দিনের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে পুরান ঢাকার পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র শ্যামবাজারে। খুচরা বাজারেও দাম আগের মতোই আছে।
    মঙ্গল ও বুধবার শ্যামবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। গতকালও একই দর গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।


    ঢাকার কয়েকটি খুচরা বাজারে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে চীনা আদা প্রতি কেজি ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। সেটা এখন ১১০-১১২ টাকায় নেমেছে। অন্যদিকে চীনা রসুন উঠেছিল ১৬০ টাকায়, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকার মধ্যে।

    খুচরা বাজারে চীনা রসুন প্রতি কেজি ১৪০ টাকা ও আদা ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
    এদিকে বাজারে ডিমের দামও চড়া। সাধারণত প্রতি ডজন ডিমের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকে। কিন্তু ফার্মের মুরগির ডিম এখন প্রতি ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

    বেড়েছে ফার্মের সোনালিকা জাতের মুরগির (পাকিস্তানি নামে পরিচিত) দামও। গত সপ্তাহে এ মুরগির দাম প্রতি কেজি ২৩০-২৪০ টাকার মধ্যে ছিল। গতকাল কারওয়ান বাজারেই তা ২৮০ টাকা চাইতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকার মতো বেড়ে প্রতি কেজি ১৪০-১৪৫ টাকায় উঠেছে।

    সূত্র: প্রথম আলো
    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/04/27586/



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাংলাদেশকে কতটুকু দিচ্ছে ভারত?


    ২০১২ সালের ১ আগস্ট থেকে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ রফতানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ইলিশ ছাড়া অন্য সব মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

    ইলিশ রফতানি বন্ধ ঘোষণার তিন বছর পর, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় সে ভারতে ইলিশের অপ্রাপ্তির কথা তুলে ধরে। এ কথার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা চুক্তির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিল, ‘পানি আসলে মাছও যাবে।’

    প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকার পর শারদীয় শুভেচ্ছা হিসেবে এ বছর ভারতে পাঁচশ টন ইলিশ রফতানি করছে বাংলাদেশ। কিন্তু তিস্তার পানি আসেনি। বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তিটিরও কোনো খবর নেই।
    চার দিনের সফরে ভারতে রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরকালে তিনটি ইস্যু বাংলাদেশে নানাভাবে আলোচনায় আছে। এগুলো হলো- ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম একশর বেশি হয়েছে, বিশেষ আদেশে ভারতে ইলিশ রফতানি হচ্ছে এবং ফারাক্কার সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় আকস্মিক বন্যার কবলে বাংলাদেশ।

    রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বেশিরভাগ কাঁচা বাজারগুলোতে এখন ইলিশ আর পেঁয়াজ নিয়ে আলোচনা। ঢাকার মাছ-বাজারে বিক্রেতা যেমন বলছেন, বাংলাদেশ ইলিশ রফতানি না করলে দেশে দাম হয়তো আরেকটু কমতো। অপরদিকে ভারত রফতানি বন্ধ করেছে বলেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের দর লাগামহীনভাবে বেড়েছে।
    ভারতের কিছু পণ্য ছাড়া বাংলাদেশে চলে না, সেটা যেমন অনেকে বোঝে আবার দর কষাকষিতে ভারতকে ছাড় দেয়া হচ্ছে এ রকম ভাবনাও আছে সাধারণেরভ।
    এক ক্রেতা পেঁয়াজ-বাজারে ক্ষোভ জানিয়ে বলছিলেন, ‘ইন্ডিয়ায় পূজা হচ্ছে, এখানে পূজা হচ্ছে না? ৫শ টন ইলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে, পেঁয়াজ বন্ধ করে দিয়েছে। ওদিকে তিস্তা বন্ধ করে দিয়েছে, ফারাক্কা বৃষ্টির দিনে খুলে দিবে, যখন দরকার তখন বন্ধ করে দেবে এটাই তো হচ্ছে নেগোসিয়েশন!’
    বাংলাদেশে কোন দল ক্ষমতায় রয়েছে, তার ওপরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মাত্রায় ভিন্নতা দেখা যায়। বাংলাদেশের পর পর দুটি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে জেতার পর, ভারত আওয়ামী লীগ সরকারকে তুলনাবিহীন কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে গেছে বলে ধারণা অনেকের।

    অনেকেই বলছেন, দুটি নির্বাচনের পর আন্তর্জাতিক যেকোনো চাপ সৃষ্টির বিপরীতে ভারতের অবস্থান ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে। এর ফলে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে উপকৃত হয়েছে, টানা ক্ষমতায় টিকে আছে কিন্তু দেশের স্বার্থে দর কষাকষিতে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আলোচনায় দেনা-পাওনার হিসেব কষেন অনেকেই। দুই দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতের রফতানি আয় তুলনামূলক বহুগুণ বেশি। তবে ২০১৯ সালেই প্রথমবার ভারত থেকে বাংলাদেশের রফতানি আয় বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪৩ শতাংশ। যদিও ভারত থেকে আমদানি হয় এর থেকে প্রায় আটগুণ বেশি।
    বাংলাদেশের প্রাপ্তির তালিকায় ভারতে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায় বাংলাদেশ, কিন্তু সেখানেও নানা বাধা রয়েছে।
    গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনার অর্ধেকের মতো কাজে লাগানো যাচ্ছে। শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, লাইন অব ক্রেডিট এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও অনেকটা এগিয়েছে বাংলাদেশ, কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখতে হবে প্রতিশ্রুতি আর তার বাস্তবায়নের মধ্যে একটা সমন্বয় সাধন করতে হবে। সেদিক থেকে আমাদেরও প্রচেষ্টা এবং সক্ষমতাটা বাড়াতে হবে। নেগোসিয়েশনের জন্য যতটা সক্ষমতা প্রয়োজন সেখানে আমাদের একটা ঘাটতি আছে বলে আমি মনে করি।’

    এদিকে প্রাপ্তির খাতায় বাংলাদেশ ভারত স্থল-সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন, বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা জটিলতা অনেকটা নিরসন হয়েছে এবং বেড়েছে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ। সড়ক, রেল, নৌ এবং আকাশপথে এখন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দু’দেশের মধ্যে এখনও বেশকিছু ইস্যু অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আর এই অমীমাংসিত ইস্যুগুলোতেই বাংলাদেশের অপ্রাপ্তি।

    এসব অপ্রাপ্তির মধ্যে প্রথমেই আসে বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তির বিষয়টি। তিস্তা নিয়ে এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। এছাড়া প্রতিশ্রুতির পরেও সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়া ছাড়াও আছে অভিন্ন নদনদী থেকেও পানির সুষম বণ্টনের প্রশ্ন।
    আমেনা মহসীন বলেন, ‘ভারত মোটামুটি আমাদের কাছ থেকে যা চেয়েছিল বাংলাদেশ সবগুলোই পূর্ণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের চাওয়াগুলো বাংলাদেশ পাচ্ছে না।’
    তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, ভারত নিজস্ব স্বার্থ দেখেই চলছে এবং তাদের জাতীয় স্বার্থে তারা যেটা মনে করছে তারা তাই করছে। তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও তারা সেভাবে কার্ড প্লে করছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও তারা সেভাবেই আছে।’

    জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি), রোহিঙ্গা সংকট আর পানি বণ্টনের মতো ইস্যুকে সামনে রেখে নতুন মেয়াদে শেখ হাসিনা এবং মোদি সরকারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে দিল্লিতে। এই পটভূমিতে আসন্ন বৈঠক থেকে প্রাপ্তি কী হয়, তার দিকেই বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে।

    সূত্র : বিবিসি বাংলা
    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/04/27581/




    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X