Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৬ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৫ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৬ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৫ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    তিস্তার পানি পাওয়া অনিশ্চিত , ফেনী নদীর পানি চায় ভারত




    আন্ত:সীমান্ত নদীগুলোর পানি প্রত্যাহার এবং ব্যারাজগুলোর গেট আটকানো ও খুলে দেয়ায় ভারতের ‘একগুয়ে আচরণ’ যত প্রবল হচ্ছে ততই যেন দুর্বল হয়ে পড়ছে বাংলাদেশের ‘পানি কূটনীতি’। জোরদার যেটা হচ্ছে সেটা আন্তদেশীয় কানেকটিভিটি, ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ প্রস্তাব। সেটাও ভারতের ‘ট্রানজিট প্লান’ এবং ‘বিনিয়োগ প্লানে’র বাস্তবায়ন হিসেবে দেখছেন আন্তআঞ্চলিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের কেউ এটাকে দেখছেন সরকারের ‘কূটনৈতিক আত্মসমর্পণ’ হিসেবে।

    বিষয়টি খুব বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরকে ঘিরে। চার দিনের সফরে ৩ অক্টোবর সে নয়াদিল্লি পৌঁছেছে।
    পানির প্রাপ্যতা এবং তিস্তা চুক্তির ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘হাসিনা-মোদির বৈঠকে তিস্তার সঙ্গে সব আন্তসীমান্ত নদী নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের (কাঠামো চুক্তি) বিষয়ে আলোচনা হবে।’
    এমনিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে শুধু গঙ্গা ছাড়া বাকি সবগুলো নদীর পানি প্রাপ্যতার ইস্যুটি এখনও অমিমাংসিত এবং অনিশ্চিত। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে চুক্তি অনুযায়ী কখনোই পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি বাংলাদেশ। সেখানে ভারতে কূট চাল আর প্রচার-প্রপাগান্ডায় ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে থেকে শুধু তিস্তা চুক্তির ইস্যুটি ‘বার্নিং ইস্যুতে’ রূপ পেয়েছে। একই কৌশলে বাংলাদেশের পানি কূটনীতিকেও শুধু তিস্তার মধ্যে গন্ডিবদ্ধ করা হয়েছে। আর এবারের এজেন্ডা থেকে উধাও হয়ে গেল সেই তিস্তা চুক্তির ইস্যুটিও।

    যাকে ‘কূটনৈতিক আত্মসমর্পণ’ বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক নদী আইন বিশেষজ্ঞ ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। সবকিছু ঠিক থাকার পরও তাঁদের নিজস্ব কারণে ওই সময়ে চু্ক্তিটি হয়নি। এরপর ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ সফর করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখনও চুক্তিটি হয়নি। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলেও চুক্তি হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ওই মেয়াদকালেই চুক্তি সইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু টানা প্রায় দশ বছর পরে এসে এবার আমরা দেখছি আলোচনা থেকেই বাদ হয়ে গেল ইস্যুটি। সুতরাং এখন যেটা ঘটছে সেটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। কূটনৈতিক আত্মসমর্পণ ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।
    এদিকে এবারের সফরে অভিন্ন নদী ব্যবস্থাপনায় উভয় দেশের সম্মতিতে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করার কথা বলা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এর মাধ্যমে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়ে ফেনী নদী থেকে পানি চাচ্ছে ভারত!

    গত আগস্টে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের পানি সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপন করে ভারত। দীর্ঘ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত সচিব পর্যায়ের ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে বাংলাদেশে গঙ্গা-পদ্মা ব্যারাজ নির্মাণে ভারতীয় কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা; আন্তসীমান্ত নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা সসম্প্রসারণসহ ছয়টি প্রস্তাব করে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ভারত মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা বা জলঢাকা এবং দুধকুমার বা তরসা নদীর পানি বণ্টন এবং ফেনী নদী থেকে দৈনিক ৪৪,৫২,৭৬৮ লিটার (১.৮২ কিউসেক) পানি উত্তোলনের মাধ্যমে ত্রিপুরার সাবরুমে ‘ড্রিংকিং ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম’ বাস্তবায়নসহ চারটি প্রস্তাব করে।

    বৈঠকে গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্পের ভালো-মন্দ যাচাইয়ের জন্য একটি যৌথ কমিটি এ বছরের মধ্যে গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া মনু, ফেনী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার ও মুহুরি নদীর পানি প্রবাহের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পানি বণ্টনের চুক্তির খসড়া তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    এবারে হাসিনা-মোদি বৈঠকে ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলনের বিষয়টি তোলা হবে কিনা জানা যায়নি। তবে ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করার কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই নিশ্চিত করেছে।
    ফেনী নদী থেকে পানি চাওয়া প্রসঙ্গে আসিফ নজরুলের বক্তব্য, গত প্রায় চার দশক ধরে আলোচনার পরও আমরা তিস্তা নদীর পানি পাচ্ছিনা। অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ওপরও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছি না। এসব আমাদের ন্যায্য দাবি। সেখানে ফেনী নদীর পানি দেয়ার বিষয়ে আমরা কীভাবে বিবেচনা করি, তা আমার বোধগম্য নয়।
    তিনি আরও বলেন, এখানেতো ভারতের অধিকার নেই। সীমান্তে তাদের সামান্য অংশ থাকতে পারে। সেখানে কীভাবে তারা ফেনী নদীর পানি চাওয়ার চিন্তা করে।
    আর পুরো ঘটনাটিকে ‘ডিপ্লোমেটিক শিফট’ বলছেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক আলতাফ পারভেজ। তিনি বলেন, পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির ইস্যুতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আকাঙ্খায় কোথাও ঘাটতি ঘটেনি। কিন্তু সরকারের আলোচনায় তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বরং সরকারের কূটনৈতিক আলোচনার তালিকায় অগ্রাধিকার পাচ্ছে কানেকটিভিটি, ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ইত্যাদি।

    তিনি আরও বলেন, কানেকটিভিটিতে যে আঞ্চলিক রূপ দেয়া যাচ্ছে তাও নয়। *ভুটানকে সংযুক্ত করা যাচ্ছে না, নেপালকে পাওয়া যাচ্ছে না। সেটা ভারতের জন্যই। বাংলাদেশগামী ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে আটকানোর খবর আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি। ফলে কানেকটিভিটিতে যেটুকু অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে সেটা ভারতের সঙ্গে এবং ভারতের জন্যে।

    অনুসন্ধানেও দেখা যাচ্ছে, নৌ প্রটোকল চুক্তি, এশিয়ান হাইওয়ে, ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক, সাউথ এশিয়ান সাব রিজিওনাল ইকোনোমিক কোঅপারেশন রোড কানেকটিভিটি, রামগড় স্থল বন্দর, শেওলা স্থল বন্দর নির্মাণসহ এ জাতীয় যতগুলো প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার বাস্তবায়ন করছে সবগুলোই ভারতের ট্রানজিট প্লান বাস্তবায়নেরই অংশ।

    এদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্যোগগুলোকেও ভারতের ‘বিনিয়োগ প্লানে’র বাস্তবায়ন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরের মূল উদ্দেশ্যও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘ইন্ডিয়া ইকনোমিক সামিটে’ যোগদান। বলা হচ্ছে, ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম আয়োজিত এ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের কাহিনী শুনাতেই শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর
    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/05/27622/



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘বাংলাদেশ পার হয়ে শিলিগুঁড়ি যাবে ভারতের ট্রেন’



    কথিত বন্ধুত্বের ছলে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ শুধু ভারতকে দিয়েই যাচ্ছে । বিনিময়ে কি পেয়েছে তা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন। ‘তিস্তা চুক্তি’ মুলো ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুকনো ট্রানজিট কার্যত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। বাংলাদেশের ট্রানজিটসহ অনেক কিছুই ভারত পেয়েছে। ১০ বছর দিল্লি যা চেয়েছে তাই পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দিল্লি সফরে।

    এই সময় গতকাল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা ‘বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুঁড়ি যাবে ভারতের ট্রেন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
    সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভেতর ঢুকে খানিকটা পথ অতিক্রম করার পরে আবার ভারতে প্রবেশ করতো। কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫ বছর পরে সেই পথ আবার চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যেকার চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ব্রডগেজ রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
    বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর ওই রেলপথের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রেলপথ আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ শেষ করা হবে। পরে ট্রেন ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকে আবার ভারতে চলে যাবে।
    ২১ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের সময় ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেছিল, একসময় দার্জিলিং মেইল শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে আসা রেল, রানাঘাট, ভেড়ামারা, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, সান্তাহার, হিলি, পার্বতীপুর, নীলফামারী, চিলাহাটি, ভারতের হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে চলাচল করতো। সেটার আদলেই এই পথে আবারও দুই দেশের মধ্যে রেল চালু হবে। এর ফলে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা একটি রেল বাংলাদেশের ভূখ-ে প্রবেশ করে খানিকটা পথ পাড়ি দিয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করে গন্তব্যে পৌঁছাবে। এভাবে যাতায়াতের ফলে ভারতের রেলে যাত্রাপথ অন্তত ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব ৫৩৭ কিলোমিটার। চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হলে ভারত ও বাংলাদেশের মূল রেলপথের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হবে। ২০২০ সালের জুলাই মাস নাগাদ এই পথে রেল যোগাযোগ চালু করতে চায় দুই দেশের সরকার।

    রেল পথ নির্মাণের খরচ: নীলফামারীর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছে, এই ব্যয়ের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।

    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/05/27617/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গ্যাসক্ষেত্রে দেশীয় কোম্পানি সফল হলেও বিদেশী কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে কাজ, ব্যহত দেশীয় স্বার্থ




      ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে ১০ বছর ধরে গ্যাস উত্তোলন করে আসছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স। ভোলাতেই গত বছর আরেকটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে রাষ্ট্রীয় এই কোম্পানি। এরপরও দেশের দক্ষিণের দ্বীপজেলা ভোলায় গ্যাসের সম্ভাব্য মজুত মূল্যায়নের নামে বাপেক্সের সঙ্গে রাশিয়ার তেল–গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রমকে (আন্তর্জাতিক) যুক্ত করতে চাচ্ছে অবৈধ এই সরকার। এ লক্ষ্যে বাপেক্সের সঙ্গে গাজপ্রমের যৌথ সমীক্ষার সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) চূড়ান্ত করা হয়েছে।

      অন্য কারও সহায়তা ছাড়াই বাপেক্স ভোলা থেকে সফলভাবে গ্যাস উত্তোলন করার পরও সরকার কেন এই এমওইউ করতে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তেল-গ্যাস খাতের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছে, এর মাধ্যমে একদিকে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সের কর্তৃত্ব খর্ব করা হবে, অন্যদিকে গাজপ্রমকে গ্যাস উত্তোলনের কাজে যুক্ত করলে দেশ আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া গাজপ্রমকে ২০১২ সালে দেশের যে ১০টি গ্যাসকূপ খননের দায়িত্ব (ঠিকাদারি) দেওয়া হয়েছিল, সে অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো ছিল না।
      রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গাজপ্রমের প্রথম দফায় খনন করা গ্যাসকূপগুলোর পাঁচটিই (তিতাস-২০, তিতাস-২১, সেমুতাং-৬, বেগমগঞ্জ-৩ ও শাহবাজপুর-৪) বালু ও পানি উঠে বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো পরে বাপেক্সকেই মেরামত করে গ্যাস উত্তোলনের উপযোগী করার দায়িত্ব নিতে হয়।

      এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরূল ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, যৌথ মূল্যায়ন মূলত একটি অজুহাত। ভোলায় গ্যাসের ভালো মজুত আছে বুঝতে পেরে গাজপ্রম কয়েক বছর ধরেই গ্যাস উত্তোলনে বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতা চুক্তির প্রস্তাব দিচ্ছে। যৌথ মূল্যায়নের পথ ধরে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি আসলে সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলনের পথে যেতে চায়। যৌথ উত্তোলন চুক্তি করতে পারলে সংস্থাটি ঠিকাদারির চেয়েও বেশি লাভ করতে পারবে।

      গাজপ্রমকে কূপপ্রতি চুক্তি মূল্য বাবদ গড়ে ১৫৫ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। যদিও বাপেক্সের তথ্য অনুযায়ী তারা নিজেরা এসব কূপ (প্রতিটি) খুঁড়লে গড়ে খরচ পড়ত সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বাপেক্সের কাছ থেকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস সরকার নেয় ৮৫ টাকায়। বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে সমপরিমাণের গ্যাসের জন্য সরকারের খরচ পড়ে প্রায় ২৫০ টাকা।

      ওই ১০ কূপ খননে খারাপ অভিজ্ঞতার পরও গাজপ্রমকে আরও সাতটি কূপ খননের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর প্রতিটিতে খরচ পড়ে ১৩২ থেকে ১৫৪ কোটি টাকা।

      গাজপ্রম বরাবরই অবৈধ এই সরকারকে যৌথ সহযোগিতায় কূপ খননের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। সর্বশেষটি ছিল গত ১৮ এপ্রিল ভোলায় ১২টি কূপ খনন ও গ্যাস সঞ্চালনের পাইপলাইন বসানোর জন্য। এসব বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগের সচিব, গাজপ্রমের এবং পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে বহুবার চিঠি–চালাচালি হয়েছে।
      এই বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ জ্বালানি সহকারীর দায়িত্ব পালন করা ড. ম. তামিম প্রথম আলোকে বলেছে, ভোলার গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে নতুন করে মূল্যায়নের কিছু নেই। গাজপ্রম আসলে ভোলার গ্যাস উত্তোলনের ভাগ চায়।

      বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম মনে করে, নিজের আবিষ্কৃত ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা বাপেক্সের রয়েছে। এরপরও একা না পারলে প্রয়োজনে বাপেক্স ঠিকাদার দিয়ে কূপ খনন করাবে অথবা প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বাপেক্স সবচেয়ে উপযোগী কোম্পানির সঙ্গে উৎপাদন অংশীদারত্ব (পিএসসি) চুক্তিতে যাবে। বিনা দরপত্রে যৌথ সহযোগিতায় যাওয়া কোনোভাবেই দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না।

      দেশের স্বার্থঃ
      এ বিষয়ে বাপেক্সের সাবেক এমডি মোর্তজা আহমেদ প্রথম আলোকে বলে, ভোলার গ্যাসক্ষেত্র দুটি বাপেক্সই আবিষ্কার করেছে। এখন দরকার ভোলাতেই বাপেক্সকে আরও বেশি কূপ খননের অনুমতি দেওয়া, যাতে তারা কম খরচে গ্যাস তুলতে পারে। এটি না করে গ্যাসক্ষেত্র দুটি মূল্যায়নের নামে গাজপ্রমকে সেখানে যুক্ত করার কোনো প্রয়োজনই নেই।




      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/05/27611/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরীকে ধর্ষণ, এখনো শুরু হয়নি গ্রেফতারের প্রক্রিয়া




        কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে একজন রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

        রোহিঙ্গাদের পরিচালিত একটি ওয়েবসাইট ‘রোহিঙ্গা ভিশন ডট কম’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ধর্ষণের এই অভিযোগ সম্পর্কে জানা যায়।

        প্রতিবেদনটিতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটার সময় উল্লেখ করা হয়েছে গত ২৯শে সেপ্টেম্বর রবিবার, সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা।
        এতে বলা হয়, দুইজন কিশোরী তাদের ঘরের মধ্যে খেলা করছিল । সেই সময় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর দুইজন সদস্য এদের একজনকে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
        ধর্ষক সেনাসদস্যরা স্থান ত্যাগ করার পরে প্রতিবেশীরা কিশোরীটিকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যায়।

        পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
        এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছে, “অতি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিদেশি অনলাইন পোর্টালে আমরা দেখতে পেলাম ১২ বছরের একটা রোহিঙ্গা মেয়ে সেনাসদস্য কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে”।

        ঐ সময় যৌথবাহিনীর যে নিয়মিত টহল হয় সেই টহল ঐখানে দিচ্ছিল।
        টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের একাধিক রোহিঙ্গা নেতার সঙ্গে বিবিসির কথা হয়। তারা জানান, তারাও ২৯শে সেপ্টেম্বরের এই ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছেন। সেনাসদস্যদের জড়িত থাকার কথাও তারা উল্লেখ করেন।
        একজন রোহিঙ্গা নেতা বলছিলেন, ঐ ঘটনার পর ‘ভিকটিমের পরিবার’ এখন আর কোন কথা বলতে চাচ্ছে না।
        কক্সবাজারের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৩০ শে সেপ্টেম্বর সদর হাসপাতালে একজন ‘রেপ ভিকটিমকে’ চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি দুইদিন ঐ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
        তবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাননি।

        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/05/27602/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হায় আল্লাহ এসব কী শুরু হয়ে গেলো।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

          Comment


          • #6
            আহ.........দুঃখজনক
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X