হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসনে কাশ্মীরের অবরুদ্ধ অবস্থা, চাকরি হারানোর শঙ্কায় বহু যুবক
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে যোগাযোগ বন্ধ রাখার সময়কাল তৃতীয় মাসে প্রবেশ করলো। কোন মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায়, উপত্যকায় কয়েক দশকের মধ্যে পরিস্থিতি সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় প্রবেশ করেছে। আর উপত্যকার অর্থনীতির উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
ইন্ডিয়ান টুডের সূত্রে জানা যায়, ইন্টারনেট না থাকায় আইটি-বিষয়ক ফার্মগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে চলেছে এবং সে কারণে চাকরি হারানোর আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে বহু যুবক।
কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার পার্কটির অবস্থান রাংরেত এলাকায়। অধিকাংশ আইট কোম্পানিগুলোর অফিসও এখানেই। এই এলাকাটি এখন বিরান হয়ে আছে।
ইমুকিত সিস্টেমস সল্যুশান নামের একটি আইটি কোম্পানির অংশীদার শওকত আহমেদ। তিনি তার অন্যান্য অংশীদারদের নিয়ে ছয় বছর আগে এই কোম্পানিটি শুরু করেন। ৩০ জন চাকুরে নিয়ে তারা ভালোভাবেই কাজ করে যাচ্ছিলেন, যেহেতু দেশে ছাড়াও দেশের বাইরে থেকে কাজ পেতেন তারা। কিন্তু গত দুই মাসে তাদের কাজের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা।
শওকত বললেন, “আমাদের পুরো কাজই ইন্টারনেটভিত্তিক। আমরা আমাদের গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমাদের জনশক্তিদের আমরা বাড়ি চলে যেতে বলেছি। আমার মনে হয় পরিস্থিতি যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে আমাদের কোম্পানি বন্ধ করে দিতে হবে”।
শহীদ নাসের শওকতের মতোই আরেকজন উদ্যোক্তা যিনি তার ইউনিটকে রাংরেত থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি শূন্য থেকে তার কোম্পানি শুরু করেছিলেন এবং কয়েক ডজন মানুষকে তিনি তার প্রতিষ্ঠানে কাজ দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তিনি এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।
কাশ্মীরে সক্রিয় বিপিও-গুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এগিস হলো রাংরেত এলাকার বড় বড় বিপিওগুলোর একটি। তাদের ক্যাম্পাস বন্ধ রয়েছে। সেখানে নিযুক্ত এক নিরাপত্তা রক্ষী বললেন, ১৫০ জন চাকুরের সবাইকে তাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে, যেহেতু এখানে এখন কোন কাজ নেই।
উপত্যকায় পর্যটনের মওসুম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবার, কারণ সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগে সকল পর্যটকদের এ এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল।
সরকার ৫ আগস্ট পার্লামেন্টে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে। সরকার আরও ঘোষণা দেয় যে, জম্মু ও কাশ্মীর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে। এই দুটি অঞ্চল হলো জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ।
এই ঘোষণার আগ থেকেই উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ আরোপ করা হয়। এর পর অবরোধ যদিও সামান্য শিথিল করা হয়েছে, কিন্তু সঙ্কট এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং সার্বিক অবরুদ্ধ অবস্থা তৃতীয় মাসে প্রবেশ করেছে। অনিশ্চয়তা এখনও বিরাজ করছে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/10/27856/
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে যোগাযোগ বন্ধ রাখার সময়কাল তৃতীয় মাসে প্রবেশ করলো। কোন মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায়, উপত্যকায় কয়েক দশকের মধ্যে পরিস্থিতি সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় প্রবেশ করেছে। আর উপত্যকার অর্থনীতির উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
ইন্ডিয়ান টুডের সূত্রে জানা যায়, ইন্টারনেট না থাকায় আইটি-বিষয়ক ফার্মগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে চলেছে এবং সে কারণে চাকরি হারানোর আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে বহু যুবক।
কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার পার্কটির অবস্থান রাংরেত এলাকায়। অধিকাংশ আইট কোম্পানিগুলোর অফিসও এখানেই। এই এলাকাটি এখন বিরান হয়ে আছে।
ইমুকিত সিস্টেমস সল্যুশান নামের একটি আইটি কোম্পানির অংশীদার শওকত আহমেদ। তিনি তার অন্যান্য অংশীদারদের নিয়ে ছয় বছর আগে এই কোম্পানিটি শুরু করেন। ৩০ জন চাকুরে নিয়ে তারা ভালোভাবেই কাজ করে যাচ্ছিলেন, যেহেতু দেশে ছাড়াও দেশের বাইরে থেকে কাজ পেতেন তারা। কিন্তু গত দুই মাসে তাদের কাজের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা।
শওকত বললেন, “আমাদের পুরো কাজই ইন্টারনেটভিত্তিক। আমরা আমাদের গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমাদের জনশক্তিদের আমরা বাড়ি চলে যেতে বলেছি। আমার মনে হয় পরিস্থিতি যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে আমাদের কোম্পানি বন্ধ করে দিতে হবে”।
শহীদ নাসের শওকতের মতোই আরেকজন উদ্যোক্তা যিনি তার ইউনিটকে রাংরেত থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি শূন্য থেকে তার কোম্পানি শুরু করেছিলেন এবং কয়েক ডজন মানুষকে তিনি তার প্রতিষ্ঠানে কাজ দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তিনি এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।
কাশ্মীরে সক্রিয় বিপিও-গুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এগিস হলো রাংরেত এলাকার বড় বড় বিপিওগুলোর একটি। তাদের ক্যাম্পাস বন্ধ রয়েছে। সেখানে নিযুক্ত এক নিরাপত্তা রক্ষী বললেন, ১৫০ জন চাকুরের সবাইকে তাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে, যেহেতু এখানে এখন কোন কাজ নেই।
উপত্যকায় পর্যটনের মওসুম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবার, কারণ সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগে সকল পর্যটকদের এ এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল।
সরকার ৫ আগস্ট পার্লামেন্টে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে। সরকার আরও ঘোষণা দেয় যে, জম্মু ও কাশ্মীর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে। এই দুটি অঞ্চল হলো জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ।
এই ঘোষণার আগ থেকেই উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ আরোপ করা হয়। এর পর অবরোধ যদিও সামান্য শিথিল করা হয়েছে, কিন্তু সঙ্কট এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং সার্বিক অবরুদ্ধ অবস্থা তৃতীয় মাসে প্রবেশ করেছে। অনিশ্চয়তা এখনও বিরাজ করছে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/10/27856/
Comment