অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে ৬ ডিসেম্বর রামমন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিলো সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী নেতা সাক্ষী মহারাজ!
ভারতের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জমির দাবি ছেড়ে দিতে পারে এই মামলার অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। মামলা নিস্পত্তিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের গঠন করে দেওয়া একটি মধ্যস্থতাকারী প্যানেল তাদের প্রতিবেদনে এমন আভাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি। সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, রাম মন্দির নির্মাণে সরকার অধিগ্রহণ করলে জমির ওপর নিজেদের দাবি প্রত্যাহার করে নিতে পারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। তবে এর বিনিময়ে সরকারের কাছে অযোধ্যায় বিদ্যমান মসজিদের সংস্কার ও উপযুক্ত যেকোনও স্থানে নতুন মসজিদ নির্মাণের কথা জানিয়েছে তারা।
এদিকে জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমির বিবাদ নিয়ে চলা মামলা নিষ্পত্তির আগেই বাবরি মসজিদের উপর রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে সন্ত্রাসী বিজেপি নেতা সাক্ষী মহারাজ। এমনকি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের দিনক্ষণও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী বিজেপির এই সাংসদ। সাক্ষী মহারাজ জানিয়েছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে ওই স্থানে রামের মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
বহুল আলোচিত ভারতের অযোধ্যার এই জমি নিয়ে মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত বুধবার। আদালতসূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা করবে অ্যাটর্নি জেনারেল রাজেশ গাগৈ। রায় কী হবে, সেই দিকেই বহুদিন ধরে তাকিয়ে আছেন ভারতবর্ষের আপামর জনতা। কিন্তু এতদিন অপেক্ষা করতে মোটেই রাজি নয় সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী নেতা সাক্ষী মহারাজ। শুনানি শেষের আগেই সে ঘোষণা করে দিয়েছে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ শুরু হবে ডিসেম্বর মাস থেকেই।
উল্লেখ্য, ২৭ বছর পূর্বে ভেঙে ফেলার আগে বিরোধপূর্ণ জায়গাটিতে ১৬ শতক আয়তনের বাবরি মসজিদ ছিল। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে সেটি ভেঙে দেয় শিবসেনার হিন্দু মালাউন সন্ত্রাসীরা। এই কাণ্ড ঘটানোর পেছনে তারা যুক্তি দেখায়, ‘অযোধ্যা ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমি। মসজিদের জায়গাটিতে আগে রামের মন্দির ছিল। পরে মন্দিরের ভগ্নাবশেষের ওপর মসজিদ তৈরি করা হয়েছে।’ মসজিদ ভেঙে ফেলার ঘটনায় পুরো ভারতজুড়ে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয় তখন। এই ঘটনা শেষমেষ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। হিংসার আঁচ সেসময় ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেও কিছুটা লেগেছিল।
ঘটনাচক্রে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যাতে বাবরি মসজিদ যেদিন ভেঙে ফেলা হয়, সেই তারিখটি ছিল ৬ ডিসেম্বর। সেদিকে ইঙ্গিত করে সাক্ষী মহারাজ বলেছে, ‘যেদিন এই কাঠামোটিকে(বাবরি মসজিদ) ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেই তারিখেই মন্দির নির্মাণ শুরু করা উচিত। এটাই যুক্তিযুক্ত।’
প্যানেল রিপোর্ট জানিয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মসজিদ তালিকা দিতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। রিপোর্টে অযোধ্যা নিয়ে জাতীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান করা হয়েছে, যে কারণে, মহান্ত ধর্মদাস এবং পদুচেরির শ্রী অরবিন্দ আশ্রম থেকে জমির প্রস্তাব এসেছে বলে খবর। এদিনই মধ্যস্থতার চেষ্টার বিস্তারিত প্রকাশ হয়, আবার এদিনই অযোধ্যা মামলা নিয়ে দৈনিক শুনানি শেষ করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, “যথেষ্ঠ হয়েছে”।
গত বুধবার সকালে রিপোর্ট জমা দেয় বিচারপতি কালিফুল্লা, তবে এদিন তা উল্লেখ করেনি প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ। আগামী মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানেই মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্টের ছাপ থাকবে। ১৭ নভেম্বর অযোধ্যা নিয়ে রায় দিতে পারেন প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
রায় প্রকাশের আগেই বাবরি মসজিদের উপর রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল বিজেপি নেতা সাক্ষী মহারাজ। এমনকি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের দিনক্ষণও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপির এই সাংসদ। সাক্ষী মহারাজ জানিয়েছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে ওই স্থানে রামের মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/18/28031/
ভারতের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জমির দাবি ছেড়ে দিতে পারে এই মামলার অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। মামলা নিস্পত্তিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের গঠন করে দেওয়া একটি মধ্যস্থতাকারী প্যানেল তাদের প্রতিবেদনে এমন আভাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি। সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, রাম মন্দির নির্মাণে সরকার অধিগ্রহণ করলে জমির ওপর নিজেদের দাবি প্রত্যাহার করে নিতে পারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। তবে এর বিনিময়ে সরকারের কাছে অযোধ্যায় বিদ্যমান মসজিদের সংস্কার ও উপযুক্ত যেকোনও স্থানে নতুন মসজিদ নির্মাণের কথা জানিয়েছে তারা।
এদিকে জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমির বিবাদ নিয়ে চলা মামলা নিষ্পত্তির আগেই বাবরি মসজিদের উপর রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে সন্ত্রাসী বিজেপি নেতা সাক্ষী মহারাজ। এমনকি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের দিনক্ষণও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী বিজেপির এই সাংসদ। সাক্ষী মহারাজ জানিয়েছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে ওই স্থানে রামের মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
বহুল আলোচিত ভারতের অযোধ্যার এই জমি নিয়ে মামলার শুনানি শেষ হয়েছে গত বুধবার। আদালতসূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা করবে অ্যাটর্নি জেনারেল রাজেশ গাগৈ। রায় কী হবে, সেই দিকেই বহুদিন ধরে তাকিয়ে আছেন ভারতবর্ষের আপামর জনতা। কিন্তু এতদিন অপেক্ষা করতে মোটেই রাজি নয় সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী নেতা সাক্ষী মহারাজ। শুনানি শেষের আগেই সে ঘোষণা করে দিয়েছে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ শুরু হবে ডিসেম্বর মাস থেকেই।
উল্লেখ্য, ২৭ বছর পূর্বে ভেঙে ফেলার আগে বিরোধপূর্ণ জায়গাটিতে ১৬ শতক আয়তনের বাবরি মসজিদ ছিল। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে সেটি ভেঙে দেয় শিবসেনার হিন্দু মালাউন সন্ত্রাসীরা। এই কাণ্ড ঘটানোর পেছনে তারা যুক্তি দেখায়, ‘অযোধ্যা ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমি। মসজিদের জায়গাটিতে আগে রামের মন্দির ছিল। পরে মন্দিরের ভগ্নাবশেষের ওপর মসজিদ তৈরি করা হয়েছে।’ মসজিদ ভেঙে ফেলার ঘটনায় পুরো ভারতজুড়ে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয় তখন। এই ঘটনা শেষমেষ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। হিংসার আঁচ সেসময় ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেও কিছুটা লেগেছিল।
ঘটনাচক্রে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যাতে বাবরি মসজিদ যেদিন ভেঙে ফেলা হয়, সেই তারিখটি ছিল ৬ ডিসেম্বর। সেদিকে ইঙ্গিত করে সাক্ষী মহারাজ বলেছে, ‘যেদিন এই কাঠামোটিকে(বাবরি মসজিদ) ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেই তারিখেই মন্দির নির্মাণ শুরু করা উচিত। এটাই যুক্তিযুক্ত।’
প্যানেল রিপোর্ট জানিয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মসজিদ তালিকা দিতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। রিপোর্টে অযোধ্যা নিয়ে জাতীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান করা হয়েছে, যে কারণে, মহান্ত ধর্মদাস এবং পদুচেরির শ্রী অরবিন্দ আশ্রম থেকে জমির প্রস্তাব এসেছে বলে খবর। এদিনই মধ্যস্থতার চেষ্টার বিস্তারিত প্রকাশ হয়, আবার এদিনই অযোধ্যা মামলা নিয়ে দৈনিক শুনানি শেষ করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, “যথেষ্ঠ হয়েছে”।
গত বুধবার সকালে রিপোর্ট জমা দেয় বিচারপতি কালিফুল্লা, তবে এদিন তা উল্লেখ করেনি প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ। আগামী মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানেই মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্টের ছাপ থাকবে। ১৭ নভেম্বর অযোধ্যা নিয়ে রায় দিতে পারেন প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
রায় প্রকাশের আগেই বাবরি মসজিদের উপর রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল বিজেপি নেতা সাক্ষী মহারাজ। এমনকি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের দিনক্ষণও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপির এই সাংসদ। সাক্ষী মহারাজ জানিয়েছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে ওই স্থানে রামের মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/18/28031/
Comment