Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৬ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৩রা নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৬ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৩রা নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দিল সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা


    রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দিয়েছে শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার দুপুরে পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। সাঁতরে কিনারে এলে আশপাশের কয়েকজন অধ্যক্ষকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে।

    প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লাসে উপস্থিত না থাকা এবং মধ্য পর্ব পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় দুজন শিক্ষার্থীকে ফাইনাল পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সুযোগ না দেওয়ায় সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই ঘটনা ঘটায় বলে বলে জানা গেছে।

    অধ্যক্ষের অভিযোগ, তাঁকে হত্যা করতেই পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর থেকে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    অধ্যক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কম্পিউটার বিভাগের শেষ পর্বের ছাত্র সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কয়েকজন অধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করে। এ সময় তারা দুজন শিক্ষার্থী যারা নিয়মিত ক্লাস করেনি এবং মধ্য পর্ব পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, তাদের ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানায়।

    অধ্যক্ষ তাদের কথা শুনে বলেন, কারিগরি শিক্ষায় ৭৫ ভাগ ক্লাস না করলে এবং মধ্য পর্ব পরীক্ষায় অংশ না নিলে ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই। অধ্যক্ষ তাদের কথায় রাজি না হয়ে বিষয়টি নিয়ে তাদের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। অধ্যক্ষের কথা শুনে তারা অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের দলীয় টেন্টে গিয়ে জড়ো হয়।

    দুপুর দেড়টার দিকে অধ্যক্ষ জোহরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে নিজ কার্যালয়ে ফিরছিলেন। এ সময় কামাল হোসেন সৌরভের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী অধ্যক্ষকে রাস্তা থেকে তুলে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। অধ্যক্ষ সাঁতার কেটে কিনারে এলে আশপাশের কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘কামাল হোসেন সৌরভের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্র আমার সঙ্গে দেখা করে দুজন ছাত্রের ফরম ফিলাপের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানায়। আমি এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বললে তারা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।’

    অধ্যক্ষ বলেন, ‘কিছু ছাত্র নিয়মিত ক্লাস করে না এবং মধ্য পর্ব পরীক্ষায়ও অংশ নেয় না। অথচ তাদের অভিভাবকরা জানে তাদের সন্তানরা নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আমার সাথে দেখা করতে আসা ছাত্রদের আমি বলেছিলাম, যাদের ক্লাস এবং মধ্য পর্ব পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা আছে, তারা তাদের অভিভাবকদের নিয়ে এলে তাদের ফরম ফিলাপের সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু তারা আমার কথায় গুরুত্ব না দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্যই পুকুরে ফেলে দিয়েছিল। খবর ইনসাফ২৪

    ‘পুকুরে বাঁশ পোতা ছিল। আমি ধারালো সেই বাঁশে পড়ে গেলে কিংবা সাঁতার না জানলে আজ হয়তো মরেই যেতাম।’ বলছিলেন অধ্যক্ষ* ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/03/28420/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সরকারি খাতে বেতন বেড়েছে, কিন্তু দুর্নীতি কমেছে কি?


    সম্প্রতি ঢাকার মিরপুরে একটি ভূমি অফিসে গিয়েছিলাম। অফিসটিতে ভূমির কর নেয়া হয়। অফিসের ভেতরে ঘুরে দেখলাম শতশত ফাইলের স্তুপ।

    এই অফিসে যারা আসছেন তাদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, ভূমির কর পরিশোধ করতে হলেও এখানে ঘুষ দিতে হয়।

    যদিও বিষয়টি ভূক্তভোগিরা সাংবাদিকদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে চান না।

    তাদের আশংকা নাম প্রকাশ করে দুর্নীতির অভিযোগ করলে পরে নানা ঝামেলায় পড়তে হবে।

    এর চেয়ে নীরবে ঘুষ দিয়ে কাজ আদায় করে নেয়াটাই তারা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।

    ঢাকায় ভূমি অফিস, রাজউক এবং সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অফিস ঘুরে কম-বেশি একই চিত্র পাওয়া গেল। ঘুষ ছাড়া কাজ হয়েছে এমন ঘটনা বিরল।

    বিভিন্ন সেবা নেবার জন্য সরকারি অফিসগুলোতে যারা যান, তাদের অভিযোগের অন্ত নেই।

    সরকারি অফিস মানেই ঘুষ?

    ঢাকার একজন বাসিন্দা মনিসা বলেন, যে কোন কাজে সরকারি অফিসে যেতে হলে তার বাড়তি মনোবলের প্রয়োজন হয়।

    "ঘুষের ব্যাপারটা খুবই কমন। যারা দিচ্ছে তারাও মনে করে যে বিষয়টা স্বাভাবিক। সবার আগে মাথায় থাকে যে সরকারি অফিসে যাচ্ছি। বিড়ম্বনার কথা তো মাথায় থাকেই," বলছিলেন তিনি।

    বাংলাদেশে দুর্নীতি মোকাবেলার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন রয়েছে। বিভিন্ন সময় তাদের সন্দেভাজনদের সম্পদের হিসাব, জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা মামলা করতে দেখা যায়। এগুলো বেশ ফলাও করে প্রচারও করা হয়।

    কমিশনের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এদের মধ্যে ২৮ জন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

    প্রভাবশালীরা আওতার বাইরে?

    দুর্নীতি-বিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, দুর্নীতির দায়ে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের অনেকেই নিম্নপদস্থ কর্মচারী।

    কোন মন্ত্রণালয়ে বা সরকারি সংস্থায় দুর্নীতির জন্য সেখানকার সচিব কিংবা শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নজির একেবারেই নেই।

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ব্যক্তিরা বলছেন, ভূমি অফিস, রাজউক কিংবা সিটি করপেরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি থাকলেও এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলার নজির নেই।

    অনেক সমালোচনা এবং আলোচনার পরেও সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবং বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুকে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়নি।

    অনেকে ক্ষেত্রেই প্রভাবশালীরা পার পেয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান।

    তিনি বলেন, "নিম্ন কিংবা নিম্ন মধ্যম পর্যায়ের কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ আসে তখন দুর্নীতি দমন কমিশনকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। বিশেষ করে উচ্চ পর্যায়ের যারা তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দৃষ্টান্ত খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়।"

    বেতন বৃদ্ধি কোন সুফল দেয়নি

    বছর তিনেক আগে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে শতকরা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল নজীরবিহীন ঘটনা।

    সরকারের তরফ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছিল, বেতন ভাতা বৃদ্ধি করলে সরকারি অফিসে দুর্নীতির প্রবণতা কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবে সেটির কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি।

    কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন ২১৬টি মামলা দায়ের করেছে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির যে ব্যাপকতা সে তুলনায় এই মামলার সংখ্যা সমুদ্রের কয়েক ফোঁটা পানির মতো।

    প্রতিবেদনেঃ বিবিসি বাংলা


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/03/28414/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ছোট্ট আবরারের মৃত্যু : প্রথম আলোর গাফিলতির জন্য শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম


      দৈনিক প্রথম আলোর কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থী আবরারের মৃত্যুর সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবিসহ ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা দাবি পূরণের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। শনিবার দুপুরে নিহত আবরারের সহপাঠিরা এ আল্টিমেটামের ঘোষণা দেয়।

      শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ১. ঘটনা চলাকালীন সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে হবে, ২. অনুষ্ঠানের মিস ম্যানেজমেন্টের দায় স্বীকার করে কিশোর আলো, ইভেন্ট অর্গানাইজার, আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত বক্তব্য দিতে হবে, ৩. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ছাত্রদের হাতে পৌঁছাতে হবে, ৪. শুধু দুর্ঘটনা নয়, তাদের গাফিলতি, অব্যবস্থাপনা এবং উদাসীনতা উল্লেখ করে পত্রিকায় বিবৃতি দিতে হবে।

      ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবিগুলো আদায় না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

      উল্লেখ্য, শুক্রবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত একই স্কুলের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাত (১৫) অনুষ্ঠান চলাকালে রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান।

      জানা যায়, শুক্রবার কিশোর আলোর অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাত। পরে সেখানেই বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হলে অনুষ্ঠানস্থলের মেডিক্যাল ক্যাম্পে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’জন চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে দেখেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

      এঘটনায় আয়োজক কমিটির সমালোচনা করেছেন বিশিষ্টজনেরা। আয়োজনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না করে স্কুলের মাঠে কেন করা হলো - এমন সব প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/03/28411/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সড়কে চাকা ঘুরলেই চাঁদা, জড়িত পুলিশ বাহিনীও


        বেপরোয়া পরিবহন চাঁদাবাজরা। টার্মিনালভিত্তিক সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে অর্থ আদায়। এরা সবাই এক সুতোয় বাঁধা। এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে মালিক সমিতি, শ্রমিক সমিতি, অসাধু সন্ত্রাসী পুলিশ কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগের নেতা।

        মাসে নগরীর ৪ টার্মিনাল, বিভিন্ন পয়েন্ট ও সড়ক থেকে আদায় হচ্ছে ৬০ কোটি টাকা। প্রতিদিন আদায় হচ্ছে দুই কোটি টাকা।

        গণপরিবহন, অবৈধ লেগুনা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হচ্ছে এ অর্থ। এর ভাগ যাচ্ছে অনেক দূর।

        পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কে গাড়ির চাকা ঘুরলেই গুনতে হয় চাঁদা। মহাখালী, ফুলবাড়িয়া, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালসহ রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক এই সিন্ডিকেট। এ চক্রের হাতে জিম্মি ২০ লক্ষাধিক পরিবহন শ্রমিক।

        বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের মহাসচিব আলী রেজা যুগান্তরকে বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা কোম্পানি খুলে জিপির (গেট পাস) নামে হরিলুট চালাচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে কোম্পানি সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

        এ ছাড়া বন্ধ হবে না। ব্যাঙের ছাতার মতো শ্রমিক সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন না দিয়ে সংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণেরও আহ্বান জানান তিনি।

        অন্যদিকে আওয়ামী দালাল পেটুয়া বাহিনী পুলিশের নামেও পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকেও তোলা হচ্ছে চাঁদা।

        জানা গেছে, গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে ৩৪টি কোম্পানির ১ হাজার ৬৮৮টি বাস বিভিন্ন রোডে চলাচল করে। সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে চলাচল করে সাড়ে তিন হাজার গাড়ি। একইভাবে মহাখালী থেকে আড়াই হাজার, গুলিস্তান থেকে ১২০০, মিরপুর থেকে ৭০০, আজিমপুর থেকে ৫০০, মতিঝিল কমলাপুরে ৪০০, গাবতলী টার্মিনালে ৩ হাজার ২০০, ভাসমান আরও ১ হাজার ৩০০ গাড়ি চলাচল করে। সব মিলিয়ে ১৫ হাজার গাড়ি (গণপরিবহন) চলাচল করে নগরীর বিভিন্ন রোডে।

        প্রতিটি গাড়ি থেকে জিপি (গেট পাস) দিনে আদায় করা হয় গড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা করে। এ খাতে প্রতিদিন মোট আদায় হয় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি। শুধু জিপি থেকেই মাসে আদায় ৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

        এ ছাড়া মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি, হরতাল ভাংচুর ভর্তুকি, ইফতার, অফিস ক্রয়, কমিউনিটি পুলিশ, বোবা ফান্ড (কমন ফান্ড) সুপারভাইজার, কাঙালি, লাঠি বাহিনীর নামে প্রতিদিন চাঁদা আদায় হচ্ছে। মাসে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি টাকার বেশি। সব মিলিয়ে গণপরিবহন থেকেই মাসে আদায় ৬০ কোটি টাকা। এ ছাড়া লেগুনা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা থেকে জোর করে টাকা আদায় হচ্ছে।

        গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে ৩৪টি কোম্পানির ১ হাজার ৬৮৮টি বাস বিভিন্ন রোডে চলাচল করে। বাসগুলো থেকে গড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা হিসাবে জিপি (গেট পাস) আদায় করা হয় দিনে ১৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকার বেশি। এ ছাড়া শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ৩০ টাকা হারে আদায় হয় দিনে ৫১ হাজার টাকা, মাসে ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের নামে আদায় হয় দিনে ৮৫ হাজার টাকা। মাসে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

        মালিক সমিতির নামে মাসে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ টাকা, ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ৪০ লাখ ৫১ হাজার ২০০ টাকা, হরতাল ভাংচুর ভর্তুকির নামে ১০ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা, অফিস ক্রয়ের নামে ১০ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা, কমিউনিটি পুলিশের নামে ১০ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা, কমন ফান্ড বা বোবা ফান্ডের নামে ১ কোটি ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা, সুপারভাইজারদের খাতে আদায় হয় ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা। সব মিলিয়ে ফুলবাড়িয়া টার্মিনাল থেকেই আদায় হয় ১১ কোটি ৩২ লাখ ২৪ হাজার ২০০ টাকা।

        একইভাবে টাকা আদায় হয় গাবতলী টার্মিনাল, মহাখালী টার্মিনাল ও সায়েদাবাদ টার্মিনালে। সায়েদাবাদ টার্মিনালে গাড়িচালক বাবুল মিয়া জানিয়েছেন, টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের করার আগেই গুনতে হয় জিপির টাকা। তিনি জানান, ৮০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত জিপি আদায় করা হয় বিভিন্ন পরিবহনে।

        এনায়েত উল্লাহ বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি বলতে কোম্পানির নামে যে জিপি আদায় করা হয় তা মারাত্মক। প্রতিটা বাস থেকে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আদায় করা হয়।

        এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, গুলিস্তান থেকে আবদুল্লাহপুর রোডের এক গাড়ির চালক গুলিস্তানে যাত্রার শুরুতেই ১ হাজার ২৮০ টাকা জিপি দিচ্ছেন।

        এই চালক যুগান্তরকে বলেন, ট্রিপ নিয়ে যাওয়া এবং আসার পথেও এভাবেই চাঁদা দিতে হয়। গুলিস্তানের পর প্রেস ক্লাবের সামনে ১০ টাকা, শাহবাগে ১০ টাকা, ফার্মগেটে ৪০ টাকা, মহাখালীতে ১০ টাকা, বনানীতে ১০ টাকা, শ্যাওড়ায় ১০ টাকা, খিলক্ষেতে ১০ টাকা, আবদুল্লাহপুরে ৪০ টাকা চাঁদা দিতে দেখা যায়।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/03/28408/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কাশ্মীরে ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার নারীসহ ১২ সাংবাদিক!


          কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পরদিনই কাশ্মীরে ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। সন্ত্রাসী সদস্যদের মারধরে গুরুতর জখম হয়েছেন এক নারীসহ ১২ সাংবাদিক।

          আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের আশঙ্কায় পুরনো শ্রীনগরের কিছু এলাকায় এখনও সাধারণ নাগরিকদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। তেমনই এক এলাকায় শনিবার খবর সংগ্রহে গিয়েছিলেন সাংবাদিকরা।

          তারা যখন ছবি তুলছিলেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিলেন, তখনই *ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর একদল সদস্য তাদের ঘিরে ধরে পেটাতে শুরু করে।

          নারী সাংবাদিক মোছা. জেহার এবং আদিল আব্বাস, ইদ্রিস আব্বাস, মজিন মোট্টুসহ অন্য সাংবাদিকরা মারধরে জখম হন।

          গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যায় জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। বিশেষ মর্যাদা হারিয়ে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পরিণত হল দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এর ফলে ভারতে রাজ্যের সংখ্যা একটি কমে ২৮ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা দুটি বেড়ে ৯টিতে দাঁড়াল।

          ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫-এ ধারা বাতিলের প্রায় তিন মাস পর ৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে তা কার্যকর হল।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/03/28377/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            অবৈধভাবে দখলকৃত মুশরিক ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা কাশ্মীরে নারীসহ ১২ সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার


            অবৈধভাবে দখলকৃত কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পরদিনই সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মুশরিক ভারতীয় সেনা সদস্যদের মারধরে গুরুতর জখম হয়েছেন এক নারীসহ ১২ সাংবাদিক।

            শনিবার (২অক্টোবর) খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিকরা এ নির্যাতনের *শিকার হন।

            ভারতীয় আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের শ্রীনগরের কিছু এলাকায় এখনও সাধারণ নাগরিকদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। সেখানে সাংবাদিকরা যখন ছবি তুলছিলেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিলেন, তখনই সন্ত্রাসী ভারতীয় সেনাবাহিনীর একদল সদস্য তাদের ঘিরে ধরে পেটাতে শুরু করে। নারী সাংবাদিক মোছা. জেহার এবং আদিল আব্বাস, ইদ্রিস আব্বাস, মজিন মোট্টুসহ অন্য সাংবাদিকরা মারধরে গুরুতর জখম হন।

            তবে ভারতীয় অবৈধ প্রশাসন এ নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/03/28417/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ! নির্যাতিত, নিপীড়িত মুসলিম উম্মাহকে হিফাযত করুন। জালিমের জুলুমের কবল থেকে উদ্ধার করুন। আমীন
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment

              Working...
              X