মাদরাসাছাত্রকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করল এক মাদকাসক্ত!
দৈনিক শিক্ষা অনলাইন নিউজ পোর্টালের বরাতে জানা যায়, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারীর ভিটা গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল স্থানীয় রজব উদ্দিন নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টায় শাকিল মাদরাসায় পড়তে আসে। এসে দেখে শিক্ষক শাহাজালাল তখনও মাদরাসায় আসেননি। তখন শাকিল সহপাঠীদের সঙ্গে গল্পগুজব করছিল। এ সময় বহরের ভিটা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মাদকাসক্ত মো রেজাউল করিম রেজা মাদরাসার দরজায় এসে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলেন। এ সময় শাকিল তাকে বলে, তোমাকে দেখলে সব ছাত্র ভয় পায়। তুমি এখান থেকে চলে যাও। এ সময় রেজা শাকিলকে শ্রেণিকক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়।
শাকিলের সহপাঠীরা জানায়, রেজা শাকিলকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে প্রথমে তার পা ধরে শূন্যে কিছুক্ষণ ঘুড়ায়। এরপর মাদরাসা সংলগ্ন মিল চাতালের দক্ষিণ পূর্ব পাশে নিয়ে গিয়ে সহপাঠীদের সামনেই শাকিলের মাথা একটি ইটের ওপর রেখে আরেকটি ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় কসাই মান্নার ছেলে রেজাউল দৌঁড়ে এসে রেজাকে জাপটে ধরে ফেলে। পরে গ্রামবাসীরা এসে রেজাকে চাতাল সংলগ্ন গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে থানায় খবর দেয়।
অপরদিকে গুরুতর আহতাবস্থায় শাকিলকে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শাকিলকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে উলিপুরের গুনাইগাছ এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সেই শাকিল মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। সন্তানের নির্মম মৃত্যুর খবর শুনে শাকিলের বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/04/28443/
দৈনিক শিক্ষা অনলাইন নিউজ পোর্টালের বরাতে জানা যায়, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারীর ভিটা গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল স্থানীয় রজব উদ্দিন নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টায় শাকিল মাদরাসায় পড়তে আসে। এসে দেখে শিক্ষক শাহাজালাল তখনও মাদরাসায় আসেননি। তখন শাকিল সহপাঠীদের সঙ্গে গল্পগুজব করছিল। এ সময় বহরের ভিটা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মাদকাসক্ত মো রেজাউল করিম রেজা মাদরাসার দরজায় এসে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলেন। এ সময় শাকিল তাকে বলে, তোমাকে দেখলে সব ছাত্র ভয় পায়। তুমি এখান থেকে চলে যাও। এ সময় রেজা শাকিলকে শ্রেণিকক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়।
শাকিলের সহপাঠীরা জানায়, রেজা শাকিলকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে প্রথমে তার পা ধরে শূন্যে কিছুক্ষণ ঘুড়ায়। এরপর মাদরাসা সংলগ্ন মিল চাতালের দক্ষিণ পূর্ব পাশে নিয়ে গিয়ে সহপাঠীদের সামনেই শাকিলের মাথা একটি ইটের ওপর রেখে আরেকটি ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় কসাই মান্নার ছেলে রেজাউল দৌঁড়ে এসে রেজাকে জাপটে ধরে ফেলে। পরে গ্রামবাসীরা এসে রেজাকে চাতাল সংলগ্ন গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে থানায় খবর দেয়।
অপরদিকে গুরুতর আহতাবস্থায় শাকিলকে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শাকিলকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে উলিপুরের গুনাইগাছ এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সেই শাকিল মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। সন্তানের নির্মম মৃত্যুর খবর শুনে শাকিলের বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/04/28443/
Comment