Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৮ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৬ই নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৮ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৬ই নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    সৌদির কারাগারে বন্দী কয়েকজন প্রখ্যাত আলেমের নাম ও বন্দীত্বের সময়


    পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনাকে আজ অপবিত্র করে চলেছে সৌদ পরিবারের তাগুত শাসকগোষ্ঠী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় জন্মভূমিকে পরিণত করছে ক্রুসেডার কাফেরদের স্বর্গরাজ্যে! আর, যাঁরাই সৌদ পরিবারের এসকল অপকর্মের বিরোধিতা করছেন বা করেছেন, তাঁদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বহু বছর ধরেই এরকম অপকর্ম করে আসছে সৌদির শাসকগোষ্ঠী। তাদের বিরোধিতা করতে গিয়ে তাই রোষানলের শিকার হয়ে কারাগারে বন্দী হয়েছেন উম্মাহর মাথার তাঁজ অনেক আলেমে দ্বীন। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে তাগুত মুহাম্মদ বিন সালমানের অপকর্মের বিরোধিতা করায় বন্দী উলামায়ে কেরামের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ঐসকল মহামনীষীদের মধ্য থেকে কয়েকজনের নাম ও তাঁদের গ্রেফতারীর সময়কাল নিচে উল্লেখ করা হলো-

    – শায়খ ওয়ালিদ আল-সিনানী। তিনি সৌদির কারাগারে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবৎ বন্দী আছেন। শায়খকে সৌদির শাসক ১৯৯৪ সালে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। সেই থেকে আজ অবধি তিনি কারাগারে বন্দী জীবন পার করছেন।

    – শায়খ আলী আল-খুদাইর। তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ সৌদির শাসকগোষ্ঠীর রোষানলের শিকার হয়ে কারাগারে জীবন অতিবাহিত করছেন। তাঁকে বন্দী করা হয়েছিল ২০০৩ সালে।

    – শায়খ নাসির আল-ফাহদ। সত্য প্রকাশে নির্ভীক এই আলেমকেও তাগুত সৌদি সরকার ২০০৩ সালে গ্রেফতার করে। সেই থেকে কারাগারে জীবন অতিবাহিত হচ্ছে শায়খের এবং ইতিমধ্যে ১৬টি বছর কাটিয়েছেন বন্দী অবস্থায়।

    – শায়খ আহমদ আল-খালিদি। তাঁকেও ২০০৩ সালে গ্রেফতার করেছিল তাগুত সৌদি সরকার। সেই থেকে কারাগারেই জীবন কাটছে শায়খের এবং ইতিমধ্যে তিনিও ১৬টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।

    – শায়খুল মুহাদ্দিস সুলাইমান আল-উলওয়ান। প্রখ্যাত এই আলেমে দ্বীনকে ২০০৪ সালে গ্রেফতার করে সৌদি সরকার। সেই থেকে ১৫টি বছর কারাগারের অন্ধকারে কেটেছে শায়খের। এখনো পর্যন্ত তিনি কারাগারে বন্দী।

    – শায়খ খালেদ আর-রশিদ। তিনি ২০০৫ সাল থেকে সৌদি আরবের কারাগারে বন্দী। তাগুত গোষ্ঠী তাঁকে ১৪টি বছর ধরে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে।

    – শায়খ সাউদ আল-হাশিমি। তিনি ২০০৭ সাল থেকে ১২টি বছর ধরে সৌদির কারাগারে বন্দী হয়ে আছেন।
    – শায়খ মূসা আল-কারনি । তিনিও ২০০৭ সাল থেকে সৌদির কারাগারে বন্দী। ইতিমধ্যে ১২টি বছর কেটে গেছে কারাগারে।
    – শায়খ সুলাইমান আল-রাশোদী। শায়খকে এ পর্যন্ত ৫ বার গ্রেফতার করা হয়েছে। শেষ ২০১২ সালে সৌদির তাগুত শাসকের রোষানলে পড়েন তিনি এবং সেই থেকে ৭টি বছর ধরে কারাগারে আছেন।

    – শায়খ আব্দুল্লাহ আল-হামিদ। তাঁকে ৬বার গ্রেফতার করেছে তাগুত সৌদি সরকার। শেষবার ২০১৩ সালে তিনি তাগুত শাসকের হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন পর্যন্ত কারাগারে জীবন কাটাচ্ছেন। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত ৬ বছর কারাগারে অতিবাহিত হয়েছে তাঁর।
    – শায়খ ইব্রাহীম আল-সাকরান। তিনি ২০১৬ সালে তাগুত মুহাম্মাদ বিন সালমানের রোষানলে পড়ে গ্রেফতার হন। সেই থেকে ৩টি বছর কেটেছে কারাগারে এবং এখনো নির্জন কারাবাসে আছেন তিনি।
    – শায়খুল মুহাদ্দিস আব্দুল আজীজ আত-তারিফী। প্রখ্যাত এই আলেমও ২০১৬ সাল থেকে সৌদির কারাগারে বন্দী আছেন। ইতিমধ্যে ৩টি বছর তাগুত সৌদি সরকারের কারাগারে অতিবাহিত করেছেন এই শায়খ।

    এই হলো সৌদি আরবের কারাগারে বন্দী কয়েকজন প্রখ্যাত আলেমদের নাম। জেনে রাখা ভালো, সৌদির তাগুত শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ে আরো বহু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। এ তালিকায় সর্বশেষ শায়খ আব্দুর রহমান বিন মাহমুদ ফাক্কাল্লাহু আসরাহ এর নাম যুক্ত হয়েছে। মূর্খদের সংঘটিত অপরাধের ব্যাপারে চুপ থাকার ভয়াবহতা নিয়ে তাঁর করা সাম্প্রতিক একটি লেকচারের কারণে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সৌদির তাগুত সরকার।

    আল্লাহ সারাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জালিমের কারাগারে বন্দী হওয়া মুসলিমদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন, তাঁদেরকে ইসলামের পথে অটল রাখুন। আমীন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/06/28511/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারত-পাকিস্তানের ক্ষমতার লড়াইয়ে কঠিন হয়ে উঠছে কাশ্মীর সীমান্তবাসীদের জীবন!


    আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিত পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের নিলম উপত্যকার মনোরম জুরা শহর এখন পর্যটক আর প্রকৃতিপ্রেমীতে গিজগিজ করার কথা । অথচ এর ২০ হাজার অধিবাসী এখন বাস করছে ভয় আর হতাশায়। কারণ জম্মু ও কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি ও ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনাদের মাঝে অব্যাহতভাবে গুলি বিনিময় চলেছে।

    আগে উত্তেজনার সময় সন্ত্রাসীরা ছোট অস্ত্র ব্যবহার করত। কিন্তু ৫ আগস্ট ভারতের তার অধিকৃত অংশের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর উভয় পক্ষ তাদের অবস্থান এগিয়ে এনে মর্টার, শেলসহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে। আর এসব গোলা প্রায়ই বিভক্তকারী রেখার উভয় পাড়ের গ্রামগুলোতে বসবাসকারীদের ওপর পড়ছে।

    আনাদুলু এজেন্সি নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি থাকা জুরা, শাহকোট ও নৌসেরি গ্রামগুলো সফর করে। নিলম নদীর (কিশানগঙ্গা নামেও পরিচিত) পাড়ে থাকা লোকজনের জীবনযাত্রা অনিশ্চয়তায় ভাসছে। খেতের পাকা ফসল তোলার বদলে লোকজন জীবন বাঁচাতে বাংকার আর খন্দক বানাতে ব্যস্ত । দোকানপাটগুলোও ফাঁকা।

    তাদের কষ্ট আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে গ্রামে ফেলা খেলনা বোমা। এগুলো সেখানকার শিশুদের ওপর বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। নয়া দিল্লি খেলনা বোমা ফেলার কথা অস্বীকার করলেও স্থানীয়রা বলছে, তারা ভারতীয় অবস্থানের সামনে রাস্তার পাশে এ ধরনের বিস্ফোরক দেখতে পেয়েছে।

    গত মাসে চিলান এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এ ধরনের একটি খেলনা সদৃশ বোমা ধরতে গিয়ে এক শিশু নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, শিশুটি খেলনাটি হাতে নেয়ার সাথে সাথে বিস্ফোরিত হয়।

    নিলাম জেলার নির্বাহী প্রধান রাজা মাহমুদ শহিদ আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, আমরা লোকজনকে বলেছি, রাস্তার পাশে যখনই তারা খেলনা বোমা দেখতে পাবে, সাথে সাথে তারা যেন আমাদের জানায়। তাদেরকে ওই খেলনা স্পর্শ করতেও বারণ করা হয়েছে।

    ভারতীয় গোলার ভগ্নাবশেষ সেখানের সব জায়গায় দেখা যায়। দূর থেকে অত্যন্ত সুরক্ষিত ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসীদের চৌকিগুলোও দেখা যায়। আর সীমান্তের উভয় পাশের গ্রামগুলো ফাঁকাই মনে হবে।

    স্কুলে বোমা

    ব্যবসায়ী ও স্থানীয় রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট রশিদ (৫৮) আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, গোলাবর্ষণ শুরু হলে আমরা আমাদের বাড়ির অস্থায়ী বেসমেন্টে চলে যাই।

    তার নিজের বাড়িও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি জঞ্জালের স্তুপ দেখিয়ে বলেন, এটা ছিল আমাদের পারিবারিক বাড়ি। আমরা দুই ভাই থাকতাম এখানে।

    তিনি বলেন, গোলায় স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

    স্থানীয় শিক্ষা অফিসার খাজা মানশা বলেন, রাতে বোমা নিক্ষেপের সময় স্কুলে কোনো শিক্ষার্থী ছিল না। তবে রেকর্ডপত্র ও আসবাবপত্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখানে কোনো যুদ্ধ নেই, তবে আমরা যুদ্ধের মতো অবস্থায় বাস করছি।

    মর্টারের আঘাতেও অনেক দোকান ও একটি ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    আসবাবপত্র ব্যবসায়ী পিরজাদা কাসিম শাহ বলেন, আমার ৫০ লাখ রুপির ব্যবসা ছিল। এখন কর্পদশূন্য।

    মির ইমতিয়াজের (৫২) বাড়িটিও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দিনমজুর বলেন, আমি খুবই গরিব মানুষ। অনেক কষ্টে স্থানীয় বাজারে কাজ করে স্ত্রী আর ৫ সন্তানের ভরণপোষণ করছি।

    স্থানীয় প্রশাসনের মতে, ২০ অক্টোবর ভারতীয় গোলাবর্ষণে ১৬৫টি বাড়ি, ৩৮টি দোকান, তিনটি স্কুল ও ১৫টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    রাজা শহিদ বলেন, নিহত পরিবারগুলোকে মাথাপিছু ১০ লাখ রুপি ও আহতদের ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার।

    বেশির ভাগ লোক তাদের বাড়িতে ছোট বাংকার তৈরী করেছে। এর মাধ্যমেই তারা জীবন রক্ষা করার চেষ্টা করে।

    শহিদ বলেন, সরকার এলাকাভিত্তিক বাংকারও নির্মাণ করছে, যাতে তারা ভারতীয় গোলাবর্ষণ থেকে রক্ষা পেতে পারে। আমরা প্রায় ২০টি বাংকার নির্মাণ করেছি।

    ক্ষমতালোভী ভারত-পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সেনারা ২০০৩ সালে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও স্বভাবগতভাবেই উভয় পক্ষ সেই যুদ্ধবিরতি বার বার ভঙ্গ করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত ২,২২৯ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তাদের গোলায় ৪২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৬৯ জন আহত হয়েছে।

    আবার, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, পাকিস্তান ২০১৯ সালে ২,০৫২ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে ২১ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে।

    অর্থাৎ, উভয় সন্ত্রাসী বাহিনীর ক্ষমতার লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ জনতা। কাশ্মীরের সাধারণ মুসলিমরাই মূলত ভারত-পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সেনাদের ক্ষমতাকেন্দ্রীক লড়াইয়ের সবচেয়ে নির্মমতার শিকার।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/06/28504/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বাংলাদেশের নদীগুলো ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য, সেনা, ট্যাংক চলাচলের বিকল্প রুটের সন্ধান!


      হিন্দুস্তান পেট্রোক্যামিক্যালস ও আদানি উইলমারের ৫৩টি কন্টেইনার নিয়ে চলতি সপ্তাহের কোনো একসময় গৌহাটির পান্ডু বন্দরের উদ্দেশে কলকাতার কাছের হালদিয়া বন্দর ত্যাগ করবে জাহাজ এমভি মহেশ্বরী। জাহাজ চলাচল সচিব মালাউন গোপাল কৃষ্ণ জাহাজটির যাত্রা উদ্বোধন করবে। ১২-১৫ দিনের যাত্রাকালে এটি ১,৪৮৯ কিলোমিটার পাড়ি দেবে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে এটি প্রথমে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ভারত-বাংলাদেশ নদী বাণিজ্য রুট অতিক্রম করবে প্রথমে, তারপর স্বল্প-ব্যবহৃত পথ দিয়ে যাবে। আর এটিই ভারতের উত্তর-পূর্বের কানেকটিভিটিকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিতে পারে।

      ইকোনমিক টাইমসের সূত্রে জানা যায়, ভারতের উত্তর-পূর্ব ভূগোলের বন্দী। ভূবেষ্ঠিত ও চীন, ভুটান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশীদের দিয়ে ঘিরে থাকা উত্তর-পূর্বের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের একমাত্র স্থলভিত্তিক সংযোগস্থল হলো ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত শিলিগুড়ির ‘চিকেনস নেক’। ফলে কৌশলগতভাবে এখানে সহজেই বিঘ্ন ঘটনো সম্ভব। এর মানে এই যে পণ্য, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি প্রবাহ করার স্থলভিত্তিক পরিবহন ও বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক সীমিত, অত্যন্ত বৈরী ও সরু।

      ভারত এই সমস্যাটির সমাধানের জন্য দ্বিমুখী সমাধানের কথা ভেবেছে। একটি হলো সমুদ্র বাণিজ্য চাঙ্গা করার জন্য এই এলাকার নদী নেটওয়ার্ককে সক্রিয় করা। দ্বিতীয়ত, উত্তর-পূর্বের দক্ষিণ অংশ তথা আগরতলা সাগর থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে, একটি বিদেশী ভূখণ্ড দ্বারা বিচ্ছিন্ন। সাগরে প্রবেশের সুযোগ কানেকটিভিটিকে ব্যাপকভাবে বাড়াবে। তবে দুটি অংশের চাবিই বাংলাদেশের হাতে এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অপসারণের মাধ্যমে তা খোলার চেষ্টা করা হয়েছে।

      চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়া দিল্লি সফরের সময় এ ব্যাপারে সক্রিয় প্রয়াস চালানো হয়। কলকাতা থেকে ঢাকার কাছে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত ক্রমবর্ধমান ইন্দো-বাংলাদেশ বাণিজ্যের জন্য ব্যবহৃত গাঙ্গেয় নেটওয়ার্ক উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদী দিয়ে (বাংলাদেশে যমুনা নামে পরিচিত) আসামের মধ্যভাগে থাকা সিলঘাট এবং কুশিয়ারি নদী দিয়ে রাজ্যটির দক্ষিণে করিমগঞ্জ। এসব রুট ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল ফর ইনল্যান্ড ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের (আইবিপিআইটিটি) অংশবিশেষ। তবে নানা সমস্যার কারণে এসব রুট অব্যবহৃতই থেকে গেছে। এগুলোতে নতুন জীবন সঞ্চারের উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে।

      আগরতলাকে সড়কপথে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের সাথে সংযুক্ত করার আরেকটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটেই এসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

      বাণিজ্য সম্পর্ক

      ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মূল্য ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ছিল ১০.২৫ বিলিয়ন ডলার। ভারত ৮.১৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ভোগ করছে।

      ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী শীতলক্ষ্যার তীরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ ঢাকা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। আর নদীপথে কলকাতা থেকে ৯১০ কিলোমিটার দূরে।

      অন্যদিকে, গঙ্গার শাখা রূপসা ও ভৈরব নদীর মাঝখানে অবস্থিত খুলনা। এটি নদীপথে কলকাতা থেকে মাত্র ৫২৩ কিলোমিটার দূরে। এই দুটি কেন্দ্র ২০১৮-১৯ সময়কালে ইন্দো-বাংলাদেশ বাণিজ্যকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই রুটে এই সময় ৩.১৫ মিলিয়ন টন কার্গো চলাচল করেছে। আগের বছর তা ছিল ৩.০৯ মিলিয়ন টন।

      ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েস অথোরিটি অব ইন্ডিয়ার (আইডব্লিউএআই) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে বাণিজ্য ৪০ লাখ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে।

      নদীপথে বাণিজ্যে মাত্র একটি পণ্যের আধিপত্য থাকায় ও গন্তব্য কেবল নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় একটি বিষয় পরিষ্কার: নয়া দিল্লি উত্তর-পূর্বের সম্ভাবনাপূর্ণ ট্রানজিট হিসেবে ১৯৭২ সালের ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল (আইবিপি) রুটগুলো সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হয়নি।

      বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাণিজ্যের প্রধান বাধা হলো নদীর গভীরতা কম। এর জন্য প্রয়োজন ড্রেজিং। বর্তমানে কুশিয়ারা নদীতে সিরাজগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত (২৯৫ কিলোমিটার) ড্রেজিং চলছে। এই কাজ শেষ হবে ২০২১ সালে।

      সব মওসুমে চলাচলের জন্য ২.৫-৩ মিটার গভীরতা প্রয়োজন। ওই গভীরতার জন্য চ্যানেলটি ৪৫-৫০ মিটার চওড়া হওয়া দরকার। বর্তমানে আইবিপি রুটগুলোতে ১২টি ড্রেজার কাজ করছে বলে আইডব্লিউএআই জানিয়েছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩০৬ কোটি রুপি। এই প্রকল্পের মধ্যে ৫ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ কাজও রয়েছে। আইবিপি পদ্মা, যমুনা, কুশিয়ারা, মেঘনাসহ বাংলাদেশী চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে ভারতের ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-১ (গঙ্গা, ভাগিরথি, হুগলি)-কে সংযুক্ত করবে এনডব্লিউ-২ (ব্রহ্মপুত্র) ও এনডব্লিউ-১৬ (বরাক)-এর সাথে।

      প্রটোকলের আওতাভুক্ত এই সম্মত রুটগুলো কলকাতা থেকে সিলঘাট (মধ্য আসাম) পর্যন্ত ১,৭২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং আরেকটি ১,৩১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কলকাতা-করিমগঞ্জ (দক্ষিণ আসাম) অংশজুড়ে বিস্তৃত। আইবিপি চুক্তিটি আগামী বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। তবে আপত্তি না থাকলে এটি আরো ৫ বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে। আইবিপি রুটে থাকা ছয়টি নদীবন্দরের চারটিই (ধুবরি, পান্ডু, সিলঘাট ও করিমগঞ্জ) পর্যাপ্ত ব্যবসায়িক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে না। এতে বোঝা যাচ্ছে, আইবিপি এর পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারেনি।

      এ কারণেই চলতি সপ্তাহে হলদিয়া থেকে পান্ডুগামী কন্টেইনার জাহাজের চলাচল তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়া কয়লাবোঝাই এমভি আই ও এমভি বেকি প্রবেশ করবে ব্রহ্মপুত্রে। ৮০ থেকে ১০০টি ট্রাকের সমান মালামাল নিয়ে একটি জাহাজ সাধারণত ঘণ্টায় ১২-১৫ কিলোমিটার বেগে চলাচল করে।

      পশ্চিম আসামের ধুবরি বন্দরে চলতি বছরের জুলাই মাসে কিছু ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলেছে। এসময় ভুটানের সীমান্ত শহর ফুয়েনতশলিং থেকে ১,০০৫ টন পাথর ধুবরিতে আসে। সেখান থেকে আইবিপি রুট ব্যবহার করে নারায়গঞ্জে যায়। তৃতীয় দেশ হয়ে এ ধরনের বাণিজ্য এই প্রথম।

      কলকাতা থেকে নদীপথে ত্রিপুরার আগরতলা যেতে ৫০০ কিলোমিটার পথ কম পাড়ি দিতে হয়। রেলপথে যেতে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি দিয়ে যেতে হয়। আবার চীনের কাছাকাছি থাকায় শিলিগুড়ি করিডোরটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

      ভারত সবসময়ই প্রয়োজনে ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসী সৈন্য ও ট্যাংক চলাচলের জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিকল্প রুট সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষা লালন করে আসছে। আইডব্লিউএআইয়ের চেয়ারপারসন মালাউন অমিত প্রাসাদ বলেছে, আইবিপি রুটের মাধ্যমে ট্রানজিটের ভবিষ্যত নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। আইডব্লিউএআইয়ের হয়ে ইওয়াইয়ের পরিচালিত সমীক্ষায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে নদীপথগুলো ব্যবহার করে ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব ও মূল ভারতের মধ্যে বছরে ৫০ মিলিয়ন টন বার্ষিক কার্গো চলাচল করা যাবে।

      বর্তমানে পণ্য চলাচলে কেবল চিকেনস নেকই ব্যবহৃত হয়। উত্তর-পূর্ব থেকে মূল ভারতে যায় সিমেন্ট ও ক্লিঙ্কার, সার, ভেষজ পণ্য, অপরিশোধিত তেল ও চা। আর মূল ভারত থেকে উত্তর-পূর্বে যায় খাদ্যশস্য, সিমেন্ট, লোহা, স্টিল, ওষুধ, গাড়িসহ বিভিন্ন ভোগ্য পণ্য।
      সমুদ্র রুট



      এক বছর আগে ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার সম্মতি দেয় বাংলাদেশ। অক্টোবরে এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়। এটা উত্তর-পূর্বকে ব্যয়সাশ্রয়ী পরিবহনের সুযোগ দিতে পারে। বিশেষ করে ভৌগোলিকভাবে পিছিয়ে থাকা ত্রিপুরা ও মিজোরামের মতো রাজ্যগুলোকে সহায়তা করতে পারে। অন্যদিকে কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব যেখানে ১,৫০০ কিলোমিটার, সেখানে আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম থেকে আগরতলার দূরত্ব মাত্র ২৫০ কিলোমিটার।

      আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল টেলিফোনে ইকোনমিক টাইম ম্যাগাজিনকে বলেছে, বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে ভারতের প্রবেশের সুযোগ পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য বিপুলভাবে কল্যাণকর হবে। এর ফলে উত্তরপূর্বে পণ্য পরিবহন ব্যয় অনেক কমে আসবে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/06/28517/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত কর্তৃক ইসরাইলি ড্রোন, থার্মাল ইমেজার মোতায়েন!


        ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ধুবরি সেক্টরে নজরদারী করতে ভারতের সীমান্ত সন্ত্রাসী বাহিনী (বিএসএফ) আক্ষরিক অর্থেই গোপন অবস্থানে চলে গেছে। তারা আকাশেও চোখ রাখছে।

        দি হিন্দু সূত্রে জানা যায়, মেঘালয় থেকে পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ধুবরি সেক্টরের জন্য বিএসএফ অনির্দিষ্ট সংখ্যক ইসরাইলি টেথার ড্রোন কিনেছে। এসব ড্রোনের প্রতিটির দাম ৩৭ লাখ রুপি। এগুলোতে রয়েছে দিবা-রাত্রি ভিশন ক্যামেরা। এগুলো দুই কিলোমিটার দূর থেকেও ছবি ধারণ করতে পারে।

        বাংলাদেশের সাথে আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ – এই ৫ ভারতীয় রাজ্যের রয়েছে ৪,০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত। আর আসামের ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১১৯.১ কিলোমিটার হলো নদী।

        বিএসএফের গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের মহাপরিদর্শক পিযুস মর্দিয়া দি হিন্দুকে বলেছে, চোরাচালান হয় সাধারণত রাতে। অন্ধকার স্থানগুলোতে নজরদারি করা কঠিন। কিন্তু এসব ড্রোনে থাকা ক্যামেরাগুলো সর্বোচ্চ ১৫০ মিটার উঁচু থেকে আমাদের সার্বক্ষণিক ছবি দিয়ে আমাদের দৈহিক ও জৈবিক সীমাবদ্ধতা দূর করবে।

        সাধারণ ড্রোন ও টেথার ড্রোনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ ড্রোনে ৩০ মিনিট উড্ডয়নের পর এর ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। তাছাড়া এগুলো প্রবল বাতাসে গতিপথ হারিয়ে ফেলে। ধুবরি সেক্টরে প্রায়ই প্রবল বাতাস ও ঝড়ো হাওয়া থাকে। টেথার ড্রোন এসব সমস্যা থেকে মুক্ত।

        ড্রোন ছাড়াও বিএসএফ অ-স্পর্শ তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র থার্মাল ইমেজারও মোতায়েন করেছে। মানুষ, প্রাণী ও অন্যান্য বস্তুর চলাচল শনাক্ত করার জন্য মাটির নিচে ও পানির নিচেও সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে বলে মর্দিয়া জানায়।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/06/28512/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          জালিমদের পতনে জুলুমের অবসান হোন....!

          সৌদির কারাগারে বন্দী কয়েকজন প্রখ্যাত আলেমের নাম ও বন্দীত্বের সময়
          এই শিরোনামের লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগল। ইয়া আল্লাহ! এই জালিমদের কবল থেকে উম্মাহর নক্ষত্রতুল্য মাজলুম উলামায়ে কেরামের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন এবং এই জালিম সৌদি হুকুমতের মুখোশ উম্মাহর সামনে আমভাবে প্রকাশ করে দিন। আমীন ইয়া রব্ব!
          হে আল্লাহ, সারাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জালিমের কারাগারে বন্দী হওয়া মুসলিমদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন, তাঁদেরকে ইসলামের পথে অটল রাখুন। আমীন।
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X