সন্ত্রাসী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পরবর্তী টার্গেট কাশী-মথুরা
বাবরী মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা হওয়ার পর এবার কাশী-মথুরা তাদের পরবর্তী টার্গেট বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি)।
পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্মপ্রসারে দায়িত্বে থাকা স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছে, “আমাদের পরবর্তী টার্গেট কাশী, মথুরাসহ দেশের ৩২ হাজার মন্দিরকে উদ্ধার করা। ভিএই্চপি এই কাজ শান্তিপূর্ণভাবেই করতে চায়। মুসলিমদের সাথে প্রতারণাপূর্ণ ওই রায়ে নাকি গান্ধিজীর ‘রাম রাজ্য’র স্বপ্ন সফল হল।”
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সারা ভারতের হিন্দু সমাজের জয় হয়েছে মন্তব্য করে স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেছে, ‘৪০০ বছরের পরাধীনতার চিহ্ন মুছে গেল।
অন্যদিকে, ‘হিন্দু সংহতি’র সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য বলেছে, “ মুসলিমদের চিহ্ন মুছে ফেলে যেভাবে রাম জন্মভূমিকে মুক্ত করা হল, সেইভাবেই মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি, বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের আদিনাথ মন্দির (আদিনা মসজিদ) এর মুক্তি চাই।”
গত মাসেই ‘অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদ’ জানায়, রাম মন্দিরের নির্মাণ শেষ হলে মথুরা ও কাশীর মন্দিরগুলোকে ‘মুক্ত’ করা হবে। সংগঠনটির সভাপতি মহন্ত নরেন্দ্র গিরির দাবি, “অযোধ্যার মতোই কাশী ও মথুরাতে হিন্দুদের ভ্রান্ত বিশ্বাস মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়া হয়। হারানো সেই জায়গা ফিরে পেতে হবে। রাম জন্মভূমির মতোই এই দুই জায়গাও হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত দামি। আমরা এর দখল নেবই।”
ওই ইস্যুতে গতকাল শনিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এমপি মন্তব্য করে বলেছে, “অযোধ্যা, কাশী ও মথুরায় মন্দির নিয়ে আন্দোলন করেছি। অযোধ্যায় হয়েছে, বাকি জায়গায় কী হবে, সেটা সাধুসন্তরা ঠিক করবে।”
বাবরি মসজিদ রায় নিয়ে ভারতের সাবেক বিচারপতি বলেছে, অযোধ্যার ক্ষেত্রে যে রায় হলো, সেই রায়কে হাতিয়ার করে ভবিষ্যতে এই রকম কাণ্ড আরও ঘটানো হবে না, সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেন? শুধু অযোধ্যায় নয়, মথুরা এবং কাশীতেও একই ঘটনা ঘটবে— এ কথা আগেই বলা হতো। যাঁরা গুন্ডামি করে বাবরি মসজিদ ভেঙেছিল, তাঁরাই বলত। এখন আবার সেই কথা বলা শুরু হচ্ছে। যদি সত্যিই মথুরা বা কাশীতে কোনও অঘটন ঘটানো হয় এবং তার পরে মামলা-মোকদ্দমা শুরু হয়, তা হলে কী হবে? সেখানেও তো এই রায়কেই তুলে ধরে দাবি করা হবে যে, মন্দিরের পক্ষেই রায় দিতে হবে বা বিশ্বাসের পক্ষেই রায় দিতে হবে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/11/28671/
বাবরী মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা হওয়ার পর এবার কাশী-মথুরা তাদের পরবর্তী টার্গেট বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি)।
পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্মপ্রসারে দায়িত্বে থাকা স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছে, “আমাদের পরবর্তী টার্গেট কাশী, মথুরাসহ দেশের ৩২ হাজার মন্দিরকে উদ্ধার করা। ভিএই্চপি এই কাজ শান্তিপূর্ণভাবেই করতে চায়। মুসলিমদের সাথে প্রতারণাপূর্ণ ওই রায়ে নাকি গান্ধিজীর ‘রাম রাজ্য’র স্বপ্ন সফল হল।”
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সারা ভারতের হিন্দু সমাজের জয় হয়েছে মন্তব্য করে স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেছে, ‘৪০০ বছরের পরাধীনতার চিহ্ন মুছে গেল।
অন্যদিকে, ‘হিন্দু সংহতি’র সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য বলেছে, “ মুসলিমদের চিহ্ন মুছে ফেলে যেভাবে রাম জন্মভূমিকে মুক্ত করা হল, সেইভাবেই মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি, বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের আদিনাথ মন্দির (আদিনা মসজিদ) এর মুক্তি চাই।”
গত মাসেই ‘অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদ’ জানায়, রাম মন্দিরের নির্মাণ শেষ হলে মথুরা ও কাশীর মন্দিরগুলোকে ‘মুক্ত’ করা হবে। সংগঠনটির সভাপতি মহন্ত নরেন্দ্র গিরির দাবি, “অযোধ্যার মতোই কাশী ও মথুরাতে হিন্দুদের ভ্রান্ত বিশ্বাস মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়া হয়। হারানো সেই জায়গা ফিরে পেতে হবে। রাম জন্মভূমির মতোই এই দুই জায়গাও হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত দামি। আমরা এর দখল নেবই।”
ওই ইস্যুতে গতকাল শনিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এমপি মন্তব্য করে বলেছে, “অযোধ্যা, কাশী ও মথুরায় মন্দির নিয়ে আন্দোলন করেছি। অযোধ্যায় হয়েছে, বাকি জায়গায় কী হবে, সেটা সাধুসন্তরা ঠিক করবে।”
বাবরি মসজিদ রায় নিয়ে ভারতের সাবেক বিচারপতি বলেছে, অযোধ্যার ক্ষেত্রে যে রায় হলো, সেই রায়কে হাতিয়ার করে ভবিষ্যতে এই রকম কাণ্ড আরও ঘটানো হবে না, সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেন? শুধু অযোধ্যায় নয়, মথুরা এবং কাশীতেও একই ঘটনা ঘটবে— এ কথা আগেই বলা হতো। যাঁরা গুন্ডামি করে বাবরি মসজিদ ভেঙেছিল, তাঁরাই বলত। এখন আবার সেই কথা বলা শুরু হচ্ছে। যদি সত্যিই মথুরা বা কাশীতে কোনও অঘটন ঘটানো হয় এবং তার পরে মামলা-মোকদ্দমা শুরু হয়, তা হলে কী হবে? সেখানেও তো এই রায়কেই তুলে ধরে দাবি করা হবে যে, মন্দিরের পক্ষেই রায় দিতে হবে বা বিশ্বাসের পক্ষেই রায় দিতে হবে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/11/28671/
Comment