সন্ত্রাসী মোদির সমালোচনা করায় ভারতীয় সাংবাদিকের নাগরিকত্ব বাতিল!
ভারতের সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ লেখায় নাগরিকত্ব হারাল এক ব্রিটিশ-ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক।
গত বৃহস্পতিবার তার ভারতের বিদেশি নাগরিকত্ব মর্যাদা কেড়ে নেয়া হয়েছে।
ভারতে বিদেশি নাগরিকত্ব (ওসিআই) বাতিলের অর্থ হচ্ছে এখন দেশটিতে তিনি কালোতালিকাভুক্ত হয়ে গেছেন।যুক্তরাজ্যে জন্ম নিলেও আতিশ তাসির নামের এই সাংবাদিক বড় হয়েছেন ভারতে। ২৫ বছর বয়স থেকে এক যুগেরও বছরেরও বেশি সময় তিনি ভারতে বসবাস করেছেন।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে মে মাসে মার্কিন টাইম সাময়িকীতে একটি কাভার স্টোরি লেখার পর তাকে এই কঠিন প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। লেখাটির শিরোনাম ছিল *‘ভারতকে বিভাজনে নেতৃত্বদানকারী’। এতে ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী মোদি সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেন তিনি।
হিন্দুসংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে বেশ কিছু লেখায় তিনি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপকে তিনি সর্বোচ্চ সন্দেহজনক ও পরিকল্পিত বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, তারা আমার মাধ্যমে অন্য সাংবাদিকদেরও সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
পারিবারিকভাবে পাকিস্তানি রাজনৈতিক ইতিহাসের কারণে ভারতবিরোধী এজেন্ডা প্রচার করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
নাগরিকত্ব বাতিলে দেশটির সরকার যে যুক্তি দেখিয়েছে, তা হচ্ছে, তার বাবা যে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত, তা গোপন রেখেছিলেন তাসির। আর এ কারণেই ওসিআই মর্যাদার ক্ষেত্রে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন।
কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে তাসির বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে তার সম্পর্ক কখনো গোপন রাখা হয়নি। বরং বিষয়টি দিয়ে তাকে সহজ নিশানা বানানো হয়েছে। খবরঃ ইনসাফ২৪
কিন্তু ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার সব নথিতেই তার বাবা সালমান তাসিরের নাম ছিল। তিনি বলেন, টাইমে লেখাটি প্রকাশের আগে আমার নাগরিত্ব নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। বিভিন্ন সময় দিনের আলোর মতোই আমার বাবার পাকিস্তানি জাতীয়তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
২০১৪ সালে হিন্দুত্ববাদী মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের গণমাধ্যম স্বাধীনতার সূচক ১৪০ থেকে ১৮০তে নেমে আসে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স ওই সূচক তৈরি করে। গত বছর নিজেদের পেশাগত দায়িত্বপালনের কারণে অন্তত ছয় সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/13/28729/
ভারতের সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ লেখায় নাগরিকত্ব হারাল এক ব্রিটিশ-ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক।
গত বৃহস্পতিবার তার ভারতের বিদেশি নাগরিকত্ব মর্যাদা কেড়ে নেয়া হয়েছে।
ভারতে বিদেশি নাগরিকত্ব (ওসিআই) বাতিলের অর্থ হচ্ছে এখন দেশটিতে তিনি কালোতালিকাভুক্ত হয়ে গেছেন।যুক্তরাজ্যে জন্ম নিলেও আতিশ তাসির নামের এই সাংবাদিক বড় হয়েছেন ভারতে। ২৫ বছর বয়স থেকে এক যুগেরও বছরেরও বেশি সময় তিনি ভারতে বসবাস করেছেন।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে মে মাসে মার্কিন টাইম সাময়িকীতে একটি কাভার স্টোরি লেখার পর তাকে এই কঠিন প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। লেখাটির শিরোনাম ছিল *‘ভারতকে বিভাজনে নেতৃত্বদানকারী’। এতে ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী মোদি সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেন তিনি।
হিন্দুসংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে বেশ কিছু লেখায় তিনি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপকে তিনি সর্বোচ্চ সন্দেহজনক ও পরিকল্পিত বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, তারা আমার মাধ্যমে অন্য সাংবাদিকদেরও সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
পারিবারিকভাবে পাকিস্তানি রাজনৈতিক ইতিহাসের কারণে ভারতবিরোধী এজেন্ডা প্রচার করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
নাগরিকত্ব বাতিলে দেশটির সরকার যে যুক্তি দেখিয়েছে, তা হচ্ছে, তার বাবা যে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত, তা গোপন রেখেছিলেন তাসির। আর এ কারণেই ওসিআই মর্যাদার ক্ষেত্রে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন।
কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে তাসির বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে তার সম্পর্ক কখনো গোপন রাখা হয়নি। বরং বিষয়টি দিয়ে তাকে সহজ নিশানা বানানো হয়েছে। খবরঃ ইনসাফ২৪
কিন্তু ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার সব নথিতেই তার বাবা সালমান তাসিরের নাম ছিল। তিনি বলেন, টাইমে লেখাটি প্রকাশের আগে আমার নাগরিত্ব নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। বিভিন্ন সময় দিনের আলোর মতোই আমার বাবার পাকিস্তানি জাতীয়তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
২০১৪ সালে হিন্দুত্ববাদী মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের গণমাধ্যম স্বাধীনতার সূচক ১৪০ থেকে ১৮০তে নেমে আসে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স ওই সূচক তৈরি করে। গত বছর নিজেদের পেশাগত দায়িত্বপালনের কারণে অন্তত ছয় সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/13/28729/
Comment