অবৈধভাবে নেয়া বাবরি মসজিদের রায়ে অখুশি ভারতের মুসলমানরা, নিচ্ছে রিভিউ

ভারতের অযোধ্যার ‘বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলা’ নিয়ে ভারতের কথিত সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের পুনর্মূল্যায়নের দাবি তুলতে শুরু করেছেন ভারতের মুসলমান সমাজ।
গত এক সপ্তাহে সেই মনোভাব পোষণে করেছেন মুসলিম সমাজের ধর্মীয়-সামাজিক নেতা এবং আইনজ্ঞদের অনেকেই।
ওই রায় যে তাদের ভাবাবেগকে আহত, ব্যথিত করেছে, সেটা স্পষ্ট করেই বলা শুরু হয়েছিল রায় বেরুনোর পর থেকেই। তবে রিভিউ বা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করা হবে কী না, তা ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড।
ওই বোর্ডের সচিব ও অযোধ্যার জমি মামলায় মুসলিম পক্ষের অন্যতম প্রধান আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি অবশ্য বলেন, প্রথম থেকেই তার মনে হচ্ছিল যে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা উচিত।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন, “রায় বেরুনোর পরেই ত্রুটি আছে বলে আমার মনে হয়েছিল। সেজন্যই আমি মনে করছি যে রিভিউ করতে হবে।”
“একটা কারণ হল, এক নম্বর বাদী – ভগবান রামলালার মূর্তি, যেটি ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে বসানো হয়েছিল, সেটি বেআইনি ছিল বলে জানিয়েছে কোর্ট। যে মূর্তিটি বেআইনিভাবে বসানো হয়েছিল বলে শীর্ষ আদালতই জানাল, সেটিকেই জমির অধিকার দেওয়া হল!”
“এছাড়া, আদালত তো এটাও স্বীকার করেছে যে অন্তত ১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৪৯ অবধি সেখানে নামাজ পড়া হত। তার অর্থ, ওই সময়কালে মুসলিমদের দখলে ছিল ওই জমিটি! এই দুটো বৈপরীত্য কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না আমার,” বলছিলেন মি. জিলানি।
রিভিউর আবেদন জানানোর দাবি মুসলিম সমাজের থেকেই উঠছে কারণ গত এক সপ্তাহে রায়ের যা যা বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে নানা সংবাদমাধ্যমে, তার পরে মুসলমান সমাজের অনেকেই এখন মনে করতে শুরু করেছেন যে রায়ের মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে গেছে, যে কারণে রিভিউর আবেদন দাখিল করাই উচিত।
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের নেতা মুহম্মদ কামরুজ্জামানের কথায়, “গত কয়েকদিনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি থেকে শুরু করে আইন বিশেষজ্ঞরা রায়ের যেসব বিশ্লেষণ দিয়েছে, তা থেকে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মনে হতে শুরু করেছে যে এই রায়ে মুসলমানরা সুবিচার পায় নি, বে-ইনসাফি হয়েছে তাদের সঙ্গে।”
একদিকে যেমন রিভিউয়ের দাবী উঠছে, তেমনই মুসলমানদের অনেকেই বলছেন, বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল, তারা সেই জমিটির অধিকার চেয়েছিলেন তারা, অন্য কোথাও জমি তো চান নি । তাই পাঁচ একর বিকল্প জমি দেওয়ার আদেশ নিয়েও মুসলমান সমাজের মধ্যে থেকেই প্রশ্ন উঠছে।
মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন জামিয়তে উলেমা-এ-হিন্দ বলছে অর্থ অথবা ‘বিকল্প জমি’ মসজিদের জমির বিকল্প হতে পারে না।
জমিয়তের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলছিলেন, “মুসলমানরা তো আদালতের কাছে নির্দিষ্ট ওই জমিটি, যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল, সেটার অধিকার চেয়েছিল। সম্পত্তির ভিক্ষা তো মুসলমানরা করে নি।”
“জমিয়তে উলেমা-এ হিন্দ সেজন্যই বলেছে যে পাঁচ একর জমি তো আমরাই ভিক্ষা করে কিনতে পারি।”
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/16/28747/

ভারতের অযোধ্যার ‘বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলা’ নিয়ে ভারতের কথিত সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের পুনর্মূল্যায়নের দাবি তুলতে শুরু করেছেন ভারতের মুসলমান সমাজ।
গত এক সপ্তাহে সেই মনোভাব পোষণে করেছেন মুসলিম সমাজের ধর্মীয়-সামাজিক নেতা এবং আইনজ্ঞদের অনেকেই।
ওই রায় যে তাদের ভাবাবেগকে আহত, ব্যথিত করেছে, সেটা স্পষ্ট করেই বলা শুরু হয়েছিল রায় বেরুনোর পর থেকেই। তবে রিভিউ বা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করা হবে কী না, তা ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড।
ওই বোর্ডের সচিব ও অযোধ্যার জমি মামলায় মুসলিম পক্ষের অন্যতম প্রধান আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি অবশ্য বলেন, প্রথম থেকেই তার মনে হচ্ছিল যে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা উচিত।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন, “রায় বেরুনোর পরেই ত্রুটি আছে বলে আমার মনে হয়েছিল। সেজন্যই আমি মনে করছি যে রিভিউ করতে হবে।”
“একটা কারণ হল, এক নম্বর বাদী – ভগবান রামলালার মূর্তি, যেটি ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে বসানো হয়েছিল, সেটি বেআইনি ছিল বলে জানিয়েছে কোর্ট। যে মূর্তিটি বেআইনিভাবে বসানো হয়েছিল বলে শীর্ষ আদালতই জানাল, সেটিকেই জমির অধিকার দেওয়া হল!”
“এছাড়া, আদালত তো এটাও স্বীকার করেছে যে অন্তত ১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৪৯ অবধি সেখানে নামাজ পড়া হত। তার অর্থ, ওই সময়কালে মুসলিমদের দখলে ছিল ওই জমিটি! এই দুটো বৈপরীত্য কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না আমার,” বলছিলেন মি. জিলানি।
রিভিউর আবেদন জানানোর দাবি মুসলিম সমাজের থেকেই উঠছে কারণ গত এক সপ্তাহে রায়ের যা যা বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে নানা সংবাদমাধ্যমে, তার পরে মুসলমান সমাজের অনেকেই এখন মনে করতে শুরু করেছেন যে রায়ের মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে গেছে, যে কারণে রিভিউর আবেদন দাখিল করাই উচিত।
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের নেতা মুহম্মদ কামরুজ্জামানের কথায়, “গত কয়েকদিনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি থেকে শুরু করে আইন বিশেষজ্ঞরা রায়ের যেসব বিশ্লেষণ দিয়েছে, তা থেকে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মনে হতে শুরু করেছে যে এই রায়ে মুসলমানরা সুবিচার পায় নি, বে-ইনসাফি হয়েছে তাদের সঙ্গে।”
একদিকে যেমন রিভিউয়ের দাবী উঠছে, তেমনই মুসলমানদের অনেকেই বলছেন, বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল, তারা সেই জমিটির অধিকার চেয়েছিলেন তারা, অন্য কোথাও জমি তো চান নি । তাই পাঁচ একর বিকল্প জমি দেওয়ার আদেশ নিয়েও মুসলমান সমাজের মধ্যে থেকেই প্রশ্ন উঠছে।
মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন জামিয়তে উলেমা-এ-হিন্দ বলছে অর্থ অথবা ‘বিকল্প জমি’ মসজিদের জমির বিকল্প হতে পারে না।
জমিয়তের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলছিলেন, “মুসলমানরা তো আদালতের কাছে নির্দিষ্ট ওই জমিটি, যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল, সেটার অধিকার চেয়েছিল। সম্পত্তির ভিক্ষা তো মুসলমানরা করে নি।”
“জমিয়তে উলেমা-এ হিন্দ সেজন্যই বলেছে যে পাঁচ একর জমি তো আমরাই ভিক্ষা করে কিনতে পারি।”
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/16/28747/
Comment