উম্মাহ্ নিউজ # ১৯শে রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৭ই নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

আমি আমার বাবরি মসজিদ ফেরত চাই, বললেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমেনের (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এমপি বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ একটুকরো জমির জন্য নয়। আমার আইনি অধিকার যেন অক্ষুন্ন থাকে সেইদিকে নজর রাখা। শীর্ষ আদালতও জানিয়েছে মসজিদ তৈরি করার জন্য কোন মন্দির ধ্বংস করা হয়নি। তাই আমি আমার বাবরি মসজিদ ফেরত চাই।

শুকবার (১৫ নভেম্বর) এক টুইট বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, সাম্প্রদায়িক সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমি সুন্তুষ্ট না। আমাদের বৈধ অধিকার নিয়ে আমরা লড়াই করে যাচ্ছি। দান করা পাঁচ একর জমি আমাদের দরকার নেই। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল’ বোর্ডের সঙ্গে আমি একমত, তারাও রায়ে অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন। খবরঃ ইনসাফ২৪

অযোধ্যার শহরে একটি মসজিদ নির্মাণে পাঁচ একর জমি বরাদ্দে আদালতের নির্দেশ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়ছি। আমার মত হচ্ছে, ভূমি দানের এই প্রস্তাব আমাদের প্রত্যাখ্যান করা উচিত। আমাদের পিঠ চাপড়াবেন না।

সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/17/28759/

[Al-Firdaws News]

অবৈধভাবে দখলকৃত কাশ্মীরে শ্রমিক সঙ্কটে বাগানেই পচছে আপেল

অবৈধভাবে ভারত দখলকৃত কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ হওয়ার পর ১০০ দিন কেটে গেছে। প্রথমে কার্ফু জারি করে সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার। এরপর যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাধীনভাবে চলাচল থেকে শুরু করে সর্বত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যার ফলে কাশ্মীরে স্বাভাবিক জীবনে এক দুর্বিষহ নেমে আসে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হয় বরাবরের মত। দেশটির একটি আপেল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, লাল রঙের আপেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারা বাগানের জমিতে।

এ নিয়ে বাগান-মালিক আমির হুসেনের গলায় হতাশা। তিনি বলেন, রস জমলেই আপেল ভারী হয়ে গাছ থেকে পড়ে যায়। আর মাটিতে পড়লেই সব নষ্ট। সেটি আর বিক্রি হবে না। কিন্তু এ বছর ফল পাড়ারই লোক নেই। সাধারণত অন্য রাজ্যের শ্রমিকরাই কাশ্মীরের বাগানে আপেল পাড়ার কাজ করেন। ভারতীয় আগ্রাসনে প্রাণের ভয়ে তারা কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করায় আপেল পাড়ারই লোক নেই। তাই বউ-ছেলেকে নিয়ে আমির নিজেই হাত লাগিয়েছেন। আবার বেচবই বা কোথায়? আমির হুসেনের কপালে তখন থেকেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। এ বার আপেল বিক্রি হবে তো? এই হতাশায় কাশ্মীরের আপেল বাগানে এ বার সত্যিই রক্তের দাগ।

কাশ্মীরের বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে ৫ আগস্টের পর থেকে এক ট্রাক আপেলও বের হয়নি। ভয়ে আপেল চাষি বা ব্যবসায়ী কেউই মান্ডির পথ মাড়াচ্ছেন না। ৮০ টাকা কেজি দামের কাশ্মীরের সেরা আপেল ২৫-৩০ টাকা দরে বেচে দিতে হচ্ছে রাতের অন্ধকারে।

আপেল ব্যবসায়ী নাজির আহমেদ জানান, গত বছরও কলকাতায় ‘এ-গ্রেড’ আপেল পাঠিয়েছেন। তিনি আফসোস করে বলেন, কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী আন্দোলন তো চলছে নব্বইয়ের দশক থেকে। ২০০৮, ২০১০ সালেও অশান্তি হয়েছে। কিন্তু তখনও আপেল ব্যবসায় ধাক্কা লাগেনি। তবে এবার শুধু আপেল নয়, অবৈধভাবে ৩৭০ রদের ধাক্কা লেগেছে পর্যটন থেকে হস্তশিল্প, ফলের রস থেকে তথ্যপ্রযুক্তি— কাশ্মীরের অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই।

কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সভাপতি শেখ আশিক বলেন, গত ১০০ দিনে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। কাজ হারিয়েছেন অন্তত ১ লাখ মানুষ। ভারতীয় আগ্রাসনের কারণে স্বর্গীয় কাশ্মীরে আজ নরকের ধোঁয়া। এর দায় কি আগ্রাসী ভারত কখনােই এড়াতে পারে?
সুত্রঃ ইনসাফ২৪

সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/17/28756/

[Al-Firdaws News]

অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী ইহুদীবাদী ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের বিমান হামলা অব্যাহত

অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় ইসলামি জিহাদের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সন্ত্রাসীরা নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) অস্ত্রবিরতি চুক্তির পর আবারও এ বিমান হামলা চালানো হয়।

গত এক সপ্তাহে বিমান হামলা করে নিরাপরাধ ৩৪ ফিলিস্তিনী নাগরিকে শহীদ করার পর আবারো বোমা নিক্ষেপের কারণে ইসরায়েলের সাথে করা অস্ত্রবিরতি চুক্তি অকার্যকর হয়ে পড়লো।

ইসলামি জিহাদের এক কমান্ডারের অবস্থান লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিমান হামলাকে কেন্দ্র করে গাজা উপত্যকায় দু’দিনের ব্যাপক সহিংসতার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অস্ত্রবিরতি পালন শুরু হয়।

তবে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) সাংবাদিকদের জানায়, ইসলামি জিহাদের অবস্থান লক্ষ্য করে রাতভর নতুন করে বিমান হামলা চালানো হয়। খবরঃ ইনসাফ২৪

তারা জানায়, ‘আইডিএফ বর্তমানে গাজায় ইসলামি জিহাদ গ্রুপের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে।

এদিকে মিশর ও জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় গাজা ও ইসরাইল কর্তৃপক্ষ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় এ ভূখন্ডে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/17/28762/

[Al-Firdaws News]

সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের এমপি হাজী সেলিমের হাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর লাঞ্ছিত

এমপি হাজী সেলিমের লাঞ্ছনায় কান্নায় ভেঙে পড়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর।
পুরান ঢাকার লালবাগে শহীদ হাজী আবদুল আলীম মাঠের সংস্কার শেষে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক। কাউন্সিলরকে মারধর করে সে। স্ক্রিনে নাম না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে নিজেই মঞ্চে উঠে মাইক ফেলে দেয় সন্ত্রাসী হাজী সেলিম। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এ মাঠের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে। গতকাল ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে। সে হিসেবে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।

মাঠের ভিতরে বড় মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। পেছনে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়। বেলা ৩টায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য সন্ত্রাসী হাজী মোহাম্মদ সেলিম মাঠের ভিতরে প্রবেশ করে মঞ্চে এলইডি স্ক্রিনে তার ছবি ও নাম না দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সে নিজেই মঞ্চে উঠে মাইক ফেলে দেয়। বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সংযোগ।

পরে অনুষ্ঠানে আসা ব্যক্তিরা তার এ আচরণের কারণ জানতে চাইলে সন্ত্রাসী হাজী সেলিমের অনুসারীরা বলে, এ এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে হাজী সেলিমকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। এর জন্য ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমানকে দায়ী করে তারা। এক পর্যায়ে হাজী সেলিম হাসিবুরের দিকে তেড়ে আসে, তার গায়ে হাত তোলে। সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তাকেও তার অনুসারীরা ধাক্কা দেয়। এতে ব্যাপক হট্টগোল সৃষ্টি হয়

৩টায় শুরু হওয়া এ উত্তেজনা চলে আধা ঘণ্টা। পরে মেয়র সাঈদ খোকন এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মেয়র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মাঠের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু করে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কথিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/17/28753/

[Al-Firdaws News]

সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের ছায়াতলে কিছু মানুষ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিলঃ কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছে,, পিয়াজ সংকট নিয়ে কথিত প্রধানমন্ত্রী বলতে পারে না তার বাড়িতে পিয়াজ ছাড়া রান্না হয়েছে। এটা কোন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হতে পারে না। পিয়াজ নিয়ে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের ছায়াতলে কিছু মানুষ কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিল। এটাকে সুশাসন বলে না।

এটা দুঃশাসন।

কাদের সিদ্দিকী আরো বলেছে, আগে দোজখে যাবে কু-আলেম, এরপর যাবে কু-শাসক।

আজ দুপুরে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম ওফাতবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানীর মাজার জিয়ারত শেষে এ কথা বলে।

এ সময় তার সাথে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকাসহ (বীরপ্রতিক) জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন

সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/17/28765/

[আবু যুবাইর]

আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল খেদমতকে কবুল করুন। আমীন

[With Guraba]

সেনা অফিসারদের হাত করে রাতের আঁধারে ক্ষমতা চুরি করে নেওয়া যায়, কিন্তু দেশ চালানো যায় না।

[abu mosa]

আল্লাহ আপনাদের কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।