Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২০শে রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৯শে নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২০শে রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৯শে নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    উইঘুর মুসলিমদের বন্দি রাখতে ৫০০ ক্যাম্প-কারাগার চালাচ্ছে চীন!


    উইঘুর নিপীড়ন নিয়ে সক্রিয় মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, উইঘুর মুসলিমদের আটক ও বন্দি রাখতে প্রায় পাঁচশ ক্যাম্প ও কারাগার চালাচ্ছে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কমিউনিষ্ট চীন সরকার।

    আর এসকল ক্যাম্প-কারাগারে ৩০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক রাখার খবর জানাচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

    ওয়াশিংটনভিত্তিক দ্য ইস্ট তুর্কিস্তান ন্যাশনাল এ্যাওয়াকেনিং মুভমেন্ট মঙ্গলবার জানিয়েছে, গুগল আর্থের ছবি মূল্যায়ন করে ১৮২টি বিনাবিচারে বন্দি রাখার ক্যাম্প পাওয়া গেছে। গুগল কোঅরডিনেটস সিস্টেমের মাধ্যমে তারা এই তালিকা তৈরি করেছে।

    সরেজমিন প্রতিবেদনের সঙ্গে গুগলের তথ্য মিলে গেছে বলেও দাবি করছে ওই মানবাধিকার সংস্থাটি। এছাড়াও ২০৯টি সন্দেহভাজন কারাগার ও ৭৪টি শ্রম ক্যাম্পও শনাক্ত করা হয়েছে।

    ব্যাপক অঞ্চলজুড়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের খোঁজ এর আগে কখনো পাওয়া যায়নি। কাজেই এসব ক্যাম্পে উইঘুর মুসলিমরাই বন্দি রয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

    তুর্কিস্তান ন্যাশনাল এ্যাওয়াকেনিং মুভমেন্টের পরিচালক কেইল ওলবার্ট এসব তথ্য জানিয়েছেন।

    ওয়াশিংটনের শহরতলীতে এক সংবাদসম্মেলনে তিনি বলেন, এর আগে আমরা শনাক্ত করতে পারিনি এমন বহু ক্যাম্প রয়েছে সেখানে।

    মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মী ও এই গ্রুপটির উপদেষ্টা অ্যান্ডার্স কোর বলেন, এর আগে ৪০ শতাংশ এলাকার প্রতিবেদন করা হয়েছিল।

    তুর্কি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীটির ১০-২০ লাখেরও বেশি সদস্যকে আটক করে রাখার কথা সাধারণত জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

    গত মে মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের এশিয়া বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা র*্যানডার স্ক্রিভার বলেন, আটক রাখার এই সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

    অঞ্চলটিতে দুই কোটির মতো জনসংখ্যা রয়েছেন। যাদের বড় একটা সংখ্যকই এখন কারাগারে বন্দি।

    ওলবার্ট বলেন, ক্যাম্প সাইটের বিভিন্ন চিত্রে পরপর স্থাপিত বিভিন্ন স্টিল ও কংক্রিটের অবকাঠামো চোখে পড়ছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতর গত চার বছরে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/19/28820/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    উইঘুর মুসলিম নিপীড়নের আলামত পাওয়া গেল চীনের ফাঁস হওয়া নথিতে


    চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর দেশটির সন্ত্রাসী সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক সরকারি নথিতে। এতে দেখা যায়, শুধু নৃতাত্ত্বিক উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলমানরাই নয়; বরং একই অবস্থা অঞ্চলটির অন্য মুসলিমদেরও। এ খবর জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

    চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বায়ত্তশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশী মিডিয়ার সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ মুসলিমদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে বেইজিং।

    বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও অ্যাক্টিভিস্টরা দীর্ঘ দিন থেকেই বলে আসছেন, জিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে অন্তত ১০ লাখ মুসলিমকে আটক করে রেখেছে সন্ত্রাসী দেশ চীন। তবে চীন বরাবরই মুসলিমদের গণগ্রেফতারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

    নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা নথিটি ফাঁস হয়েছে চীনের একজন ঊর্ধ্বতন রাজনীতিকের কাছ থেকে। এতে দেখা গেছে, চীনা সন্ত্রাসী প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কিভাবে ২০১৪ সালে অঞ্চলটি সফরকালে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অঞ্চলটির মুসলিমদের ব্যাপারে বেইজিংয়ের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

    একটি ট্রেন স্টেশনে চুরি হামলার পর অঞ্চলটি সফর করে শি জিনপিং। ওই হামলার জন্য উইঘুরদের দায়ী করা হয়ে থাকে। এরপর দেয়া সিরিজ ভাষণে একনায়কতন্ত্রের উপাদানগুলো ব্যবহার করে ‘সন্ত্রাসবাদ, অনুপ্রবেশ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে’ লড়াইয়ের নির্দেশ দেয়। একই সাথে উইঘুর মুসলিমদের ব্যাপারে কোনোভাবেই অনুকম্পা না দেখানোর নির্দেশ দেয় সে। কথিত চীনা প্রেসিডেন্টের এমন নির্দেশের ব্যাপারে রয়টার্সের পক্ষ থেকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি ফ্যাক্স করা হয়েছে।

    এর কোনো জবাব মেলেনি। কিছু দেশ বলছে, চীনের লড়াই কথিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নয়; বরং জিনজিয়াং থেকে উইঘুর মুসলমানদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বেইজিং।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/19/28796/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জেরুজালেমে দখলদার ইহুদি সন্ত্রাসীদের বসতি স্থাপনের ‘বৈধতা’ দিলো ক্রুসেডার ট্রাম্প প্রশাসন!


      ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করেই ওয়াশিংটন কার্যত সেগুলির বৈধতা দিল৷ অবৈধ ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ফিলিস্তিনিরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷

      ক্রুসেডার অ্যামেরিকার কারণে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া বহুকাল ‘মুমূর্ষু’ অবস্থায় রয়েছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ সন্ত্রাসী ও অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বোঝাপড়ার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে আসছে৷ ফিলিস্তিন অধিকৃত এলাকায় বসতি নিয়ে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল এতকাল একঘরে হয়ে কাজ করে আসছে৷ এবার ক্রুসেডার ট্রাম্প প্রশাসন সেই এলাকার উপর ইসরায়েলের অধিকার কার্যত স্বীকার করে নিলো৷ দীর্ঘ প্রায় চার দশক ধরে ওয়াশিংটন ইহুদি বসতি স্থাপনের অধিকারকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি’ হিসেবে গণ্য করে আসার পর সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই নীতি বর্জন করে৷ উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখল করার পর থেকে সেখানে ইহুদি বসতি নির্মাণ করে চলছে৷

      মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সোমবার এই ঘোষণা করায় গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী “বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু”৷ চলতি বছর দু-দুটি নির্বাচনে অস্পষ্ট ফলাফলের পর সে কোনোরকমে ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছে৷ এই অবস্থায় ওয়াশিংটনের ঘোষণাকে নিজের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরছে এই সন্ত্রাসী ইহুদী নেতা৷ নেতানিয়াহু বলে, অবশেষে এক ‘ঐতিহাসিক ভুল’ সংশোধন করা হলো৷

      পম্পেও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও রনাল্ড রেগানকে উদ্ধৃত করে ইহুদি বসতির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় দূর করার চেষ্টা করেছে।

      এর আগে পূর্ব জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েও সন্ত্রাসী ও ক্রুসেডার রাষ্ট্র অ্যামেরিকা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল৷ বলা বাহুল্য, ফিলিস্তিনিরা ওয়াশিংটনের এই নীতি পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন৷ ফিলিস্তিনি মধ্যস্থতাকারী “সায়েব এরেকাত” বলেন, ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক আইনের বদলে ‘জঙ্গলের আইন’ কায়েম করার হুমকি দিচ্ছে৷ ফিলিস্তিনিরা আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে আন্তর্জাতিক স্তরে আইনি সিদ্ধান্ত বাতিল করার কোনো এক্তিয়ার ওয়াশিংটনের নেই৷


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/19/28817/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ইন্ডিয়ান ও চিনা পণ্য বর্জন করা উচিৎ।
        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

        Comment


        • #5
          রাজদানী বাগদাদে আন্দোলনকারী ও মুরতাদ বাহিনীর মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে 2+ জন নিহত ও 42 জন আহত!


          ইরাকের এক নিরাপত্তা সূত্র মোতাবেক, মধ্য বাগদাদে আন্দোলনকারী ও ইরাকী মুরতাদ বাহিনীর মধ্যে হওয়া লড়াইতে 2 জন নিহত ও 42 জন আহত।

          ইরাকের রাজধানী বাগদাদের তাহরীর স্কয়ারের খিলানী এলাকায় কয়েক সপ্তাহ ধরে এই আন্দোলন চলছে। যার কারণ হিসাবে দেখানো হচ্ছে যে, দেশটির মুরতাদ সরকারের অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাহিনতা, সরকারি চাকরিতে সাধারন ইরাকিদের জায়গা না পাওয়া ও দেশের অসময়েও ইরানের পাচাটতে থাকা।

          দেশটির নিরাপত্তা সূত্র জানায় যে, ইরাকী মুরতাদ পুলিশ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্র ভঙ্গ করতে টিআর গ্যাস ব্যবহার করেছে।

          টিআর গ্যাসের একটি ক্যান একজন বিক্ষোভকারীর মাথায় লাগে এবং তৎক্ষণাৎ তাঁর মৃত্যু হয়। আর অন্য বিক্ষোভকারী পরে হাসপাতাল এ নিহত হন। যদিও নিহতের সংখ্যা আরো বেশি বলেই ধারনা করা হয়। এসময় আহত হন আরো 42 এরও অধিক বিক্ষোভকারী।

          অক্টোবর এর প্ৰথম সপ্তাহ থেকে ইরাকি মুরতাদ সরকারি পলিসির বিরূদ্ধে গণ আন্দোলন শুরু করেন দেশটির সাধারণ জনগণ।বিক্ষোভকারীদের মতে ইরাকি সরকার ,ইরাকের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং দুর্নীতি দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে।পরবর্তী কালে বিক্ষোভকারীরা মুরতাদ “আব্দেল আব্দুল মাহদী” সরকারের পদত্যাগ দাবি করতে থাকেন।

          ইরাকি মানবাধিকার কমিশন মোতাবেক 1 অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে দেশটির মুরতাদ বাহিনীর হামলায় 325 জন ইরাকি নাগরিক নিহত এবং 15000 জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/19/28811/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বাবরি মসজিদের রায় এবং কিছু প্রশ্ন



            হিন্দুত্ববাদী দেশ ভারতের কথিত সুপ্রিম কোর্টের গত ৯ নভেম্বর ২০১৯-এর একটি রায়ে বলা হয়েছে- বাবরি মসজিদের ২ দশমিক ৭ একর জমি হিন্দুদের দেয়া হবে রামমন্দির নির্মাণের জন্য। আর অযোধ্যায় বিকল্প কোনো স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমানদের দেয়া হবে ৫ একর জমি। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির অনেক কথিত সেকুলার রাজনৈতিক দল। এসব দলের মধ্যে রয়েছে : কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও তেলেগু দেশম পার্টি। বলা হচ্ছে, এই রায়ের মাধ্যমে বাবরি মসজিদ নামের বিতর্কটির একটি চূড়ান্ত সমাধান টানা হলো।

            কিন্তু এই রায়ের মাধ্যমে সমস্যাটির কোনো বাস্তব সমাধান তো টানা হয়ইনি, বরং এই রায় নানা উদ্বেগজনক প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে। রায়টি নিয়ে ভারতের ও ভারতের বাইরের গণমাধ্যমে চলছে নানাধর্মী আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক। অনেক বিবেকবানই বলছেন, এটি এমন একটি রায় যা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। এটি ইতিহাসে ঠাঁই পাবে নিছক একটি রায় হিসেবেই, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কোনো উদাহরণ হিসেবে নয়। অনেকেই বলছেন, এ রায়ে ‘প্রিন্সিপল অব ফেয়ারনেস’ অর্থাৎ ‘ন্যায্যতার নীতি’ বিসর্জন দেয়া হয়েছে। এ রায়ে ইতিহাসকে অস্বীকার করে ভিত্তিহীন দাবিকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলেছে। অথচ ইতিহাস নির্মাণের দায়িত্ব, কিংবা মহল বিশেষের দাবি প্রতিষ্ঠার কোনো দায়িত্ব আদালতের নয়। আমরা সবাই জানি, বিতর্কিত ২ দশমিক ৭ একর স্থানটিতে বাবরি মসজিদ দাঁড়িয়েছিল সেই ১৫২৮ সাল থেকে। এরপর ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী মসজিদটিতে দল বেঁধে মিছিল করে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেয়। সেই মসজিদের পুরো জায়গাটিই এখন কথিত সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে দিল রামমন্দির নির্মাণের জন্য।

            বাবরি মসজিদ নিয়ে মামলাটি বহু দিনের পুরনো। এই মামলার সূচনা ১৩৪ বছর আগে। এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষৌ বেঞ্চ ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর একটি রায় দিয়েছিল। রায়ে এই বেঞ্চ বলেছিল, বাবরি মসজিদের সাইটটি বিভক্ত করা হবে তিনটি অংশে : দু’টি অংশ যাবে হিন্দুদের পক্ষে, আর একটি অংশ যাবে মুসলমানদের পক্ষে। সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা এই মামলার চূড়ান্ত রায়ই সম্প্রতি দেয়া হলো, যে রায়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চের রায়ের বিন্দুমাত্র প্রতিফলন নেই। এ লেখার পরবর্তী অংশে এই রায় যেসব প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, তারই ওপর আলোকপাত করার প্রয়াস পাবো।

            প্রথমেই পাঠকদের জানাতে চাই, ভারতীয় কথিত সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলি রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর এ রায় সম্পর্কে কী প্রশ্ন তুলেছে। সে প্রথমেই বলেছে, ‘এই রায়ে আমি কিছুটা ডিস্টার্বড অনুভব করি। যখন আমরা আমাদের সংবিধান পেলাম, তখন আমরা এই মসজিদের বাস্তব অস্তিত্ব দেখেছি। এই মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়া সম্পর্কিত রায়ে পূর্ববর্তী আদালত বলেছিল, সেখানে ৫০০ বছরের পুরনো একটি প্রার্থনালয় ছিল। আর সেটিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। যখন আমরা সংবিধান পেলাম, তখন আইনের বদল হয়। আমরা স্বীকৃতি জানালাম ধর্মের স্বাধীনতা, ধর্মানুশীলন ও ধর্ম প্রচারের মৌলিক অধিকারের প্রতি। এই মৌলিক অধিকার যদি আমার থাকে, তাহলে আমার অধিকার রয়েছে প্রার্থনালয় সুরক্ষা করার। যেদিন এই বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হলো, সেদিন এই মৌলিক অধিকার ধ্বংস করা হলো।’ বিচারপতির এ কথার মাঝে স্পষ্ট আভাস মেলে, এই রায়ে ভারতীয় কথিত কুফরি সংবিধান সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। কারণ, এই সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার স্বীকৃতি রয়েছে। স্পষ্টত এই রায়ে সে স্বীকৃতিকে অস্বীকার করা হয়েছে।

            বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলি ‘ল্যান্ডমার্ক জাজমেন্ট দ্যাট চেঞ্জড ইন্ডিয়া’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ বইও লিখেছে। অভিজ্ঞ এই বিচারপতি পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনেরও চেয়ারম্যান ছিল। সে প্রশ্ন তুলেছে, কোন সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা এই রায় ঘোষণা করল যে, এই বিতর্কিত ভূমির মালিক রাম লালা?

            সে বিচারপতিদের উদ্দেশে আরো বলেছে, ‘আপনারা রায়ে বলেছেন, মসজিদের নিচে একটি কাঠামো ছিল; কিন্তু আপনারা বলেননি যে- এই কাঠামো মন্দিরের, মন্দির ভেঙে এর ধ্বংসস্তূূপের ওপর মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বরং বলেছেন, মসজিদের নিচে পাওয়া কাঠামো মন্দিরের ছিল এমন প্রমাণ নেই। তা ছাড়া প্রশ্ন হচ্ছে, ৫০০ বছর পর কোন প্রত্মতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে আদালত কি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে?’

            ‘যদি এটি মেনে নেয়া হয়ে থাকে, এই জায়গায় মুসলমানেরা নামাজ আদায় করত, তবে এই জায়গাকে মসজিদ বিবেচনা করতে হবে। অতএব এটিকে একটি মসজিদ ধরে নিয়ে, যেটি দাঁড়িয়েছিল ৫০০ বছর ধরে, আপনারা কী করে এর মালিকানার সিদ্ধান্ত নেবেন? কিসের ওপর ভিত্তি করে আপনারা এ সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন? আদালতে যারা এসেছেন, তারা যেসব দলিলপত্র এনেছেন, তার ওপর ভিত্তি করে এর মালিকানা স্বত্ব নির্ধারণ করতে পারেন। প্রত্মতাত্ত্বিক রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মালিকানা স্বত্বের সিদ্ধান্ত আদালত নিতে পারে না।’

            এই রায়ের একটি বড় ধরনের দ্বান্দ্বিক দিক হচ্ছে, কোর্ট রুল দিয়েছে মুসলমানেরা এটুকু প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে যে, তারা ১৫২৮ সাল থেকে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত মসজিদটি একান্তভাবেই তাদের দখলে ছিল এবং তারা তাতে নামাজ পড়ত। এর পরও কোর্টের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে- হিন্দুপক্ষও এটি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে যে, একান্তভাবে এ স্থানটি হিন্দুদের দখলে ছিল। কিন্তু, কোথাও হিন্দুপক্ষকে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়নি এই স্থানটির ব্যাপারে হিন্দুদের একান্ত দখলিস্বত্ব প্রমাণের জন্য। হিন্দুরা প্রার্থনা করত রামবেদীতে, যা গম্বুজওয়ালা কাঠামোর বাইরে। তা ছাড়া অষ্টাদশ শতাব্দীর ইউরোপীয় পরিব্রাজক জোজেফ টিফেনথেরারের বর্ণনায় উল্লেখ আছে, হিন্দুদের রামবেদীতে প্রার্থনা করার বিষয়টি। কিন্তু হিন্দুদের ভেতরের প্রাঙ্গণে প্রার্থনা করার পক্ষে যুক্তি প্রমাণের জন্য এটি একটি নিশ্চিত প্রমাণ নিশ্চয়ই নয়।

            যেখানে আদালত বলছে, উভয়পক্ষই বাবরি মসজিদের এই বিতর্কিত স্থানের ওপর তাদের নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে রায়ে এই জমি হিন্দুপক্ষকে আদালত কী করে কিসের ভিত্তিতে দিয়ে দিতে পারে? কী করে এই রায়ের মাধ্যমে পুরো বিতর্কিত জমির ওপর হিন্দুদের মালিকানাস্বত্ব ঘোষিত হতে পারে? এদিকে এই রায়ের পর এমন একটি জনধারণা ভারতীয় জনগণের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে যে, এই রায়ে মেজরিটিয়ানদের সাথে আপস করা হয়েছে। এই রায়ে মেজরিটিয়ানদের একটি কালো ছায়ার আছর রয়েছে। রয়েছে বিচারকদের ওপর হিন্দুত্ববাদী সরকারের প্রভাবও, যারা কথিত ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে একটি হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর প্রয়াসে প্রয়াসী। আর কথাটি এরা এখন কোনো রাখঢাক না রেখে খোলাখুলিই বলছে।

            আলোচ্য এই রায়ে কথিত সুপ্রিম কোর্ট এর পর্যবেক্ষণে বলেছে, হিন্দুত্ববাদীদের হাতে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কাজটি ছিল একটি কথিত আইনের লঙ্ঘন। কিন্তু রায়ে কার্যত সুপ্রিম কোর্ট এই আইনবিরোধী কাজটিকেই বৈধতা দিল দু’টি উপায়ে : প্রথমত, এই মসজিদ যারা আইন লঙ্ঘন করে ধ্বংস করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি এই রায়ে। দ্বিতীয়ত, যে হিন্দুপক্ষ আইন ভঙ্গ করে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করল, তাদের ইচ্ছা অনুসারেই বাবরি মসজিদের স্থান হিন্দুদের মন্দিরের জন্য দিয়ে দেয়ার মাধ্যমে কার্যত আদালত আইন লঙ্ঘনকারীদেরই পুরস্কৃত করল। প্রশ্ন উঠেছে- আদালত এই সিদ্ধান্তটি নিল কিসের ভিত্তিতে? এর কী জবাব আছে, সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে? আসলে আদালতের এই সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে এই রায়কে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

            এই রায় প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে- এই রায়ের ৭৯৮ নম্বর অনুচ্ছদ। এই অনুচ্ছেদে আদালত উল্লেখ করেছে : ‘১৯৪৯ সালে ২২-২৩ ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী রাতে মুসলমানদের প্রার্থনা করা থেকে বঞ্চিত করে মসজিদটি দখলে নিয়ে সেখানে হিন্দু দেবতার মূর্তি স্থাপন করে মসজিদটি অপবিত্র করা হয়েছে। মুসলমানদের এই বের করে দেয়ার কাজটি কোনো বৈধ কর্তৃপক্ষ করেনি। কিন্তু এটি ছিল এমন একটি কাজ, যার মাধ্যমে তাদের প্রার্থনার স্থান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। … … … ভ্রান্তভাবে মুসলমানদের মসজিদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, আর এই মসজিদ নির্মিত হয়েছিল ৪৫০ বছর আগে।’

            ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে একদল উগ্রপন্থী করসেবক, যারা সেখানে গিয়েছিল মসজিদটির স্থানে একটি অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করতে। তখন স্বাধীনতা-উত্তর সময়ের ভারতে একটি বড় ধরনের দাঙ্গা সৃষ্টি হয়। এর ফলে দুই হাজারের মতো মানুষ মারা যায়। যার ৯৫ শতাংশই মুসলমান। এখন বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ বলছে ৬ ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদে পরিচালিত ভ্যান্ডালিজম তথা নির্বিচার ধ্বংসোন্মাদনা ছিল অবৈধ তথা আইনবিরোধী। অথচ এই রায়ে এর জন্য দায়ীদেরই পুরস্কৃত করা হলো।

            প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে এ ব্যাপারে ভারতীয় আদালত কি আইন অনুযায়ী চলবে, না মেজরিটিয়ানদের সাথে আপস করেই চলবে কিংবা বিশ্বাসবাদকেই প্রাধান্য দেবে? সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল, আদালত পুরোপুরি আইনের পথেই হাঁটুক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ফৌজদারি ষড়যন্ত্র মামলা এখনো চলমান ভারতীয় আদালতে। আসামি এল কে আদভানি ও আরো অনেকে। এ সম্পর্কিত আদেশ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। কথিত সুপ্রিম কোর্ট যদি মনে করে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কাজটি ছিল বেআইনি, তবে এর জন্য দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার একটি দায় আছে সে আদালতের। বাবরি মসজিদের স্থানের মালিকানা প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় সম্প্রতি ঘোষণা করল, এ প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন জাগে, ভারতের শীর্ষ আদালত কি পারবে সে দায় নিয়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারীদের শাস্তি দিতে? সে প্রশ্নটিও এখন বড় হয়ে দেখা দিলো।

            বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দায় এড়াতে পারে না কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও। সে বাবরি মসজিদ রক্ষা করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সে স্থানটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তা রক্ষা করতে পারত। তা সে করেনি। অথচ বাবরি মসজিদটি একটি উপাসনালয় হওয়ায় তার সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল তা রক্ষা করার। সে পারত এই স্থানটিকে ইউনিয়ন টেরিটরি হিসেবে ঘোষণা করতে। রাজিব গান্ধীও সমভাবে দায়ী বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ব্যাপারে। সেই মসজিদের ভেতর মূর্তি রাখার অনুমোদন দিয়েছিল। মাধব গোদবলি একজন স্বরাষ্ট্র সচিব হয়েও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর রাজিব গান্ধীকে অভিহিত করেছিল একজন ‘মোস্ট প্রমিন্যান্ট করসেবক’ হিসেবে। রাজিব গান্ধী সব সময় হিন্দু মৌলবাদীদের খুশি করে চলত। তাই কথিত সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী এই সময়টায় রাজিব গান্ধীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় বিভিন্ন মহলে।

            অযোধ্যার বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের উগ্র হিন্দত্ববাদীরা ধ্বংস করে দেয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে অস্তিত্বশীল ছিল। এটি নিশ্চিত, সেটি নির্মিত হয়েছিল ১৫২৮ সালে। এর পরবর্তী সময়ে লর্ড রামের কাহিনী নিয়ে ‘রামায়ণ’ রচনা করে তুলসি দাস। তুলসি কিন্তু লেখেনি এই বাবরি মসজিদটি যে স্থানটিতে ছিল, সে স্থানটিই ছিল রামের জন্মভূমি। হিন্দুইজমের আইকন হিসেবে বিবেচিত স্বামী বিবেকানন্দও এ কথা উল্লেখ করেনি। বিভিন্ন জরিপও এমনটি নির্দেশ করেনি, কিংবা উল্লেখ করেনি- গত ৫০০ বছরে কোনো হিন্দু সমাজের কোনো ব্যক্তিত্বের কাহিনী বিতর্কিত স্থানটির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দল খুঁজে পেল, বাবরি মসজিদ বিতর্ক রাজনৈতিক ফায়দা অর্জনের ভালো অনুষঙ্গ হতে পারে। এই প্রশ্ন এখন হিন্দু সাধু-সন্ন্যাসীরাই তুলছেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরপর। তারা বলছে “বাবরি মসজিদ নির্মিত হলো ১৫২৮ সালে। তখন তুলসি দাসের বয়স ছিল ১৭ বছর। তার জন্ম অযোধ্যায় ও বেড়ে ওঠে এখানেই। আমরা যে মহাকাব্য রামায়ণকে শ্রদ্ধা করি, তাতে এই মসজিদের স্থানটিতে রামের জন্ম হয়েছে, সে কথার কোনো উল্লেখ নেই।

            অথচ আদভানি যখন রাজনৈতিক দল ‘জনসঙ্ঘে’র বড় মাপের নেতা, তখন সে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর দলবল নিয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে বাবরি মসজিদ ভেফু গুঁড়িয়ে দেয় এটিকে রামের জন্মভূমি দাবি করে। দাবি করা হলো- বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়েছে মন্দিরের ধ্বংসস্তূপের ওপর। এই জনসঙ্ঘই হচ্ছে সন্ত্রাসী বিজেপির সাবেক নাম। বিজেপি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার লক্ষ্যেই বাবরি মসজিদের স্থানটি রামের জন্মভূমি এবং এখানে একটি মন্দির ছিল, সেই মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত হয়েছে বাবরি মসজিদ- এই মিথ্যা দাবি তুলে মসজিদটি ভাঙার মতো দৃষ্টতা দেখাল।” আজ আমরা ভারতীয় অনেক হিন্দুর মুখে শুনছি- রাম কোনো অবতার বা দেবতা ছিল না, সে ছিল নিছক একজন রাজা। তাকে আজ বিজেপি পরম পূজনীয় করে তুলেছে।

            বলা হচ্ছে, এই রায় দীর্ঘ দিনের একটি বিরোধের নিষ্পত্তি করল। আসলে কি তাই? সে প্রশ্নও আজ আলোচিত হচ্ছে ভারতজুড়ে। এই রায় ভবিষ্যতে ভারতের আরো অনেক মসজিদ ও অন্যান্য মুসলিম স্থাপনার বিরোধকে উসকে দেবে। দেশটিতে মসজিদগুলো সংরক্ষিত ‘প্লেসেস অব ওয়ারশিপ (স্পেশাল প্রভিশন) অ্যাক্টের আওতায়। এই আইনে বলা আছে- ধর্মীয় স্থানগুলো সেভাবেই থেকে যাবে, ঠিক যেভাবে ছিল ভারতের স্বাধীনতার দিনটিতে, অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টে। এই আইনটি প্রণীত হয় ১৯৯১ সালে, যখন রামজন্মভূমি বিরোধটি চরমে পৌঁছে; কিন্তু এই আইনটির আওতায় আনা হয়নি বাবরি মসজিদ নিয়ে বিরোধের বিষয়টি। ভারতে ধর্মীয় কাঠামোর পবিত্রতা রক্ষায় আইনি ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। বাবরি মসজিদ এর প্রমাণ।

            ভারতের অন্যতম বড় মৌলবাদী হিন্দু সংগঠন ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’র ইন্টারন্যাশনাল ভাইস-প্রেসিডেন্ট আচার্য গিরিরাজ কিশোর ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া রায়ের পর বলেছিল, বাবরি মসজিদের রায় হিন্দুদের আরো পবিত্র স্থান মুসলমানদের দখল থেকে মুক্ত করার পথ খুলে দিলো।’ তখন সে আরো বলেছে, ‘ভারতীয় মুসলমানদের এখন প্রস্তুতি নিতে হবে মথুরা ও বারানসির দু’টি মসজিদ আমাদের কাছে ফেরত দিতে, যেখানে এর আগে মন্দির ছিল।’

            আসলে সে বলছিল বারানসির জ্ঞানবাপি মসজিদ ও মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদের কথা। উগ্র হিন্দু গোষ্ঠীগুলো বলছে মথুরার মসজিদের স্থানটিতে দেবতা কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল এবং সেখানে একটি মন্দির ছিল। এদের বিশ্বাসনির্ভর আরো দাবি হচ্ছে মুসলমানদের শাসনামলে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে তারা এমন ২৯৯টি মসজিদের তালিকা তৈরি করেছে।

            এখন এরা যদি এসব ব্যাপারে নিম্ন আদালতে মামলায় যায়, তবে এসব আদালত সুপ্রিম কোর্টের নজির উল্লেখ করে সেসব মসজিদও হিন্দুদের দিয়ে দিলে অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা এই মুহূর্তে আন্দাজ-অনুমান খুবই মুশকিল। শুধু তাই নয়, তাজমহলও নাকি ছিল মন্দির, সেটিও এখন হিন্দুদের দিয়ে দিতে হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। আসলে এসব ব্যাপারে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করে তোলার ফ্লাডগেটটিই খুলে দিলো কথিত সুপ্রিম কোর্টের রায়। এর অর্থ ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের একটি নিয়ামক হয়ে কাজ করতে পারে এই রায়।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/19/28808/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কাশ্মীরি টিভিতে সন্ত্রাসী ভারত সরকার কর্তৃক মুসলিম দেশের অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ


              মুসলিম দেশগুলোর কোনও প্রাইভেট চ্যানেলের বিষয়বস্তুকে জম্মু ও কাশ্মীরে সম্প্রচার করার ক্ষেত্রে কাশ্মীরি টিভি গুলোকে গণ্ডি বেঁধে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার।

              ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্প্রতি তাদের জারি করা নোটিশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, “জানা যাচ্ছে কিছু প্রাইভেট চ্যানেল কোন অনুমতি এই দেশে নেই। তা কিছু কেবল অপারেটরদের সহায়তায় সম্প্রচার করা হচ্ছে। যা স্পষ্টভাবে সরকারি নিয়ম লঙ্ঘনের পর্যায়ে পরে।

              এ বিষয়টি কেবল টেলিভিশন অ্যাক্ট ৬(৬) আইনকে যা বিরোধিতা করে। এই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।

              উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় কাশ্মীর সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী কেন্দ্রীয় সরকার।

              পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়।
              সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/19/28805/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                কাশ্মীরের সিয়াচেনে তুষারধসে ৬ ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনার মৃত্য


                অবৈধাবে ভারত দখলকৃত কাশ্মীরের সিয়াচেনে তুষারধসে ৬ ভারতীয় সেনার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

                হিমালয় পর্বতমালায় ভূমি থেকে ১৯ হাজার ফুট উঁচুতে ভারতের একটি টহলচৌকিতে জমাটবাঁধা তুষার আঘাত করলে আট সদস্যের টহল দলের সাতজন তুষারের নিচে চাপা পড়ে। খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের হেলিকপ্টারে করে নিকটস্থ সামরিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জন মারা যায়।

                বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতায় অবস্থিত যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত এই সিয়াচেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পরও সিয়াচেন হিমবাহ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে দুই দেশ।

                ১৯৮৪ সালে ভারত হিমবাহের দখল নেয়। এর পর থেকে যুদ্ধের চেয়ে প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে বেশি সেনা নিহত হয় তাদের। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিয়াচেনের একটি সামরিকঘাঁটিতে তুষারধসে ১০ ভারতীয় সেনা মারা যায়।
                সূত্র: বিবিসি।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/19/28799/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ধর্ষিতাকে পতিতা আর কৃষককে মাদক ব্যবসায়ী বানাল সন্ত্রাসী আ’লীগ নেতা


                  টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার বিচারপ্রার্থী এক কলেজছাত্রীকে পতিতা এবং ধর্ষিতার বাবাকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে দিয়েছে এক সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা। এই আওয়ামী লীগ নেতার নাম মতিউর রহমান মতি। সে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ঘটনা নিয়ে নাগরপুর উপজেলা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।

                  উপজেলার ধুবড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান তার ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীকে দেহ ব্যবসায়ী ও তার নিরীহ কৃষক বাবাকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে গত ৫ নভেম্বর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং বার সমিতির কাছে প্রতিবেদন দেয় সে। ওই ঘটনার পর লোকলজ্জায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী। এই অবস্থায় কলেজে যাওয়াটাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই ছাত্রীর।

                  জানা যায়, ওই কৃষকের কলেজে পড়ুয়া মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত উপজেলার সারুটিয়াগাজি গ্রামের জয়ধর শেখের ছেলে জুয়েল রানা। বিয়ের প্রস্তাবও দেয় সে; কিন্তু ছাত্রীর বাবা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়েল রানা ২০১৮ সালের ১২ জুলাই বন্ধুদের সহযোগিতায় স্থানীয় একটি ব্রিজের কাছ থেকে ওই কলেজছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

                  ধর্ষক জুয়েল রানা ওই ছাত্রীকে তার আত্মীয়ের বাড়িতে তিন দিন আটকও রাখে। কিন্তু ছাত্রী কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে তার বাবা-মাকে ঘটনা খুলে বলে। পরে ছাত্রীর বাবা ধুবড়িয়া গ্রামের মাতব্বরদের বিষয়টি জানিয়ে এর বিচার দাবি করেন। কিন্তু ঘটনাটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী হলেও বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করে আসছিল মাতব্বররা।

                  এ কারণে ধর্ষিতার বাবা ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা হল- উপজেলার সারুটিয়াগাজি গ্রামের জয়ধর শেখের ছেলে মো: জুয়েল রানা (২২), ধুবড়িয়া গ্রামের হায়েদ আলীর ছেলে শিপন (২৬), রিপন (২৩), উফাজ (৪২) ও একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রিয়াজ মিয়া (২১)।

                  তবে মামলা দায়ের করার পর থেকেই আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগ রয়েছে। সিআইডি মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের পর আসামিরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।

                  সম্প্রতি আসামিরা ধুবড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার পথ বের করে। চেয়ারম্যান ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীকে দেহ ব্যবসায়ী ও তার পিতাকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে আসামিদের পক্ষে প্রতিবেদন তৈরি করে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও বার সমিতির কাছে জমা দেয়।

                  মামলায় সিআইডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘কলেজছাত্রীর বাবা একজন হতদরিদ্র কৃষক। তিনি দিনমজুরের কাজ করেন। স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান নিয়ে জীবনযাপন করছেন। ওই কৃষকের মেয়ে এসএসসি পাস করে কলেজে লেখাপড়া করে আসছে। স্কুলে পড়ার সময় ছাত্রীর সঙ্গে জুয়েল রানার পরিচয় হয়। জুয়েল ছাত্রীকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিলে সে প্রত্যাখ্যান করে। এ কারণে জুয়েল এ ঘটনা ঘটায়।’

                  নয়া দিগন্ত থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমার পরিবারকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে; যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে গ্রাম থেকে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/19/28802/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    গুলি ছুড়ে বিয়ে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভিডিও ভাইরাল


                    সন্ত্রাসী আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈমের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাতে বাড়ির পাশে নববধূকে সামনে রেখে শটগান উঁচিয়ে আকাশে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসী নাঈম। যা দেখে পাশে থাকা তার বউ ভয়ে কানে আঙ্গুল দিয়ে রাখেন। এরপর শটগানটি এক যুবকের হাতে দিয়ে সে বউকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

                    সন্ত্রাসী আনিসুর রহমান নাঈম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার আগে সে দক্ষিণখান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিল।

                    বিডি প্রতিদিন থেকে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর থেকে নাঈমের এই বউ বরণের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর সেটা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় একাধিকবার টেলিফোন করা হলে সে ফোন রিসিভ করেনি। জানা গেছে, বিমানবন্দর মোড়ের মসজিদ কমপ্লেক্স, ফুটপাথ, পাবলিক টয়লেট, রাস্তা, সাইনবোর্ড, খাসজমি ও সাধারণ মানুষের জমি দখলসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় হিসেবে অপ্রতিরোধ্য নাঈম।

                    এছাড়া নিজ এলাকায় বিভিন্ন সময় অপ্রয়োজনে গুলি ফোটায় সে। এ নিয়ে এলাকার মানুষ সব সময় নাঈমের বিষয়ে আতঙ্কে থাকেন। নাঈম কোনো নির্দেশ দিলে তার প্রতিবাদ করার সাহস কারও হয় না।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/19/28793/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      মেয়েদের ছবিগুলোকে ঝাপসা করে দিলে ভালো হয়।
                      ان المتقین فی جنت ونعیم
                      سورة الطور

                      Comment


                      • #12
                        সম্মানিত ভাইয়েরা, মেয়েদের ফটো গুলে ঝাপসা করে দিলে ভালো হত, ইনশাআল্লাহ।
                        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by Secret Mujahid View Post
                          মেয়েদের ছবিগুলোকে ঝাপসা করে দিলে ভালো হয়।
                          আলহামদুলিল্লাহ, ভাইয়েরা ঝাপসা করে দিয়েছেন।
                          আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল খেদমত কবুল করুন। আমীন
                          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                          Comment

                          Working...
                          X