Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৩রা রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০১লা ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৩রা রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০১লা ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ রক্ষায় ভারতীয় মুসলিমদের সহায়তায় কি বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম এগিয়ে আসবে ?


    বাবরি মসজিদ দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও সামাজিক-ধর্মীয় বিবাদের বিষয়। ভারতের মালাউন সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি একটি মাইলফলক রায় দিয়েছে, যেখানে এই জায়গার প্রতি মুসলিমদের দাবি নাকচ করে দেয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালে সন্ত্রাসী দল বিজেপির নেতৃত্বে হিন্দুদের একটি গুণ্ডা দল ৪৯১ বছরের পুরনো এই মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেয়। প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর ১৫২৮ সালে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুদেরকে এই বিতর্কিত জায়গার অধিকার দেয়া হয়েছে, যেটাকে হিন্দু দেবতা রামের জন্মস্থান বলে দাবি করা হয় এবং এখানে একটি মন্দির ছিল বলে মিথ্যা দাবি করা হয়। রায়ে মসজিদের ধ্বংসস্তুপের উপর মন্দির নির্মাণের জন্য একটি হিন্দু কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

    ঐতিহাসিক দলিলপত্রে দেখা যাচ্ছে বাবরি মসজিদটি অযোধ্যার কেন্দ্রে একখণ্ড উঁচু জমির উপর নির্মাণ করা হয়, যে জায়গাটাকে মানুষ রামদুর্ঘ বা রামকোট বলে ডাকতো। ১৫২৮ সালে সেখানে কোন মন্দির ছিল না যেটাকে বাবর বা মুসলিমরা ধ্বংস করেছে বলে দাবি করা যায়।

    রাম বা রামা হিন্দুত্ববাদের কাল্পনিক একজন প্রধান দেবতা। দেবতা বিষ্ণুর সে সপ্তম এবং অন্যতম জনপ্রিয় অবতারদের মধ্যে একজন। দেবতা রামের গল্প ও তার জীবন কাহিনী রামায়ন নামে পরিচিত এবং প্রাচীন ভারতের সংস্কৃত মহাকাব্যগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। আজও ভারতের হিন্দু সংস্কৃতিতে বিশেষ করে ভারতের ফোক থিয়েটারগুলোতে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জনপ্রিয় হিন্দুত্ববাদী টিভি সিরিজগুলোতে এই গল্পভিত্তিক কাল্পনিক চরিত্র সিরিজটি অন্যতম জনপ্রিয়, এবং এর মাধ্যমেই সেটা মূলত সব হিন্দুর মনে সজিব রয়েছে। গল্পের ভাষ্য অনুসারে রামা কোসালার রাজা দশরথের পুত্র। এই রাজ্যের রাজধানী ছিল অযোধ্যা এবং রাজ্যটি ছিল উত্তর ভারতে, আজকের উত্তর প্রদেশে। এই রাজ্য যখন বর্তমান ছিল বলে বলা হয় এবং রামা যখন জীবিত ছিলেন, সে সময়টা ছিল ১১০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৫০০ খ্রিস্টপূর্বের মাঝামাঝি। ৫০০ খ্রিস্টপূর্ব সালে অযোধ্যা জয় করে প্রতিবেশী বৌদ্ধ রাজা মাগাধা। রামা যদি ঐতিহাসিক কোন ব্যক্তি হয়ে থাকে, তাহলে সে হয়তো বৌদ্ধধর্মেরও আগে বাস করেছে, যেখানে বৌদ্ধরা এখানকার ক্ষমতা নিয়েছিল ২৭০০ বছর আগে বেদিক সময়ে, যেটা ৫০০ খ্রিস্টপূর্বেরও অনেক আগে।

    ৫০০ বছর ধরে বাবরি মসজিদ নিয়ে কোন বিতর্ক ছিল না। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ঊনিশ শতকের শুরুর দিকে ব্রিটিশরা যখন ভারতের হিন্দু ধর্মগুলোকে একত্র করে একটি হিন্দু ধর্মে রূপ দিলো, তখন হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার কারণে প্রথম বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অযোধ্যাতে প্রথম ধর্ম-ভিত্তিক দাঙ্গা হয় ১৮৫০ সালে হনুমান গিরির কাছের একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে। সে সময় হিন্দুরা বাবরি মসজিদের উপর হামলা করে। তখন থেকে স্থানীয় হিন্দু গ্রুপগুলো মাঝে মাঝে এই দাবি করে আসছে যে, তাদের ওই জমির অধিকার ফিরে পাওয়া উচিত এবং সেখানে তাদের মন্দির নির্মাণ করতে দেয়া উচিত, কিন্তু ঔপনিবেশিক সরকারগুলো সেই দাবি সবসময় নাকচ করে দিয়েছে। ১৯৪৬ সালে হিন্দু মহাসভার একটি অংশ অখিল ভারতীয় রামায়ন মহাসভা (এবিআরএম) এই জমির অধিকার নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৪৯ সালে, গোরাখনাথ মঠের সান্ত দিগবিজয় নাথ এবিআরএমে যোগ দেয় এবং নয়দিনের তুলসির রামায়ন পাঠের আয়োজন করে। এই নয় দিন শেষে হিন্দু উগ্রপন্থীরা জোর করে মসজিদে প্রবেশ করে এবং সেখানে রাম ও সীতার মূর্তি স্থাপন করে। মানুষকে বলা হয় যে, অলৌকিকভাবে এই মূর্তিগুলো সেখানে এসেছে। এই দিনটি ছিল ১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর।

    জওহরলাল নেহরু ওই মূর্তিগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিলেও স্থানীয় কর্মকর্তা কে কে কে নাইর সেটা মানেনি। পরে মালাউন পুলিশ মসজিদটি ঘিরে রাখলেও সেখানে ঢুকে পূজা করার অনুমতি দেয়া হয় হিন্দু পুরোহিতদের। এভাবে কার্যত মসজিদটি মন্দিরে পরিণত হয়। হিন্দু ও মুসলিম উভয়েই জায়গাটির অধিকার দাবি করে মামলা করলে আদালত জায়গাটিকে বিতর্কিত ঘোষণা করে এবং সেটি বন্ধ রাখা হয়। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি বড় সন্ত্রাসী দল এবং তাদের মিত্র গুণ্ডা দলগুলো একত্র হয়ে মসজিদের উপর হামলা করে সেটিকে গুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনা দাঙ্গায় রূপ নিলে সে সময় প্রায় দুই হাজার মুসলিমকে হত্যা করা হয়।

    আদালতের নির্দেশে প্রত্নতাত্ত্বিকরা জরিপ করে বলেছেন যে, এমন কোন চিহ্ন নাই, যেটা থেকে বোঝা যায় ওই জায়গায় হয়তো মন্দির ছিল। অনেক প্রত্নতত্তবিদ বলেছেন, এতে কোনভাবেই প্রমাণিত হয় না যে, রাম সেখানেই জন্মেছিলে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই সব রিপোর্টের কিছুটা উদ্ধৃত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় তাই তথ্যভিত্তিক হয়নি, রায় দেয়া হয়েছে চরমপন্থী বিজেপির পদাঙ্ক অনুসরণ করে।

    অযোধ্যা রায়টি তাই কোন বিস্ময় হয়ে আসেনি। ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকার এবং তাদের প্রধানমন্ত্রী মোদি – যে আরএসএসের আজীবন সদস্য – তারা হিন্দু জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, যারা মনে করে যে, মুসলিমরা হয় বাইরে থেকে এসেছে এবং পাকিস্তানের তারা পঞ্চম স্তম্ভ বা সর্বোচ্চ তারা বিভ্রান্ত ধর্মান্তরিত ব্যক্তি যাদেরকে পরিচ্ছন্নতা অনুষ্ঠানের (ঘরওয়াপসি) মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদের দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিজেপি ও মোদির নীতির কারণে এরই মধ্যে ভারতে হাজার হাজার মুসলিম নিহত হয়েছে, সেটা ১৯৯২ সালের অযোধ্যার ঘটনাতেই হোক, বা ২০০২ সালের গুজরাটের ঘটনাতে হোক বা ‘সেক্যুলার’ ভারতে সঙ্ঘটিত অগনিত মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গাতেই হোক। আরও উদ্বেগের কারণ হলো ভারতের মালাউন সুপ্রিম কোর্ট বিজেপির মতো একই হিন্দুবাদের বাঁশিতে ফু দিচ্ছে। অযোধ্যার রায়ের আগেই সুপ্রিম কোর্ট ভারতের একতরফা ৩৭০ ও ৩৫(এ) অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের অনেক সাবেক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ বহু সিনিয়র বিশ্লেষক এই প্রশ্ন তুলেছেন যে, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় দেয়া হয়নি, দেয়া হয়েছে ধারণা ও অনুমানের ভিত্তিতে। অযোধ্যা এবং সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে এই রায় দেয়া হয়।

    ভারতের মুসলিমদের শান্ত রাখার জন্য এটা কি যথেষ্ট হবে? মুসলমানরা কি মসজিদ রক্ষার জন্য জীবনবাজী রাখবে না? যদি ভারতীয় মুসলমানেরা তাতে অপারগ হয়ে যায় তাহলে কি বিশ্বের অন্যান্য মুসলিমরা বাবরী মসজিদ রক্ষায় ভারতীয় মুসলিমদের সহায়তায় এগিয়ে আসবে না? মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করা কি শুধু ভারতীয় মুসলমানদের দায়িত্ব? বিশ্বের অন্যান্য মুসলিমদের কি কোন দায়িত্ব নেই?

    যখন ভারতে তাদের মুসলিম ভাইদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে এবং তাদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। মসজিদের উপর মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। তখন কেউ এই প্রশ্ন করতেই পারেন যে, আরব অনারব মিলিয়ে এতগুলো মুসলিম দেশ, মুসলিমেরা কোথায় গেলো? তাঁরা কি ভারতীয় মুসলিমদের সহায়তায় এগিয়ে আসবে না?

    সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/01/29112/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে কথিত অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের পুশব্যাকের প্রস্তুতি

    ভারতের ব্যাঙ্গালোরে আটক কথিত অবৈধ বাংলাদেশীদের পুশব্যাকের জন্য চুপচাপ সরিয়ে নেয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে। সেখান দিয়ে তাদেরকে পুশব্যাক করার কথা। তবে কবে, কখন পুশব্যাক করা হবে এ বিষয়ে সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছে। ‘বাংলাদেশী মাইগ্রেন্টস হুইস্কড অ্যাওয়ে টু নর্থ বেঙ্গল ফর পুশব্যাক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

    এতে বলা হয়, ব্যাঙ্গালোর থেকে কথিত ৫৯ জন বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীকে সম্প্রতি আটক করা হয়েছে। পুশব্যাকের অপেক্ষায় তাদেরকে কয়েকদিন রাখা হয়েছিল হাওড়ায় দুটি নিরাপদ আশ্রয়ে। কিন্তু সেখান থেকে উত্তরবঙ্গের দুটি স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য পরিবহন চাওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। এরপরই শুক্রবার দিনের আলো ফোটার আগেই তাদেরকে চুপিসারে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গে।

    পশ্চিমবঙ্গের কর্মকর্তারা বলছে, কলকাতা থেকে ৩০০ কিলোমিটারের বেশি উত্তরে মালদা জেলার সন্ত্রাসী রক্ষীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্ট্যান্ডবাই থাকতে, যেন তারা ২২ বন্দিকে আরধ্যাপুর এবং সাতমাইল আউটপোস্টের বিএসএফের কাছে হস্তান্তরে সহায়তা করতে পারে। কর্মকর্তারা বলছে, এক্ষেত্রে দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্তকেও বেছে নেয়া হতে পারে।

    তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোন সময়ে এবং কোন স্থান দিয়ে এসব কথিত বাংলাদেশীকে পুশব্যাক করা হবে সে বিষয়ে তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সি কর্মকর্তারা। তারা বলেছে, যথাযথ সময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। ওদিকে শুক্রবার সকাল হওয়ার আগেই বন্দিদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কর্নাটক প্রশাসনও।

    হাওড়ার পুলিশ কর্মকর্তারা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে বন্দিদের একটি আশ্রয়স্থল (হাওড়ার নিশ্চিন্দ) খালি করে দিতে বলা হয়। সেখান থেকে তাদেরকে গাড়িতে তোলা হয়। ওই গাড়ি ছুটে যায় হাওড়া স্টেশনের দিকে। গত মাসে কর্নাটকের রাজধানী থেকে ৫৯ জন কথিত অবৈধ বাংলাদেশীকে আটক করার পর ব্যাঙ্গালোরের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিস তাদেরকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ জারি করে।

    পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছে, লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া এবং এর শেষ করা হলো রাজ্যের দায়িত্ব। কিন্তু এবারই প্রথম রাজ্য এসব বন্দিকে এক সপ্তাহ ধরে বন্দি শিবিরে রেখেছে। গত শনিবার থেকে ৫৯ বন্দিকে কলকাতায় আশ্রয় দেয়ার কথা জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়া।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/01/29114/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে দেওবন্দ মাদ্রাসার আন্তর্জাতিক ফিকহ সেমিনার বন্ধ করে দিল হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী নমো সরকার

      ভারতের দারুল উলুম (ওয়াকফ) দেওবন্দে প্রখ্যাত ধর্মীয় সংগঠন ইসলামিক ফিকহ একাডেমির অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক একটি সেমিনার বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কট্টর হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদি সরকার।

      ভারতের উর্দূ সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফিকহি সেমিনারটি দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

      এজন্য সব ধরনের প্রস্ততিও গ্রহণ করেছিল দেওবন্দ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালাউন প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়।

      অনুমতি না দেয়ার কারণ হিসেবে উত্তর প্রদেশে ১৪৪ ধারা জারী থাকার কথা জানিয়েছে মালাউন যোগী আদিত্যনাথের নিয়ন্ত্রিত উত্তর প্রদেশ সরকার।

      ইসলামিক ফিকহ একাডেমি ইন্ডিয়ার জেনারেল সেক্রেটারী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানী আমন্ত্রিত অতিথিদের লিখিত চিঠিতে দাওয়াত প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

      তিনি জানান, ২৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য এই প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দ এবং ইসলামিক ফিকহ একাডেমির পক্ষ থেকে সবধরণের প্রস্ততি নেয়া হয়েছিলো, কিন্তু পুরো উত্তর প্রদেশজুড়ে ১৪৪ ধারা জারী থাকার কারণে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এই মুহুর্তে প্রোগ্রাম না করার জন্য লিখিতভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

      তাই নির্ধারিত তারিখে এই ফিকহি সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

      এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে কোন প্রোগ্রাম না করার জন্য দেওবন্দ কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে কোনো ধরণের আয়োজন না করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/01/29117/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে স্কুলের সামনে বোমাবর্ষণ-গুলি

        ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গুলি ও বোমা ছুড়েছে একদল বাইক আরোহী। এটা গত শুক্রবারের ঘটনা। সেদিন পরীক্ষা ছিল ছোট বাচ্চাদের। নির্দিষ্ট সময়েই সকলে এসে দিতে শুরু করেছিল পরীক্ষা। হঠাতই প্রচণ্ড বোমার শব্দ, সেই সঙ্গে গুলি। মুহূর্তেই বদলে গেল পরিবেশ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল ছাত্র থেকে অভিভাবকদের মধ্যে।

        ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের বরাতে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নিউ কোচবিহার স্টেশন লাগোয়া বাইশগুড়ি এলাকায়।

        স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বাইক চড়ে একদল লোক স্কুল চলাকালীন জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিয়ে এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গুলি ও বোমা ছোঁড়ে। অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা বোমা ও দুই রাউন্ড গুলির খোল উদ্ধার করা হয়েছে।

        স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিউ কোচবিহার রেল স্টেশন সংলগ্ন এফসিআই গুদামের শ্রমিক সংগঠনের দখল নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছে। এই ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। যদিও তৃণমূল ও বিজেপি একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।

        এই ঘটনায় সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে কোমলমতি ছাত্রদের। স্কুলের বাইরে বোমা-গুলির শব্দে প্রবল আতঙ্কে ভুগছেন তারা।

        এক অভিভাবক বলেন, এভাবে স্কুলের সামনে বোমা-গুলি চললে ছোট-ছোট ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? এরপর কোন সাহসে ওদের স্কুলে পাঠাবো?


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/01/29122/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে কন্যাসন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে ও মাটিচাপা দিয়ে হত্যা!

          কন্যাসন্তান হওয়াই যেন ‘অপরাধ’। আর তার জেরে প্রাণ গেল সাতদিনের দুধের শিশুর। ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করা হলো এক শিশুকে।

          ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে ব্যাঙ্গালোরে মেদারাল্লি এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

          ওই শিশটির মা জানান, শাশুড়ির কাছে মেয়েকে রেখে গোসল করতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে আর মেয়ের দেখা পাননি। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে শাশুড়ি জানান, কিছু লোক জোর করে বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। তারাই শিশুটিকে কেড়ে নিয়ে গেছে।

          এই ঘটনা শুনার পর সন্দেহ হয় তামিলসেলভি। তাই তিনি পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তল্লাশি শুরু করলে, বাড়ির সংলগ্ন একটি খালি জায়গায় শিশুটির মরদেহ পায়। তার মাথায় গভীর ক্ষত ছিল। তা নিয়ে চেপে ধরতেই অপরাধ স্বীকার করে পরমেশ্বরী।

          পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ব্যাঙ্গালোরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সময়ের আগেই সন্তানপ্রসব করেন তামিলসেলভি। জন্মের পরই জন্ডিস ধরা পড়ে তার। কন্যাসন্তান হওয়ায় এমনিতেই অসন্তুষ্ট ছিলেন পরমেশ্বরী। শেষমেশ তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ।

          এমনিভাবে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অমৃতবাজার সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের সুনদারেসাপুরাম গ্রামে থেনপেন্নাই নদীর তীরে একটি গর্ত খুঁড়ে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় শিশুটির বাবা বরধরাজনকে(২৯)।

          শিশুটির মায়ের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ১৭ দিন আগে পন্ডিচেরি হাসপাতালে একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেয়। তখন থেকেই শিশুটিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে পুত্রপাগল বরধরাজন। কন্যা জন্ম দেয়ায় সে তার ওপর মানসিক নির্যাতনও চালিয়েছে ।

          শিশুটির বয়স যখন তিনদিন, তখনই একবার তাকে হত্যার চেষ্টা করে বরধরাজন। ওই সময় স্বজনদের চোখে পড়ে যাওয়ায় সে পালিয়ে যায়।

          পরে মঙ্গলবার শিশুটির মা ঘুমিয়ে পড়লে নবজাতকটিকে চুরি করে নদীর তীরে চলে যায় বরধরাজন।

          সকালে ঘুম থেকে ওঠে বাচ্চাটিকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার জুড়ে দেন মা। পুলিশকে খবর দিলে তল্লাশি চালিয়ে বরধরাজনকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যতেই নদীতীরে গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় বাচ্চাটির নিথর দেহ।
          শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামটিতে।এর আগে ৩১ অক্টোবর হায়দ্রাবাদে মেয়ে নবজাতককে জীবন্ত অবস্থায় মাটিচাপা দেয়ার সময় তার বাবা ও দাদাকে আটক করা হয়। একই ধরনের ঘটনায়, ১৪ অক্টোবর দেশটির উত্তর প্রদেশ থেকে আরও এক বাবাকে আটক করা হয়।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/01/29125/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বর্ণবাদী মন্তব্য : মালয়েশিয়ার এমপির বিরুদ্ধে জাকির নায়েকের মামলা

            মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ভারতের প্রখ্যাত ইসলামপ্রচারক জাকির নায়েক বর্ণবাদী মন্তব্য করার জন্য ওই দেশের এক পার্লামেন্ট সদস্যের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন।

            মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন জোটের শরিক ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন পার্টির (ডিএপি) সদস্য চার্লস স্যান্টিয়াগো গত মাসে ১০ জাতিগত ভারতীয়কে শ্রীলঙ্কার উগ্র তামিল সংগঠন এলটিটিইর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আটক করা নিয়ে মন্তব্য করার সময় জাকির নায়েকের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রেখেছিলেন। ওই সংগঠনটি ১০ বছর নিস্ক্রিয় থাকার পর হঠাৎ সক্রিয় দেখা যায়। ফোরামে আলোচনাকালে এমপি স্যান্টিয়াগো বলে, এই আটকের ঘটনার সাথে জাকির নায়েকের প্রতি করা রাজনৈতিক সমালোচনার সম্পর্ক থাকতে পারে।

            স্যান্টিয়াগো বলে, এই গ্রেফতার আসলে মালয়েশিয়ার ভারতীয় সম্প্রদায়ের প্রতি একটি ‘হুঁশিয়ারি’ এবং সেইসাথে বর্ণবাদী অনৈক্য সৃষ্টিকারী জাকির নায়েকের সমালোচনাকারীদের শাস্তি দেয়ার একটি হাতিয়ার। স্যান্টিয়াগো জানিয়েছে, জাকির নায়েকের আইনজীবীদের পাঠানো মানহানির একটি নোটিশ তিনি পেয়েছে। তারা জানিয়েছেন, স্যান্টিয়াগোর মন্তব্য জাকির নায়েয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। জাকির নায়েক স্থায়ীভাবে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। তিনি দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথেও সাক্ষাত করেন।

            উল্লেখ্য, ভারতে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের মদতদানের অভিযোগের তদন্ত চলছে। বেশ কয়েকটি দেশে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ তাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর ভারতীয় দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। গত আগস্ট মাসে জাকির নায়েকের একটি মন্তব্য মালয়েশিয়ায় বেশ আলোচিত হয়। তিনি ওই সময় বলেছিলেন যে মালয়েশিয়ার জাতিগত ভারতীয় সম্প্রদায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি ‘অনুগত।‘ তিনি মোদিকে মুসলিমবিরোধী হিসেবে অভিহিত করেন।

            জাকির নায়েকের এই মন্তব্যের জন্য মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য শুরুতে তার তীব্র সমালোচনা করলেও জোটের অন্যান্য শীর্ষ রাজনীতিবিদ তার সমর্থন করে বিবৃতিতে দেন এবং তাকে ‘ক্ষমা’ করার জন্য মালয়েশিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। মালয়-মুসলিম সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট রাখার জন্য তারা এ অবস্থান গ্রহণ করেছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার ৬০ ভাগের বেশি লোক মুসলিম। জাকির নায়েক আরো কয়েকজন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিযেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন পেনাঙ রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দ্বিতীয় পি রামসামী, মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান, পরিষদ সদস্য সতিশ মুনিয়ান্ডি।

            মালয়েশিয়ার মিডিয়া গত মাসে ১২ জনের একটি দলকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দুজন ছিলেন ডিএপি পরিষদ সদস্য। তামিল টাইগারদের সাথে তাদের সম্পর্ক নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার সিকিউরিটি অফেন্সেস (স্পেশাল মেজার্স) আইনের অধীনে তদন্ত চলছে। এই আইনে যে কাউকে বিনা বিচারে ২৮ দিন আটক রাখা যায়।
            খবরঃ নয়া দিগন্ত


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/01/29129/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              চবি ছাত্রীকে চলন্ত বাসে যৌন হয়রানির অভিযোগ, নিরাপত্তা নেই কোথাও

              চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে চলন্ত বাসে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে।

              জানা যায়, বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার উদ্দেশে পটিয়া থেকে একটি বাসে উঠেন মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। পরে বাসটি শহরের চান্দগাঁও এলাকায় পৌঁছালে বাসের দুই সহকারীর সঙ্গে অনেকক্ষণ টানাহেঁচড়ার পর এই ছাত্রী বাস থেকে নেমে পড়েন।

              এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, পটিয়া থেকে চট্টগ্রামে ফেরার জন্য পটিয়ার মুন্সেফবাজার এলাকা থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। বাসের দুই সহকারীর মধ্যে একজন ভাড়া নিতে এসে তার কাছে জানতে চান নামবেন তিনি। উত্তরে চট্টগ্রাম শহরের দুই নম্বর গেইট নামার কথা বলেন ওই ছাত্রী।

              ‘কথোপকথনের এক পর্যায়ে সহকারীকে আমি জিজ্ঞেস করি, দুই নম্বর গেইট যেতে বাস থেকে কোথায় নামলে সুবিধা হবে। সহকারী বাস টার্মিনাল নামার পরামর্শ দেয় আমাকে। বাস টার্মিনাল এসে যাত্রীদের সঙ্গে আমিও নামতে চাইলে সহকারী এগিয়ে এসে আমাকে দুই নম্বর গেইট পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। তবে বাস চালক ও সহকারীদের তাকানো আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। ’

              তিনি বলেন, এক পর্যায়ে দুই সহকারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আমার।

              আমি চিৎকার করে তাদের কাছ থেকে নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছিলাম। রাস্তার কিছু মানুষ হয়তো বিষয়টি খেয়াল করছিলেন, তাই আমাকে পরে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় বাসের নম্বর দেখতে ভুলে গিয়েছিলাম।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/01/29132/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                এবার সেই সন্ত্রাসী পরিদর্শকের বিরুদ্ধে থানায় আটকে দেড় কোটি টাকার চেক নেয়ার মামলা

                রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীকে থানায় আটকে দেড় কোটি টাকার চেক নেয়ার অভিযোগে এবার কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার সেই পরিদর্শক (তদন্ত) সন্ত্রাসী মো. সালাহউদ্দিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

                বাদী মহিউদ্দিনের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টার দেখিয়ে বাদী মহিউদ্দিনের জমি বন্ধক রেখে চাচাতো ভাই মামলার দ্বিতীয় আসামি মাহাবুব আলম ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন।

                সময় মত ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় অর্থ ঋণ আদালতে মাহাবুবের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংক। ওই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করার পর থেকে আসামি মাহাবুব মহিউদ্দিনের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন এবং আসামি মাহাবুব আলম যোগসাজসে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে চলতি বছরের ৩ আগস্ট রাত ১০টার সময় ৩/৪ জন পুলিশ সদস্য এবং মাহাবুব নগরীর হোটেল সালাউদ্দিনের ক্যাশে বসা অবস্থা থেকে মহিউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। খবরঃ বিডি প্রতিদিন

                থানায় নিয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিনের তার রুমে আটক রাখে। বাড়ি থেকে চেক বই নেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন এবং মাহাবুব বাদী মহিউদ্দিনকে চাপ দেয়।

                চেক বই না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখায়। পরবর্তীতে মহিউদ্দিন বাড়ি থেকে ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে থানায় চেক বই নেওয়ার পর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার চেক লিখে দিতে হুমকি দেয় পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন ও চাচাতো ভাই মাহবুব। হুমকির মুখে পড়ে শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক লি. এর হিসাব নং- ০০১১১০০০০০০৩৫, চেক নং- ০০০০০২২ চেক বইয়ের একটি চেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা লিখতে বাধ্য হয়। এরপর পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন নিজ হাতে চেকটি গ্রহণ করে। এছাড়া সাদা কাগজে মহিউদ্দিন এবং উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়।

                ভুুক্তভোগী মহিউদ্দিন বলেন, থানায় তুলে নিয়ে দেড় কোটি টাকার চেক মাহাবুবের জন্য আদায় করতে পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন আমাকে হুমকি, মিথ্যা মামলার ভয় এবং নানা চাপ প্রয়োগ করেছে। আইন অনুসারে কোন পুলিশ কর্মকর্তা তা করতে পারে না। ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর আমি অভিযোগ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
                কিন্তু কোন কাজ হয়নি।

                মামলার দ্বিতীয় আসামি মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে। ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

                উল্লেখ্য, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রী সামসুন নাহার সুইটি গত ২৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/01/29135/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতার অপকর্মের বিচার চেয়ে রাস্তায় নামলেন নারীরা

                  সন্ত্রাসী আওয়ামী যুবলীগ ঠাকুরগাঁও পৌর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার অপকর্মের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামলেন এলাকার নারীরা। আজ রবিবার দপুরে শহরের চৌরাস্তায় ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নারীরা। এসময় তারা পৌর সন্ত্রাসী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা’র নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরে তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

                  মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঠাকুরগাঁও শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্মুখে ডিসি বস্তির বাসিন্দা মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে ঠাকুরগাঁও পৌর যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সোহেল রানা ওরফে ল্যাংরা সোহেল দীর্ঘদিন যাবত এলাকার নারীদের উত্যক্ত করে আসছে।

                  গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাত একটার দিকে একই এলাকার এক বিধবা নারীর ঘরে অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করে। এসময় সেই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। তার চিৎকারে শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে ও সোহেল রানাকে গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখে।

                  পরে রাত দুইটার দিকে সোহেলের বড় ভাই আজম এসে সকালে সুষ্ঠু বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোহেলকে নিয়ে যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোন বিচার পায়নি এলাকাবাসী। এছাড়াও থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করা হলেও আজ পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি।

                  এলাকাবাসী মানববন্ধনে আরও জানান, আওয়ামী দালাল পুলিশ কেন আসামিকে গ্রেফতার করছে না তা আমাদের জানা নেই। আমরা আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারসহ এর উপযুক্ত শাস্তি চাই, তা না হলে পরবর্তীতে আমরা আরও বড় আন্দোলন করবো।

                  এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

                  খবরঃ বিডি প্রতিদিন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/01/29138/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ মুসলিমদের কে হেফাজত করুন,আমুন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment


                    • #11
                      হায় আফসোস!!! যেখানে আল্লাহকে সিজদা করা হতো সেখানে শিরক হবে! হে মুজাহিদ ভাইয়েরা, আমাদের উচিত ইন্ডিয়ান মালুদের টার্গেটে পরিণত করা।
                      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                      Comment

                      Working...
                      X