Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১২ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১০ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১২ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১০ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ভারতে মালাউন সন্ত্রাসীদের লোকসভায় ‘মুসলিমবিরোধী’ নাগরিকত্ব বিলের অনুমোদন!


    ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিতর্কের জন্য উত্থাপিত হয়েছে বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে এই আইনটি উত্থাপিত হয়।

    সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) লোকসভায় বিলটি তোলে ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদী সন্ত্রাসী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার।

    সন্ত্রাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলটি তোলার পর ৯০ মিনিট উত্তপ্ত বিতর্কের পর ২৯৩-৮২ ভোটের ব্যবধানে বিতর্কে মুসলিমবিরোধী বিলটি অনুমোদন পায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিলটিকে ‘মুসলিমবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

    গত ৪ ডিসেম্বর ভারতে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে একটি খসড়া বিলে অনুমোদন দেয় দেশটির মালাউন মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে শরণার্থী হওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিতে এ বিলটি আনা হয়।

    এর আগে ২০১৬ সালে একবার পার্লামেন্টে এ বিলটি লোকসভার অনুমোদন পেলেও রাজ্যসভার অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়। তখন আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে বিলটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29495/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘এই বিল ভারতের মুসলমানদের দেশহীন করার চক্রান্ত:-ওয়াইসি


    গত সোমবার ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। ৯০ মিনিট উত্তপ্ত বিতর্কের পর ২৯৩-৮২ ভোটের ব্যবধানে এটি পাস হয়।

    ওয়াইসি এই বিল নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসী মোদি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘ভারতে মুসলমানদের দেশহীন করার লক্ষ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও এনআরসি করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।’

    তিনি বলেন, এই বিলটি ভারতের মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান। এই আইন হিটলারের আইনের চেয়েও খারাপ।

    ওয়াইসি বলেন, ভারতের মুসলমানদের প্রান্তিক নাগরিকে পরিণত করতেই এই বিল আনা হচ্ছে। এটি মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করার ষড়যন্ত্র।

    কেন বিলটি তিনটি দেশের (পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান) ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ওয়াইসি বলেন, কেন চীন বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য এই বিল নয়?

    শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনেই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করা হচ্ছে। তারপর এনআরসিও রাজনৈতিক কারণেই করা হবে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29498/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে মালাউন সন্ত্রাসীদের নাগরিক বিলের বিরোধিতায় ১১ ঘণ্টা স্তব্ধ দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল


      কথিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ হচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা মিজোরাম সহ উত্তর-পূর্বের একাধিক ছাত্র সংগঠনের ডাকা এই প্রতীকী বন্ধ শুরু হয়েছে ভোর পাঁচটা থেকে। অন্যান্য সংগঠন ও রাজনৈতিক দল সমর্থিত নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (নেসো) সোমবার লোকসভায় যে নাগরিক বিল পাস হয়েছে তারই বিরোধিতা করে বিকেল চারটে পর্যন্ত এই ধর্মঘট পালন করবে বলে খবর এনডিটিভির।

      প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল প্রথম তৈরি হয়েছিল ২০১২-য়। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই তৈরি করা হয়েছিল এই বিল। বর্তমানে ১১ বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর ভারতের বাসিন্দা হলেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে তাঁরা। একই সঙ্গে, নয়া সংশোধনী বিল নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ভূমিপু্ত্ররা। তঁদের ভয়, সংশোধনী বিলের সাহায্যে নাগরিকত্ব লাভের পর নতুন বাসিন্দারা হয়ত উচ্ছেদ করবেন তাঁদের। হয়ত টান পড়বে তাঁদের রুজি-রোজগারে।

      আজকের বন্ধ সর্বাত্মক করতে কংগ্রেস, এআইইউডিএফ, সমস্ত অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি সমিতি, সমস্ত অরুণাচল প্রদেশের ছাত্র ইউনিয়ন, খাসি ছাত্র ইউনিয়ন এবং নাগা স্টুডেন্টস ফেডারেশন সমর্থন জানাচ্ছে এনইএসওকে। এসইফআই, ডিওয়াইএফআই, এআইডিডাব্লুএ, এআইএসএফ, আইআইএসএ এবং আইপিটিএ-র মতো মোট ১৬ টি বামপন্থী সংগঠনও সমর্থন জানিয়েছে নেসোকে। বন্ধের কারণে রাজ্যের গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় স্থগিত রেখেছে আগামীকালের নির্ধারিত সমস্ত পরীক্ষা।

      নাগরিক বিল ইস্যুতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বন্ধ ডাকল নেসো। এই বিল এর আগে পাস হওয়ার পরে ৮ জানুয়ারি একাধিক সংগঠন বন্*ধ পালন করে। তবে, বিলটি রাজ্যসভায় পাস না হওয়ায় তা সাময়িক স্থগিত থাকে। সোমবার লোকসভায় এর নতুন সংস্করণ সামনে আনা হয়।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29509/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হিন্দুদের চেয়ে মুসলিমদের ২০০ গুন বেশি জরিমানার আইন কার্যকর করেছে ভারতীয় মালাউন সরকার


        ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ভারতে অবস্থান করলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চেয়ে দুইশো গুণ বেশি জরিমানা গুনতে হবে মুসলিমদের। প্রায় এক বছর আগে ধর্মীয় বৈষম্যমূলক এ ভিসা বিধিমালা কার্যকর করে দেশটি।

        ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কলকাতা সফরে গেলে নতুন ভিসা নীতিমালা সংক্রান্ত এই বৈষম্যটি প্রকাশ পায়।

        ওই সময় দুই দেশের মধ্যকার টেস্ট সিরিজে অংশ নেয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যান সাইফ হাসানের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে এই ধর্মীয় বৈষম্যমূলক জরিমানা গুনতে হয়।

        পরে সাইফ বিষয়টি কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনে অবহিত করলে সেখান থেকে ভারতের ফরেইনার রিজওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে (এফআরআরও) যোগযোগ করা হয়।

        তখন এফআরআরও সূত্রে জানা যায়, ভিসার নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু নাগরিকদের কেউ মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভারতে অবস্থান করলে তাকে জরিমানা গুনতে হবে।

        সে ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত ১০০ রুপি, ৯১ দিন থেকে দুই বছর পর্যন্ত ২০০ রুপি এবং দুই বছরের বেশি থাকলে ৫০০ রুপি জরিমানা ধার্য করা হবে।

        অন্যদিকে একই সময়ের জন্য এই তিন দেশের সংখ্যালঘু ব্যতীত অন্য ধর্মের নাগরিকদের ক্ষেত্রে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে যথাক্রমে ৩০০ ডলার বা ২১ হাজার রুপি, ৪০০ ডলার বা ২৮ হাজার রুপি এবং ৫০০ ডলার বা ৩৫ হাজার রুপি।

        এই জরিমানা সংখ্যালঘুদের জন্য রুপিতে ধার্য করা হলেও অন্য সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য তা ডলারে ধার্য করা হয়। নতুন এই ভিসা নীতিমালা এফআরআরও এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29512/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          সিরিয়ায় কুফ্ফার জোট বাহিনীগুলোর হামলায় হতাহত ৫৩৮ এরও অধিক নিরাপরাধ লোক!


          গত এক মাসে সিরিয়ায় কুফ্ফার জোট বাহিনীগুলোর অমানবিক হামলায় হতাহতের শিকার হয়েছেন ৫৩৮ জনেরও অধিক নিরাপরাধ মুসলিম।

          সিরিয়ান ভিত্তিক “INSIGHT” নামক একটি সংবাদ সংস্থা এর সমীক্ষায় জানা গেছে যে, গত নবেম্বর মাস জুড়ে সিরিয়ার ইদলিব সিটিতে ৮৯৩ টিরও অধিক রকেট হামলা চালিয়েছে কুফ্ফার (রাশিয়া,ইরান ও মুরতাদ আসাদ বাহিনী) জোটগুলো। এছাড়াও বিমান হামলা চালিয়েছে শতাধিকবার, যাতে ধ্বংস হয়ে যায় সাধারন নিরাপরাধ মুসলিমদের ৫৩৯টিরও অধিক বসতবাড়ি।

          অন্যদিকে কুফ্ফার জোটগুলোর স্থল ও আকাশ পথের অমানবিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫০ জন এবং আহত হয়েছেন আরো ৩৮৮ জন নিরাপরাধ মুসলিম।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29521/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ফ্রান্সে ইতিহাসের বৃহৎ ধর্মঘট, কঠিন পরীক্ষায় ক্রুসেডারদের সহযোগী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ


            সন্ত্রাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রস্তাবিত সার্বজনীন পয়েন্টভিত্তিক পেনশন ব্যবস্থাপনায় নাখোশ দেশটির বিভিন্ন ইউনিয়ন। এর জের ধরে কয়েক বছরের মধ্যে ফ্রান্সজুড়ে সর্ববৃহৎ ধর্মঘট পালন করছে লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষ।

            গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে সরকারি কর্মকর্তাদের দেরীতে অবসর কিংবা কম পেনশন নিতে বাধ্য করার প্রতিবাদে পেশাজীবী ও শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন। তাদের এ ধর্মঘট চলবে সোমবার পর্যন্ত।

            চলমান এ ধর্মঘট সফল করতে কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নেমেছেন লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষ। যেখানে অংশ নিয়েছেন পুলিশ, আইনজীবী, চিকিৎসক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। ১৯৯৫ সালের পর ফ্রান্সে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটি ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ধর্মঘট।

            ধর্মঘটের ফলে ফ্রান্সের সড়ক যোগাযোগ, ট্রেন, ট্রাম, রেল ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় মারাত্মক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

            দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার অবসর ব্যবস্থা না পাল্টানো পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না বলে জানান আন্দোলনকারীরা। ফলে এই কর্মবিরতি নিরসনে কীভাবে কাজ করতে হবে তা ম্যাক্রোঁর জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।

            টানা তিন দিনের ধর্মঘটে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। ধর্মঘটের কারণে অনেকেই সাইকেল বা স্কুটার ভাড়া করে সড়ক পথে কাজে যাচ্ছেন।

            তবে বেশিরভাগই গাড়ি ভাড়া করে বা নিজের গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ফ্রান্সের ইল দ্যু ফ্রান্সসহ হাইওয়েতে শুক্রবার বিকেলে ৫০০ কিলোমিটারের বিশাল ট্রাুফিক জ্যাম তৈরি হয়। এছাড়াও যানঝটে নাকাল হয়ে পড়েছে প্যারিসসহ অন্যান্য শহরের বাসিন্দারা। বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেলে অলস সময় পার করছেন বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্রান্সে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা।

            এ অচলাবস্থার একটি সমাধান বের করার দাবি জানিয়েছেন ফ্রান্সের সাধারণ নাগরিকেরা। অন্যদিকে রবিবার স্থানীয় সময় বিকেলে চলমান সংকট নিরসনে প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্যকে নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

            বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে কিছু মুখোশধারী বিক্ষোভকারী বাসস্ট্যাশন, দোকানে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘাতের ঘটনা ঘটে। কোনো কোনো স্থানে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে এমন খবর পাওয়া গেছে।

            অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের ওপর ধর্মঘটের সময়ে পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে নীরব ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কিন্তু এ সংস্থাটিই সাধারণত বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে নিজেদের উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি সঙ্কট সমাধানে দ্রুত এগিয়ে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু নাকের ডগায় ফ্রান্সে পুলিশের বল প্রয়োগের বিষয়ে নীরব থাকা সংস্থাটিকে ফেলে দিয়েছে সমালোচনার মুখে।

            উল্লেখ্য, ফ্রান্সে বর্তমানে প্রায় ৪২ ধরনের পেনশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এগুলো বিলোপ করে সংস্কারের মাধ্যমে পেনশনকে একটি সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কথিত সরকার।

            সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29524/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              নিজের মেয়ের ধর্ষণের কথা গোপন রাখে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশের নেতৃত্বে তাহলে এরাই?


              ১৯৮০ সালে লেবার পার্টির এমপি বিল ল্যান্ডারইউয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল রসলিন ডিলন। কিন্তু নিজের ক্যারিয়ারের ওপর প্রভাব পড়তে পারে এ আশঙ্কায় ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস না করতে মেয়েকে নীরব থাকার নির্দেশ দিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বব হক। ক্ষমতার জন্য কি না করতে পারে সেটাই প্রমান দিচ্ছে এসকল কথিত মানবতাধারীরা।

              দেশটির আদালতের নথিতে রসলিন ডলিনের ধর্ষণের এই অভিযোগ দেখতে পেয়েছে অস্ট্রেলীয় দৈনিক দ্য নিউ ডেইলি। এতে ডলিন বলেছে, বাবা বব হকের রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির এমপি বিল ল্যান্ডারইউয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল সে।

              তবে অভিযুক্ত এই এমপি এখন আর বেঁচে নেই।

              ৬৯ বছর বয়সী ডলিন তার বাবার সম্পত্তির অস্ট্রেলীয় ৪ মিলিয়ন ডলারের মালিকানা চেয়ে আদালতে মামলা করেছে। আদালতের অ্যাফিডেভিটে ডলিন অভিযোগ করেছে, ল্যান্ডারইউর অফিসে কাজ করার সময় তার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল সে।

              সেসময় লেবার দলের নেতা হওয়ার চেষ্টা করেছিল বব হক।

              আদালতের নথিতে ডলিন বলেছে, ১৯৮৩ সালে অন্তত তিনবার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিল সে। তৃতীয়বার ধর্ষিত হওয়ার পর তার বাবাকে জানিয়েছিল এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে চেয়েছিল।

              কিন্তু বব হক জবাবে মেয়েকে বলেছিল, তুমি এটা করতে পারো না। আমি এই মুহূর্তে কোনো ধরনের বিতর্কের মধ্যে জড়াতে চাই না।

              আমি দুঃখিত যে, লেবার পার্টির নেতা হওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। ডলিনের বোন সুয়ে পিটারস হক দ্য নিউ ডেইলিকে বলে, ওই অভিযোগের ব্যাপারে পরিবারের সদস্যরা জানত।

              তবে তার পরিবারের সদস্যরা অস্ট্রেলিয়ার এই দৈনিককে মন্তব্য জানাতে রাজি হয়নি। ডলিনের বোন সুয়ে পিটারস বলেছে, ওই সময় মানুষকে জানাতে চেয়েছিল ডলিন। আমার বিশ্বাস ছিল, সে সমর্থনমূলক সাড়া পাবে। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া সম্ভব হয়নি।

              ১৯৭৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত লেবার দলীয় এমপি ছিল ইউনিয়নের সাবেক কর্মকর্তা ল্যান্ডারইউ। বব হকের প্রধানমন্ত্রিত্ব থাকাকালীন তার সঙ্গে অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক ছিল ল্যান্ডারইউর। ১৯৮০ সালের দিকে অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে বব হকের আধিপত্য ছিল। ৮০’র দশকে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে অন্তত চারবার জয় পেয়েছিল সে।
              আর এমন ধর্ষকরাই দেশ পরিচালনা করছে কথিত মানবতা প্রতিষ্ঠাকারী এসকল দেশের কথিত নেতারা।

              সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29531/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ববিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, দু’জন হাসপাতালে


                বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের দুইজন সন্ত্রাসী আহত হয়েছে।

                রবিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বরিশাল-ভোলা সড়কে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

                আহতরা হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা গণিত বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত এবং রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রফিক হাওলাদার।

                আহতদের রাতেই শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

                বিডি প্রতিদিন থেকে জানা যায় , ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে রাত ৯টার পর বরিশাল-ভোলা সড়কে বিবাদমান মহিউদ্দিন শিফাত গ্রুপ এবং ইমন-জিসান গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা শিফাতকে কুপিয়ে আহত করে।

                খবর পেয়ে শিফাতের অনুসারীরা পাল্টা হামলা চালিয়ে ইমন-জিসান গ্রুপের রফিক হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করে।

                আহত সিফাত জানান, রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

                অপরদিকে আহত রফিকের সহপাঠীরা জানায়, ক্যাম্পাসে মিছিল করাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জের ধরে রফিকের ওপর হামলা করা হয়।

                বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের পক্ষে মিছিল-সমাবেশ হয় প্রায়ই। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেখানে প্রায়ই তাদের মধ্যে অন্তকলহ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবারের এই সংঘর্ষ


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29528/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  দূষণ বাড়ে, মৃত্যু বাড়ে, জিডিপি বাড়ে!


                  গত ২৫ নভেম্বর ভারতের কথিত সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির বায়ুদূষণকে কেন্দ্র করে বলেছিল, এভাবে মানুষকে ধুঁকে ধুঁকে কষ্ট দেওয়ার বদলে বোমা ফাটিয়ে সবাইকে একবারে মেরে ফেলা ভালো। মজার ব্যাপার হলো, ওই দিন বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরটি ছিল ঢাকা। দিল্লি ছিল চতুর্থ।

                  কয়েক মাস ধরে বায়ুদূষণে ঢাকা নিয়মিত ফার্স্ট-সেকেন্ড বয়। রিপোর্ট বলছে দেশের শতভাগ মানুষ বায়ুদূষণের মধ্যে বাস করে। আর ২০১৭ সালে সোয়া এক লাখ মানুষ মারাও গেছে বায়ুদূষণে (দ্য স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার, ২০১৯)। এই যে এক লাখেরও বেশি মানুষ শেষ পর্যন্ত বাঁচতেই পারল না এই বিষাক্ত শহরে, সেই দায় কার? এই শহরটা পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত শহর হলো কী করে? কেন একটা শহরের বাতাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ২০০ গুণ বেশি ক্যাডমিয়াম থাকবে? দ্বিগুণের বেশি সিসা থাকবে? তিন গুণের বেশি ক্রোমিয়াম থাকবে? মারাত্মক ক্ষতিকর ‘পিএম ২.৫’ বিপৎসীমারও ১০ গুণ বেশি থাকবে কেন? আমাদের মন্ত্রীরা বলে, দেশ কানাডা হবে, সিঙ্গাপুর হবে। তো সিঙ্গাপুর, কানাডার বাতাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ২০০ গুণ বেশি ক্যাডমিয়াম ভাসে?

                  ঢাকার বায়ুদূষণের অর্ধেকটা হয় ইটভাটার কারণে। বাকিটা ট্রাক, বাস, শিল্পকারখানার কালো ধোঁয়া, হড়বড়িয়ে গড়ে ওঠা কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি, আর মাশরুমের মতো গজিয়ে ওঠা মেগা উন্নয়ন। প্রশ্ন করুন, ইটের ভাটার বিকল্প কী? কালো ধোঁয়ার বিকল্প কী? বিল্ডিং কোড না মানা বিল্ডিংগুলোর বিকল্প কী? আপাতদৃষ্টিতে বিকল্প নেই। রদ্দি আমলের উন্নয়ন মডেলে এ রকম মানুষ মেরে মেরেই শহর–বন্দর হয়েছে। কিন্তু আমাদের মন্ত্রীদের না রোল মডেল সিঙ্গাপুর, লাস ভেগাস? সৌরবিদ্যুৎ, বর্জ্যবিদ্যুৎ, লোকাল শিল্পায়ন আর টেকসই উন্নয়নের উত্থানের দিনে এবং সর্বোপরি ‘ডিজিটাল’ বাংলাদেশের এই ‘স্বর্ণযুগে’ এই সব মানুষ মারা রদ্দি উন্নয়নের চিন্তা তাঁদের মানায়?

                  আসল কথা হলো, দেশে মেগা ‘উন্নয়ন’ চলছে ন্যূনতম সমন্বয় ছাড়া। একটা বসবাসের অনুপযোগী ভাগাড় আমাদের রাজধানী। একটা শহরের সবকিছু ভেঙে পড়ছে, তবু বিকেন্দ্রীকরণের ন্যূনতম ইচ্ছা নেই। এই শহরে বছরব্যাপী খাওয়ার পানির জন্য তীব্র হাহাকার। পানির স্তর ২০০ ফুটের নিচে নেমে গেছে! গায়ে গায়ে লাগানো বিল্ডিং। শতকরা ৬৭ ভাগ দালানের বিল্ডিং কোডের বালাই নেই। ফায়ার সার্ভিস ঢোকার রাস্তা নেই। ৭০ ভাগ গ্যাস পাইপলাইনের মেয়াদ নেই। ট্রাফিকের গড় গতি কমতে কমতে ঘণ্টায় মাত্র ৭ কিলোমিটার! এই শহরে না আছে একটা সবুজ খেলার মাঠ, না আছে একটা পরিষ্কার খালের পাড়, না আছে একটা সচল ড্রেন, না আছে একটা নিরাপদ ‘ফায়ার এক্সিট’, না আছে একটা ঠিকঠাক জেব্রা ক্রসিং। বাতাসের লেভেল ‘মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর’। এরই মধ্যে শিশুরা ব্যাগ কাঁধে স্কুলে যায়, খোলা বাতাসে কাজ করে নির্মাণশ্রমিক, রিকশাচালক, ট্রাফিক পুলিশ, সিএনজি অটোরিকশাচালক, বাসের হেলপার, অফিসগামী হাজারো মানুষ। তারপরও এই মুমূর্ষু মেট্রোপলিটনের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ট্রাক ভরে ভরে ইটের চালান ঢোকে।

                  এই সব ইটের সাপ্লাই, এই সব বিল্ডিং কোড না মেনে দাঁড়িয়ে যাওয়া গাদা গাদা বিল্ডিং, এই সব খোলা বাতাসে উড়তে থাকা মহা বিপজ্জনক পার্টিকেল আমাদের ঢোল পেটানো জিডিপির সবচেয়ে বড় খোরাক। ইটভাটা আমাদের জিডিপির ১ শতাংশ। আর নির্মাণশিল্প জিডিপির ১৪ শতাংশ। এই ১৪-১৫ শতাংশ জিডিপি মানে ঢাকার বাতাসে বিষের মতো ছড়িয়ে পড়া কার্বন মনো–অক্সাইড, আর প্রবল হাঁপানিতে ভোগা কয়েক লাখ ইটশ্রমিক। এই ১৫ শতাংশ জিডিপির বদলে দেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় দেড় বছর, আর রাজধানীর এক–চতুর্থাংশ বাচ্চা ছেলেমেয়ের ছোট্ট ফুসফুসগুলোও ক্ষয়ে গেছে।

                  এই উন্নয়নের দেশে বড় বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় জিডিপির একেকটি শতাংশ।

                  ২.

                  ঢাকার মানুষের রোগবালাই বাড়ছে। বাড়ছে অ্যাজমা অ্যাটাক, বাড়ছে হার্টের অসুখ, হার্ট ফেইলিউর, রেসপিরেটরি ইনফেকশন, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, ডায়াবেটিস আর ফুসফুসের ক্যানসার। বছর বছর এই সব রোগবালাই বাড়ে কেন?

                  দেশে ওষুধের বাজার সাড়ে ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ওষুধশিল্প আমাদের জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ। দেশে অসুখবিসুখ বেড়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বেড়েছে, ইনহেলার ও মাস্কের বিক্রিবাট্টা বেড়েছে, ব্যাঙের ছাতার মতো ফার্মেসির সংখ্যা বেড়েছে, ওষুধের রপ্তানিও বেড়েছে। এদিকে বাতাসে বাড়ছে সালফার ডাই-অক্সাইড, ধুলায় ক্যাডমিয়াম আর পানিতে সিসা। শহরের কোনায় ঘুপচিতে হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ছে, প্রাইভেট চেম্বারের ব্যবসা বাড়ছে, মোড়ে মোড়ে বাড়ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তো এই সব অসুখবিসুখ, ঘা-পাঁচড়া, হাঁপানি, ক্যানসার নিয়ে রমরমা বাণিজ্য খুব ভালো খবর? গবেষণা বলছে, রাজধানীতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে হার্টের অসুখে। আর প্রতিবছর ১৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ক্যানসারে (ডব্লিউএইচও, ২০১৮)। এই উন্নয়নের দেশে মরণব্যাধিগুলো প্লেগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে কেন? মরে যাওয়া মানুষগুলোর ময়নাতদন্ত করুন না, বেঁচে থাকা রোগীগুলোর হার্ট আর ফুসফুসের সিটি স্ক্যানটাও করুন, টের পাওয়া যাবে এর সঙ্গে ‘মেগা’ উন্নয়নের গভীর সম্পর্ক।

                  একদিকে ধমাধম কোটিপতি বৃদ্ধির এই বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আবার অন্যদিকে দেশের ৬০ লাখ মানুষ প্রতিবছর চিকিৎসার খরচ বইতে গিয়ে আরও গরিব হয়ে পড়ছে (আইসিডিডিআরবি, ২০১৪)। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (২০১৫) গবেষণা দেখাচ্ছে, বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসার খরচ দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। মাথাপিছু আয় বাড়া নিয়ে কত অহমিকা, তো মাথাপিছু সালফার ডাই-অক্সাইড গেলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া আর মাথাপিছু চিকিৎসার খরচ আট বছরে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা আছে? বায়ুদূষণ কমাতে আদালতের আদেশের পর কেউ কিছু করে? চিকিৎসার খরচ কমাতে বাজেটে বাড়তি বরাদ্দ চোখে পড়ে? উল্টো জনস্বাস্থ্যে আমাদের বাজেট এশিয়ার মধ্যে তলানির দিকে (মাত্র ০.৮ %)। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এমনকি আফগানিস্তানেরও স্বাস্থ্য বাজেট (জিডিপির অনুপাতে) আমাদের চেয়ে বেশি! অসংখ্য মানুষ জমি বেচে, গয়না বেচে, ধারদেনা করে চিকিৎসার অস্বাভাবিক খরচ জোগাচ্ছে। এতে দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনটাও বাড়ছে। আর শেষমেশ ফুসফুসে ঘা-ওয়ালাদের এই সব বেচাবেচিতে ধপাধপ জিডিপিও বাড়ছে।

                  কিন্তু ভাবুন, হার্টে ঘা, ফুসফুসে ঘা, কিডনিতে ঘা, সারাক্ষণ খুকখুক কাশি, চোখ জ্বালাপোড়া, ক্রনিক মাথাব্যথা, চামড়ার ঘা–পাঁচড়া—এই সব একটা সুস্থ, সুন্দর, ‘ডিজিটাল’ জাতিকে মানায়? লাস ভেগাস হওয়ার খায়েশ আর জিডিপির ২ শতাংশের বদলে আপনার শিশুসন্তানের ছোট্ট ফুসফুসটি, ছোট্ট হৃদ্*যন্ত্রটি বেচতে পারবেন আপনি?

                  ৩.

                  কথা ছিল, একটি স্মার্ট শহর। কথা ছিল সবুজ খেলার মাঠ আর শহর ঘিরে বহতা নদী। কথা ছিল সিঙ্গাপুরের মতো দক্ষ চিকিৎসাব্যবস্থা। বিপুলসংখ্যক নার্স। কানাডার মতো ঝকঝকে বাতাস, নল খুললেই পরিষ্কার পানি। কথা ছিল গণপরিবহন। দেশজুড়ে রেল নেটওয়ার্ক। বাইসাইকেল লেন। কথা ছিল
                  স্থানীয় পর্যায়ে শিল্পায়ন। শত শত পাটকল। ধান-সবজি-আলুর কোল্ডস্টোরেজ। উপকূলজুড়ে বায়ুবিদ্যুৎ। মাঠেঘাটে সৌরবিদ্যুৎ, বর্জ্যবিদ্যুৎ,
                  প্লাস্টিক রিসাইক্লিং। গ্রামে গ্রামে জৈব খামার। ধানখেতে, সবজিখেতে কারখানার কেমিক্যাল উপচে পড়লেই জরিমানা।

                  অথচ এর বিপরীতে আমরা পেয়েছি ২৯টি কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি। অনিয়ন্ত্রিত ইটের ভাটা, কারখানার বর্জ্য। পেয়েছি খেত-খামার নষ্ট করে দেওয়া ডাইং ইন্ডাস্ট্রি। পদ্মা থেকে বঙ্গোপসাগরে দৈনিক ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক। আমরা পেয়েছি ফরমালিন, ভেজাল খাবার, দুধের বদলে ডিটারজেন্ট, আর গরুর মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক। আমরা পেয়েছি একটি রোগশোকে ভোগা রুগ্ন জাতি, ১০ হাজার জনে মাত্র একজন নার্স, ১ হাজার জনে মাত্র একটি হাসপাতাল বেড, আর শত শত রিকশাচালক ও নির্মাণশ্রমিকের স্রেফ কাশতে কাশতে মরে যাওয়া।

                  শুধু বায়ুদূষণজনিত রোগে এক বছরেই মরে গেল বাংলাদেশের ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ! ভাবা যায়? এসব এপিটাফে কোনো দিন লেখা থাকবে কি একটি ‘রোল মডেল’ রাষ্ট্রের উন্নয়ন নামক লুটপাটতন্ত্রের ডাইরেক্ট বলির পাঁঠা হয়েছিল তারা?

                  এরপর কী? ভারতের মতো বোতলে ভরে ফ্রেশ বাতাস বিক্রি হবে এই দেশে? ওজন মেপে মেপে? সেটাও একখানা নতুন ‘বিজনেস মডেল’ বটে। জিডিপির কয়েক বেলার খাদ্য।

                  এভাবে উন্নয়নের দেশে মানুষ মরে, জিডিপি বাড়ে। জিডিপি বাড়ে, মানুষ মরে।

                  সুত্রঃ প্রথম আলো


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29538/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ফেসবুক থেকে গুগল ফটোজে পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও


                    তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুক অন্যতম। আর ফেসবুকে বিনিময় করা নিজেদের ছবি বা ভিডিওগুলো চাইলে গুগল ফটোজেও পাঠানো যাবে। এ জন্য ‘ডাটা পোর্টেবিলিটি প্রকল্প’-এর আওতায় নতুন টুলও উন্মুক্ত করেছে ফেসবুক।

                    প্রাথমিকভাবে এ সুযোগ পাবেন আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

                    সব কিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই সব ব্যবহারকারীর জন্য ফিচারটি উন্মুক্ত করা হতে পারে।

                    এ ব্যাপারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেবার সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের সুযোগ দিতেই এ উদ্যোগ। ভবিষ্যতে অন্যান্য প্লাটফর্মেও এই টুল ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।

                    জানা গেছে, টুলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুকে বিনিময় করা ছবি বা ভিডিওগুলো জমা রাখবে গুগল ফটোজে। ফলে আলাদা করে গুগলের ছবি বিনিময় ও অনলাইন স্টোরেজ সেবাটিতে প্রবেশ করতে হবে না।

                    সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/10/29534/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment

                      Working...
                      X