Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৪ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১২ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৪ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১২ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    রাজ্যসভাতেও পাস হলো সন্ত্রাসী মোদি-অমিতের মুসলিমবিরোধী বিল! বিক্ষোভে উত্তাল ভারত


    লোকসভার পর ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভাতেও পাস হলো সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকারের উত্থাপিত কথিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি। ধর্মীয় বিবেচনায় তৈরি বিলটি নিয়ে বিতর্কের পর ২৪০ সদস্যবিশিষ্ট রাজ্যসভায় এর পক্ষে ১২৫ এবং বিপক্ষে ১০৫ জন সমর্থন দেয়। মালাউনদের রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি এখন আইনে পরিণত হবে।

    বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসী অমিত শাহ উত্থাপিত বিলটির পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটির আগে তা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হবে এ নিয়েও ভোটাভুটি হয়। বিরোধী দলের সাংসদরা মোট ১৪টি সংশোধনীর প্রস্তাব করেন। কিন্তু ভোটাভুটিতে বিরোধীদের তোলা সব সংশোধনী প্রস্তাব খারিজ হয়।

    ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার বিতর্ক এবং বিরোধীদের প্রবল আপত্তির পর মধ্যরাতে বিলটি পাস হয়। তারপর বুধবার বিলটি নিয়ে রাজ্যসভাতে পাশ হয়।

    ভারতে ক্ষমতাসীন কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল বিজেপি এই বিলের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনুপ্রবেশকারীদের তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিধান করা হয়েছে।

    এদিকে বিলটি নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা ও মণিপুর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। তিন রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ বিলের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে। দোকানপাট ভাঙচু করেছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস আর গুলিও ছুঁড়েছে। এছাড়া জনতাকে দমানোর জন্য সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29604/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মুসলিমদের কেন নাগরিকত্ব দেব বলে মন্তব্য হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী অমিত শাহের


    ভারতের লোকসভার পর বুধবার রাজ্যসভায়ও পাস হয়েছে কথিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। নাগরিকত্ব বিল প্রসঙ্গে লোকসভায় যা ঊহ্য রেখেছিল, রাজ্যসভায় তা স্পষ্ট করেছে দেশটির হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে বলে, সারা পৃথিবী থেকে যদি মুসলমানরা এসে এ দেশের নাগরিকত্ব চায়, তা হলে তা দেয়া সম্ভব নয়। এ ভাবে চলতে পারে না।

    বিরোধীদের মতে, এই বিল হল সরকারের আগ্রাসী হিন্দুত্ব নীতির পরিচায়ক। যদিও সন্ত্রাসী বিজেপির পাল্টা যুক্তি, দলের ইসতেহারেই বিলটি আনার কথা ছিল। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়েছে।

    বিরোধী শিবিরের তীব্র প্রতিবাদ, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই সত্ত্বেও রাজ্যসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। ফলে আরও মসৃণ হবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ।

    এই বিলে কেন কেবল অমুসলিমদের (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, জৈন ও বৌদ্ধ) কেন সুবিধা দেয়া হলো, তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, মুসলিমদের সঙ্গে বিভাজনের রাজনীতি করার উদ্দেশ্যেই বিলটি আনা হয়েছে।

    তবে লোকসভায় এই অভিযোগের স্পষ্ট জবাব দেয়নি সন্ত্রাসী অমিত শাহ। পাল্টা প্রশ্ন করে সে বলেছে, গোটা দুনিয়া থেকেই যদি মুসলিমরা এসে এ দেশে নাগরিকত্ব চায়, তাদের সবাইকে কি নাগরিকত্ব দিয়ে দেব? কী করে দেব। দেশ কী ভাবে চলবে, এ ভাবে চলতে পারে না।

    তার যুক্তি, প্রতিবেশী তিন দেশের রাষ্ট্রধর্ম হল ইসলাম। সেই কারণে শরণার্থী হিসেবে আসা তিন দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। না হলে উৎপীড়নের শিকার ওই মানুষেরা কোথায় যাবেন। ’

    এদিকে বিলটি নিয়ে মুসলিম সমাজ আতঙ্কিত বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বহু বিরোধী সংসদ সদস্য।

    তারা বলছেন, এনআরসি থেকে নাগরিকত্ব বিল কিংবা ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ— কী কারণে ওই বিলগুলো সরকার আনছে তা সবাই বুঝতে পারছেন। সরকারের পদক্ষেপ দেখে মুসলিম সমাজ ভয়ে রয়েছে।

    কংগ্রেসের কপিল সিব্বল প্রশ্ন তোলে, ‘কোনো অমুসলিম যে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, তা কী ভাবে প্রমাণ হবে? কারণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি বলেছিল যে কোনো অনুপ্রবেশকারী, তিনি যে ধর্মেরই হন, আসলে তিনি অবৈধ। ’

    পাঞ্জাবের কংগ্রেস সংসদ সদস্য প্রতাপ সিংহ বাজওয়া জানিয়েছে, তার রাজ্যে পাকিস্তানের বহু আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন। ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে পালিয়ে আসা ওই মুসলিম নাগরিকদের কেন নাগরিকত্ব দেয়া হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    জবাবে সন্ত্রাসী অমিত শাহ বলেছে, বিভিন্ন দেশের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ভারত নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে। ওই শরণার্থীরা যদি ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন মেনে আবেদন করে, তবে খতিয়ে দেখা হবে।

    সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29625/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আসামে মালাউন সন্ত্রাসীদের কারফিউ ভেঙে রাস্তায় হাজারো মানুষ


      আসামে কারফিউ জারি করেও থামানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ। বরং বৃহস্পতিবার রাজধানী গৌহাটিতে কারফিউ ভেঙেই রাস্তায় নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ। ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসীবাহিনীর উপস্থিতিতেই জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা।

      গত সোমবার লোকসভার পর বুধবার রাজ্যসভাতেও পাস হয়েছে ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। ওই বিলে কেন শুধু অ-মুসলিমদের (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, জৈন ও বৌদ্ধ) সুবিধা দেওয়া হলো, তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, মুসলিমদের সঙ্গে বিভাজনের রাজনীতি করার উদ্দেশ্যেই বিলটি আনা হয়েছে।

      এই বিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভ করছে দেশে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আসাম, মনিপুর ও ত্রিপুরা রাজ্যে। বিক্ষোভ ঠেকতে বুধবার আসামের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ত্রিপুরায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা।

      বৃহস্পতিবার কারফিউ ভেঙেই রাস্তায় নেমে এসেছে গৌহাটির সাধারণ মানুষ। তারা জ্বলন্ত কাঠ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে। ডিব্রুগড়ে উগ্রপন্থি হিন্দু সন্ত্রাসী দল রাষ্ট্রীয় সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) একটি কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আরএসএস কার্যালয়ের বাইরে বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়।

      মঙ্গলবার ছাত্রদের নেতৃত্বে বহু মানুষ রাস্তায় মিছিল করতে থাকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে একাধিক জায়গায় সেনা নজরদারি জোরদার করা হয়। আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে জারি করা হয় কারফিউ।

      সেই সঙ্গে ১০ জেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে। বিপর্যস্ত সড়ক ও রেল পরিষেবা। অবরোধের জেরে অন্তত ১০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিমানও।

      এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার উত্তর-পূর্ব শাখার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সঞ্জীব জিন্দল বলেছে, ‘ডিব্রুগড়ে ন’টি বিমানের উড়ান বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় কোনও ট্যাক্সিও পাওয়া যাচ্ছে না, যার ফলে বুধবার যারা বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন, তারা এখনও যেতে পারেননি।’


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29612/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিম বিরোধী বিলে উত্তপ্ত আসামে সেনা মোতায়েন-কার্ফু জারি, ত্রিপুরায় প্রতিরোধ


        কথিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)-এর প্রতিবাদে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

        সিএবি নিয়ে আসামে কোনও সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়নি। তা সত্ত্বেও হাজার হাজার প্রতিবাদী যুবক এ দিন পথে নেমে পড়েন, যাদের অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী। অচল হয়ে যায় গুয়াহাটি।

        এদিকে, দিসপুরের সচিবালয়ের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলেন প্রতিবাদীরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই গুয়াহাটিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট, এসএমএস সেনাও।

        নামানো হয়েছে দু’কলাম সেনা। বঙাইগাঁও এবং ডিব্রুগড়েও দু’প্লাটুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গুয়াহাটিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা অন্যত্র সরানোর কথাও ভাবা হচ্ছে।

        আসামে যখন এই অবস্থা, তখন ত্রিপুরায় হামলার জেরে আজ বহু জায়গায় স্বদেশিরা পাল্টা প্রতিরোধে নামেন। ধলাই জেলার কমলপুরে দু’পক্ষকে হঠাতে সন্ত্রাসী পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি চালায়।

        মূলত উপজাতি প্রধান জেলাগুলোতে কোথাও লাঠি চালাতে হয়, কোথাও ছুঁড়তে হয় কাঁদানে গ্যাস। বহু এলাকায় জারি হয় ১৪৪ ধারা। অসাম ও ত্রিপুরার জন্য ৫০ সন্ত্রাসী প্লাটুন আধাসামরিক বাহিনী উড়িয়ে আনা হয়েছে। কাশ্মীর থেকেও আনা হয়েছে ২০ প্লাটুন।

        আসামের পরিস্থিতি প্রবীণদের আসুর ছাত্র-আন্দোলনের দিনগুলো মনে করিয়ে দিচ্ছে।

        বুধবার সকাল থেকেই গুয়াহাটির বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ছাত্র-যুবরা। রাত পর্যন্ত টায়ার জ্বালিয়ে, স্লোগান দিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধ চলে। ফ্যান্সিবাজার, পানবাজার, উলুবাড়ি, গণেশগুড়িতে সকালে দোকানপাট খুললেও পরে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়। সব চেয়ে বড় জমায়েত হয় দিসপুরে সচিবালয় তথা ‘জনতা ভবন’-এর সামনে।

        গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়, কটন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ব্যারিকেড ভেঙে জনতা ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। আক্রান্ত হয় একাধিক বিজেপি নেতার বাড়ি এবং দলীয় দফতরও।

        দিসপুর, গণেশগুড়িতে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে সন্ত্রাসী পুলিশ ফাঁকা গুলি চালায়। এবিসি, ডাউন টাউন, জি এস রোডে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা হলে সন্ত্রাসী পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। কোথাও কাঁদানে গ্যাসের সেল তুলে নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাল্টা ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। সন্ধ্যায় দিসপুরে একটি বাসে আগুন লাগানো হয়।

        আন্দোলন ছড়িয়েছে যোরহাট, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া, শিবসাগর, বঙাইগাঁও, নগাঁও, শোণিতপুর-সহ বিভিন্ন জেলায়। ডিব্রুগড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হন বহু ছাত্রছাত্রী।

        কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করেছে, “উত্তর-পূর্বকে উপজাতিশূন্য করার চক্রান্ত চালাচ্ছেন মোদী-শাহ। ”

        যদিও আজ রাজ্যসভায় বিল পেশ করে সন্ত্রাসী অমিত শাহ জানিয়েছে, বিলে উত্তর-পূর্বের স্বার্থ যথাসম্ভব দেখা হয়েছে। জবাবি ভাষণেও সে বলেছে, “অসামবাসীদের ভাষাগত ও সাংবিধানিক সব ধরনের অধিকার আমরা সুরক্ষিত রাখব। অসাম চুক্তির ষষ্ঠ ধারা আমরা রূপায়ণ করব। এই বিল মোটেই অসাম বা উত্তর-পূর্বের ভূমিপুত্রদের স্বার্থহানি করবে না।

        সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29622/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আসামে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ, হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী পুলিশের গুলিতে নিহত ৩ মুক্তিকামী


          আসামে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। এক পর্যায়ে মুক্তিকামী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সন্ত্রাসী পুলিশের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সন্ত্রাসী পুলিশের গুলিতে তিন মুক্তিকামী বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন।

          বৃহস্পতিবার বিকালে গুয়াহাটিতে এ ঘটনা ঘটে।

          এর আগে বুধবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে এ বিল পাস হয়। পরে নিম্ন কক্ষে এটি অনুমোদনের পরেই কথিত সরকারের পক্ষ থেকে কারফিউ জারি করা হয়। এছাড়া প্রচুর সংখ্যক সন্ত্রাসী সেনা মোতায়েন করা হয়। হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী কারফিউ ভেঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। এতে মুক্তিকামী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সন্ত্রাসী পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।

          প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন অনন্ত চারটি স্থানে সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে মুক্তিকামী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

          ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, হিন্দুত্ববাদী সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৪৮ ঘণ্টার জন্য শহরসহ ১০টি জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সেসব স্থানে মুক্তিকামী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সন্ত্রাসী পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে সেসব এলাকায় সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

          প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী পুলিশের গুলিতে তিন মুক্তিকামী বিক্ষোভকারী মৃত্যু হয়েছে। অনেক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও রয়েছেন। এ ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সর্নাল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ্রর তেলি বিক্ষোভকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।

          সমালোচকরা বলছেন, বিলটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এটি সমর্থন করছে।

          সুত্রঃ যুগান্তর


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29641/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতে পাস হওয়া নাগরিকত্ব বিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী মোদি সরকারের গভীর ষড়যন্ত্র: আল্লামা বাবুনগরী


            ভারতে সদ্য পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে মুসলিমবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে এর কড়া সমালোচনা করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

            আজ ১২ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ভারতে পাস হওয়া নতুন নাগরিকত্ব আইন সন্ত্রাসী মোদি সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী আচরণের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে সুদূরপ্রসারী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।এ আইনের বাস্তবায়ন হবে মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের হাতিয়ার। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে করা এ সাম্প্রদায়িক আইন অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

            তিনি বলেন, এ বিলকে ভারতীয় সাংবিধানিক চেতনাবিরোধী উল্লেখ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন,উগ্র হিন্দুত্ববাদি সন্ত্রাসী মোদি সরকারের এ বিল নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫-এর সংশোধন অনুযায়ী ভারতীয় সংবিধানের মূল বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

            আল্লামা বাবুনগরী বলেন, এ আইনের মাধ্যমে ভারতীর মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। বিশেষকরে আসামে এনআরসিতে বাদ পরা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিয়ে মুসলমানদের নারিকত্বহীন করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ হচ্ছে সদ্য পাস হওয়া ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এ রকম সাম্প্রদায়িক আইন করে মুসলমানদেরকে ভারত ছাড়ার ষড়যন্ত্র করা হলে মোদি সরকারকে এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

            বাংলাদেশ,পাকিস্তান, আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশ সমূহ থেকে ভারতে আসা মুসলিমদের বাদ দিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্শিদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ‘ক্যাব’ পাস করে তাদের নাগরিকত্ব দিতে চাচ্ছে। এভাবে নির্দিষ্ট ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে ওআইসি,আরবলীগ সহ বিশ্বমুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

            সূত্র:ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29609/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনে কাশ্মীরের বিখ্যাত জামে মসজিদ ৪ মাস ধরে বন্ধ জুমার নামাজ


              চার মাসেরও অধিক সময় ধরে বন্ধ কাশ্মীরের শ্রীনগরের বিখ্যাত জামে মসজিদ। মুসল্লিদের ভীড়ে যেখানে গমগম করত মসজিদ প্রাঙ্গণ, সেখানে যেন আজ পাখিদের উড়ে যাওয়াও নিষেধ। মসজিদের চারপাশে বন্দুক হাতে পাহারায় সন্ত্রাসী পুলিশ।

              আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল জাজিরার এক সাংবাদিক শূন্য মসজিদের ছবি তুলতে গেলে তেড়ে আসে এক পুলিশ। পুলিশ বলতে থাকে, ‘আপনি সাংবাদিক? তাহলে ছবি তুলবেন না, দ্রুত চলে যান। সেনারা দেখলে আপনাকে আস্ত রাখবে না।’

              ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিতের অজুহাতে কথিত সংসদে যখন পাস হচ্ছে নাগরিকত্ব বিল, তখন কাশ্মীরে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে নিজেদের তৈরীকরা কথিত সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদি সরকার। জামে মসজিদের প্রতিবেশী খালিদ বশির গুরা বলেন, ‘সরকার মসজিদকে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে। আমাদের ধর্ম পালন করা সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সন্ত্রাসী সরকার তা লঙ্ঘন করছে।’

              ১৯৬৩ সাল থেকে শ্রীনগরের এই জামে মসজিদে ইমামতি করেন ৮০ বছর বয়সী ইমাম সৈয়দ আহমদ। এই চার মাস ধরে তিনি জামে মসজিদ থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে আরেক মসজিদে ইমামতি করছেন। প্রবীণ এই ইমাম আল জাজিরাকে বলেন, ‘জামে মসজিদে নামাজ পড়ার সুখই আলাদা। এই সুখ অন্য কোথাও অনুভব করা শক্ত। আমি সেখানে উপস্থিতি দারুণভাবে মিস করি।’

              জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সৈয়দ রহমান শামস বলেন, ‘এই প্রথমবার মসজিদটি বন্ধ হয়নি। বরং ২০১৬ সালেও একবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে এবারের মতো এত দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল না।’

              উল্লেখ্য, ৫ আগস্টে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয় বিখ্যাত এই জামে মসজিদটি। চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো মিনার থেকে উচ্চারিত হয় না আজান। সড়কে সড়কে সেনা তো আছেই, শুধু মসজিদের জন্যও বসানো হয়েছে সশস্ত্র প্রহরা।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29638/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                বৌদ্ধ সন্ত্রাসী সু চির বক্তব্য নিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া


                মিয়ানমারের নেত্রী সন্ত্রাসী অং সান সুচির মিথ্যা বক্তব্য নিয়ে কক্সবাজারের আশ্রিত রোহিঙ্গারা হতবাক হয়ে পড়েছেন। নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড়িয়ে গতকাল বুধবার সু চি যে বক্তব্য দিয়েছে, এর আগাগোড়াই মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রোহিঙ্গারা।

                মিথ্যাবাদী সু চির এমন বক্তব্য নিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর চা দোকান, হাট-বাজারসহ বস্তিতে বস্তিতে রোহিঙ্গারা একে অন্যের কাছে ব্যক্ত করছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।

                কুতুপালং শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অং সান সু চি একটা ডাহা মিথ্যাবাজ নারী। সে কিভাবে বলে যে রাখাইনে বৌদ্ধ ও সেনারা আমাদের রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ করেনি?’

                রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ২০১৮ সালের ২ জুলাই বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছিল। সেদিন মিয়ানমারের সেনা ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া কয়েক ডজন রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে তাঁরা একান্তে আলাপ করেছে। এমনকি রাখাইনে ২০১৭ সালের আগস্টে সেনা অপারেশনের সময় নির্যাতনের শিকার হওয়া এসব নারী কক্সবাজারের শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার পর প্রসব করা শিশুদেরও দেখান।

                অপরাধ কিছু হয়েছে কিন্তু জেনোসাইড হয়নি—মিয়ানমারের এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি বর্তমানে যে বস্তিতে বসবাস করছি সেখানেই রয়েছে জোহরা বেগম (১৫) এবং খাইরুল আলম (১১) নামের দুই হতভাগ্য ভাই-বোন। রাখাইনের তুলাতলী গ্রামের এই হতভাগ্য ভাই-বোন একই পরিবারের ১৪ জনকে চিরতরে হারিয়ে এখানে পালিয়ে এসেছেন। ’

                সৈয়দ আলম বলেন, সেই তুলাতলী গ্রামের মোহাম্মদ শফি ও হাবিবা বেগম দম্পতির পরিবারের ১৬ সদস্যের মধ্যে মাত্র দুজন প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।

                অন্য ১৪ জনকেই গুলি, দায়ের কোপ এবং আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী মিয়ানমার সেনাদের হাতে কেবল তুলাতলী গ্রামেরই সাত শতাধিক রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রায় ৪০ হাজার এতিম সন্তান রয়েছে। এসব এতিম সন্তানের মা-বাবা, ভাই-বোন কেউই আর বেঁচে নেই।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29628/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  মজুরি না পেয়ে খুলনায় লাগাতার অনশনে অসুস্থ শতাধিক শ্রমিক


                  নিয়মিত মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকলের শ্রমিকদের লাগাতার আমরণ অনশনে শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

                  বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক শ্রমিককে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

                  সকালে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেছেন, শীতের রাতে তাঁবু টাঙিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে অনাহারে থাকায় প্রায় শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

                  তাদের মধ্যে ২৫-২৬ জনকে খুমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের অনশন স্থানেই স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।

                  তিনি বলেন, বুধবার রাতে কথিত শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বাসায় শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রতিমন্ত্রী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করার প্রস্তাব দেয়।

                  ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার মিটিংয়ে শ্রমিকদের দাবি পূরণ হবে। কিন্তু শ্রমিক নেতারা মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবে বলে জানান।

                  শ্রমিক নেতারা জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় পাট মন্ত্রণালয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পাটমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য বুধবার রাতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান খুলনার কর্মসূচি স্থগিত করার অনুরোধ করলেও শ্রমিকরা তা মানেননি।

                  এর আগে মঙ্গলবার থেকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকলের শ্রমিকরা।

                  রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম, জেজেআই ও কার্পেটিং মিলের শ্রমিকরা নিজ নিজ পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রেখে মিলের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা।

                  এ ছাড়া যশোরে দুটি পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন।

                  আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, শ্রমিকরা নিজেদের কাঁথা-কম্বল নিয়ে অনশনে নেমেছেন। সমস্যার সমাধান করতে যদি মরতে হয়, তবু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে।

                  রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান জানান, প্রচণ্ড শীত ও ক্ষুধার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সমস্যা সমাধানে ঢাকায় বৈঠক হয়। তার পরও যতই কষ্ট হোক, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালাবেন বলে জানান শ্রমিকরা।

                  সুত্রঃ যুগান্তর


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29631/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ডিগ্রি পরীক্ষায় সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ সভাপতির প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা খেল ভুয়া পরিক্ষার্থী


                    ডিগ্রি প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় শরীয়তপুর সরকারি কলেজ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারীর পরিবর্তে প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে হাসেম হাওলাদার (২৪) নামে এক যুবক। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

                    হাসেম হাওলাদার শরীয়তপুর সদর উপজেলার চরপাতানিধি গ্রামের আ. জলিল হাওলাদারের ছেলে।
                    শরীয়তপুর সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ছিল ডিগ্রি প্রথম বর্ষ দর্শন পরীক্ষা। আর এ পরীক্ষায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ছাত্র হিসেবে একাদশ শ্রেণির ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

                    সোহাগ বেপারী অসুস্থ দেখিয়ে শরীয়তপুর সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ২০১নং কক্ষে বুধবার দর্শন পরীক্ষায় বেড সিটে একা পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নেয় বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়। সেখানে তিনি পরীক্ষা না দিয়ে তার পরিবর্তে অন্য হাসেম হাওলাদার নামে একজনকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়াচ্ছেন।

                    বুধবার দর্শন পরীক্ষা চলাকালে শরীয়তপুর সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজে পরিদর্শনে যান শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মাহবুব রহমান। তিনি গিয়ে পরীক্ষার্থী সোহাগ বেপারীকে না পেয়ে তার পরিবর্তে বহিরাগত যুবক হাসেম হাওলাদারকে পরীক্ষা দিতে দেখেন। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে নাম-ঠিকানা জানতে চাইলে সে সোহাগ বেপারী বলে পরিচয় দেয়।

                    এ সময় কাগজ-পত্র ও প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে মিল পাওয়া যায় না।

                    শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সসন্ত্রাসী সভাপতি সোহাগ বেপারী বলেছে, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি পরীক্ষা দেয়নি। এ বলে মোবাইল ফোন কেটে বন্ধ করে দেয়। এর একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

                    শরীয়তপুর সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম বলেন, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সোহাগ বেপারীর পরিবর্তে হাসেম হাওলাদার নামে এক যুবক প্রক্সি পরীক্ষা দেয়। প্রথমে আমাদের কলেজের অফিস সহায়ক বিষয়টি জানার পর আমাকে জানায়।

                    সুত্রঃ যুগান্তর


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29634/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      মোবাইলে দ্রুত চার্জ দেবেন কিভাবে?


                      এক্ষুনি বন্ধুর সঙ্গে কোথাও দেখা করতে যেতে হবে অথচ দেখলেন যে মোবাইলে চার্জ নেই। ওই সময় অল্প একটু চার্জ হলেও হয়তো কাজ চলবে কিন্তু তা না হলে দেরি হয়ে যাবে। তাও যদি হয় পুরানো মোবাইল। কিন্তু অতিরিক্ত সময় লাগবে বলে ভাবছেন দেরি হয়ে যাবে।

                      এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলো মানলে মোবাইলে দ্রুত চার্জ করা সম্ভব। যেমন, ফোন একটু পুরনো হলে নিয়মিত সেটিকে আপডেট করান। এর ফলে ফোন যেমন স্লো হবে না, ফোনের ব্যাটারিও ভালো থাকবে। ব্র্যান্ডেড চার্জার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কম্পিউটার বা ওয়ারলেস চার্জিং করলেও চার্জ হতে সময় বেশি লাগে। ফলে প্লাগ পয়েন্ট থেকে ফোন চার্জ করাই শ্রেয়।

                      এ ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে দ্রুত চার্জ দেবেন?
                      ফোন চার্জে বসানোর সময়ে ব্যাটারি সেভিং মোড অন করে দিতে পারেন। ফোন চার্জ করার সময়ে ফ্লাইট মোড অ্যাক্টিভেট করে দিন। এর ফলে কলিং, ইন্টারনেট, জিপিএস সবই বন্ধ থাকবে।

                      যেখানে ফোন চার্জ করছেন সেই জায়গাটি খুব গরম বা ঠান্ডা হলে চার্জিংয়ে বেশি সময় লাগে। অতিরিক্ত গরমে ফোন চার্জ করলে ফোনের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। ফলে অত্যন্ত ধীর গতিতে ফোন চার্জ হয়।

                      ফোনের পাওয়ার বন্ধ করে দিয়ে চার্জ দিলেও একই রকম সুবিধা পেতে পারেন, তবে যাঁরা ঘড়ি বা অ্যালার্মনির্ভর, তাঁদের জন্য ফোনের পাওয়ার পুরো বন্ধ করে দেওয়া অবশ্য সঠিক সমাধান নয়।

                      সুত্রঃ আওয়ার ইসলাম২৪


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29636/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                        Comment


                        • #13
                          ইয়েমেনে সন্ত্রাসী সৌদি জোটের হামলায় প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ১০০০ মুসলিম শিশু!


                          মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধহত দেশ ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধের কারণে দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি মুসলিম শিশু মারা যাচ্ছে।

                          আজ বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের ন্যাশনাল স্যালভেশন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাহা আল মোতায়েক্কালের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম পার্সটুডে।

                          পার্সটুডের বরাতে জানা যায়, সৌদি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনীর অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে না। ফলে শিশুদের প্রাণহানির ঘটনা বেড়েই চলছে।

                          হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা কেন্দ্রে সামরিক বাহিনীর সন্ত্রাসীরা সরাসরি হামলা চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার এমন ভয়াবহ অবস্থার কারণে এ পর্যন্ত দেশটিতে ছয় হাজার নারী গর্ভকালীন ও প্রসব সংক্রান্ত জটিলতায় প্রাণ হারিয়েছেন।

                          খবরে বলা হয়, যুদ্ধের ফলে ইয়েমেনের চিকিৎসা সরঞ্জামের ৯০ শতাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহ কাজে বাধা দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সন্ত্রাসী সেনারা।

                          উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের শুরু থেকে প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী সামরিক জোট।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/12/29615/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment

                          Working...
                          X