Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৬ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৪ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৬ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৪ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    এবারে দিল্লির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালালো মুশরিক বাহিনী


    হিন্দুত্ববাদী মুশরিক মোদি সরকার মুসলিমহীন ভারতে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই এনআরসির পর এবার মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করেছে সন্ত্রাসী হিন্দু নেতারা। এই বিলের বিরুদ্ধে তাই ফুঁসে উঠেছেন ভারতের মুসলিম জনসাধারণ। বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম বিক্ষোভকারীদের উপর হিংস্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মুশরিক হিন্দুত্ববাদী পুলিশ বাহিনী।




    আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের পর দিল্লি এবং কলকাতাতেও মুশরিক হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের মুসলিমবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন ভারতীয় মুসলিমরা। আর, এসময় নিরস্ত্র নিরীহ অধিকার আদায়ের দাবিতে রাজপথে নামা মুসলিমদের উপর আগ্রাসীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মুশরিক হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় পুলিশ বাহিনী। ইতোমধ্যেই আসামে মুশরিক হিন্দুত্ববাদীদের গুলিতে ৩জন নিহত হয়েছেন।
    এদিকে, গত বৃহস্পতিবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে মিছিল বের করলে ভারতের মুশরিক হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনীর আঘাতে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির মহিলা শিক্ষার্থীদের উপরও মুশরিক বাহিনী নির্যাতন করেছে বলে জানা যায়।



    একইভাবে পশ্চিমবঙ্গেও মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন মুসলিমরা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সংবাদসংস্থাগুলো।



    গত মাসকয়েক পূর্বে এনআরসির মাধ্যমে মুসলিমদের উচ্ছেদ, আর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে এনআরসির ফলে বাদ পড়া হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিয়ে ভারতকে হিন্দুরাজ্য বানানোর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে মোদি সরকার। মোদি সরকারের নব্যনীতির ফলে লক্ষ লক্ষ মুসলিম আজ ভারত থেকে বিতাড়িত হওয়ার হুমকিতে রয়েছেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29698/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    উত্তাল মেঘালয়, শিলং সফর বাতিল করল হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী অমিত শাহ


    নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) নিয়ে এখন উত্তাল মেঘালয়। এমন পরিস্থিতিতে শিলং সফর বাতিল করল ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী রবিবার নর্থ-ইস্ট পুলিশ অ্যাকাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার।

    সংসদের উভয় কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করাতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল এই সন্ত্রাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    দুই কক্ষেই বিরোধীদের সব আক্রমণ সামলেছে সে। পাল্টা জবাবও দিয়েছে সেই। কিন্তু এ বার সেই সিএবি ঘিরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল মেঘালয় সফর বাতিল করতে হল সেই কুখ্যাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেই।

    একই সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশে একটি উৎসবে যোগ দেওয়ার কর্মসূচিও ছিল কথিত এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছে, “গোটা অঞ্চল (উত্তর-পূর্ব ভারত) জুড়ে ন্যায়ের পক্ষে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। সেই কারণেই সন্ত্রাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অরুণাচল সফর বাতিল করা হয়েছে।”

    সিএবি পাশ হওয়ার আগে থেকেই কার্যত আসাম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বিল পাশ হওয়ার পর তা আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে।

    প্রতিবাদ বিক্ষোভে আগুন, ভাঙচুর যেমন হয়েছে, সন্ত্রাসী পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর খবরও এসেছে। আসামে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে কার্ফু।মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা অধিকাংশ জায়গাতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    এই পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের দুই মন্ত্রীর সফর বাতিল করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ভারত সফরও স্থগিত হয়েছে শুক্রবার।

    সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29703/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এবার উত্তাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মুর্শিদাবাদে স্টেশনে আগুন


      ভারতে নতুন মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ। নতুন আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা মুর্শিদাবাদের একটি রেলস্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেয়।

      ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারো বিক্ষোভকারী মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন কমপ্লেক্সে আগুন লাগিয়ে দেয়।

      রেলওয়ে পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা হঠাৎ করেই রেলওয়ে স্টেশনে ঢুকে প্ল্যাটফর্ম, কয়েকটি ভবন ও রেলওয়ে অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়।

      মুর্শিদাবাদ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলায় শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে। হাওড়ার উলুবেড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের হামলায় বেশ কয়েকটি ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আহত হয়েছে একজন ট্রেনচালকও। বিক্ষোভ হয়েছে কলকাতাতেও। পার্ক সার্কাস এলাকায় বেশ কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। বিমানবন্দরেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। পূর্ব মেদিনীপুরে ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর গাড়িতে হামলা করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে সন্ত্রাসী পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।

      অন্যদিকে নতুন এই আইনের বিরুদ্ধে আসামে বিক্ষোভ চলছেই।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29712/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        এবার ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরি চায় সন্ত্রাসী দল বিজেপি


        সন্ত্রাসী দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কর্মসূচিতে মূল বিষয় তিনটি ছিল। যার মধ্যে রামমন্দির তৈরি নিশ্চিত করা ও জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের কাজ শেষ হয়েছে। তৃতীয়টি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরি। আরও প্রকল্প নিয়ে আলোচনাও চলছে। নাগরিকত্ব বিল পাশের পর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তো আছেই। ২০২৪ সালের আগে তা চালুর কথা বলেছে সন্ত্রাসী অমিত শাহ।

        এ বছরে স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথা। সেই সংক্রান্ত আইন নিয়েও কথা চলছে।

        গোটা ব্যবস্থা আটোসাঁটো করেই এটি আনা হবে। যেমন আনা হয়েছে নাগরিকত্ব বিল। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই কংগ্রেসেরও কিছু নেতা প্রকাশ্যে সমর্থন করেছে।

        কেন্দ্রের মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান জানায়, সরকার এই বিল আনার ব্যাপারে আলোচনা করছে।

        আসামে ইতিমধ্যেই দুই সন্তানের নীতির ভিত্তিতে সরকারি চাকরির পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

        আর কংগ্রেসের মত, সেটি তো আসলে মোড়ক। আসল খেলা তো বিভাজনের। লক্ষ্য হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার। ২০২৪ সালে সেটিকে ভর করেই ভোটে লড়বে সন্ত্রাসী মোদি।

        সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29715/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতীয় মুসলমানদের জন্যে সেদেশের হিন্দুত্ববাদী আদালতের দরজা বন্ধ!


          বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী কাল্পনিক চরিত্র রামের স্বীকৃতি সম্বলিত বাবরী মসজিদ সংক্রান্ত ভারতের সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত সব ক’টি রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

          তিনি বলেছেন, অবশেষে ভারতীয় মুসলমানদের জন্যে সেদেশের আদালতের দরজাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বের মুসলমানরা বিস্ময়ে হতাশ, হতবাক ও ক্ষুব্ধ।

          এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মালাউন সন্ত্রাসী মোদি সরকারের চাপেই বাবরী মসজিদের স্থানে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার রায় দেয়া হয়েছে। কেননা রামের কথিত জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমির বিবাদ নিয়ে চলা মামলা নিষ্পত্তির আগেই বাবরি মসজিদের ওপর রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে আসছে সন্ত্রাসী দল বিজেপির গুণ্ডারা।”

          ‘বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকায় খননকাজে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞরা চাপের মধ্যে ছিলেন। তাঁদের বাধ্য করা হয়েছিল মন্দিরের পক্ষে বলতে। অনুসন্ধানের নেতৃত্বে ছিলেন যেই বি আর মানি, যাঁকে এলাহাবাদ হাইকোর্ট দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার মানিকে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক পদে অধিষ্ঠিত করে” বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে জানা যায়।’

          তিনি বলেন, আর্কিওলজিকেল সার্ভে অব ইন্ডিয়া—এএসআই-এর যে জরিপের প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে রায় দেয়া হয়েছে, তা যে বিতর্কিত, রোমিলা থাপার, রামশরণ শর্মা ও ডি এন ঝা’র মতো ভারতীয় ইতিহাসবিদদের মন্তব্য তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ। এসব প্রথিতযশা ভারতীয় ইতিহাসবিদরা এএসআই-এর প্রত্মতাত্বিক জরিপের প্রতিবেদনকে গলদ, সন্দেহজনক ও ক্রুটিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন।

          সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, ”এএসআই-এর রিপোর্ট থেকে মন্দিরের প্রত্যক্ষ প্রমাণ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না”। তাছাড়া ”বাবরি মসজিদের নিচে পুরোনো ছোট মসজিদ ছিল। এর পশ্চিম পাশের দেয়াল, ৫০টি পিলার ও স্থাপত্যশৈলী তারই প্রমাণ। পশ্চিম পাশে দেয়াল দেখলেই বোঝা যায় যে এই পাশে মুখ করে নামাজ পড়া হয়েছে। এর কাঠামো মসজিদের মতো, মন্দিরের মতো নয়” বলে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে প্রকাশ।

          তিনি আরও বলেন, রিভিউ পিটিশনগুলো গ্রহণ করে এসব ক্রুটিপূর্ণ দিকগুলোর ওপর শুনানীর সুযোগ দেয়া হলে সুপ্রীম কোর্টের রায়ের ভুল-ভ্রান্তি সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠতো। সেই পথ বন্ধ করার জন্যেই রিভিউ পিটিশনগুলো খারিজ করে দেয়া হয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, আইন সঙ্গতভাবে নয়, বরং প্রশ্নবিদ্ধ প্রত্মতাত্ত্বিক জরিপের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রদত্ত সুপ্রীম কোর্টের বিতর্কিত রায়ে বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে।

          তিনি যথাস্থানে বাবরী মসজিদ পুনঃনির্মাণের প্রতিশ্রুতি পালনে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্ঠির জন্যে বিশ্বের বিবেকবান সম্প্রদায় ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29720/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতে বিজেপি-বিরোধী বিক্ষোভ করায় দেওবন্দের ২ছাত্রসহ ২৫০ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা


            ভারতের রাজ্যসভায় বিতর্কিত মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুমোদনের প্রতিবাদে দেওবন্দ এলাকার বিক্ষোভ করায় দেওবন্দের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

            গত বুধবার সাহরানপুরের এ বিক্ষোভ থেকে প্রায় ২৫০জন মাদরাসা ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

            বুধবার মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুমোদনের প্রতিবাদে শতাধিক ছাত্র বেরিয়ে আসে রাস্তায়। তারা বিক্ষোভ শুরু করে। দেওবন্দের অনেক ছাত্রই সেখানে অংশ নিয়েছিলো। মামলার মধ্যে দারুল উলুম দেওবন্দের দুই ছাত্রও আছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম জারবে দেওবন্দ।

            আজতক এর খবরের বরাতে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় দেওবন্দে কয়েক হাজার মুসলমান নামাজের পরে শহরের ভিতরে স্লোগান দিতে দিতে মুজাফফরনগর-সাহারানপুর মহাসড়কের দিকে ছুটে যায়। মালাউন পুলিশ তাদের থামানোর চেষ্টা করে। এসময় প্রতিবাদকারীরা সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং সন্ত্রাসী দল বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

            গতকাল শুক্রবার দেওবন্দ মাদরাসায় মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশ ও প্রাশাসনিক কর্মকর্তারা চাপ সৃষ্টির জন্য মাদরাসা কর্তপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। বৈঠকে দারুল উলুম দেওবন্দকে সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের বের হতে নিষেধ করা হয়। কোনো আন্দোলনে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

            সূত্র: জারবে দেওবন্দ।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29725/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভারতে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় জামিয়া মিল্লিয়ার ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ, আটক অর্ধশত


              ভারতের দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীদের নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ বিক্ষোভে মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয় বেশ কিছু শিক্ষার্থী।

              গতকাল শুক্রবার দিল্লী মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশ বিক্ষোভ থামানোর জন্য বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেলসহ গুলি নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

              উম্মিদ নিউজের বরাতে জানা যায়, অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আইআইএসএ) এর শিক্ষার্থীরা মুসলিম বিরোধী কথিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলে তাদের উপর চড়াও হয় মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশ। ছাত্র-পুলিশ মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়, তাদের মধ্যে মিডিয়া কর্মীও ছিলো।

              প্রতিবাদের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি বার্তা প্রচার হয়েছিল। বার্তায় শিক্ষার্থীদের চলমান পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বয়কট করতে বলা হয়।

              সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের এই পদযাত্রায় স্থানীয়রাও যোগ দেয়, পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও গুলিতে বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হয়।

              শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শেষে দাবি জানায় যেন, তাঁদের আটক সহপাঠীদের মুক্তি দেওয়া হয়। আর অন্য কোন ছাত্রের বিরুদ্ধে যেন কোন মামলা না করা হয়। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের রোলব্যাকও অন্যতম দাবি ছিল তাদের।

              মালাউন পুলিশ বিক্ষোভ থেকে প্রায় পঞ্চাশজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। তাদের জৈতপুর ও বদরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

              শিক্ষার্থীরা এ সহিংসতার জন্য মালাউন পুলিশকে দোষ দেয়। তারা বলেন, প্রতিবাদকারীদের উপর বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ এবং টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল।

              জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার ছাত্র মেহেরবান বলেন, মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশ আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। ছাত্রদের উপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। পরে বাধ্য হয়ে ছাত্ররা হাতে পাথর তুলে নিয়েছে।

              সূত্র: উম্মিদ ডটকম


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29730/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বিজেপির হুঙ্কার পরিণত হয়েছে আইনে


                এতদিন যা ছিল সন্ত্রাসী নেতাদের হুঙ্কার, বৃহস্পতিবার তা পরিণত হয়েছে আইনে। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের প্রতিবাদে উত্তাল সে দেশ। আগুন জ্বলছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। সেই আঁচ এবার এসে পড়ল পশ্চিমবঙ্গে। বিক্ষোভে উত্তাল হলো উত্তর ২৪ পরগনাও।

                ওই জেলার গুমা এলাকায় এনআরসি ইস্যু ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের বিরোধিতা করে রাজপথে নামল জামিয়াত-এ-উলেমা-হিন্দের সদস্যরা। ওই দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও সমর্থকরা বিলের বিরোধিতা করতে শুক্রবার পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় এবং পথ অবরোধ করে।

                ফলে দীর্ঘ সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে যশোর রোড। পরে অশোকনগর থানার সন্ত্রাসী পুলিশ এসে জামিয়েত উলেমার সমর্থকদের অবরোধ তুলে দেয় এবং যশোর রোডের যানজট নিয়ন্ত্রণ করে।

                জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে জামিয়াত-এ-উলেমা-হিন্দের সদস্যরা প্রথমে গুমার খোঁজদেলপুরে আসে। সেখান থেকে গুমার চৌমাথায় পৌঁছায় তারা। সেখানে গিয়ে সিএবি বিলের বিরোধিতা করে নরেন্দ্র মোদির কুশ পুত্তলিকা পোড়ানো হয়।

                তারপর যশোর রোডে ক্যাব বিরোধি কয়েক হাজার জামিয়াত সমর্থকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। দীর্ঘক্ষণ যশোর রোড অবরোধ করে রাখেন। জামিয়াত-এ-উলেমা-হিন্দের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিএবি বিল ও এনআরসি নিয়ে আগামিতে ভারতজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে ।

                সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29739/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  আসামে ৭ ঘণ্টার জন্য শিথিল কার্ফু, দোকান-পেট্রোল পাম্পে বিশাল লাইন


                  কথিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ক্ষোভ আরো বাড়ছে। শুক্রবার অনেকটাই শান্ত গুয়াহাটিসহ আসামের বিভিন্ন এলাকা। আর শনিবার গুয়াহাটিতে ৭ ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করেছে সেখানকার হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী প্রশাসন।

                  সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। গুয়াহাটি, বঙাইগাঁও, মরিগাঁও, শোণিতপুর, ডিব্রুগড়ে সেনা ও আসাম রাইফেলসের আটটি কলাম মোতায়েন রয়েছে। খবরঃ নয়া দিগন্ত

                  এর ফলে মানুষ পথে নেমে এসেছে ৷ দোকান আর পেট্রোল পাম্পে দেখা গিয়েছে বিশাল লাইন। গুয়াহাটির বাজারে বাজারে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। গোলমাল হতে পারে এই আশঙ্কায় চাল, ডাল, তেল, নুন কিনতে দোকানে ভিড়।

                  কথিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধিতা আন্দোলনের রাশ এখন সাধারণ মানুষদের হাতে। রাজ্যসভায় বিল পেশের পরপরই উত্তাল হয় গুয়াহাটিসহ অসমের বিভিন্ন এলাকা।

                  নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ক্ষোভ কমেনি।শুক্রবার অসমের চানমারিতে বিশাল প্রতিবাদ সভায় হাজির রাজ্যের সাধারণ জনগন। সেই সভায় আগাগোড়া নজরদারি সন্ত্রাসী পুলিশের। হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন বহু মানুষ।

                  চার দশক আগে স্বাধীন আসামের স্বপ্ন নিয়ে সংগঠন তৈরি করেছিলেন এক তরুণ। চানমারির মাঠে আন্দোলনের যে ছবি উঠে আসে, সেটাই এখন আসামের সার্বিক ছবি। সামাজিক আন্দোলনে চাপ বাড়ানো। নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা চালিয়ে যাওয়া।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29733/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ভারতে মালাউনদের নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার খবর শুনে এক বৃদ্ধের হার্টঅ্যাটাক!


                    ভারতে নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার খবর শুনে হার্টঅ্যাটাক করে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।

                    গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ফুলশহরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম কুদরত শেখ (৫৭)।

                    এর আগে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) আতঙ্কে মুর্শিদাবাদে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছিল।

                    কুদরত শেখের পরিবারের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, গত তিন দিন ধরে নাগরিকত্ব বিল আতঙ্কে প্রায় বাকহারা হয়ে গিয়েছিলেন কুদরত। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সারা দিন একই কথা বিড়বিড় করতেন— ‘এই বার কী অইব!’

                    বৃহস্পতিবার নিজের চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি।

                    জানা গেছে, গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন কুদরত। খবর দেখতেন তিনি।

                    পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, ছেলেদের তাগাদা দিচ্ছিলেন, ভিটে বাড়ির দলিলটা জোগাড় করতে। পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেও যান কয়েক বার। তবে সমস্যা মেটেনি।

                    বৃহস্পতিবার বিকালে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে ছেলেদের বলেন, ‘কিছু উপায় হল রে!’

                    ছেলে আপেল শেখ তাকে ভরসা দিয়ে বলেন, ‘এত ভয়ের কিছু নেই, যা হওয়ার সবার হবে!’

                    কিন্তু ছেলের কথায় ভরসা পাননি কুদরত। কিছুক্ষণের মধ্যেই বুক চেপে বসে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি।

                    কুদরতের স্ত্রী সুরতভান বিবি বলছেন, ‘রাতে খেতে পারত না কদিন ধরে। জোর করায় খেল বটে, তবে না খাওয়ার মতোই। কথাও বলল না একটাও। খাওয়ার শেষে শুধু বলল ‘এই বয়েসে কোথায় যাব বল দেখি!’

                    পরিবারের দাবি, এর পরেই বুকে হাত দিয়ে শুয়ে পড়েন তিনি। তার পরেই বুকে ব্যথা। তার ছেলে ছুটে গিয়ে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে এসেছিলেন। রাতে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি।

                    চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘দুশ্চিন্তা থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।’


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29729/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      খাওয়ার অযোগ্য খাবার দেয়ায় কারাগারে সরকারি খাবার গ্রহণে অনীহা বন্দীদের


                      কারাগারে বন্দীদের জন্য প্রতিদিন সরকারি বরাদ্দের যেসব খাবার দেয়া হচ্ছে তার মানে সন্তুষ্ট নন বন্দীরা। তাই এ খাবার গ্রহণে বেশির ভাগই অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন। ফলে যাদের সামর্থ্য রয়েছে তাদের অধিকাংশই কারাক্যান্টিন থেকে টাকা দিয়ে বাড়তি দামে খাবার কিনে খাচ্ছেন বলে জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন জেলার কারাগারে খবর নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
                      সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে সরেজমিন খোঁজ নিতে গিয়ে কারাগারের বাইরে অপেক্ষমাণ তাদের স্বজনদের সাথে আলাপকালে সরকারি খাবার গ্রহণে বন্দীদের অনীহার কথাটি জানা যায়। তবে শুধু যে এ দু’টি কারাগারে সরকারি খাবার গ্রহণে বন্দীদের অনীহা রয়েছে তা নয়, বরং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারসহ অন্যান্য কারাগারের বন্দীরাও সরকারি বরাদ্দের খাবার ঠিকমতো খেতে পারছেন না বলে কারাগার সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

                      সম্প্রতি গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে সরেজমিন খোঁজ নিতে গেলে কারাগারের সামনে অপেক্ষমাণ দু’জন বন্দীর জামিনে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এক নারী এ প্রতিবেদককে বলেন, কারাগারে এক মাস ৫ দিন ধরে আমার স্বামী এবং ভাই কোটালীপাড়ায় একটি মারামারির মামলায় কারাগার আটক আছেন। তাদের দু’জনেরই জামিন হয়ে গেছে। সন্ধ্যায় তারা মুক্তি পাচ্ছেন। তাদের নেয়ার জন্য আমরা পরিবারের সবাই অপেক্ষা করছি। কারাগারে এ কয়দিন থাকার কারণে কী পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে আর সরকারিভাবে বন্দীদের যে খাবার দেয়া হচ্ছে তার মান কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাগারে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। মাছ তরিতরকারি কিনে খেতে হয়। সকালের নাশতায় এক পিস রুটি আর একটু গুড় দেয়। তাতে হয় না কিছুই। এক প্লেট খিচুড়ি আর একটা সিদ্ধ ডিম। সেটিই মনে হয় ৫০ টাকা প্লেট করে নেয়। সেটা খায় সকাল বেলায়। আর দুপুর বেলা মাছ গোশত যা ভালো লাগে সেটি কিনে খায়। সরকারিভাবে যে খাবার দেয় তা কি খাওয়া যায় না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেই খাবার একেবারে নিরামিষ। ডাল দেয়। এ সময় পাশে দাঁড়ানো অপর এক নারী জানান, ডাল একদম পাতলা। পানি ডাল। আর ভাত ‘এত্তো বড় বড়’। বড় বড় মানে জানতে চাইলে বলেন, মোটা মোটা চালের ভাত। এটা খেতে অনেক কষ্ট হয়। বেশির ভাগ দিন শুধু তরকারিই রান্না হয়। মাছ কোনো দিন দেয়, আবার কোনো দিন দেয় না। খাবার দাবার ভালো হয় না। বুঝেন না, সরকারি খাবার তো। অনেক কষ্ট হয় খাবার দাবারে। মাসে কত টাকা খরচ হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাসে আমরা যখন দেখা করতে আসি তখন বিস্কিট, কলা এখান থেকে কিনে দেই। সাথে পিসি অ্যাকাউন্টে ১০০০-১৫০০ টাকা দিয়ে যাই। সেটা দিয়ে এক সপ্তাহ তারা খায় দু’জনে। নগদ টাকা দিয়ে শুধু তরকারি আর সকাল বেলার নাশতা তারা ভেতরে কিনে খায়। বাকি তেল সাবানসহ সবই আমরা কিনে দেই। যদি ভালো বিছানায় ঘুমাতে চায় তাহলে বেড ভাড়া এক হাজার টাকা দিতে হয়। এক মাস পাঁচ দিনের মধ্যে আমরা প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করে আইছি। অনেকবার দেখা করেছি। ১০ টাকা করে টিকিট কেটে কথা বলছি।

                      কারাগারের প্রধান গেটের সামনে অপেক্ষায় আছেন সম্প্রতি মানিকগঞ্জ মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় এক রিকশাচালক নিহতের ঘটনায় আটক চালকের মা ও শ্বশুর। তারা এ প্রতিবেদককে বলেন,শুনছি ভেতরে খাবার দাবারে বেশি সমস্যা। দুই মাস ধরে পোলায় ভেতরে আছে। সরকারি খাবার কেমন দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সরকারি খাবারের মান কারাগারে আর কত ভালো হবে? তারপরও আমরা আর কিই করতে পারব। আমরা তো গরিব মানুষ। আমরা পোলারে জামিনে বের করার চেষ্টা করছি।
                      এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন টিপু সুলতানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি, যার কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। কারাগার সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু ঢাকা বিভাগের দু’টি কারাগারেই সরকারি খাবারের মান খারাপ তা কিন্তু নয়। চট্টগ্রাম ডিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারসহ অধিকাংশ কারাগারেই সরকারিভাবে সরবরাহ করা চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের মান খুবই খারাপ।

                      সুত্রঃ নয়া দিগন্ত


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29736/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে ভয়াবহ বিপর্যয়


                        অর্ডার কমছেই, অর্থবছরের প্রথম চার মাস রপ্তানিতে ধস । সাত মাসে ৫৯ কারখানা বন্ধ । প্রায় ২৯ হাজার শ্রমিক বেকার । সরকারি সহায়তা নেই, ব্যাংকও সহযোগিতা করছে না।

                        তৈরি পোশাকশিল্পে ভয়াবহ বিপর্যয় চলছে। অসম প্রতিযোগিতায় অসহায় হয়ে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। বিশ্বব্যাপী চলছে ব্যাপক মূল্য যুদ্ধ। অর্ডার কমিয়ে দিচ্ছেন ক্রেতারা।

                        চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রপ্তানি আয়ে ধস নেমেছে। ৫৯ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ২৮ হাজার ৭০০ পোশাক শ্রমিক বেকার হওয়ার তথ্য দিয়েছে বিজিএমইএ।

                        এ প্রসঙ্গে মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, পোশাকশিল্প ভালো যাচ্ছে না। বিশ্ববাজারও ভালো না। তবুও কোনো সরকারি সহায়তা পাচ্ছি না। ব্যাংকগুলোও অসহযোগিতা করছে। পাকিস্তানের মতো দেশও বাংলাদেশের চেয়ে ভালো করছে।

                        পাকিস্তান, তুরস্ক ও প্রতিবেশী ভারত সমানতালে পোশাক পণ্যের দাম কমিয়ে দিচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি না, কীভাবে এই খাত চলবে। এত বড় শিল্প খাত ঘুরে না দাঁড়ালে দেশ ও অর্থনীতি কীভাবে চলবে?

                        তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, প্রণোদনা যৌক্তিকীকরণ দরকার আছে। যেখানে রপ্তানি কমছে, সেটা প্রণোদনা দিয়ে কাজ হবে না। এখানে কাঠামোগত সংস্কার দরকার। তবে মুদ্রার অবমূল্যায়ন প্রয়োজন আছে। কারণ, টাকা বেশি অতিমূল্যায়িত হয়েছে। তারচেয়েও বেশি প্রয়োজন বিনিয়োগমুখী পরিবেশ নিশ্চিত করা। দীর্ঘ কয়েক বছরে এক্ষেত্রে বড় উন্নতি দেখছি না। চীনের বিনিয়োগ ও ক্রেতারা ভিয়েতনামে চলে গেলে বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং-সানেমের এই নির্বাহী পরিচালক।
                        রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রপ্তানি ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বজুড়ে দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশের খ্যাতি হারানোর ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বড় প্রতিযোগী বিশ্বের তৃতীয় পোশাক রপ্তানিকারক ভিয়েতনামের কাছে এই হারের আশঙ্কা। অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে ভিয়েতনাম।

                        জানুয়ারি-অক্টোবর ১০ মাসে বিদেশি ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, মজুরি এবং অফিসের ব্যয় বহন করতে না পেরে শুধু কারখানা বন্ধ হয়নি, চাকরি হারিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। এখন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। অনেক কারখানা মালিক পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ঠিকভাবে দরকষাকষি করতে পারছে না। অনেকে আবার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করে আসছে। ফলে বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতে দুরবস্থা চলছে। এ পরিস্থিতি আমরা সামলাতে পারছি না।

                        চলতি অর্থবছর শেষে আয়ের প্রবৃদ্ধি গত অর্থবছরের চেয়েও কমতে পারে। পোশাকশিল্পের এ পরিস্থিতির জন্য ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার শক্তিশালী অবস্থান দায়ী। চিঠিতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রথম ৪ মাসে রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্থর ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। মূল্যভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অন্যদের সঙ্গে টিকে থাকতে না পারায় বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের পোশাক খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৮২০ কোটি ডলার। তবে রপ্তানি হবে ৩ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। অর্থবছরের শেষে ৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে। ২৫ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের পরিমাণ ৭৯৮ কোটি ডলার। এই অঙ্কের ওপর ডলারপ্রতি পাঁচ টাকা অতিরিক্ত বিনিময় হার নির্ধারণ করা হলে, তাতে লাগবে ৩ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। যদিও চলতি অর্থবছর থেকে পোশাক খাতের জন্য নতুন করে ১ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিতে বাজেটে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

                        বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, বিগত ২০০৯-১০ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৯৬ শতাংশ বা ১২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৩৪ শতাংশ বা ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। দেখা যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত এ খাতের প্রবৃদ্ধি কমছে। বিগত পাঁচ বছরে (২০১৪-২০১৮) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ও ইউরোপের বাজারে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ পোশাকের দরপতন হয়েছে। সর্বশেষ অক্টোবরে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেক কম। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে ভিয়েতনাম অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০১৯ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), চীন, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, ভারত, তুরস্ক, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এই শীর্ষ ১০টি দেশ ৪২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে চীন। বিশ্ববাজারে দেশটির হিস্যা ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ। চীনের পরই পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানে আছে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম। বাংলাদেশ ৩ হাজার ২৯২ কোটি এবং ভিয়েতনাম ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। উভয় দেশের বাজার হিস্যা প্রায় কাছাকাছি। গত বছর ১০ শীর্ষ রপ্তানিকারকের মধ্যে বাংলাদেশের বাজার হিস্যা ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ।
                        সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29708/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          পুঁজিবাজারে দরপতন: হতাশায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা


                          পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনে গত দশ দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমেছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। বাজারের চলমান সংকটে হতাশায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।

                          ২০১০ এর ধসের পর ৯ বছর কেটে গেলেও ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার। বছরজুড়ে নানা উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই বাজার। মাঝে মাঝে সূচক বাড়লেও সেই ধারা স্থিতিশীল থাকেনি। গত ৩৯ মাসের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এখন সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। এ মাসের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা এখন ৩ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা।

                          গত কয়েক কার্যদিবসের এই দর পতন উদ্বিগ্ন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছে। নীতি-নির্ধারকরা নানা পদক্ষেপ নিলেও এর কোন স্থায়ী প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েনি। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্বল আইপিও, বিশৃঙ্খল আর্থিক বিবরণী, সেকেন্ডারি মার্কেটে সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী।

                          সুত্রঃ ইনডিপেনডেন্ট২৪


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/14/29742/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসলগুলোকে কবুল করুন এবং উত্তম জাযা দান করুন। আমীন
                            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                            Comment

                            Working...
                            X