পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করায় ১৫ দিন দেওবন্দ মাদ্রাসা বন্ধের জন্য সন্ত্রাসী নমো প্রসাসনের চাপ সৃষ্টি
ভারতে মুসলিম-বিরোধী নাগরিকত্ব আইন পাশ হবার পর দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভ দমাতে পুলিশের গুলি ও হামলার ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া, আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং নদওয়াতুল ওলামা লখনৌর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে ছাত্রদেরকে ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য করেছে সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকার। কিন্তু তারপরও বিক্ষোভ দমছে না। এবার দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার আশপাশে ও দেওবন্দ এলাকায় মালাউন প্রশাসন শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছে অন্তত ১৫ দিনের জন্য যাতে মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। খবর জাগরণ হিন্দি’র।
জাগরণ হিন্দি জানায়, গত মঙ্গলবার দারুল উলুম দেওবন্দের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে সাহারানপুর জেলা মালাউন প্রশাসন। বৈঠকে তারা দেওবন্দ কর্তৃপক্ষকে অন্তত ১৫ দিনের জন্য মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করার তাগিদ দেয়।
বৈঠকে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসিম নোমানী ও অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।সরকারি মালাউন সন্ত্রাসীদের মধ্যে কমিশনার সঞ্জয় কুমার, ডিআইজি উপেন্দ্র আগরওয়াল, ডিএম অলোক পান্ডে এবং এসএসপি দীনেশ কুমার পি উপস্থিত ছিল।
জানা যায়, আলিগড়ের এএমইউ ও দিল্লির জামিয়া মিলিয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি আক্রমণের পর থেকে সারাদেশের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাহারানপুর জেলা প্রশাসন আন্দোলন মাদরাসা থামানোর জন্য বন্ধ করার তাগিদ দিচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, বিভিন্ন জামিয়ার নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলা ও নির্বিচারে তাদের আটক করার প্রতিবাদে গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের ঐতিহ্যবাহি দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দেও শুরু হয় বিক্ষোভ। দফায় দফায় পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষকদের আহ্বানে বিক্ষোভ থেকে ফিরে যায় দারুল উলুমের ছাত্ররা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে মোদি সরকারের উর্ধ্বতন সন্ত্রাসীরা ছুটে আসে দেওবন্দে। শিক্ষকদের সঙ্গে জরুরি এক বৈঠকে ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ না দিতে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নামে ১৫ দিনের জন্য মাদরাসা বন্ধের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি।
তবে ছাত্রদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন দারুল উলুমের মুহাদ্দিস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা আরশাদ মাদানী। আজ (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় দারুল উলুম দেওবন্দের দারুল হাদিসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মজলিসে তিনি এ আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীদের মাওলানা আরশাদ মাদানী বলেন, তোমরা দারুল উলুম দেওবন্দে পড়াশোনা করতে এসেছো। এখানে প্রায় ৪০-৫০ হাজার ছাত্র পড়াশোনা করছে। দেওবন্দের আওতাধীন হাজারো মাদরাসা রয়েছে ভারতে। তোমাদের আন্দোলনের কারণে যেন দেওবন্দ মাদরাসা বন্ধ না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখবা। ’
তিনি বলেন‘ প্রিয় সন্তানেরা! সরকারের মুসলিমবিরোধী আইনের কারণে আমাদের অন্তরেও রক্ষক্ষরণ হচ্ছে। বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছি। তবুও সকালে তোমাদের দরস শেষ করে দিল্লিতে ছুটে যাচ্ছি আবার ফিরে এসে পরদিন তোমাদের ক্লাস করাচ্ছি …কীসের জন্য? তোমাদের নিরপত্তার জন্য, দেশের মুসলিম নাগরিকদের জন্য। তোমাদের মুহতামিম সাহেব ও শিক্ষকরা সারাদিন ছুটোছুটি করছেন, কীসের জন্য…?’
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/18/29926/
ভারতে মুসলিম-বিরোধী নাগরিকত্ব আইন পাশ হবার পর দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভ দমাতে পুলিশের গুলি ও হামলার ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া, আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং নদওয়াতুল ওলামা লখনৌর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে ছাত্রদেরকে ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য করেছে সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকার। কিন্তু তারপরও বিক্ষোভ দমছে না। এবার দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার আশপাশে ও দেওবন্দ এলাকায় মালাউন প্রশাসন শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছে অন্তত ১৫ দিনের জন্য যাতে মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। খবর জাগরণ হিন্দি’র।
জাগরণ হিন্দি জানায়, গত মঙ্গলবার দারুল উলুম দেওবন্দের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে সাহারানপুর জেলা মালাউন প্রশাসন। বৈঠকে তারা দেওবন্দ কর্তৃপক্ষকে অন্তত ১৫ দিনের জন্য মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করার তাগিদ দেয়।
বৈঠকে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসিম নোমানী ও অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।সরকারি মালাউন সন্ত্রাসীদের মধ্যে কমিশনার সঞ্জয় কুমার, ডিআইজি উপেন্দ্র আগরওয়াল, ডিএম অলোক পান্ডে এবং এসএসপি দীনেশ কুমার পি উপস্থিত ছিল।
জানা যায়, আলিগড়ের এএমইউ ও দিল্লির জামিয়া মিলিয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি আক্রমণের পর থেকে সারাদেশের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাহারানপুর জেলা প্রশাসন আন্দোলন মাদরাসা থামানোর জন্য বন্ধ করার তাগিদ দিচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, বিভিন্ন জামিয়ার নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলা ও নির্বিচারে তাদের আটক করার প্রতিবাদে গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের ঐতিহ্যবাহি দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দেও শুরু হয় বিক্ষোভ। দফায় দফায় পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষকদের আহ্বানে বিক্ষোভ থেকে ফিরে যায় দারুল উলুমের ছাত্ররা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে মোদি সরকারের উর্ধ্বতন সন্ত্রাসীরা ছুটে আসে দেওবন্দে। শিক্ষকদের সঙ্গে জরুরি এক বৈঠকে ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ না দিতে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নামে ১৫ দিনের জন্য মাদরাসা বন্ধের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি।
তবে ছাত্রদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন দারুল উলুমের মুহাদ্দিস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা আরশাদ মাদানী। আজ (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় দারুল উলুম দেওবন্দের দারুল হাদিসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মজলিসে তিনি এ আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীদের মাওলানা আরশাদ মাদানী বলেন, তোমরা দারুল উলুম দেওবন্দে পড়াশোনা করতে এসেছো। এখানে প্রায় ৪০-৫০ হাজার ছাত্র পড়াশোনা করছে। দেওবন্দের আওতাধীন হাজারো মাদরাসা রয়েছে ভারতে। তোমাদের আন্দোলনের কারণে যেন দেওবন্দ মাদরাসা বন্ধ না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখবা। ’
তিনি বলেন‘ প্রিয় সন্তানেরা! সরকারের মুসলিমবিরোধী আইনের কারণে আমাদের অন্তরেও রক্ষক্ষরণ হচ্ছে। বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছি। তবুও সকালে তোমাদের দরস শেষ করে দিল্লিতে ছুটে যাচ্ছি আবার ফিরে এসে পরদিন তোমাদের ক্লাস করাচ্ছি …কীসের জন্য? তোমাদের নিরপত্তার জন্য, দেশের মুসলিম নাগরিকদের জন্য। তোমাদের মুহতামিম সাহেব ও শিক্ষকরা সারাদিন ছুটোছুটি করছেন, কীসের জন্য…?’
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/18/29926/
Comment