Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২২শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২০শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২২শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২০শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    মালাউনদের করা নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ে মুসলমানদের বিশাল বিক্ষোভ


    ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত মুম্বাইয়ের মুসলিম সম্প্রদায় গত বুধবার এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ করেছে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে। সিএএ ও প্রস্তাবিত দেশব্যাপী এনআরসির প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

    মুম্বাইয়ের মুসলিম প্রধান মুমব্রা এলাকায় এই বিক্ষোভ হয়। বোরকা পরিহিত শত শত মহিলা প্লাকার্ড ও ব্যানার হাতে বিক্ষোভে অংশ নেয়।

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ হচ্ছে দেশের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভক্ত করতে এনআরসি ও সিএএ আইন করা হয়েছে।

    এদিকে রাজধানী দিল্লিতে দেশের অন্যতম প্রধান বিদ্যাপিঠ জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সেখানে রাজধানীর বহু বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেখা গেছে। এখানে রোববার পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়।

    নতুন নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে মুসলিম বাদে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সহজে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে মালাউন মোদি সরকারের অভিযোগ। যদিও তিনটি দেশই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30029/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কর্ণাটক-উত্তরপ্রদেশে মালাউন পুলিশ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৩


    বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠা ভারতে গতকাল বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশে তিনজন নিহত ছাড়াও অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া সহস্রাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির ‘সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যারা।

    বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাজধানী দিল্লিসহ উত্তর প্রদেশ কর্ণাটকের বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানুষের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও বিক্ষোভ চলছে। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহরে বিক্ষোভে পুলিশের গুলি চালালে দুজন এবং উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে একজনের মৃত্যু হয়।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ম্যাঙ্গালুরুতে চার পুলিশ সদস্য বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশের গুলিতে আহতদের দুজন হাসপাতালে মারা যান। গতকাল ওই দুই শহরে অনেক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে বেশ কিছু পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার ভারতজুড়ে বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। সকাল থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত অনেক স্থানে বিক্ষোভ চলে। যদিও দেশটির মালাউন পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল, যাতে করে ৪ জন মানুষের বেশি একসঙ্গে জমায়েত নিষিদ্ধ তবে মানুষ সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পথে নামে।

    কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে গত বুধবার ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ছাড়াও সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

    এদিকে সকাল থেকেই উত্তরপ্রদেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। ভারতের সবচেয়ে বড় এই রাজ্যটির রাজধানী লক্ষ্ণৌতে গতকাল পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের গুলিতে একজন নিহত ছাড়াও আরও অনেকে আহত হন। তারপর শহর থেকে ১১২ জনকে আটক করা হয়।

    ভারতে নাগরিকত্ব আইন সংসদে উত্থাপনের পর থেকেই এর বিরুদ্ধে প্রথমে দেশটির উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্রমেই গোটা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির আটটি রাজ্যের ১৩টি শহরের মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30031/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বেঙ্গালুরুতে বিক্ষোভকারীদের ফাঁসাতে হাসপাতালে তাণ্ডব চালালো ভারতীয় সন্ত্রাসী পুলিশ (ভিডিও)


      মুসলিম-বিদ্বেষী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রতিবাদে ভারতে বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীদের ওপর দোষ চাপাতে এবার হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে দেশটির পুলিশ সন্ত্রাসী বাহিনী। হাসপাতালে হামলা চালানোর একটি ভিডিও এরইমধ্যে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে আন্দোলনকারীদের ফাঁসাতে গাড়িতে পুলিশের আগুন দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।

      শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তাল ছিল কর্নাটকের বেঙ্গালুরু।

      পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। পুলিশ এই গুলি চালনার কথা স্বীকার না করলেও বিক্ষোভকারীদের হঠাতে হাসপাতালের ভেতর পুলিশি তাণ্ডবের ভিডিও সামনে এসেছে। তার পরই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে ভারতীয় নাগরিকরা।

      বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জড়ো হতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। চলতে থাকে স্লোগান-মিছিল। বেলা গড়াতেই সেই বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা পর্যন্তও সেই উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পুলিশ গুলি চালায়।

      তাতে আহত হন জালিল কুদ্রোলি (৪৯) ও নৌশিন বেঙ্গে (২৩)। গুলিতে আহত হওয়ার পর বিকাল ৫টা নাগাদ তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

      এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভকারীদের একটা অংশ জড়ো হয় হাসপাতালের সামনে। সেখানে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

      সে সময় বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। তা থেকে বাঁচতে অনেক বিক্ষোভকারী ঢুকে পড়েন হাসপাতালে।

      তাদের ছত্রভঙ্গ করতে হাসপাতালের পার্কিং এলাকা ও প্রবেশ পথের লবি— এই দুই জায়গায় পুলিশ দুটি টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।



      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30035/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিমদের দোষ দিতে লুংগি-টুপি পরে ট্রেন ভাংচুর: ধরা খেল সন্ত্রাসী বিজেপি নেতাসহ ৫ গুণ্ডা


        ভারতে সাম্প্রদায়িকতাপূর্ণ বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে পোষাক পরিবর্তন করে তাতে অংশ নিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপির নেতা ও সমর্থকরা। টুপি আর লুঙ্গি পরে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের অভিযোগে এক বিজেপি কর্মী ও তার পাঁচ সঙ্গীকে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায় আটক করা হয়েছে। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের সময় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।

        সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতার ঘটনায় কিছুদিন আগে সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিক্ষোভকারীদের পোশাক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিল।

        বলেছিল, “পোশাক দেখেই বোঝা যায়, কারা সহিংসতা ছড়াচ্ছে।”

        কিন্তু এই আটকের ঘটনায় মুখ পুড়ল বিজেপিরই।

        এদিকে,মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দমনে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছিল রেল প্রতিমন্ত্রী সন্ত্রাসী সুরেশ অঙ্গদি। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে এমন নির্দেশ দেয়।

        নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশের বাধায় বিভিন্ন এলাকায় এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। প্রসঙ্গটি টেনে রেল প্রতিমন্ত্রী বলেছে, ‘আমি জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি- কেউ রেলের সম্পত্তি নষ্ট করতে এলেই গুলি চালান। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবেই আমি এই নির্দেশ দিয়েছি।’

        ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গুলি করার এই নির্দেশের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেরই প্রশ্ন, একজন রেল প্রতিমন্ত্রী কি এমন নির্দেশ দিতে পারে?

        কিন্তু এই আটকের ঘটনায় জানা গেল কারা রেলের সম্পত্তি নষ্ট করে।

        এমনিভাবে, মুসলিম-বিদ্বেষী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রতিবাদে ভারতে বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীদের ওপর দোষ চাপাতে হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে দেশটির সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী। হাসপাতালে হামলা চালানোর একটি ভিডিও এরইমধ্যে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে আন্দোলনকারীদের ফাঁসাতে দিল্লিতে গাড়িতে পুলিশের আগুন দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30034/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে মুসলিম বিদ্বেষী আইন হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র তৈরির ঘৃণ্য প্রয়াস: আল্লামা আহমদ শফী


          ভারত সরকার নাগরিকত্ব দেয়ারা নামে মুসলিম বিদ্বেষী যে আইন পাশ করেছে তা মূলত মুসলমানদের একঘরে করে ভারতকে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র করার ঘৃণ্য প্রয়াস চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

          বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে দাবী করে ভারত পার্শ্ববর্তী তিনটি দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন, এসব অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেবে আর মুসলমানদের বিতাড়িত করবে।

          আল্লামা আহমদ শফী বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের উপর যেভাবে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে তা পরিস্কার রাষ্ট্রীয় নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মুসলমানদের পাশাপাশি যেভাবে সাধারণ জনগণ ফুঁসে উঠেছে তা বিজেপি সরকারের প্রতি চরম অনাস্থা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

          ভারতের মুসলমান ধৈর্যশীল, তবে একথা ভুলে গেলে চলবে না, মুসলমান ধৈর্যশীল তবে ভীরু নয়। মুসলমানগণ প্রতিরোধ গড়ে তুললে মোদির মসনদ তছনছ হয়ে যাবে।

          হেফাজত আমীর আরো বলেন, ভারতের দীর্ঘ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদানে মুসলমানদের নাম মিশে আছে। ভারতের ঐতিআহাসিক প্রায় স্থাপত্য মুসলমানদের তৈরি। চাইলেই এসব মুছে দেয়া যায় না। ভারতীয় মুসলমানদের কাছে পুরো বিশ্ব ঋণী। বিজেপিসহ কট্টরপন্থী হিন্দু সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ধারাবাহিক যে নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে তা করে ভারতকে মুসলিমশূন্য করা যাবে না। বরং এসব নির্যাতন নিপীড়ন মোদি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর পতন ডেকে আনবে।

          আল্লামা আহমদ শফী আরো বলেন, কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে ভারতীয় মুসলমানগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে। ভারতকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সাম্প্রদায়িক সহবস্থানের দেশ দাবী করলেও শুধু মুসলিম হবার অপরাধে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। কাশ্মিরের মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, মা বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। মোদি সরকারের একথা জেনে রাখা উচিৎ, জুলুম-নির্যাতন করে মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।

          আমীরে হেফাজত বলেন, ইসলাম সবসময় মানবাধিকারের কথা বলে। শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। অমুসলিম সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দানের কথা বলে। আর বাংলাদেশি মুসলমানগণ বারবার তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। মানবপ্রাচীর তৈরি করে মন্দির পাহারা দেয়ার নজীর আমরা দেখিয়েছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বসবাস করছে। অথচ ভারতে এর উল্টো চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় সবসময় সংখ্যাগরিষ্ট হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক নির্যাতিত নিপীড়িত হচ্ছে। ভারতের উচিৎ হবে নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30054/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস


            ফেসবুকের ২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৬ জন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে যার অধিকাংশই আমেরিকান নাগরিক। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য স্প্যামিং ও ফিশিংয়ের মতো প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহার হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

            যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কম্পারিটেকের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বব ডিয়াচেঙ্কো সম্প্রতি ফেসবুক থেকে ফাঁস হওয়া তথ্যের ডেটাবেইস খুঁজে পায়। ৪ ডিসেম্বর ওই ডেটাবেইস অনলাইনে ইনডেক্স করা হয়।

            পরে ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

            ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলার আগ পর্যন্ত একটি হ্যাকার ফোরামে ডাউনলোডযোগ্য ফাইল হিসেবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক আইডি, ফোন নম্বর ও পূর্ণ নাম।

            সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30064/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              উইঘুর মুসলিমের পক্ষে পোস্ট করায় চীনা ভিডিও গেম থেকে বাদ ওজিল


              মুসলিম উইঘুরদের নিয়ে টুইটারে পোস্ট করায় জার্মান ফুটবলার মেসুত ওজিলের ওপর ক্ষিপ্ত বৌদ্ধ সন্ত্রাসী চীনা সরকার। এবার একটি ভিডিও গেম থেকে আর্সেনাল মিডফিল্ডার ওজিলের অংশ মুছে দিয়েছে চীন।

              টুইটারের সেই পোস্টে মুসলিম ফুটবল তারকা ওজিল চীনের সংখ্যালঘু উইঘুরদের যোদ্ধা অভিহিত করে বলেন, তারা নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়ছে। একই বিষয়ে চীন ও মুসলিম বিশ্বের নীরবতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওজিল।

              সূত্র: বিবিসি


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30067/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                মৃদু শৈত্য প্রবাহ থাকতে পারে আরও ২ দিন


                কুয়াশার চাদরে রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ। সেই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে। উত্তরী হিমেল হাওয়ার দাপটে রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও রয়েছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার ঘন আস্তরণে ঢাকা পড়েছে সূর্য।

                হিমবুড়ির হাওয়ায় গরম পোশাকে উষ্ণতা খুঁজছে নগরবাসী। পৌষের শীতে হাড়ে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

                তবে আগামী রবিবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে আজ শুক্রবার আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাত ও দিনের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় ঢাকায় একটু বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে ঢাকায় শৈত্য প্রবাহের কোনো প্রভাব নেই। মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ঢাকার বাইরে। আজ চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

                বিডি প্রতিদিন থেকে জানা যায় বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৬, সিলেটে ১৫ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৪, রংপুরে ১১, খুলনায় ১২ এবং বরিশালে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আগামীকাল থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আবার বাড়তে থাকবে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

                আবহাওয়ার সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

                এদিকে, শীতের শুরুতেই দেখা দিয়েছে শীতকালীন রোগের প্রকোপ। গত এক মাসে সারা দেশে জ্বর, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ২২১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৪৯ জন। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শীতের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। ডিসেম্বরের ১৮ দিনেই শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30070/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  এক বছরের বেশি ইন্টারনেট বন্ধ করে রেকর্ড করল ভারত


                  মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল ভারতের যেসব শহরে রাস্তায় নেমে এসেছে বিক্ষোভকারীরা সেখানেই হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। আর এটাই আরেক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে- কারণ এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে একটি দেশ এক বছরে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার রেকর্ড গড়েছে।

                  ভারতে উত্তেজনার মধ্যে গত ১২ ডিসেম্বর একটি টুইট করে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে লিখেছে, ‘আমি আসামে আমার ভাই বোনদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, নাগরিকত্ব সংশোধন বিল নিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

                  আমি তাদের নিশ্চিত করতে চাই যে কেউ তাদের অধিকার, আত্মপরিচয় এবং দারুণ সংস্কৃতি কেড়ে নিতে পারবে না। এর বিকাশ অব্যাহত থাকবে। ’ কিন্তু সমস্যা হলো এই টুইট দেখার জন্য যে ইন্টারনেট প্রয়োজন ছিল সেটি ছিল না।

                  তাই হাজার হাজার বিক্ষোভের মধ্যে এটি ঠিক নিশ্চিত না যে কতজন এই টুইট দেখতে পেরেছে। ইন্টারনেট শাটডাউন ট্র্যাকারের হিসেবে চলতি বছর দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে মোট ৯৩ বার। হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দোহাই দিয়ে সেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া। তবে নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে তুমুল বিক্ষোভের কারণে শুধু আসামেই নয়, ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলীগড়ের মতো বেশ কিছু এলাকাতেও।

                  এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি ইন্টারনেট বন্ধের নজির আছে কেবল চীন আর মিয়ানমারে। তবে ভারত এবারেই যে সবচেয়ে বেশিবার বন্ধ করল তাও নয়। ২০১৮ সালে মোট প্রায় ১৩৪ বার ইন্টারনেট বন্ধের উদাহরণ আছে।

                  সুত্রঃ বিবিসি বাংলা


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30072/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ভারতে নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করলেন আল্লামা শফী


                    হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোতে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য আইন পাশ করেছে। এ আইন মূলত মুসলমানদের একঘরে করে ভারতকে ‘হিন্দুকরণ’ করার ঘৃণ্য প্রয়াস। বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেন।

                    বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের উপর যেভাবে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে তা রাষ্ট্রীয় নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। তাদের সরকারের বিরুদ্ধে মুসলমানদের পাশাপাশি যেভাবে সাধারণ জনগণ ফুঁসে উঠেছেন তা চরম অনাস্থা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ভারতের মুসলমান প্রচুর ধৈষর্যশীল। তবে একথা ভুলে গেলে চলবে না, মুসলমান ধৈর্যশীল তবে ভীরু নয়। মুসলমানগণ প্রতিরোধ গড়ে তুললে মোদির মসনদ তছনছ হয়ে যাবে।

                    তিনি বলেন, ভারতের দীর্ঘ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদানে মুসলমানদের নাম মিশে আছে। ভারতের ঐতিহাসিক প্রায় সব স্থাপত্য মুসলমানদের তৈরি। চাইলেই এসব মুছে দেয়া যায় না। ভারতীয় মুসলমানদের কাছে পুরো বিশ্ব ঋণী। বিজেপিসহ কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ধারাবাহিক যে নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে তা করে ভারতকে মুসলিমশূন্য করা যাবে না। বরং এসব নির্যাতন নিপীড়ন মোদি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর পতন ডেকে আনবে।

                    আল্লামা শফী বলেন, হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে ভারতীয় মুসলমানগণ আগের চেয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। ভারতকে সাম্প্রদায়িক সহবস্থানের দেশ দাবি করা হলেও শুধু মুসলিম হবার কারনে অনেককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। কাশ্মীরে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, ধর্ষণ করা হচ্ছে। ইসলাম সবসময় মানবাধিকারের কথা বলে। শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বসবাস করছে। অথচ ভারতে এর উল্টো চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি।

                    সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30075/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      উন্নয়নের ধোঁয়া-ধূলি মিশ্রিত ঢাকার বায়ু


                      বৈশ্বিকভাবে বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল কর্তৃক প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদন-২০১৮’তে বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষিত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল শীর্ষে।

                      এয়ার ভিজ্যুয়াল বিশ্বের প্রায় ৩ হাজার শহরের বায়ুমান পর্যবেক্ষণপূর্বক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পাশাপাশি তাদের ওয়েবসাইটে প্রতি ঘণ্টায় বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরগুলোর দূষণের ক্রম হালনাগাদ করে থাকে।

                      এয়ার ভিজ্যুয়াল মূলত বাতাসে ভাসমান অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পার্টিকুলেট ম্যাটারের (পিএম ২ দশমিক ৫) উপস্থিত মাত্রার ওপর নির্ভর করে এ পরিমাপ করে থাকে।

                      এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির (ইপিএ) মতে পিএম ২ দশমিক ৫ হল বাতাসে বিদ্যমান অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা অ্যামবিয়েন্ট এয়ারব্রোন পার্টিকেলস যার আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রোন।

                      আমাদের মাথার চুল যেখানে ৭০ মাইক্রোন, সেখানে ধারণাগত দিক থেকে বোঝা যায় এ পিএম ২ দশমিক ৫ আসলে কতটা সূক্ষ্ম কণা।

                      এয়ার ভিজ্যুয়াল সর্বজনস্বীকৃত বায়ুমান সূচকের আলোকে পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রা পরিমাপ করে থাকে। এই সূচকে যদি কোনো এলাকার বায়ুতে পিএম ২ দশমিক ৫-এর পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ১২ মাইক্রো গ্রামের কম হয়, তাহলে সেটার লেভেল হল ভালো।

                      যদিও এই ভালো এর মাত্রা হল প্রতি ঘনমিটারে ১০ মাইক্রো গ্রামের কম। এভাবে এই সূচকে কোন শহরের বাতাসে যদি পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫৫ দশমিক ৫-১৫০ দশমিক ৪ মাইক্রো গ্রাম হয় তাহলে সেটা অস্বাস্থ্যকর।

                      আর যদি সেটা ১৫০ দশমিক ৫-২৫০ দশমিক ৪ মাইক্রো গ্রাম হয়, তাহলে সেটা চরম অস্বাস্থ্যকর। সুতরাং এয়ার ভিজ্যুয়ালের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা গেছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের বাতাসে পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রা ছিল ৯৭ দশমিক ১, যা অস্বাস্থ্যকর মাত্রার।

                      বাংলাদেশের বাতাসে পিএম ২ দশমিক ৫-এর এই মাত্রা দক্ষিণ এশিয়ার দূষণ আলোচনায় শীর্ষে থাকা ভারতের নয়াদিল্লি ও পাকিস্তানের করাচি শহরকেও পেছনে ফেলেছে।

                      ২০১৮ সালের মতো ২০১৯-এর শেষ ভাগের সাম্প্রতিক সময়গুলোতেও এয়ার ভিজ্যুয়ালের তথ্যে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ঢাকা শহরের অবস্থান বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষিত শহরগুলোর মধ্যে আছে।

                      যুগান্তরের বরাতে জানা যায়, ২০১৯-এর নভেম্বরেও ঢাকার বাতাসে পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রা ছিল গড়ে ১৫০ এর ওপরে, যা ইউএস একিউআই সূচকে চরম অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত।

                      দূষণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। ২০১৫ সালেই নগর এলাকায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু দূষণের কারণে হয়েছে। বিশ্বে ১৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় দূষণে।

                      বাংলাদেশে তা ২৮ শতাংশ। ঘরের বাইরে তো বটেই, বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ ও খেলার মাঠেও ভর করছে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ছে নগরবাসী, বিশেষ করে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে শরীরে বাসা বাঁধছে ক্যান্সারসহ রোগবালাই।

                      ঢাকার সড়ক ও ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ নিয়ে এ বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলুশন রিসার্চে প্রকাশিত দুটি গবেষণা প্রতিবেদনে এসব ঝুঁকির কথা উঠে এসেছে। গবেষণায় ঢাকার রাস্তার ধুলায় সর্বোচ্চ মাত্রায় সিসা, ক্যাডমিয়াম, দস্তা, ক্রোমিয়াম, নিকেল, আর্সেনিক, ম্যাঙ্গানিজ ও কপারের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মাটিতে যে মাত্রায় ক্যাডমিয়াম থাকার কথা, ধুলায় তার চেয়ে প্রায় ২০০ গুণ বেশি পাওয়া গেছে।

                      আর নিকেল ও সিসার মাত্রা দ্বিগুণের বেশি। দেশের বিভিন্ন স্থানে মাটি ও পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের ঝুঁকি আগেই ছিল, এবার ঢাকার রাস্তার ধুলার মধ্যেও নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিক শনাক্ত করেছে গবেষক দল।

                      এসব ভারি ধাতু কণার আকার এতটাই সূক্ষ্ম যে, তা মানুষের চুলের চেয়ে ২৫ থেকে ১০০ গুণের বেশি ছোট। ফলে খুব সহজেই এসব সূক্ষ্ম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা ত্বকের সংস্পর্শে আসছে; শ্বাসপ্রশ্বাস, খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে মানুষের শরীরেও প্রবেশ করছে। গবেষণায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা রাজধানীর ২২টি সড়কের ৮৮টি এলাকার সবখানেই কম-বেশি ভারি ধাতুর উপস্থিতি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত সারা বছরে নগরব্যাপী চালিত অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়তই ঢাকার দূষণের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করছে।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/20/30078/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের হেফাজত করুন,
                        তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করুন। তাদেরকে গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য প্রস্তুত করুন। হিন্দু মালাউনদের যথাযথ পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার তাওফিক দান করুন।
                        মুজাহিদীনকে ভালবাসুন, তাদের সাপোর্ট করুন!
                        কেননা, তারাই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথে অটল রয়েছেন।

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by ইবনে মুজিব View Post
                          আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের হেফাজত করুন,
                          তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করুন। তাদেরকে গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য প্রস্তুত করুন। হিন্দু মালাউনদের যথাযথ পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার তাওফিক দান করুন।
                          আল্লাহুম্মা আমীন
                          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                          Comment


                          • #14
                            ইয়া রব্ব! যারা কল্যাণে আমরা এই সমস্ত নিউজ সহজে দেখতে পারছি, তাদেরকে কবুল করুন ও উত্তম জাযা দান করুন। আমীন
                            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                            Comment


                            • #15
                              আল্লাহ আপনাদের কাজগুলোকে কবুল করুন ।
                              মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

                              Comment

                              Working...
                              X