Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৩শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৩শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    গোয়েন্তানামোর বন্দী আবু জুবাইদাহ, নিজ হাতে আঁকলেন মার্কিনীদের নির্যাতনের ছবি


    ক্রুসেডার সন্ত্রাসী আমেরিকার নিকৃষ্ট চেহারা আজ বিশ্ববাসীর সামনে সুস্পষ্ট। গোয়েন্তানামো বে, আবু গারিব —এসকল কারাগারের প্রতিটি সেল সন্ত্রাসী আমেরিকার হিংস্রতার প্রমাণ বহন করে। কুখ্যাত মার্কিন সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠান সি.আই.এ তাদের গোপন টর্চারসেলে এমন সব পাশবিক অত্যাচার করে যা চিন্তা করাও কোন মানুষের পক্ষে হয়তো সম্ভবপর নয়।

    সম্প্রতি গোয়েন্তানামো কারাগারের এক বন্দী মুসলিম, আবু জুবাইদাহ নামে পরিচিত জয়নাল আবেদীন মুহাম্মাদ হোসাইন (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)-এর নিজের আঁকা ৮টি ছবি প্রকাশিত হয়। এসকল ছবিতে আবু জুবাইদার উপর মার্কিন সন্ত্রাসীদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে। সি.আই.এ-এর সদস্যরা কি আসলেই রক্তপিণ্ডে মানুষ নাকি মানুষরূপি জানোয়ার! সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া আবু জুবাইদার আঁকা নির্যাতনের চিত্রের ভিত্তিতে সি.আই.এ-কে ‘হিংস্র জানোয়ারদের সংস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

    আবু জুবাইদাহ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) এর আইনজীবী ‘স্যাটন হল ল সেন্টার এন্ড রিসার্চ’ এর পরিচালক Professor Mark P. Denbeaux এবং তার সহকর্মীরা আবু জুবাইদার আঁকা ছবিগুলোসহ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ৯৫ পৃষ্ঠার ঐ রিপোর্টে সন্ত্রাসী মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সি.আই.এ-এর দশটি নির্যাতনপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর, দশ নির্যাতনপদ্ধতির সবগুলোই আবু জুবাইদাহ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) এর উপর প্রয়োগ করে মার্কিন সন্ত্রাসীরা। আবু জুবাইদাহ তাঁর উপর চালানো নির্যাতনের সেই ভয়াবহ চিত্রগুলো ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেন।

    প্রকাশিত প্রায় সবগুলো ছবিতেই আবু জুবাইদাহকে নগ্ন অবস্থায় নির্যাতন করতে দেখা যায়। এর মধ্যে, একটিতে দেখা যায় তাঁকে নগ্ন অবস্থায় বেধে রেখে ওয়াটারবোর্ডিং করানো হচ্ছে। তাঁর পুরো শরীর সমান্তরালভাবে পা থেকে মাথা অবধি বেধে ফেলা হয়েছে। বিশেষ ধরণের দড়ি দিয়ে এমনভাবে বাধা যে একটু নড়াচড়া করারও অবকাশ নেই। তারপর তাঁর মুখ বরাবর অনবরত পানি ঢেলে দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় একজন ব্যক্তির মনে হবে যেন তিনি পানিতে ডুবে যাচ্ছেন।
    “যতোক্ষণ পর্যন্ত না আমি বেহুশ হয়ে যাই বা আমার মুখে ফেনা উঠে যায় ততোক্ষণ চলে এ পাশবিক লোমহর্ষক নির্যাতন।” – আইনজীবীকে বলছিলেন আবু জুবায়দা। আর, আবু জুবাইদাহকে ৮৩বার এরকম ওয়াটারবোর্ডিং করানো হয়েছে।

    তাঁর শরীরে বিভিন্ন ক্ষত থাকা অবস্থাতেই এমন নির্যাতন করা হয়েছে। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, আবু জুবাইদাকে উপরে এমনভাবে বেধে রাখা হয়েছে যে, তাঁকে পায়ের আঙ্গুলের মাথার উপর ভর দিয়ে থাকতে হয়েছে। হাত-পা বাধা এবং ঝুলন্ত অবস্থাতেই তাঁকে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে হয়েছে। আর, এসকল প্রস্রাব-পায়খানাও তাঁর দেহে শুকিয়েছে।

    এভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি আবু জুবাইদা (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) এর মত একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে ঠাণ্ডা পরিবেশে উলঙ্গ অবস্থায় রাখা হয় আবার ব্যবহারের জন্যও ঠাণ্ডা পানিই দেওয়া হয়। সি.আই.এ-এর নিকৃষ্ট সন্ত্রাসীরা কেবল এরকম পাষণ্ড কাজেই থেমে থাকেনি, তারা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত আবু জুবাইদাকে ঘুমোতে পর্যন্ত দেয়নি। আবু জুবাইদাহ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) বলেছেন, তাঁকে সি.আই.এ-এর সন্ত্রাসীরা বহুদিন ধরে এক সেকেন্ডের জন্যও ঘুমোতে দেয়নি। যখনই তিনি ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যেতে চেয়েছেন, মার্কিনী সন্ত্রাসীরা তাঁর দিকে পানি নিক্ষেপ করেছে, কখনো শরীরে নাড়া দিয়েছে। আবার, কখনো বা তারা আবু জুবাইদাহকে ঘুম থেকে বিরত রাখতে অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।
    আবু জুবাইদার আঁকা আরেকটি ছবিতে দেখা যায় তার বাম পা-তে একটি দীর্ঘ ক্ষত সেলাই করা হয়েছে এবং তাঁর খোলা মুখ থেকে অসহনীয় চিৎকার বের হচ্ছিল। আর এক মার্কিন সন্ত্রাসী তাঁর মাথা দেওয়ালের দিকে ছুঁড়ে মারছিল।

    আরেকটিতে দেখা যায়, আবু জুবাইদাহ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)-কে একটি ছোট বাক্সে ভরে রাখা হয়েছে। সেখানে নড়াচড়ার কোনো অবস্থা নেই।

    এভাবে, প্রকাশিত রিপোর্টটির প্রতিটি পাতা জুড়েই আছে মার্কিন সন্ত্রাসীদের নির্মম নির্যাতনের বিভিন্ন পদ্ধতির বর্ণনা। আর, এসবগুলো নির্যাতনপদ্ধতিই আবু জুবাইদাহ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) এর উপর প্রয়োগ করে মার্কিন সন্ত্রাসীরা।

    ২০০২ সালে সন্ত্রাসী ক্রুসেডার বুশের শাসনামলে মার্কিন সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান থেকে ফিলিস্তিনী নাগরিক আবু জুবাইদাহ নামে পরিচিত জয়নাল আবেদীন মুহাম্মাদ হুসাইনকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকেই আবু জুবাইদার উপর বর্বরতম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তারা। হক্বপন্থী সত্যবাদী আরো অনেক মুসলিমের উপরও মার্কিনী সন্ত্রাসীরা তাদের গোপন নির্যাতন কক্ষে এরকম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। আবু *জুবাইদাহ, রামযি ইউসুফ, আফিয়া সিদ্দিকা— ঐসকল কারাবন্দীদের মধ্য থেকেই কয়েকজন। তাঁদের উপর মার্কিন সন্ত্রাসীদের নির্যাতন চলছে, কারণ তাঁরা বলেন- আমাদের রব কেবলই আল্লাহ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    উত্তরপ্রদেশে পুলিশ সন্ত্রাসীদের গুলিতে একদিনেই নিহত ৯, গ্রেফতার ৩ হাজার


    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে জ্বলছে পুরো ভারত। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যুজুড়ে। এই আইনের বিরুদ্ধে ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের ‘নির্যাতনের’ প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। শুধু শুক্রবারের বিক্ষোভে দেশটির উত্তর প্রদেশে ৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। এছাড়া রাজ্যজুড়ে ৩ হাজার ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশ।

    হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবারের পুলিশ সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিক্ষোভে মেরুতে ৩ জন, বিজোনরে ২ জন, বারাণসী, ফিরোজবাদ, সম্ভাল এবং কানপুর এক জন করে বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।

    এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ১৩ টি জেলায় শুক্রবারের নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নামে। এসময় হাজার হাজার বিক্ষোভ কারী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় স্লোগান দিতে থাকে তখনই বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও লাঠি চার্জ চালায় পুলিশ।

    দেশটির সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রায় ৩৫০ জনের বেশী জনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে সমগ্র উত্তর প্রদেশ থেকে প্রায় ৩ হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এই মুহূর্তে সমগ্র রাজ্য জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও উত্তর প্রদেশের ১৫ টি জেলাতে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন থেকেই উত্তাল ভারত। এমন পরিস্থিতি ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স।

    সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/21/30089/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে শুল্ক, ট্রানজিট ফি ছাড়াই ভারতীয় পণ্য পরিবহন শুরু


      বহিঃশুল্ক ও ট্রানজিট ফি ছাড়াই জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে নয়া দিল্লি।

      গত সপ্তাহে ঢাকায় জাহাজ চলাচলবিষয়ক সচিবপর্যায়ের সভায় বাংলাদেশের জাহাজ চলাচলবিষয়ক সচিব মো. আবদুল সামাদ ও তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ গোপাল কৃষ্ণের মধ্যে এই সমঝোতা হয়। একে দুই দেশের মধ্যকার কানেকটিভিটিতে নতুন অধ্যায় বিবেচনা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

      গত অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় স্থলপরিবেষ্টিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য আনা-নেয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর সম্পন্ন হয়। এই পদক্ষেপের ফলে ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি বাস্তবায়নে অগ্রগতি হলো।

      আবদুস সামাদ বলেছে, আমরা এখনো প্রথম পরীক্ষামূলক পরিচালনার তারিখ নির্ধারণ করিনি। তবে তা আগামী বছরের জানুয়ারিতে হতে পারে। চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে একটি কন্টেইনার কার্গো আগরতলা ও আখাউড়া নৌরুট দিয়ে ভারতীয় রাজ্য ত্রিপুরা যাবে।

      দুই দেশের মধ্যকার চুক্তির অনুযায়ী বহিঃশুল্ক প্রযোজ্য হবে না।

      উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও দুটি বন্দরের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের জন্য সাতটি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা, চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি; চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে শেউলা হয়ে সুতারকান্ডি, চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে সিমান্তপুর হয়ে বিবেকবাজার।

      এদিকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা বন্দরে অন অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন। উল্লেখ্য, গত মার্চে নারায়ণগঞ্জ থেকে কোলকাতাগামী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/21/30092/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গোটা ভারতই এখন কাশ্মীর, শুধু বরফ পড়া বাকি!


        নয়া দিল্লিতে মোবাইল সেবা এবং মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এ দিন নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ-কর্মসূচি ছিল। তাই সেই বিক্ষোভের খবর যাতে সমাজমাধ্যমে না ছড়ায়, সে জন্যই সন্ত্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

        এয়ারটেলের তরফে সকালেই টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই তারা কিছু জায়গায় সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের গ্রাহক পরিসেবা বিভাগের বেশ কয়েকটি টুইটে তা বিস্তারিত লেখা হলেও পরে তা মুছে দেওয়া হয়। তবে ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তল নিজেই পরে বলেছে, সরকার সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা সেই নির্দেশ মেনে চলছি।

        ভোডাফোনও স্বীকার করে, দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় তাদের সেবা বন্ধ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, পুলিশের নির্দেশে দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় সেবা বন্ধ রেখেছে রিলায়্যান্স জিয়ো-ও।

        টুইটারে #ইন্টারনেটশাটডাউন হ্যাশট্যাগে ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। দীর্ঘক্ষণ ট্রেন্ডিং ছিল #ইন্টারনেটশাটডাউন। কাশ্মীরে টানা কয়েক মাস ইন্টারনেট বন্ধের প্রসঙ্গ টেনে অনেকেই টুইটারে লেখেন, কাশ্মীরকে স্বাভাবিক করতে গিয়ে দিল্লিকেও কাশ্মীর হতে হল।

        নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে দেশের একাধিক জায়গাতেই এখন ইন্টারনেট বন্ধ। সেই ম্যাপও ছড়িয়ে পড়ে টুইটারে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই একজনের ব্যঙ্গোক্তি, এ বার কেবল বরফ পড়া বাকি। তা হলেই গোটা দেশ কাশ্মীর!

        টুইটারে আবার ছড়িয়ে পড়ে একটি মার্কিন পত্রিকার সমীক্ষার তথ্য। ২০১৬-র জানুয়ারি থেকে ২০১৮-র মে মাসের মধ্যের ওই সমীক্ষার দাবি, ইন্টারনেট বন্ধ করার সংখ্যার নিরিখে ভারতের স্থান সর্বোচ্চ। সেই সংখ্যা ১৫৪। তালিকায় ভারত ছাড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তান, ইরান, সিরিয়াকে। অনেকে প্রশ্ন তোলেন, কেন বিক্ষোভ ঠেকাতে ইন্টারনেট বন্ধ করা হচ্ছে? এই পরিস্থিতিকে জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে #ইমার্জেন্সি২১০৯ হ্যাশট্যাগে ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। রাজধানীর বিক্ষোভে পোস্টার দেখা যায়, শাটডাউন ফ্যাসিজম, নট ইন্টারনেট।

        সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/21/30096/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          জুমার সালাত শেষে উত্তাল ছিল দিল্লির জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ


          ভারতের বিতর্কিত ও মুসলিমবিরোধী নাগরিক আইন পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শুক্রবার বাদ জুমা বিক্ষোভে উত্তাল ছিল দিল্লি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ।

          পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করেই ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ দিল্লি জামে মসজিদ এলাকায় ওই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভ ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে মালাউন পুলিশ চন্দ্রশেখর আজাদকে আটক করে নিয়ে যায়।

          বার্তা সংস্থা এএনআই’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, জুমার নামাজের পর সংবিধানের অনুলিপি হাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চন্দ্রশেখর আজাদ।

          কয়েক দিন ধরে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় উত্তাল দিল্লি। গত বুধবার জামে মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারিও এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন।

          এদিকে গোটা এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।জুমা মসজিদ, চাওরি বাজার এবং লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনগুলিতে ঢোকা ও বেরোনোর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ট্রেনগুলি সেখানে থামবে না, জানিয়েছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)।

          ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিসহ অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/21/30095/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দেওবন্দ পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসীদের সেনানিবাসে! হাই-এলার্টের মধ্যেই বিক্ষোভ


            ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ-প্রশাসন দারুল উলুম দেওবন্দ এলাকাকে সন্ত্রাসীদের সেনানিবাসে পরিণত করেছে। গত কয়েকদিনের মতো শুক্রবারও দিনভর সাহারানপুরসহ দেওবন্দ এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত ছিল।

            ১৬ ডিসেম্বর থেকে হাইএলার্টের মধ্যেই দিন কাটছে স্থানীয় মুসলিমদের। দোকানে দোকানে ঝুলছে কালো পতাকা। এলাকার চক ফোয়ারা জামে মসজিদের চারপাশে বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী সেনা অবস্থান করছে। একই সঙ্গে, ভারী যানবাহনের জন্য রুটটি সকাল ছয় থেকে সন্ধ্যা ৬ টায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

            এদিকে দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিক্ষোভের সম্ভাবনার কারণে দারুল উলূম এলাকায় পুলিশ সন্ত্রাসী বাহিনী ২৪ ঘন্টা অবস্থান করছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও পুরোপুরি সক্রিয় রয়েছে।

            এরই মধ্যে গত জুমার নামাজে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন মসজিদে। আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন ভারতের মুসলিমদের নিরাপত্তার জন্য। পরে হাজার হাজার মুসলিমদের অংশগ্রহণে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।



            এছাড়াও দেওবন্দ শুক্রবার নামাজের পর এনআরসি ও ক্যাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায় দোকানপাঠ বন্ধ করে দিয়েছে।

            এসপি ভিণীত ভট্টনগর বলেছেন, বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগরীতে পূর্ণ নজরদারি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যেই পতাকা মিছিল বের করা হচ্ছে। জুমার নামাজের পরিপ্রেক্ষিতে জামে মসজিদের আশেপাশে পুলিশ, আরএএফ এবং পিএসি এবং থানা মোতায়েন করা হয়েছে।

            গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের ঐতিহ্যবাহি দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দেও নাগরিত্ব বিলের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিক্ষোভ। দফায় দফায় পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষকদের আহ্বানে বিক্ষোভ থেকে ফিরে যায় দারুল উলুমের ছাত্ররা।



            آج بعد نماز جمعہ دیوبند میں این آر سی اور کیب کے خلاف پر امن احتجاجی مظاہرہہزاروں افراد نے کی شرکت

            Posted by Islamic Media dbd on Friday, 20 December 2019



            এদিকে সোমবার থেকেই দারুল উলুমের শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভে থেকে দূরে রাখতে মাদরাসায় পুলিশ টহল চালায়।শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহরানপুর জেলার ইন্টারনেট সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

            সূত্র: ইসলামি মিডিয়া (উর্দু)।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/21/30101/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              টেনে দাড়ি ছিঁড়ে নেব, সাংবাদিককে লখনৌ হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী পুলিশ


              ভারতের মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব সংশ*োধনী আইনের প্রতিবাদে লখনৌতে আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে। এতে সন্ত্রাসী পুলিশের হাতে হয়রানির শিকার হলেন ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুর একজন সাংবাদিক।

              সাদা পোশাকে ঢুকে অবান্তর প্রশ্ন করার পর রেস্তোরাঁ থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার লখনৌর প্রতিবেদক ওমর রশিদ ও তার এক বন্ধুকে। তার পর দুই ঘণ্টা ধরে তাদের আটকে রাখা হয় পুলিশ স্টেশনে।

              ওমর জানান, আমাকে থানায় নিয়ে নানা রকমের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, টেনে দাড়ি ছিঁড়ে নেব। আমার বন্ধুকে পেটানো হয়। বেশ কিছুক্ষণ হেনস্থা করার পর আমাকে ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসী পুলিশ।

              ওমর আরো জানান, একটি খবরের জন্য তিনি আর তার বন্ধু গিয়েছিলেন ওই রেস্তোরাঁয়। ওমর তার বন্ধুর মোবাইলের ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করছিলেন তার কাজের জন্য। সেই সময় সাদা পোশাকে তিন-চার জন রেস্তোরাঁয় ঢুকে তাদের টেবিলের কাছে চলে আসে।

              তিনি আরো বলেন, এর পরেই তারা নানা অবান্তর প্রশ্ন করতে শুরু করে আমার বন্ধুকে। তারা আমার ও আমার বন্ধুর কাছে তাদের পরিচিতি জানতে চায়। কেন আমরা রেস্তোরাঁয় বসে আছি, জানতে চায়। তার পর আমাকে ও আমার বন্ধুকে তারা টেনে নিয়ে গিয়ে রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড় করানো পুলিশের একটি জিপে তোলে। আমি পরিচিতি জানালেও রেহাই মেলেনি।

              ওমরের কথায়, ওরা আমাদের থানায় নিয়ে গিয়ে একটা ঘরে বন্ধ করে রাখল। ওরা আমার মোবাইলসহ আর যা কিছু সঙ্গে ছিল, সবই কেড়ে নিল। বেধড়ক মারধর করল আমার বন্ধুকে। নানা রকমভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে ওরা আমাদের বলল, লখনৌর হিংসার ঘটনার চক্রান্তে নাকি আমরা জড়িত। কাশ্মীরিদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কতটা, ওরাও লখনৌর ঘটনায় জড়িত ছিল কি না, সেই সব জানতে চাইল আমাদের কাছে। ওরা বার বার বলছিল, আমার বিরুদ্ধে ওদের কাছে নথিপত্র আছে। তার পর আমাকে গালিগালাজ করা শুরু করল অকথ্য ভাষায়। বলা হলো, টেনে আমার দাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হবে।

              সুত্রঃ কালের কন্ঠ


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/21/30105/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সন্ত্রাসী পুলিশের লাঠিতে ছাত্রী আহত, শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি


                বগুড়ার পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির এক শিক্ষার্থী আওয়ামী দালাল সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনীর লাঠির আঘাতে আহত হন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেন। বগুড়ায় হাইওয়ে সন্ত্রাসী পুলিশের লাঠির আঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাসস্ট্যান্ড স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে। আহত ছাত্রী টিএমএসএস পরিচালিত পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

                আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সোহানুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম আজাদ-উদ-দৌলা প্রধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি পেশ করেছেন।

                বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল ক্লাস শেষে পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটির ছাত্রী তাসমিয়া জাহান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোকুল ক্যাম্পাস থেকে একটি ইজিবাইকে চড়ে বগুড়া শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। শহরের মাটিডালি এলাকায় হাইওয়ে সন্ত্রাসী পুলিশ মহাসড়কে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে গাড়িতে আঘাত করে। এতে লাঠির আঘাত লাগে ইজিবাইকের যাত্রী তাসমিয়ার। একপর্যায়ে পুলিশ ইজিবাইক ধাক্কা দিয়ে উল্টে দিলে তাসমিয়া পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পান।

                বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে আঘাত ও অপদস্থ করার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গতকাল বিকেল চারটার দিকে গোকুল এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের মহাস্থান থেকে মাটিডালি পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

                এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের রকিমুজ্জামান রকি নামের এক শিক্ষার্থী সন্ত্রাসী পুলিশকে ক্ষমা চাইতে বললে বগুড়া সদর থানা-পুলিশ তাঁকে আটক করে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/21/30108/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ধর্ষিত ছাত্রীর মামলায় ৪০ হাজার পাবে সন্ত্রাসী পুলিশ, মধ্যস্থতায় সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা


                  নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা মাতবররা সালিস বৈঠকে ৮০ হাজার টাকায় ফায়সালা করেছে। ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, এর মধ্যে সন্ত্রাসী পুলিশের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আওয়ামী দালাল পুলিশের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করা হবে।

                  গত বৃহস্পতিবার রাতে নড়াইল সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা গ্রামে মান্নান শিকদারের বাড়িতে সালিস বৈঠকে ফায়সালাটি হয়। মাইজপাড়া ইউনিয়ন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় মাতবর সলেমান মোল্যার সভাপতিত্বে সালিসে আরো উপস্থিত ছিল আলি মিয়া, বক্কার মোল্যা, আজিজার মোল্যা, আবু তাহের মোল্যা, মোনায়েম শেখ মোল্যা, ধর্ষণে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর পরিবারসহ ২৫-৩০ জন। গতকাল শুক্রবার বোড়ামারায় গিয়ে এ তথ্যের সত্যতা মিলেছে। অভিযুক্ত আমজাদ মুন্সী (৫০) বোড়ামারার মৃত হবিবার মুন্সীর ছেলে।

                  নির্যাতিত শিশুটির পরিবার জানায়, ৭ ডিসেম্বর প্রথম দফা ও ১১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা সালিসে এক লাখ টাকা মামলার বাদীর পরিবারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তৃতীয় দফা সালিসে ৮০ হাজার টাকায় রফা হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাম্য সালিসকারীরা ও ৭০ হাজার টাকা ভুক্তভোগীর পরিবার পাবে। আর পুলিশের জন্য ‘যা করা দরকার তা’ আসামিপক্ষ করবে বলে সালিসে সিদ্ধান্ত হয়।

                  শিশুটির বাবা জানান, সালিসের সভাপতি সলেমান মোল্যার কাছ থেকে তিনি ৭০ হাজার টাকা বুঝে পেয়েছেন। পুলিশের অংশ আসামিরা মেটাবে। মামলা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘ঘটনা শুনে মামলা করেছি। এখন গ্রামের লোকের চাপে সালিসে মীমাংসা করতে বাধ্য হয়েছি।’

                  ধর্ষণে অভিযুক্ত আমজাদ মুন্সীকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। সে মামলার পরদিন থেকেই পলাতক। তাঁর পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সালিস হয়েছে। শুক্র-শনিবার আদালত বন্ধ। কাল রবিবার পুলিশের মাধ্যমে মামলাটি মিটমাট করা হবে। আমজাদের স্ত্রী পিয়ারী বেগম বলেন, গ্রাম্য মাতবররা সালিসে ৮০ হাজার টাকায় মীমাংসা করেছে। মাতবররা বলেছে, অর্ধেক টাকা মামলার বাদীর পরিবার পাবে; বাকি ৪০ হাজার টাকায় পুলিশের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করা হবে।

                  এ সময় সালিসে অন্যতম মীমাংসাকারী মাতবর মোনায়েম শেখ সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এই প্রতিনিধির দিকে তেড়ে আসে। সে সালিসে ছিল না দাবি করে বলে, ‘এগুলো সাংবাদিকের কাজ না। আপনারা এখান থেকে চলে যান। নাহলে খুব ভালো হবে না।’

                  উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর দুপুরে শিশুটির মা-বাবা বাইরে ছিলেন। এ সময় শিশুটিকে তাদের ঘরে ধর্ষণ করে আমজাদ মুন্সী। শিশুটির চিৎকারে তার ভাবি দৌড়ে এলে আমজাদ তাঁকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর শিশুটির বোন নড়াইল সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করে।

                  সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/21/30111/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    গোয়েন্তানামোর বন্দী আবু জুবাইদাহ, নিজ হাতে আঁকলেন মার্কিনীদের নির্যাতনের ছবি
                    এই ভাইয়ের নির্যাতনের কাহিনী পড়ে কি বলব ভাষা হারিয়ে ফেলেছি....!
                    আল্লাহ তা‘আলা এই ভাইয়ের প্রতি ও বাকি সকল নির্যাতিত ভাইদের-বোনদের প্রতি আপন রহমতের বারিধারা বর্ষণ করুন এবং ঈমানের প্রতি অটল-অবিচল রাখুন। আমীন
                    ইয়া রব্ব! আমাদের অক্ষমতাকে কবুল করুন....
                    আমেরিকার সকল জুলুমের বদলা নেওয়ার তাওফীক দান করুন...আল্লাহুম্মা আমীন
                    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                    Comment


                    • #11
                      আল্লাহ মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                      Comment


                      • #12
                        muhammad sadik ভাইয়ের কমেন্ট
                        মা বলেছে,
                        "যদি গুলি চলে মিছিলে,
                        প্রথম গুলি যেন লাগে তোর কপালে "

                        কলকাতার এক বিক্ষোভকারী মুসলিমের ভায়ের প্লেকার্ডের লেখা,,,,,,,
                        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহ তায়ালা ওই সকল নাপাক কাফেরদের এর চেয়ে ভয়াবহ শাস্তি দিন।
                          যাতে তাদের কৃতকর্মের যথাযথ ফল ভোগ করতে পারে।
                          নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কঠিন শাস্তিদাতা।
                          মুজাহিদীনকে ভালবাসুন, তাদের সাপোর্ট করুন!
                          কেননা, তারাই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথে অটল রয়েছেন।

                          Comment

                          Working...
                          X