Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২২শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২২শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    উত্তাল ভারতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২, শুধু উত্তর প্রদেশেই ১৫


    ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী চলমান বিক্ষোভে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ আইনের প্রতিবাদে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার পর বিক্ষোভ গড়িয়েছে সপ্তম দিনে। বেশি উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে উত্তর প্রদেশ, আসাম ও দিল্লিতে। এ তিন রাজ্যে শনিবারও সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। উত্তর প্রদেশের রামপুরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে শনিবার আরও এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ নিয়ে এই রাজ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন। এর আগে আসামসহ বিভিন্ন রাজ্যে সহিংসতায় মারা গেছে সাতজন।

    গত ১২ ডিসেম্বর ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভরত অবস্থায় ২ জন প্রাণ হারায়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সংঘর্ষে নিহত হয় ৯ জন। শনিবার রাজ্যের রামপুরের ঈদগাহ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের পর সেখানে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে পাথর ছুড়লে তাদের লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। সবমিলে উত্তর প্রদেশে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।

    বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে অন্তত এক হাজার জনকে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশেই ৭০৫ জন আটক হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, বিহার, গুজরাট, কেরালা, মেঘালয়সহ বিভিন্ন রাজ্যে নাগরিক আইনের প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

    গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর উত্তর প্রদেশে সহিংসতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে বৃহস্পতিবার লক্ষ্ণৌ ও সামভালে একজন করে নিহত হয়। পুলিশ জানায়, মিরুত এলাকায় চারজন, ফিরোজাবাদ ও বিজনুর এলাকায় দুইজন করে, সামভাল, কানপুর, বারাণসী ও লক্ষ্ণৌতে একজন করে মারা গেছে। শনিবার সহিংসতার আবহেই নতুন করে বিক্ষোভ দেখা যায় উত্তর প্রদেশের রামপুরে। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগোতে থাকলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পুলিশের ওপর পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষের পর থেকে এখানে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ আছে।

    এর আগে ১২ ডিসেম্বর আসামে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশের গুলিতে তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও দুই জনের।

    ১৯ ডিসেম্বর কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীরা ম্যাঙ্গালুরু নর্থ থানা দখল করতে এলে ফাঁকা গুলি চালানো হয়। তবে সে সময় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও বার্তায় পুলিশকে সরাসরি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাতে দেখা গেছে। ওই দিনের সংঘর্ষে ২ জন প্রাণ হারায়। (তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, এই সময়, এনডিটিভি)

    এদিকে গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসী যোগী আদিত্যনাথ বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রতিশোধ নেয়া হবে।

    এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ ও সামবালে বিক্ষোভে সহিংসতায় তিন জন মারা যাওয়ার পর শুক্রবার পুরো উত্তর প্রদেশই থমথমে হয়ে পড়ে। প্রায় ৩৫০ জনকে আটক করে পুলিশ।

    জুমার নামাজ ঘিরে নেয়া হয় কড়া ব্যবস্থা। সভা সমাবেশের ওপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। তা অমান্য করে নামাজের পর রাজ্যের ১৩টি জেলায় শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।

    উল্লেখ্য, ভারতে গত ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)। এতে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আইনটিকে মুসলিমবিরোধী আখ্যা দিয়ে ভারতজুড়ে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উত্তর প্রদেশ।

    সূত্র: দ্যা ওয়াল।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30127/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘অসমে গুলি চলেছে, বাংলায় বিক্ষোভ হলে, সেখানেও গুলি চলবে:-দিলীপ ঘোষ।


    আগের মতই আবারও বেফাঁস মন্তব্য করে বসল সন্ত্রাসী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ।

    গত শনিবার দুপুরে বাঁকুড়া শহরের হিন্দি স্কুল ময়দান থেকে তামিলবাঁধ ময়দান পর্যন্ত মিছিলে পা মেলান দিলীপ ঘোষ। মিছিল শেষে তামিলবাঁধ ময়দানে একটি সভা করে। সেখানেই সে বলেছে, ‘অসমে গুলি চলেছে। বাংলার যেখানে যেখানে বিক্ষোভ হবে, সেখানেও গুলি চলবে। বিরোধিতা করে আন্দোলন করলে মরতেই হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। সব জায়গায় বন্দুক চলবে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30130/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মালাউনদের করা এনআরসি আতঙ্কে একই গ্রামে দুই মুসলিমের মৃত্যু!


      ভারতের কাটোয়ার করুই গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এনআরসি আতঙ্ক কাড়ল দুটি প্রাণ। এলাকাজুড়ে শোক। নতুনগ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আবদুস সাত্তার শেখ (৬৫) আর পশ্চিমপাড়ার আবুল কাশেম শেখের (৬৮) ভোটার কার্ডের নামের সঙ্গে আধার কার্ডের নামের মিল না থাকায় খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন দুজনেই। এনআরসি নিয়ে আলোচনা ও আতঙ্কে দুজনেই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। পঞ্চায়েত, বিডিও অফিসে ছোটাছুটি করেও কিছু কূলকিনারা করতে পারছিলেন না। ক’দিন ধরে ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়াও করছিলেন না। রাতের ঘুম পর্যন্ত ছুটে গিয়েছিল। শেষমেশ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে দুজনেরই মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নমাজ পড়ে বাড়ি এসে সামান্য খাবার মুখে দেন আবুল কাশেম। কিছুক্ষণ পর থেকেই শরীর আনচান করতে থাকে। ঘামতে থাকেন। তারপর জ্ঞান হারিয়ে ঘরের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন। আর জ্ঞান ফেরেনি। কাশেমের ছেলে হাসিবুল শেখ বলছিলেন, ‘বাবার আধার কার্ড আর ভোটার কার্ডের নামের বানান একরকম ছিল না। জন্ম সার্টিফিকেটও নেই। এনআরসি নিয়ে চতুর্দিকে গোলমাল হওয়ায় বাবা তাই খুব উদ্বেগে ছিলেন। কেবল বলতেন, তোদের নিয়ে এই বয়সে কোথায় যাব? শেষমেশ এনআরসি–র আতঙ্কেই বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেল।’ মৃত আবদুস সাত্তার শেখের ছেলে মণিরুল ইসলাম, ভাইপো সফিকুল ইসলামরাও এই মৃত্যূর জন্য এনআরসি আতঙ্ককেই দুষছেন। তাঁদের বক্তব্য, এলাকার গোটা মুসলিম সমাজই এনআরসি নিয়ে চরম চাপে রয়েছে। রোজকার কাজকর্ম ভুলে নথিপত্র সংশোধন করতে পঞ্চায়েত অফিস–*সহ বিভিন্ন সরকারি অফিস ঘুরে ঘুরে পায়ের শিরা ছিঁড়ে যাচ্ছে। অফিসগুলোও ঘোরাচ্ছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পরিবার, সন্তান বা আত্মীয়দের সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক কুরে কুরে খেত দুই বন্ধু আবদুস সাত্তার আর আবুল কাশেমকে। মসজিদে, ইদগাহতে, মাঠে–*ঘাটে কারও সঙ্গে দেখা হলেই সেই দুশ্চিন্তাই উগরে দিতেন দুজনেই। কিছুদিন ধরে মানসিকভাবেও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ঘরের মধ্যেও একা থাকলে দু’চোখ বেয়ে জল গড়াত। এলাকার সংশ্লিষ্ট করুই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সুখেশ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষোভ, ‘এনআরসি–*র শিকার হলেন আমাদের অঞ্চলের দুই বরিষ্ঠ নাগরিক। বিজেপি নেতৃত্ব দেখুন কী ভয়ঙ্কর আইন দেশে চালু করতে চলেছে।’
      বিষয়টি জেনেছেন সংশ্লিষ্ট কাটোয়া ২নং ব্লকের বিডিও শমীক পাণিগ্রাহি। ঘটনাটি ‘খুবই দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বললেন, ‘শুনছি ওঁদের সরকারি নথিতে নামের গন্ডগোল ছিল। সেটা সংশোধনের জন্য ওঁরা ঘোরাঘুরি করছিলেন অনেকদিন ধরে। এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।’


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30135/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        উত্তর প্রদেশে ‘মেরে ফেল সবকয়টাকে’ বলেই সন্ত্রাসী পুলিশের গুলি’(ভিডিও)


        নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল রয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর প্রদেশের বহু অংশে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অনেকে। তবে রাজ্য পুলিশ বলছে তারা কোথাও বিক্ষোভকারীদের উপর একটি গুলিও করেনি। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে পুলিশের গুলির প্রমাণ মিলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশের দাবির বিপরীতটিই দেখা গেছে।

        ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে দেশটির কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম নিহতের সংখ্যা ২০ বলে দাবি করছে।

        প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালিয়েছে। শনিবার কানপুরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীনই এই দাবির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে কানপুরে এক পুলিশ সদস্য তার রিভলবার দিয়ে গুলি করছে।

        ভিডিওতে দেখা যায়, ওই পুলিশ সদস্য একটি জ্যাকেট এবং হেলমেট পরা ছিল। বিক্ষোভের সময় একটি রিভলবার এবং লাঠি নিয়ে হাঁটতে দেখা যায় তাকে। পরে এক কোনায় গিয়ে গুলি করে সে।

        ভারতীয় আরেকটি সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেফটি জ্যাকেট ও হেলমেট পড়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এসময় রিভলবার নিয়ে সামনের দিকে ছুটে যায় এক পুলিশ অফিসার। তখন পিছন থাকা পুলিশদের মধ্যে একজন বলে, ‘মেরে ফেল সবকয়টাকে।’ সে কথা কানে যেতেই ট্রিগারে চাপ দেয় ওই পুলিশ সন্ত্রাসী।

        ভিডিও

        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30134/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হাইতিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর হাতে ধর্ষণের শিকার শত শত শিশু!


          জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের আড়ালে সন্ত্রাসী মিশনে অংসগ্রহণকারী অনেক সেনা আফ্রিকার দেশ হাইতিতে অবস্থানের সময় দেশটির নারীদের সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে শত শত শিশুর জন্ম দিয়ে শিশুগুলোকে ফেলে চলে এসেছে। সেসব শিশুকে এখন চরম দারিদ্র্য ও প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে কষ্টেসৃষ্টে একা হাতে লালন-পালন করছেন তাদের অসহায় মায়েরা।

          জাতিসংঘ নামক এই কুফ্ফার সংঘ অবশ্য এর আগে হাইতি ও আফ্রিকার অন্য দেশগুলোতে মোতায়েন শান্তিরক্ষার নামে অশান্তি সৃষ্টিকারী বাহিনীর সদস্যদের যৌন শোষণ, নির্যাতন ও অপকর্মের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল।

          তবে হাইতির ভুক্তভোগীদের নিয়ে করা নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সন্ত্রাসী সদস্যদের অনৈতিক বিষয়টি দেশটির জন্য কত মারাত্মক সমস্যার তৈরি করেছে।

          মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় উঠে আসা তথ্যমতে, ১১ বছর বয়সী মেয়েরাও শান্তিরক্ষী হায়নার দলের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার ও গর্ভবতী হয়েছেন। শান্তিরক্ষীদের দ্বারা যেসব শিশুর জন্মেছে তারা এখন মারাত্মক এক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে বড় হচ্ছে।

          যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক সাবিনা লি ও অন্টারিওর কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকাল সায়েন্টিস্ট সুসান বার্টেলসের এ গবেষণাটি করেছেন। গবেষকরা সেখানকার শান্তিরক্ষী নামক সসন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার ২৬৫ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানতে পারেন।

          যারা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তারা বলছে, বিশ্বের ১৩টি দেশের সামরিক-বেসামরিক সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আড়ালী সন্ত্রাসী ও অবৈধ সকল কাজে জড়িত এই বাহিনীতে কাজ করতে হাইতিতে আসে, এখানে এসে সন্ত্রাসী বিহিনীর সদস্যরা হাইতির প্রাপ্ত কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের গর্ভবতী করে চলে যায়।

          গবেষকদ্বয় লিখেছেন, সাক্ষাৎকার যাদের নেয়া হয়েছে তারা এই কথাগুলো স্বীকার করেছেন। তার মানে প্রকৃত অর্থে সমস্যার ব্যাপ্তি কত ভয়াবহ তা সহজেই অনুমেয়। কেননা এবিষয়ে সহযেই কেউ কথা বলতে পছন্দ করেন না। এর আগেও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল সামান্য অর্থ বা খাবারের বিনিময়ে শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে এই শান্তিরক্ষী নামক হায়নার দলের সদস্যরা।

          ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হাইতিতে জাতিসংঘ নামক কুফ্ফার শান্তিরক্ষী (সন্ত্রাসী) বাহিনী অবস্থান করেছে। পরে সন্তান জন্মদানের পর ওই নারীরা নিদারুণ দারিদ্র্যের মধ্যে পড়েন। এক হাইতিয়ান নাগরিক বলেন, ‘আপনার হাতে কিছু পয়সা দিয়ে পেটে বাচ্চা দিয়ে গেলো।‘ দ্য কনভারসেশন ওয়েবসাইটে গবেষণার ফলাফল প্রথম প্রকাশিত হলে এ তথ্য জানা যায়।

          জাতিসংঘ নামক কুফ্ফার সংঘ এর আগে স্বীকার করেছিল যে, ২০০৪ থেকে ২০০৭ সময়কালে হাইতিতে মোতায়েন শতাধিক শ্রীলঙ্কান শান্তিরক্ষী ৯ শিশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। কিন্তু ওই শান্তিরক্ষী নামক হয়নাদের নিজ দেশে পাঠানো হলেও তাদের কোনো সাজা হয়নি।

          আইন বিশেষজ্ঞ ও ত্রাণকর্মীরা বলছেন, জাতিসংঘ নামক কুফ্ফার সংঞ ভুক্তভোগী নারী ও শিশুদের সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিছুদিন আগে হাইতিয়ান আইনজীবীরা এমন ১০ সন্তানের পক্ষে পিতৃত্বের দাবিতে মামলা করেছেন। তাদের একজন সিয়েনা মেরোপ সিনগি বলেন, ২০১৬ সালে এ ব্যাপারে জাতিসংঘ নামক কুফ্ফার সংঘের সহায়তা চাওয়া হলে তখন এই সন্ত্রাসী ও কুফ্ফার সংঘটি পাশে দাঁড়ায়নি।

          গবেষকদলের অন্যতম সদস্য লি বলছেন, শান্তিরক্ষী মিশনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোরই এখন এই মা ও তার সন্তানদের দায়িত্ব নেয়া উচিত।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30143/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            উত্তাল ভারত, মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইনবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নারীরাও


            মুসলিম নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে উত্তাল ভারত। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পোস্টার, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। চলমান আন্দোলনে পুরুষদের পাশাপাশি সক্রিয় নারীরাও।

            শুধু নারী শিক্ষার্থীরাই নন, সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী। তাদের একটাই কথা, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না।

            কেউ পোস্টার আঁকছেন, কেউ সংগঠকের দায়িত্ব পালন করছেন।

            কেউবা প্রতিবাদী সেই পোস্টার নিয়ে রাস্তায় নামছেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা, ছাত্রদের মতই সোচ্চার। তারা বলছেন, যত প্রতিকূলতাই আসুক, আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন না। অন্যায় এই আইনের বিরুদ্ধে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ফিরে যাবেন না ক্লাসরুমে কিংবা ঘরে।

            এ ব্যাপারে আন্দোলনে অংশ নেয়া নারীরা জানায়, আমরা ঘরেই থাকতে চেয়েছিলাম।

            কিন্তু আমাদের বাধ্য করা হয়েছে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নামতে। সরকারকে বলছি, আমাদের সরাতে পুলিশ দিয়ে পিটিয়েও লাভ হবে না। আমাদের দাবি মানতেই হবে।

            সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30155/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, গণমাধ্যমকে ‘সতর্কতা’ হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী মোদি সরকারের


              ভারতে সদ্য পাস হওয়া নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ। বিক্ষোভ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সরকার ও প্রশাসন। বেগতিক অবস্থায় পড়ে মাঠ পর্যায়ে পেশাগত দায়িত্বরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করছে সন্ত্রাসী পুলিশ।

              এবার প্রতিবাদ-বিক্ষোভের খবর প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে ‘বিশেষ নির্দেশিকা’ দিয়েছে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদির সরকার।

              এদিকে, এটাকে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভের খবর প্রচারের ক্ষেত্রে বিজেপি সরকারের ‘সতর্কতা’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

              এ ব্যাপারে গত ২০ ডিসেম্বর জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশিকায় ‘দেশবিরোধী ও সহিংসতা ছড়াতে পারে’ এমন অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ রাখতে বলা হয়।

              কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এখনো কিছু টিভি চ্যানেল ওই নির্দেশিকা অমান্য করছে। তারা এমন খবর ও অনুষ্ঠান প্রচার করছে, যা অশান্তি ছড়াতে পারে। তাই ফের এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।

              এর আগে, সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হতেই দেশের সব সংবাদমাধ্যমের কাছে ১১ ডিসেম্বর প্রথম নির্দেশিকা দেয় বিজেপির সরকার। কিন্তু ওই নির্দেশনার পরও সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সরকারের মনমতো আচরণ না করায় নতুন নির্দেশিকা জারি করা হলো।

              এতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়, দেশের অখণ্ডতায় আঘাত আনতে পারে এমন কোনো বিষয়বস্তু প্রচার করা যাবে না। সহিংসতা ছড়াতে বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এমন খবরও প্রচার করা যাবে না। প্রকাশ-প্রচার করা যাবে না জাতীয়তাবাদবিরোধী কোনো খবরও।

              সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30158/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড যশোরে


                গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যশোরে রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

                রবিবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, খুলনা, যশোর, পাবনা ও রাজশাহী অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে। তবে আগামীকাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।

                আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাওসার পারভিন জানান, রবিবার থেকে সূর্যের দেখা মিলতে পারে, তখন দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে যাবে। তবে ঢাকার পূর্বদিক এবং ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহী এবং রংপুরে শীতের তীব্রতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

                সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30161/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  মান্দায় রাস্তার বেহাল দশা, সংস্কারের উদ্যোগ নেই


                  নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট হতে পাঁঠাকাটা পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

                  স্থানীয়রা জানান, আত্রাই নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ এ বাঁধের সংস্কার নেই দীর্ঘদিন। ফলে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে ছোটবড় অনেক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দু’ধার ভেঙে গিয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েছে পাকা রাস্তাটি। অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।

                  তারা আরো জানান, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে ট্রাক্টর, ভটভটি, অটোরিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল, মোটরবাইকসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। ঝুঁকিপূর্ণ এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই পুঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

                  সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30164/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করল সন্ত্রাসী বিএসএফ


                    ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বেতনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী সন্ত্রাসী বিএসফের গুলিতে রেজাবুল ইসলাম (২৭) নামের বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন।

                    রোববার ভোরে উপজেলার বেতনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাবার সময় সন্ত্রাসী বিএসএফের গুলিতে আহত হয় রেজাবুল। পরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

                    হরিপুর উপজেলার বিজিবি-৭ ক্যাম্পের প্রধান নায়েব সুবেদার আব্দুস সালাম এসব তথ্য জানিয়েছে।

                    নায়েব সুবেদার আব্দুস সালাম জানান, হরিপুর উপজেলার বেতনা সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন যুবক ভারতে ব্যবসা করার জন্য গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে অন্যরা রক্ষা পেলেও রেজাবুল ইসলাম বিএসএফের গুলিতে আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

                    সুত্রঃ সমকাল


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30167/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      সেই কুখ্যাত গাদ্দার পারভেজ মোশাররফের করুণ পরিণতি!


                      রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক মুরতাদ পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। গত মঙ্গলবার দেশটির বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেয়।
                      ১৯৯৯ সালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অপসারণ করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করে মোশাররফ। শাসনকালীন সময় ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপকর্মে লিপ্ত হয় এই মুরতাদ মোশাররফ। গত ২০১৩ সালে দেশটির সাবেক এই স্বৈরশাসককে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলাটি ২০১৩ সাল থেকে ঝুলে ছিলো। এরপরই এই রায় এলো।
                      এপিএমএলের আফজাল সিদ্দিকী জানান, পারভেজ মোশাররফ অ্যামিলয়ডোসিসে ভুগছে। এই বিরল রোগের জন্যই মোশাররফ এখন দুবাইতে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছে। এই রোগ তার স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
                      এই রোগের কারণে শরীরে কোনো কোনো অঙ্গে অ্যামিলয়িড তৈরি হয়। অ্যামিলয়িড হলো অনিয়ন্ত্রিত প্রোটিন যেটা অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়।
                      রায়ে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে যদি মোশাররফ মারা যায়, তাহলে তার মৃতদেহ ডি–চক ইসলামাবাদে নিয়ে এসে তিনদিন ঝুলিয়ে রাখা হবে।
                      এদিকে, মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর পাকিস্তানের ঐতিহাসিক লাল মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা গাজী আব্দুল আজীজ দাঃবাঃ সাংবাদিকদের এক সাক্ষাতকার দেন। সাক্ষাতকারটি জামিয়া হাফসার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাতকারে পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে হযরতের প্রতিক্রিয়া কেমন জানতে চাইলে, তিনি প্রথমে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করে বলেন, আমেরিকার কাছে ঈমান বিক্রেতা এই গাদ্দার পারভেজ মোশাররফ ২০০৭ সালে ঐতিহাসিক লাল মসজিদ এবং এর সাথে সংযুক্ত জামিয়া হাফসা মাদরাসায় সামরিক সন্ত্রাসীদের দিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে লাল মসজিদের সম্মানিত খতিব আল্লামা গাজি আব্দুর রশিদ রহিমাহুল্লাহ সহ শত শত শিক্ষার্থীকে শহীদ করে যে অপরাধ করেছে, তাকে যদি লাখ বারও ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলেও তার অপরাধের যথার্থ শাস্তি হবে না। সাক্ষাতকারটিতে তিনি অন্যান্য জালেম শাসকদেরকে মোশাররফের করুণ পরিণতি থেকে শিক্ষাগ্রহণ করার কথাও বলেছেন।

                      বিশ্বসন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ”-এর নামে আফগানিস্তানে যে হামলা শুরু করে তাতে আমেরিকার পক্ষ নিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ছিল সন্ত্রাসী পারভেজ মোশাররফও।

                      মোশাররফ বলেছিল, তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল ফোনে তাকে আলটিমেটাম দিয়েছে যে: “আপনি আমাদের সাথে আছেন অথবা আমাদের বিপক্ষে।” মোশাররফ তখন আফগান তালেবানদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমেরিকা ও ন্যাটোকে পাকিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে হামলার অনুমতি দেয় ও পাকিস্তানের কয়েকটি অঞ্চলে মার্কিন ড্রোন হামলার অনুমোদন দিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করে।

                      ২০০৭ সালে গাদ্দার মোশাররফ পাকিস্তানের মুরতাদ সামরিক বাহিনীকে রাজধানী ইসলামাবাদের লাল মসজিদে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। জামিয়া হাফসা মহিলা মাদ্রাসা এবং লাল মসজিদে পাকিস্তানী সেনাদের বর্বরোচিত হামলায় সেদিন বহু নিরীহ মুসলিম-মুসলিমা শাহাদাতবরণ করেছেন।

                      এছাড়াও, আমেরিকার গোলাম গাদ্দার পারভেজ মোশাররফ ক্ষমতায় থাকাকালীন বোন আফিয়া সিদ্দিকাসহ বহু নিরীহ নিরপরাধ মুসলিমদেরকে আমেরিকার কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। তাই আজও কারাগারের অন্ধকার থেকে মুরতাদ পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে অশ্রু ফেলে দোয়া করেন শত শত নিপীড়িত মুসলিম নরনারী। আর ইতিহাসও এভাবেই গাদ্দারদের ঘৃণাভরে স্মরণ করবে।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/22/30168/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ মুসলমানদেরকে হেফাজতে রাখুন,আমিন।
                        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                        Comment

                        Working...
                        X