Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৬শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৪শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৬শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৪শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ভারত জবরদখলকৃত কাশ্মীরে মসজিদ ভেঙে ব্রিজ নির্মাণ


    ভারত জবরদখলকৃত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে চার দশকের পুরনো একটি মসজিদটি ভেঙে ব্রিজ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যটির মালাউন কর্তৃপক্ষ।

    ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ, কাশ্মীরের শ্রীনগরে ঝিলম নদীর পাশে আবু তুরাব নামে প্রাচীন মসজিদ অবস্থিত। সেখান দিয়ে ঝিলম নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু মসজিদ ভাঙ্গার বিষয়টি আসলে স্থানীয় কুমারওয়ারির বাসিন্দারা এতে বাধা দেন ও অসম্মতি জানান। যে কারণে ২০০২ সালে ব্রিজ নির্মাণের সেই কাজ আটকে যায়।

    অবশেষে ১৭ বছর পর আবারো মসজিদ ভেঙ্গে ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনার কাজে হাত দিয়েছে মালাউন প্রশাসন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30233/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বেহাল অর্থনীতি! তবুও ৮৫০০কোটি ব্যয়ে এনপিআর পুনর্নবীকরণের সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা


    একদিকে গোটা ভারতজুড়ে সিএএ–এনআরসি বিরোধিতা চরমে উঠেছে। অন্যদিকে, জাতীয় অর্থনীতি প্রায় আইসিইউ–তে চলে গিয়েছে। পরপর বন্ধ হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি। বিক্রি হতে বসেছে সরকারি সংস্থাও। কর্মসংস্থানের অভাবে ধুঁকছে সারা দেশ। পেঁয়াজ, আলু, রান্নার গ্যাসের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম প্রায় রকেটের গতিতে উপরে উঠছে। তার মধ্যেই মালাউন সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মঙ্গলবার হওয়া বৈঠকে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার বা এনপিআর পুনর্নবীকরণের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এজন্য খরচ হবে ৮৫০০ কোটি টাকা, জানিয়েছে কেন্দ্র। যেহেতু এনপিআর সেনসাসের অন্তর্ভুক্ত, সেহেতু এনপিআর আসলে এনআরসি লাগুর প্রথম পদক্ষেপ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। একইসঙ্গে বেহাল অর্থনৈতিক দশার মধ্যে এত অর্থ ব্যয়ে এই কাজের জন্য কেন্দ্রকে সমালোচনাও করছেন অর্থনীতিবিদরা।
    সেনসাস কমিশনের ব্যাখ্যা, এনপিআর–এর আসল উদ্দেশ্য, দেশের প্রত্যেক ‘*ইউজুয়াল রেসিডেন্ট’* বা সেই সব নাগরিক, যাঁরা ৬ মাস বা তার বেশি কোনও একটি জায়গায় বসবাস করেছেন বা করবেন, তাঁদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয়ের তথ্যভান্ডার তৈরি করা। এই তথ্যভান্ডার প্রত্যেকের বিস্তারিত বায়োমেট্রিক এবং ডেমোগ্র*্যাফিক তথ্য নিয়েই তৈরি হবে। প্রত্যেক ‘*ইউজুয়াল রেসিডেন্ট’–রই এনপিআর–এ নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০–এ ইউপিএ–র আমলে প্রথমবার এনপিআর হয়েছিল। মন্ত্রিসভা সূত্রে খবর, এবারের এনপিআর অনেক বিস্তারিতভাবে হবে।

    সূত্র: আজকাল


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30246/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে দেবলীনার ওপর হামলা


      কলকাতায় হামলার শিকার হয়েছে দেবলীনা মজুমদার। রবিবার রাতে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় একটি সিএএ বিরোধী মিছিলের পরেই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় আহত দেবলীনা ও তার সঙ্গীদের স্থানীয় একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক শুশ্রুষার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুষ্কৃতিকারীরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে তাদের আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ।

      জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন অঞ্চলে সিএএ-বিরোধী একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নিয়েছিল দেবলীনা মজুমদার। ওই মিছিলটি ছিল ‘ফেমিনিস্ট ইন রেসিস্ট্যান্স’ গ্রুপের।

      ‘দ্য হিন্দু’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিছিলটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে যখন দেবলীনা ও তাঁর সঙ্গীরা স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বিশ্রাম নিচ্ছিল, তখনই একদল দুষ্কৃতিকারী ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে তাদের আক্রমণ করে।

      দেবলীনা ‘দ্য হিন্দু’-কে জানিয়েছে, মিছিলের শেষে আমরা যখন চা খাচ্ছিলাম তখন ৮ জন লোক আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা জয় শ্রীরাম বলে চিৎকার করতে থাকে আর এলোপাথাড়ি স্টিক দিয়ে মারতে শুরু করে।” এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দেবলীনা ও তাঁর সঙ্গীরা।

      দেবলীনা ‘দ্য হি্ন্দু’কে জানিয়েছেন যে তাঁর ক্যামেরাও ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা।

      ঘটনার পরে স্থানীয় একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক শুশ্রুষার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দেবলীনা ও তাঁর সঙ্গীদের।

      সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30252/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হিজাব পরায় সমাবর্তনে ঢুকতে বাধা, স্বর্ণপদক নিতে অস্বীকার মুসলিম ছাত্রীর


        একদিকে যখন পোশাক নিয়ে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যে ভারতজুড়ে বিতর্কের ঝড় বইছে, ঠিক তখনই শিক্ষাক্ষেত্রেও পোশাক নিয়ে সমস্যায় পড়তে হল এক ছাত্রীকে। হিজাব পরে সমাবর্তনে যোগ দেওয়া যাবে না। অনুষ্ঠানে ঢুকতে গেলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ওই ছাত্রীকে। বলা হয়, সমাবর্তনে যোগ দিতে হলে হিজাব খুলে আসতে হবে।

        ঘটনা পুদুচেরী বিশ্ববিদ্যালয়ের। জানা গেছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশনে স্নাতোকত্তরে সর্বোচ্চ নম্বরের অধিকারী রাবিহা আব্দুরেহিম। তাই সমাবর্তনে তার হাতেই উঠত সোনার পদক।

        বিশ্ববিদ্যালয়ের জওহরলাল নেহরু অডিটরিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার হাত থেকেই হয়তো সাফল্যের পুরস্কার পেতেন রাবিহা। কিন্তু সেই সময় অনুষ্ঠানে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি তাকে। কারণ সেই হিজাব।

        ২০১৮ সালের ব্যাচের ওই ছাত্রী জানান, রাষ্ট্রপতি আসার কিছুক্ষণ আগেই তিনি অডিটরিয়ামে প্রবেশ করতে যান। কিন্তু সেখানেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে বাধা দেয়। বলা হয়, হিজাব খুলে না এলে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। নিরাপত্তারক্ষীদের প্রস্তাবে রাজি হননি রাহিবা। রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের পদক ও সার্টিফিকেট দিতে শুরু করে। কিন্তু গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে, সোনার পদক নিতে অস্বীকার করেন রাবিহা। শুধু সার্টিফিকেট নিয়েই বেরিয়ে আসেন তিনি।

        ক্ষুব্ধ রাবিহা বলেন, “আমার সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, তার প্রতিবাদেই আমি পদক নিতে অস্বীকার করি। নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেয়। ওরা সন্দেহের চোখে দেখছিল আমাকে। যেন আমি কিছু একটা করার উদ্দেশ্যে ঢুকতে চাইছি। জানি না, ওরা কী ভাবছিল। ”

        এরপরই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রসঙ্গ উঠে আসে তার কথায়। বলেন, হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী পুলিশ যেভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর করছে তার বিরোধিতা করছেন তিনি।

        গোটা ভারতের শিক্ষার্থীরা বর্তমান পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ এই পদক নিতে অস্বীকার করেছেন তিনি। রাবিহার সঙ্গে এমন আচরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

        সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30264/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ধুঁকছে ভারতের অর্থনীতি, জরুরি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ আইএমএফের


          ধুঁকছে ভারতের অর্থনীতি। তাই মুমূর্ষু এই আর্থিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এখনই দ্রুত জরুরি ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তারা জানিয়েছে, আর্থিক মন্দা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এই দেশকে।

          ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে একদিকে কমেছে ক্রয় ক্ষমতা-বিনিয়োগ, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে কর সংগ্রহের পরিমাণ। আর এই দু’য়ের ভার বহন করতে না পেরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। নিজেদের বার্ষিক রিভিউতে এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে আইএমএফ। তাদের রিভিউতে বলা হয়েছে, লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনে ভারত এখন উদ্বেগজনক আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে এখনই ব্যবস্থা নিতেই হবে।

          বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের অর্থনীতি এমন জায়গাতেই রয়েছে যে, ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খুব একটা বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। সেই বিষয়েও ভারত সরকারকে সতর্ক করেছে আইএমএফ। আইএমএফ’র প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ভারতীয় অর্থনীতি। লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনে ভারত এখন উদ্বেগজনক আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়েছে।

          সূত্র: কালের কন্ঠ


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30273/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতে মুসলিম বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের মধ্যেই নতুন আদমশুমারি


            আগামী বছর নাগাদ একটি আদমশুমারি ও লোকগণনার জন্য মঙ্গলবার তহবিল মঞ্জুর করেছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী কেন্দ্রীয় সরকার।

            বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি) এই তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

            ইতিমধ্যে এনআরসির বিরোধিতা করে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে এসেছেন।

            একটি আদমশুমারি পরিচালনায় ইতিমধ্যে আট হাজার ৭৫৪ কোটি রুপি মঞ্জুর করা হয়েছে। আর জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) হালনাগাদ করতে তিন হাজার ৯৫৪ কোটি রুপি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

            জনসংখ্যা, তাদের অর্থনৈতিক তৎপরতা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অভিবাসী ও জনসংখ্যাসংশ্লিষ্ট উপাত্ত থাকবে নতুন এই আদমশুমারিতে।

            ভারতের প্রতিটি নাগরিকের সমন্বিত পরিচয় এই তথ্যভাণ্ডারে থাকবে বলে খবরে জানা গেছে।

            এদিকে ইসলামবিদ্বেষী নাগরিক সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভারতীয়রা।

            হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ওই আইনটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ জানাচ্ছে।

            বিক্ষোভকারীদের ওপর সন্ত্রাসী পুলিশের নৃশংসতায় এখন পর্যন্ত ২৩ জন নিহত ও কয়েকশ লোক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।

            সুত্রঃ যুগান্তর


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30276/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আওয়ামী দালাল সন্ত্রাসী এসআইয়ের পরকীয়ায় ভাঙল দুই বোনের সংসার!


              শাহানা আর সোহানা দুইবোন (ছদ্মনাম)। দু’জনই বিবাহিতা। বড়বোন শাহানা দুই এবং ছোট বোন সোহানা এক সন্তানের জননী। কিন্তু আওয়ামী দালাল পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ভেঙে গেছে ওই দুই বোনের সংসার।

              চাঞ্চল্যকার এ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জের ফুলদি গ্রামে।

              অভিযুক্ত ওই এসাআইয়ের নাম মাইন উদ্দিন ওরফে মাইনুল। তিনি বিবাহিত এবং গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কালীগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। ৬ মাস আগে তাঁর বদলির আদেশ হলেও নতুন কর্মস্থলে যাননি। অভিযোগের বিষয়টি জানাজানির পর তিনি গত শুক্রবার তড়িঘড়ি কাপাসিয়া থানায় যোগদান করেছেন।

              আল আমিন জানান, তিনি টাইলস্ মিস্ত্রির কাজ করেন। ১২ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন শাহানাকে (ছদ্মনাম)। সংসারে তার ১১ বছরের একটি ছেলে ও ৩ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ওই এসআই তার সুখের সংসার ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন। শ্বশুরবাড়ি এলাকায় গিয়ে তাঁর শ্যালিকার সঙ্গে পরিচয় এবং মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান হয় এসআইয়ের। পরে তাদের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে ওই এসআইর বিয়ের প্রলোভনে শ্যালিকা স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। কয়েকদিন পর এসআই তাঁর শ্যালিকার সাথে দেখা করতে শ্বশুরবাড়ি যায়। শালিকা বাড়িতে না থাকায় পরিচয় হয় আল-আমিনের স্ত্রীর সাথে।

              আল-আমিন অভিযোগ করে বলেন, এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। উল্টো মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এপথ থেকে ফিরে আসার চাপ দেয়ায় একমাস আগে সন্তান রেখে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে গেছে।

              এ ঘটনায় তিনি কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ (নং ৫২৯) ডায়েরি করেছেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার ফোনে এবং দেখা করে কথা বলেও কোনো কাজ হয়নি। উপায়ন্তর না দেখে তিনি ১৯ ডিসেম্বর বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

              সুত্রঃ কালের কন্ঠ


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30249/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সরকারি বিআরটিসি বাসের বেপরোয়া গতির ধাক্কায় প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর


                রাজধানীর যাত্রাবাড়ী সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় আ. জলিল শেখ (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। জলিল শেখের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলার কলমা গ্রামে। তিনি সাদ্দাম মার্কেট জিরো পয়েন্টে থাকতেন।

                তার ছেলে উজ্জ্বল শেখ জানান, নারায়ণগঞ্জে লোহার ব্যবসা করতেন তিনি। সন্ধ্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পথে সাদ্দাম মার্কেটের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি বিআরটিসি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

                আজ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

                সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30255/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  শুরুতেই অনিয়ম বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডের ৯শ’ কোটি টাকার প্রকল্পে


                  বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) তিতাস লোকেশনে ৭টি ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপন প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

                  প্রায় ৯১০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের শুরুতেই সরকারি প্রভাবশালী চক্র দুর্নীতির ফাঁদ পেতেছে। জাল-জালিয়াতি করে এমন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে যার সক্ষমতা তো দূরের কথা, অফিশিয়াল অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খোদ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার যোগসাজশে চলছে লুটপাটের মহোৎসব।

                  অভিযুক্ত কোম্পানির সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এক চাচার গোপন মালিকানার সম্পর্ক রয়েছে। যিনি এক সময় তিতাস গ্যাস কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ও পরবর্তী সময়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডে ঠিকাদারি করছেন।

                  প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিতর্কিত কোম্পানির নাম টেকনোস্টিম এনার্জি। যাচাই-বাছাই না করেই তড়িঘড়ি করে বিজিএফসিএল টেকনোস্টিম এনার্জিকে নোয়া (নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড) ইস্যু করেছে।

                  কিন্তু নোয়া ইস্যুর ২৮ দিনের মধ্যে কোম্পানিটি চুক্তি করতে পারেনি। জমা দিতে পারেনি দরপত্রের ১০ শতাংশ পারফরম্যান্স গ্যারান্টির (পিজি) টাকাও। কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট মজুমদার এন্টারপ্রাইজের প্রতারণার কারণে দরপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া সাড়ে ১২ কোটি টাকার বিডবন্ডটিও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়।

                  কার্যাদেশ দেয়ার আগমুহূর্তে কোম্পানিটি নিয়ে এমন বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হয়ে বড় ধরনের বিপাকে পড়েছে বিজিএফসিএল। বারবার চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া না পাওয়ায় বিডবন্ডের সাড়ে ১২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করতে গিয়েও দেখা যায় সেটির মেয়াদ নেই।

                  কিন্তু তারপরও টেকনোস্টিম এনার্জিকে ব্ল্যাকলিস্ট করেনি। উল্টো এখন আবার ওই কোম্পানিকেই ভিন্ন উপায়ে কার্যাদেশ দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। পাইপলাইনার্স নামে তৃতীয় একটি কোম্পানির কাছ থেকে পারফরম্যান্স সিকিউিরিটি (পিজি) নিয়ে অবৈধভাবে ওই কোম্পানিকেই কার্যাদেশ দেয়া হচ্ছে।

                  জানা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্বালানি বিভাগের সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম। বিশ্লেষকরা বলছেন, এরপরও কীভাবে এরকম একটি কোম্পানিকে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন করা হল- সেটি রহস্যজনক। এ নিয়ে জ্বালানি সচিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি এ প্রতিবেদকের ফোন ধরেননি।

                  বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিকুর রহমান তপু যুগান্তরকে বলেন, ভাই একটু সমস্যা হয়ে গেছে। বিপদে পড়ে গেছি। প্লিজ এখন কিছু লেখবেন না। চেষ্টা করছি প্রবলেমটি সমাধা করতে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কথা দিলাম, কমিটি যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট দিলে আমি আপনাকে ফাইল খুলে সব দেখাব।

                  বাস্তবে সর্বনিম্ন দরদাতা টেকনোস্টিম এনার্জির কোনো অস্তিত্ব নেই, তাদের আর্থিক সচ্ছলতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি তো সব জানেন, আমার মুখ দিয়ে বলানোর চেষ্টা করছেন কেন? আমি বলতে পারব না। তাছাড়া এটা জানারও কোনো উপায় নেই। ওয়েবসাইট ছাড়া সরেজমিন গিয়ে দেখারও কোনো নিয়ম নেই।

                  যেহেতু পিপিআর অনুযায়ী যথাসময়ে সর্বনিম্ন দরদাতা পিজি জমা দিতে পারেনি, এবং বিডবন্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাই দরপত্র কি বাতিল করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুনেছি সর্বনিম্ন দরদাতা তৃতীয় একটি কোম্পানির মাধ্যমে পিজি জমা দিয়েছে, বিডবন্ডের মেয়াদও আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। কাজেই এখন পরিচালনা পর্ষদ সব কিছু বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেবে। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শেষদিকে এ নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

                  বিজিএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ কোম্পানিটির অস্তিত্ব নিয়ে সম্প্রতি পেট্রোবাংলায় পিপিসি কমিটির এক বৈঠকে প্রশ্ন ওঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

                  অভিযোগে বলা হয়েছে- কোম্পানিটির লেটারহেড প্যাডে যুক্তরাষ্ট্রের যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। ২০১৯ সালের প্রথমদিকে অর্থাৎ টেন্ডার আহ্বানের পরে কোম্পানিটির ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্য তারা যেসব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছে বাস্তবে কোম্পানিটি সেরকম কোনো কাজই করেনি।

                  অভিযোগ আছে, জ্বালানি বিভাগের ওই শীর্ষ কর্মকর্তার চাচাই মূলত একটি নামসর্বস্ব কোম্পানি খুলে এই দরপত্রে অংশ নিয়েছিলেন। তার সঙ্গে লোকাল এজেন্ট হিসেবে রয়েছে মজুমদার এন্টারপ্রাইজ। টার্গেট ছিল যেনতেন করে কার্যাদেশ নিয়ে ‘কাগজ’টি তৃতীয় পক্ষের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থে বিক্রি করে দেয়া।

                  বিজিএফসিএলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, এই দরপত্রের বিরুদ্ধে পরিচালনা পর্ষদের যে দুই সদস্য সব সময় বোর্ড মিটিংয়ে সরব থাকতেন রহস্যজনক কারণে তাদের কেউ এখন বোর্ডে নেই।

                  জানা গেছে, পাইপলাইনার্স লিমিটেড নামের ওই কোম্পানিটি টেকনোস্টিমের পক্ষে এনসিসি ব্যাংকের মাধ্যমে পিজির গ্যারান্টার হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা কোনোভাবেই বৈধ নয়। এটা বড় ধরনের দুর্নীতির শামিল।

                  জানা গেছে, তিতাস লোকেশন ‘এ’-তে প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৭টি ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। কারণ, এই ৭টি কূপে গ্যাসের চাপ কমে গিয়েছিল। কম্প্রেসার বসানো হলে কূপগুলো থেকে আগের মতো গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে। প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন হয় ২০১৬ সালে। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী কোম্পানি তিতাসের ৭টি গ্যাসকূপের ওয়েলহেড কম্প্রেসার ডিজাইন তৈরি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্রয়, সরবরাহ, স্থাপন, টেস্টিং, কমিশনিং, অপারেশন এবং মেইনটেইনেন্সের কাজ করবে। ২০১৯ সালের ৩ মার্চ দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। মোট ৭টি কোম্পানি এতে অংশ নিলেও দুটি কোম্পানি কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। কোম্পানি দুটি হল- সিঙ্গাপুরভিত্তিক এন্টার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেকনোস্টিম এনার্জি লিমিটেড। গত ৯ সেপ্টেম্বর আর্থিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বিজিএফসিএল বোর্ডে অনুমোদিত হয়। এরপরই ১২ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি করে বিজিএমসিএল সর্বনিম্ন দরদাতা টেকনোস্টিম এনার্জিকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (নোয়া) প্রদান করে। ১৭ সেপ্টেম্বর ঠিকাদার কোম্পানি নোয়া-এর বিপরীতে ইকসেপটেন্স লেটার পাঠায় বিজিএফসিএলকে।

                  নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ (নোয়া) ইস্যুর ২৮ দিনের মধ্যে দরদাতা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা ১০ অক্টোবর শেষ হয়ে গেলেও সর্বনিম্ন দরদাতা টেকনোস্টিম এনার্জি বিজিএফসিএলের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি সম্পাদন করেনি। বারবার চিঠি ও তাগাদা দিলেও তারা চুক্তি করেনি। এমনকি কার্যসম্পাদন জামানত (পাফরম্যান্স সিকিউরিটি) পর্যন্ত দাখিল করেনি। বিজিএফসিএল সূত্র জানায়, তারা এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কোম্পানির সঙ্গে নানাভাবে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেনি।

                  একপর্যায়ে বিজিএফসিএল দরপত্রের সঙ্গে দেয়া জামানতের (বিড সিকিউরিটি) ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা কর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই বিড সিকিউরিটির মেয়াদ ছিল ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৪ অক্টোবর প্রকল্পের পিডি গুলশানের প্রিমিয়ার ব্যাংককে চিঠি দিয়ে এই টাকা বিজিএফসিএলের ফান্ডে নগদায়ন করার জন্য জানান। কিন্তু স্থানীয় এজেন্ট মজুমদার এন্টারপ্রাইজ, ব্যাংক ও বিজিএফসিএলের সঙ্গে যোগসাজশে এই চিঠি ৩০ অক্টোবর ব্যাংকে পৌঁছে। ততক্ষণে বিড সিকিউরিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ফলে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিড সিকিউরিটি আদায় করা সম্ভব নয় বলে বিজিএফসিএলকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প পরিচালকের উচিত ছিল ১০ অক্টোবরের পরদিনই বিড সিকিউরিটি বাতিল করে বিজিএফসিএলের অনুকূলে ব্যাংকড্রাফটি নগদায়ন করা। কিন্তু তিনি তা করেননি, এমনকি নভেম্বরের শুরুতে পেট্রোবাংলায় অনুষ্ঠিত মাসিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে তথ্য গোপন করে প্রকল্প সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন।

                  এ প্রসঙ্গে মজুমদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। ব্যস্ততার কথা বলে পরে কথা বলবেন বলে টেলিফোন রেখে দেন। তাকে এ নিয়ে মেইল করা হলেও তিনি মেইলের কোনো উত্তর দেননি। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি টেকনোস্টিম এনার্জির কর্মকর্তা রিকার্ডো সিয়ন্তিকে ২০ ডিসেম্বর মেইল করা হলে তিনি মেইলের উত্তর দেননি।

                  নিয়ম অনুযায়ী বিড সিকিউরিটি আদায় করতে না পারায় ওই কোম্পানিকে (টেকনোস্টিম এনার্জি) ব্ল্যাকলিস্ট করে তাদের নোয়া বাতিল করা। এমনকি জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল তা না করে এখন অন্য একটি কোম্পানির মাধ্যমে পিজি নিয়ে এবং গোপনে বিডবন্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে সেই প্রতারক কোম্পানিকেই কার্যাদেশ দেয়ার পাঁয়তারা করছে।

                  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কোনো কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো কিংবা রিটেন্ডার আহ্বান করা হয়, তাহলে এর ব্যয় ১৫শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কারণ ইতিমধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩ বছর পার হয়ে গেছে।

                  এখন নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করলে প্রতিটি ওয়েলহেড কম্প্রেসারের ক্ষমতা ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করতে হবে। এতে একদিকে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাবে, অপরদিকে গ্যাস উত্তোলনের পরিমাণও কমবে। এর ফলে সরকার বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে, এবং ভোক্তারা বঞ্চিত হবে গ্যাস প্রাপ্তিতে।

                  এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক আবুল জাহিদ যুগান্তরকে বলেন, নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় প্রকল্পটি নিয়ে একটু প্রবলেম হয়ে গেছে। যেহেতু এটি এডিবির একটি প্রকল্প তাই আমরা তাদের পুরো বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখেছি। তিনি বলেন, ২৮ দিন পার হওয়ার পর টেকনোস্টিম এনার্জির কাছ থেকে পিজি পেয়েছেন।

                  তবে শুনেছি, ওই পিজি প্রদানের বিহাইন্ড দ্য সিনে পাইপলাইনার্স নামে দেশীয় একটি কোম্পানি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দরকার পিজির। পেছনে কে আছে সেটা দেখার দরকার নেই।

                  এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দরপত্রে অংশগ্রহণকারী কোম্পানির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার জন্য তিনি মেইলে যোগাযোগ করেন। কেউ উত্তর দেয়, কেউ দেয় না। জানার জন্য একমাত্র ওয়েবসাইটই মূল ভরসা। এ কারণে টেকনোস্টিম সম্পর্কেও তিনি সবকিছু যাচাই-বাছাই করতে পারেননি।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30258/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    এনআরসির প্রতিবাদ করায় বেতন বন্ধ: সপরিবারে আত্মহত্যার আবেদন সরকারি কর্মকর্তার


                    ভারতের ত্রিপুরায় এনআরসির প্রতিবাদ করার অভিযোগে এক সরকারি কর্মকর্তার বেতন বন্ধ করে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার।

                    শুধু বেতন বন্ধই নয়, তাকে অন্যত্র বদলিও করে দেয়া হয়েছে। গত অক্টোবর থেকে পরিবার পরিজন নিদারুন অর্থকষ্টে ভোগছেন খাদ্য দফতরের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ব্রজলাল দেববর্মা।

                    এমতাবস্থায় ত্রিপুরার এক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দরখাস্ত দিয়ে বিষ সরবরাহের আবেদন জানালেন তিনি। ব্রজলাল দেববর্মার ইংরেজিতে টাইপ করা আবেগঘন ওই দরখাস্ত সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হতেই তুমুল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

                    ব্রজলাল এখন ধলাই জেলার লংতরাইভ্যালি মহকুমা শাসকের অফিসে কর্মরত। তিনি দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া এসডিএম অফিসের কর্মকর্তা ছিলেন।

                    রাজ্যে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে ব্রজলাল সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন বলে খাদ্য বিভাগে অভিযোগ জমা পড়ে। তার পরই বদলি করে তার বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

                    ২১ ডিসেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন,* মহাশয়, আমি এবং আমার স্ত্রী বারবার আপনাকে আমার বেতন মিটিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। টাকা নেই, তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং ওষুধের অভাবে কঠিন সময় কাটাচ্ছি।

                    এই পরিস্থিতিতে আমার অনুরোধ, আপনি দয়া করে আমাকে বিষ সরবরাহ করে বাধিত করবেন, যাতে আমি সপরিবার বিষ খেয়ে মরতে পারি।’*


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30261/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ‘আমাদের গুলিতেই নিহত হয়েছে’ — স্বীকার করল ভারতীয় সন্ত্রাসী পুলিশ


                      মুসলিম বিরোধী কথিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে গুলি চালানোর কথা প্রথম বারের মতো স্বীকার করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশ।

                      এই বিক্ষোভে রাজ্যটিতে ১৫ জন নিহত হয়েছে। এদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করলেও রাজ্য পুলিশের দাবি ছিলো তাদের তরফে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি।

                      পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশরা বিক্ষোভকারীদের গুলি ছোড়ছে।

                      ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আজকাল সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের বিজনৌর জেলার পুলিশ সুপার মালাউন সঞ্জীব ত্যাগী স্বীকার করে, গত সপ্তাহে সিএএ–এনআরসি–র প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ সন্ত্রাসীরাই। আর সেই গুলিতেই যে ২০ বছরের আইএএস পরীক্ষার্থী সুলেমান মালিকের মৃত্যু হয়েছে সেকথাও এদিন স্বীকার করে নিয়েছে ত্যাগী।

                      সুলেমানের দাদা শোয়েব বলেছেন, তাঁর ভাই আইএএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কোনও বিক্ষোভে অংশ নেননি। দিন কয়েক ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন সুলেমান। ঘটনার দিন বাড়ির কাছে মসজিদে না গিয়ে দূরের মসজিদে নামাজ পাঠ সেরে ফিরছিলেন খেতে। শোয়েবের অভিযোগ, হঠাৎ পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ এবং টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটাতে শুরু করে। গন্ডগোলের মাঝখানে পড়ে যান সুলেমান আর তখনই পুলিশ তাঁকে লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালায়।

                      গত ১২ ডিসেম্বর ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভে মালাউন সন্ত্রাসীদের বর্বরতায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু উত্তর প্রদেশেই নিহত হয়েছে ১৫ জন।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30236/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        “আমরা কি বাংলাদেশের নাগরিক না?’ জানতে চান নুরের বাবা


                        ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরের ওপর সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় এই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমরা কি বাংলাদেশের নাগরিক না? তা হলে আমাদের ওপর কেন এই বারবার হামলা? কেন আমাদের নিয়ে অনধিকার চর্চা করা হয়?’ নুরের ওপর হামলার ঘটনা শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন তার বাবা ইদ্রিস হাওলাদার। ছেলের শারীরিক অবস্থা দেখে কেঁদে ফেলে তিনি এসব কথা বলতে থাকেন।

                        রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান ইদ্রিস হাওলাদার। সেখানে সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরলে আপ্লুত কণ্ঠে দেশের মানুষের প্রতি নানা কথা বলেন তিনি।

                        নুরের বাবা বলেন, আমার ছেলে বাংলাদেশের নাগরিক। সেই অধিকারেই সে ভিপি হয়েছে। তবু তার ওপর কেন বাবরার হামলা হয়? তাকে নিপীড়ন-নির্যাতন করা হয় কেন? এই তো পাঁচ-ছয় দিন আগেও তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আঙুল ভেঙে দিয়েছে ওরা। এরই মধ্যে তিনবার হামলা করা হয়েছে।

                        ভিপি নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা চেয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন ইদ্রিস হাওলাদার।

                        উল্লেখ্য, রবিবার বেলা ১টার দিকে ডাকসু ভবনে গিয়ে ভিপির কক্ষ এবং ডাকসু ভবনে তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের লোকজন। এ সময় নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ডাকসু ভিপি।

                        সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30267/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          নাটোরে আইনজীবী হত্যার চেষ্টা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতার


                          নাটোর আইনজীবী সমিতির সদস্য ও দৈনিক বারবেলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আলেক শেখকে হত্যা চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নুর।

                          মামলার বাদী আলেক উদ্দিন শেখ জানান, সোমবার নাটোর সন্ত্রাসী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নু তাকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আটকে রেখে চোখে মুখে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা চেষ্টা করেন হাবিবুর রহমান চুন্নু। আঘাতের কারণে বাদি নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে তাকে মস্তিস্কের সিটিস্ক্যান করতে হয়েছে। তাতে কিছু সমস্যা ধরা পড়েছে।

                          সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/24/30270/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে নিরাপ্তা দেও, আমিন।
                            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                            Comment

                            Working...
                            X