মালাউন সন্ত্রাসী শাসকদের কারণে ভারতের পর্যটন শিল্পে মারাত্মক ধস!
মালাউন সন্ত্রাসীদের করা কথিত মুসলিম বিরোধী নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ আর অস্থিরতায় ভারতের পর্যটন শিল্পে মারাত্মক ধস নেমেছে। চলতি মাসের এই বিক্ষোভে অন্তত ১০টি রাজ্যের বেশ কিছু শহর অশান্ত হয়ে ওঠে। ইতিমধ্যে পুলিশি নিষ্ঠুরতায় ২৬ জন প্রাণ হারান। এছাড়া ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে অন্তত সাতটি দেশ।
ভারতের বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব আইন সংসদে উত্থাপন হওয়ার সময় থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়, সে বিক্ষোভ এখনো চলছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বিক্ষোভের কারণে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ২ লাখ পর্যটক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় পর্যটন স্থাপত্য তাজমহল ভ্রমণ বাতিল কিংবা স্থগিত করেছেন।
তাজমহল ট্যুরিস্ট পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক দীনেশ কুমার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এবার তাজমহলে পর্যটক কমেছে ৬০ শতাংশ। দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা আমাদের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জানতে চাচ্ছেন। আমরা তাদের সুরক্ষার আশ্বাস দিলেও না আসার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা।’
সপ্তদশ শতাব্দীতে মারবেল পাথরে নির্মিত বিশ্বের আশ্চর্য স্থাপনা তাজমহল ভারতের উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত। ডিসেম্বর মাসজুড়ে ভারতে বিক্ষোভেও সবচেয়ে বেশি উত্তাল ছিল দেশটির সর্ববৃহৎ এই রাজ্য। এছাড়া বিক্ষোভে নিহত মোট ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জনই উত্তরপ্রদেশের। এদিকে এখনো সেখানে বিক্ষোভ চলছেই।
প্রতিবছর উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহরে অবস্থিত তাজমহল পরিদর্শন করে ৬৫ লাখ পর্যটক। তাতে প্রবেশ ফি হিসেবে ভারত সরকার আয় করে কম করে হলেও ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাজমহলে একজন বিদেশি পর্যটকের প্রবেশ ফি ১১০০ রুপি। তবে দেশি ও প্রতিবেশী দেশের পর্যটকদের জন্য তাতে কিছুটা ছাড় রয়েছে।
তাজমহলের আশপাশের বিলাশবহুল হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোর ম্যানেজাররা বলছেন, এমনিতেই দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪.৫ শতাংশে নেমেছে, তার ওপর উৎসবের এই মৌসুমে শেষ মুহূর্তে এসে অনেকে তাদের বুকিং বাতিল করছেন। এতে করে আমাদের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভ দমনে সরকার আগ্রার ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে। আড়াই শতাধিক ট্যুর অপারেটর, হোটেল ও গাইড নিয়ে গঠিত আগ্রা পর্যটন উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সন্দ্বীপ আরোরা বলছেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার কারণে আগ্রার ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের অন্তত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এদিকে বিক্ষোভের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইসরায়েল, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও তাইওয়ান ভারতে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। ভারতে ভ্রমণের ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জানতে স্থানীয় দূতাবাসে খোঁজ নেয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশগুলো।
আসাম পর্যটন উন্নয়ন করপোরশের প্রধান জয়ন্ত মাল্লা বড়ুয়া বলেন, প্রতি ডিসেম্বরে আসামে দেশি-বিদেশি মিলে পর্যটক আসে গড়ে ৫ লাখ। কিন্তু বেশ কিছু দেশ আসাম ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে রেখেছে। তাতে করে এই বছরের ডিসেম্বরে পর্যটক কমেছে ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি।
মুসলিম স্থাপনা সমৃদ্ধ দেশ ভারত। পর্যটন খাতে মুসলিম স্থাপনা থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায় দেশটি। বিভিন্ন সময়ে মুসলিম রাজা বাদশাহরা এ সব স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। আর এসব স্থাপনা দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায় ভারতে।
সম্প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন মুসলিম স্থাপনা নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর। যার ফলশ্রুতিতে ৪০০ বছরেরও পুরনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরও ৩২ হাজার মুসলিম স্থাপনা ভেঙে সেখানে মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদসহ কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো।
অথচ ভারত তাদের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায় মুসলিম স্থাপনাগুলো থেকে। দেশটির অফিসিয়াল হিসেবে দেখা যায়, প্রথম সারির রাজস্ব উৎপাদনকারী প্রাচীন নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম ৫টি হলো মুসলিম শাসকদের হাতে নির্মিত স্থাপনা। আর সেগুলো হলো- আগ্রার দুর্গ : মোঘল সম্রাটদের দ্বারা তৈরি আগ্রার দুর্গ।
কুতুব মিনার : ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত সুউচ্চ স্তম্ভ হলো কুতুব মিনার। এটি ভারতের প্রথম মুসলিম শাসক সুলতান কুতুব উদ্দিন আইবেকের আমলে তারই নির্দেশে নির্মাণ করা হয়। ১১ ৯৩ খ্রিস্টাব্দে কাজ শুরু হলেও তা ১৩৮৬ সালে ফিরোজশাহ তুগলকের আমলে শেষ হয়। মিনারটির উচ্চতা ২৩৮ ফুট। মিনারটির পাদদেশের বেড় ৪৭ ফুট।
তাজমহল : ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধিসৌধ হলো তাজমহল। মোঘল সম্রাট শাহজাহান এ মহল তৈরি করেন। তাজমহলের সৌন্দর্য অবলোকনে সারাবিশ্ব থেকে মানুষ আগ্রায় আসে। আর তাতে ভারত সরকার এ তাজমহল থেকেই অনেক রাজস্ব পেয়ে থাকে।
লালকেল্লা : ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত প্রাচীর বেষ্টিত দুর্গ লালকেল্লা নামে পরিচিত। এটিও মোঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত একটি দুর্গ। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এ দুর্গটি ছিল মোঘল সম্রাটদের রাজধানী। কিলা-ই-মুবারক’ বা ‘আশীর্বাদ ধন্য দুর্গ’ হিসেবে এটি পরিচিত ছিল। কারণ এ দুর্গেই সম্রাটের পরিবারবর্গ বসবাস করতেন।
ফতেহপুর সিকরি : ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রা জেলায় ফতেহপুর সিকরি অবস্থিত। ১৫৬৯ সম্রাট আকবরের ছেলে বাদশাহ জাহাঙ্গীর এ ফতেহপুর সিকরিতে জন্ম নেয়। ১৫৭১-১৫৮৫ পর্যন্ত মোঘল সম্রাজ্যের রাজধানী ছিল ফতেহপুর সিকরি। ১৫৭৩ সালে এ দুর্গটির নাম হয় ফতেহপুর সিকরি।
উল্লেখ্য যে, ভারতের প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই পাঁচটি প্রাচীন নিদর্শন থেকে ভারত সরকারের আয় হয়েছে ১৪৬.০৫ কোটি রুপি, যা ভারতের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শনাবলীর মোট আয়ের (২৭১.৮ কোটি) অর্ধেকের চেয়েও বেশি।
শুধু তাজমহল থেকেই আয় হয় ৫৬.৮৩ কোটি রুপি। বছরটিতে ৬৪.৫৮ লাখ দেশী-বিদেশী দর্শনার্থী এ স্থাপনাটি ঘুরে দেখেন।
আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে আগ্রার দূর্গ। যার বার্ষিক আয় ৩০.৫৫ কোটি রুপি। এ দুর্গ দেখতে দেশি দর্শনার্থীদের ৩০ রুপি পরিশোধ করতে হয় আর বিদেশিদের পরিশোধ করতে হয় ৫০০ রুপি।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30560/
মালাউন সন্ত্রাসীদের করা কথিত মুসলিম বিরোধী নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ আর অস্থিরতায় ভারতের পর্যটন শিল্পে মারাত্মক ধস নেমেছে। চলতি মাসের এই বিক্ষোভে অন্তত ১০টি রাজ্যের বেশ কিছু শহর অশান্ত হয়ে ওঠে। ইতিমধ্যে পুলিশি নিষ্ঠুরতায় ২৬ জন প্রাণ হারান। এছাড়া ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে অন্তত সাতটি দেশ।
ভারতের বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব আইন সংসদে উত্থাপন হওয়ার সময় থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়, সে বিক্ষোভ এখনো চলছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বিক্ষোভের কারণে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ২ লাখ পর্যটক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় পর্যটন স্থাপত্য তাজমহল ভ্রমণ বাতিল কিংবা স্থগিত করেছেন।
তাজমহল ট্যুরিস্ট পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক দীনেশ কুমার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এবার তাজমহলে পর্যটক কমেছে ৬০ শতাংশ। দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা আমাদের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জানতে চাচ্ছেন। আমরা তাদের সুরক্ষার আশ্বাস দিলেও না আসার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা।’
সপ্তদশ শতাব্দীতে মারবেল পাথরে নির্মিত বিশ্বের আশ্চর্য স্থাপনা তাজমহল ভারতের উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত। ডিসেম্বর মাসজুড়ে ভারতে বিক্ষোভেও সবচেয়ে বেশি উত্তাল ছিল দেশটির সর্ববৃহৎ এই রাজ্য। এছাড়া বিক্ষোভে নিহত মোট ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জনই উত্তরপ্রদেশের। এদিকে এখনো সেখানে বিক্ষোভ চলছেই।
প্রতিবছর উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহরে অবস্থিত তাজমহল পরিদর্শন করে ৬৫ লাখ পর্যটক। তাতে প্রবেশ ফি হিসেবে ভারত সরকার আয় করে কম করে হলেও ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাজমহলে একজন বিদেশি পর্যটকের প্রবেশ ফি ১১০০ রুপি। তবে দেশি ও প্রতিবেশী দেশের পর্যটকদের জন্য তাতে কিছুটা ছাড় রয়েছে।
তাজমহলের আশপাশের বিলাশবহুল হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোর ম্যানেজাররা বলছেন, এমনিতেই দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪.৫ শতাংশে নেমেছে, তার ওপর উৎসবের এই মৌসুমে শেষ মুহূর্তে এসে অনেকে তাদের বুকিং বাতিল করছেন। এতে করে আমাদের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভ দমনে সরকার আগ্রার ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে। আড়াই শতাধিক ট্যুর অপারেটর, হোটেল ও গাইড নিয়ে গঠিত আগ্রা পর্যটন উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সন্দ্বীপ আরোরা বলছেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার কারণে আগ্রার ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের অন্তত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এদিকে বিক্ষোভের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইসরায়েল, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও তাইওয়ান ভারতে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। ভারতে ভ্রমণের ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জানতে স্থানীয় দূতাবাসে খোঁজ নেয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশগুলো।
আসাম পর্যটন উন্নয়ন করপোরশের প্রধান জয়ন্ত মাল্লা বড়ুয়া বলেন, প্রতি ডিসেম্বরে আসামে দেশি-বিদেশি মিলে পর্যটক আসে গড়ে ৫ লাখ। কিন্তু বেশ কিছু দেশ আসাম ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে রেখেছে। তাতে করে এই বছরের ডিসেম্বরে পর্যটক কমেছে ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি।
মুসলিম স্থাপনা সমৃদ্ধ দেশ ভারত। পর্যটন খাতে মুসলিম স্থাপনা থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায় দেশটি। বিভিন্ন সময়ে মুসলিম রাজা বাদশাহরা এ সব স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। আর এসব স্থাপনা দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায় ভারতে।
সম্প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন মুসলিম স্থাপনা নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর। যার ফলশ্রুতিতে ৪০০ বছরেরও পুরনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরও ৩২ হাজার মুসলিম স্থাপনা ভেঙে সেখানে মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদসহ কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো।
অথচ ভারত তাদের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায় মুসলিম স্থাপনাগুলো থেকে। দেশটির অফিসিয়াল হিসেবে দেখা যায়, প্রথম সারির রাজস্ব উৎপাদনকারী প্রাচীন নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম ৫টি হলো মুসলিম শাসকদের হাতে নির্মিত স্থাপনা। আর সেগুলো হলো- আগ্রার দুর্গ : মোঘল সম্রাটদের দ্বারা তৈরি আগ্রার দুর্গ।
কুতুব মিনার : ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত সুউচ্চ স্তম্ভ হলো কুতুব মিনার। এটি ভারতের প্রথম মুসলিম শাসক সুলতান কুতুব উদ্দিন আইবেকের আমলে তারই নির্দেশে নির্মাণ করা হয়। ১১ ৯৩ খ্রিস্টাব্দে কাজ শুরু হলেও তা ১৩৮৬ সালে ফিরোজশাহ তুগলকের আমলে শেষ হয়। মিনারটির উচ্চতা ২৩৮ ফুট। মিনারটির পাদদেশের বেড় ৪৭ ফুট।
তাজমহল : ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধিসৌধ হলো তাজমহল। মোঘল সম্রাট শাহজাহান এ মহল তৈরি করেন। তাজমহলের সৌন্দর্য অবলোকনে সারাবিশ্ব থেকে মানুষ আগ্রায় আসে। আর তাতে ভারত সরকার এ তাজমহল থেকেই অনেক রাজস্ব পেয়ে থাকে।
লালকেল্লা : ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত প্রাচীর বেষ্টিত দুর্গ লালকেল্লা নামে পরিচিত। এটিও মোঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত একটি দুর্গ। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এ দুর্গটি ছিল মোঘল সম্রাটদের রাজধানী। কিলা-ই-মুবারক’ বা ‘আশীর্বাদ ধন্য দুর্গ’ হিসেবে এটি পরিচিত ছিল। কারণ এ দুর্গেই সম্রাটের পরিবারবর্গ বসবাস করতেন।
ফতেহপুর সিকরি : ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রা জেলায় ফতেহপুর সিকরি অবস্থিত। ১৫৬৯ সম্রাট আকবরের ছেলে বাদশাহ জাহাঙ্গীর এ ফতেহপুর সিকরিতে জন্ম নেয়। ১৫৭১-১৫৮৫ পর্যন্ত মোঘল সম্রাজ্যের রাজধানী ছিল ফতেহপুর সিকরি। ১৫৭৩ সালে এ দুর্গটির নাম হয় ফতেহপুর সিকরি।
উল্লেখ্য যে, ভারতের প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই পাঁচটি প্রাচীন নিদর্শন থেকে ভারত সরকারের আয় হয়েছে ১৪৬.০৫ কোটি রুপি, যা ভারতের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শনাবলীর মোট আয়ের (২৭১.৮ কোটি) অর্ধেকের চেয়েও বেশি।
শুধু তাজমহল থেকেই আয় হয় ৫৬.৮৩ কোটি রুপি। বছরটিতে ৬৪.৫৮ লাখ দেশী-বিদেশী দর্শনার্থী এ স্থাপনাটি ঘুরে দেখেন।
আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে আগ্রার দূর্গ। যার বার্ষিক আয় ৩০.৫৫ কোটি রুপি। এ দুর্গ দেখতে দেশি দর্শনার্থীদের ৩০ রুপি পরিশোধ করতে হয় আর বিদেশিদের পরিশোধ করতে হয় ৫০০ রুপি।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30560/
Comment