Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৪ঠা জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৪ঠা জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    শুধু ২০১৯ সালেই ৫৫০০ এরও অধিক ফিলিস্তিনীকে বন্দী করেছে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা!


    নিজেদের রাষ্ট্র ও মাতৃভূমিতেই পরাধিনতার জীবন-জাপন করতে হচ্ছে আল-আকসার পবিত্র ভূমীর মজলুম ফিলিস্তিনীদের। অন্যদিকে উড়ে এসে ঝেকে বসা দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা একের পর এক মুসলিম বসত-বাড়ি ভেঙ্গে নির্মাণ করছে তাদের অবৈধ আবাসস্থল।

    এর জন্য সামন্য প্রতিবাদটুকুও করতে পারছেন না ফিলিস্তিনীরা, করলে বুকে নিতে হবে বুলেট নয়ত কারাবন্দী ।

    ফিলিস্তিন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আশ-শিহাব এর এক প্রতিবেদন হতে জানা যায় যে, শুধু ২০১৯ সালেই দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাঈলী সন্ত্রাসী বাহিনী ৫৫০০ এরও অধিক ফিলিস্তিনি মুসলিমকে গ্রেফতার করেছে।
    যাদের মধ্যে ১২৮ জন নারী ও ৮৮৯ জনই শিশু।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30642/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মালাউন সন্ত্রাসীদের অকথ্য নিপীড়নে ‘যোগীরাজ্যে’ বিপন্ন মুসলিমরা


    ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী প্রতিবাদে সামিল হয়ে সব থেকে বেশিসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে উত্তর প্রদেশে। ঘটনা তদন্তে গঠিত এক স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, বিক্ষোভকারীকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে গুলি চালিয়েছে সেখানকার পুলিশ। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সেখানে প্রতিনিয়ত হেনস্তার শিকার হচ্ছে। হাজার হাজার মুসলিমকে আটক ও পুড়িয়ে মারার হুমকির পাশাপাশি তাদের পাকিস্তানে চলে যেতে বলা হচ্ছে। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি সন্ত্রাসী যোগী আদিত্যনাথ ও সেখানকার পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিতর্কিত অবস্থান ও বক্তব্যে নিন্দার ঝড় বইছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করেছে, বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।

    গত ১২ ডিসেম্বর অনুমোদন পাওয়া ভারতের সংশোধিত আইনে প্রতিবেশি তিন দেশ থেকে যাওয়া মুসলিমদের বাদ দিয়ে অন্যদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সংঘটিত বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জনই উত্তর প্রদেশের। রাজ্যের ৬ হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে বন্দি করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে সহিংস বিক্ষোভে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১ হাজারের অধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।

    উত্তর প্রদেশে নিহত ১৯ জনের একজন হলেন বিজনোর শহরের বাসিন্দা সুলেমান হুসাইন (২০)। তার বাবা জাহিদ হুসাইন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘২০ ডিসেম্বর নামাজ শেষে সুলেমান যখন বাড়ি ফিরছিল, তখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ শুরু করে। সবাই দৌঁড়ে পালালেও সে অসুস্থ থাকায় পারেনি। পুলিশ তাকে ধরে ফেলে এবং গুলি চালায়।’

    বিজনোরের পুলিশ সন্ত্রাসী অরুণ কুমার গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে। বিজনোরের বাসিন্দারা জানিয়েছে, পুলিশ তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। মোহাম্মদ সিরাজুদ্দিন নামের একজন আল জাজিরাকে বলেছেন, পুলিশ দরোজা ভেঙে আমার পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত ভাই শামসুদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে। সবাইকে লাঠিপেটা করে। তিনি বলেন, ‘দরোজা ভেঙে তাকে টেনে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায় এবং পেটায়। সে এখন কারাবন্দি।’ জাহিদ বলেছেন, ‘সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করায় অনেকেই দরোজা বন্ধ করে বাড়ির মধ্যে অবস্থান করছে। পুলিশি নৃশংসতার কারণে অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।’

    সদ্য প্রকাশিত এক ভিডিওতে দাঙ্গা পোশাক পরিহিত পুলিশ কর্মকর্তাকে দুই বেসামরিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। টুপি পরিহিত ওই ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কোথায় যাবে? এই গলি আমি ঠিক করে দেবো।’ আলাপরত ব্যক্তিরা নামাজ পড়তে যাওয়ার কথা জানালে পুলিশ কর্মকর্তা তখন বলেন, ‘এখানে যারা কালো ও নীল ব্যাজ পরে আছে তাদের পাকিস্তানে চলে যেতে বলো।’ তখন আরেক পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘সব কটাকে পুড়িয়ে দিতে এক সেকেন্ড লাগবে।’

    পরে পুলিশ সন্ত্রাসী অখিলেশ নারায়ণ সিং মুসলিমদের উদ্দেশে বলে, ‘খাবে এক জায়গার, আর প্রশংসা করবে অন্য জায়গার। ভারতে থাকতে না চাইলে পাকিস্তানে চলে যাও।’ উপস্থিত দুই ব্যক্তি ‘ঠিক বলেছ’ বলে চলে যেতে উদ্যত হলে আবারও ফিরে আসে পুলিশ সন্ত্রাসী। বলে, ‘আমি প্রতিটি বাড়ির সবাইকে জেলে পাঠাবো।’

    এর আগে বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনায় ‘বদলা’ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল উত্তর প্রদেশে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এই সপ্তাহের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিল, ‘ আন্দোলনকারীদের সম্পত্তি নিলাম করেই অর্থ উসুল করা হবে। এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিশোধ নেবো।’ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে মোট ৪৯৮ জনকে শনাক্ত করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। এদের মধ্যে শুধু মিরাটেই রয়েছে ১৪৮ জন। বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট এক হাজার ১১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত শুক্রবার প্রশাসনের হাতে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকার ডিমান্ড ড্রাফট তুলে দেয় স্থানীয় মুসলমানেরা।

    শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কার্যালয়ের অফিসিয়াল টুইটে বলা হয়, ‘সব দাঙ্গাকারী ভয় পেয়েছে। সব সমস্যা সৃষ্টিকারীও ভয় পেয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কঠোরতায় সবাই চুপ হয়ে গেছে।’ এর পরে ওই টুইটারে হ্যাশট্যাগ দ্যগ্রেট-সিএমযোগী বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।

    কংগ্রেসের মুখপাত্র নওয়াব মালিক বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, মানুষের বিক্ষোভের অধিকার রয়েছে। দেশের অন্য অংশের বিক্ষোভকারীরা শান্ত থাকলেও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ধর্মের ভিত্তিকে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দিয়েছে।

    মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, পুলিশ সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে। উত্তর প্রদেশ ঘুরে আসা অনুসন্ধানী দলের সদস্য অ্যাক্টিভিস্ট কবিতা কৃশান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মুসলিম কলোনির মানুষেরা রাত জেগে বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। তারা পুলিশি অভিযান বা সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কায় ভীত।’

    আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ করতেই সেখান থেকে যারা ঘুরে এসেছেন এবং দিল্লির উত্তর প্রদেশ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছেন তাদের বন্দি করা হচ্ছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30620/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বিক্ষোভকারীদের পেটাতে ভারতীয় সন্ত্রাসী পুলিশের বড় ‘লাঠি’র ব্যবহার:-ব্রিটিশদের উত্তরাধিকার


      ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ একদিকে তীব্র হচ্ছে, একইসাথে বাড়ছে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের ‘লাঠির’ ব্যবহার। সেই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সময় থেকেই বিরোধীদের দমনে লাঠির ব্যবহার চলে আসছে, যেটা মাঝে মাঝে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।

      গত দুই সপ্তাহের বিক্ষোভে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই মারা গেছে গুলিতে। তবে আরও শত শত বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে এবং দাঙ্গা পুলিশ তাদের দমনে বাঁশের লাঠি ব্যবহার করেছে।

      মিডিয়াতে প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে সন্ত্রাসীরা বিক্ষোভকারীদেরকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাছবিচারহীনভাবে পথিক এমনকি কম বয়সী শিশুদের উপরও পেটানো হচ্ছে। এ ধরণের ছবি জনমানুষের ক্ষোভ আরও উসকে দিয়েছে।




      একটি ভিডিওতে দেখা গেছে নয়াদিল্লীতে এক পুরুষ শিক্ষার্থীকে পুলিশের লাঠির আঘাত থেকে বাঁচাচ্ছে তার সহপাঠি মুসলিম মেয়েরা। এই ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।

      যারা পুলিশের ১.৮ মিটার দীর্ঘ বাঁশ বা প্লাস্টিকের লাঠির আঘাত খেয়েছেন, তারা বলেছেন যে এটা তাৎক্ষণিকভাবে আঘাতের জায়গাকে অবশ করে দেয় এবং এর ব্যাথা কয়েক দিন ধরে থাকে।

      একাধিক আঘাতে অনেক সময় হাড় ভেঙ্গে যায়, পঙ্গু হয়ে যায় এবং এমনকি মানুষ মারাও যেতে পারে।

      অলাভজনক অধিকার গ্রুপ পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজের (পিইউসিএল) সেক্রেটারি জেনারেল ভি সুরেশ বলেছেন, “জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার অস্ত্র হিসেবে লাঠির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এটা এখন একটা মারণাস্ত্র হয়ে উঠেছে”।

      সুরেশ বলেন, “এটা অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং এতটা ব্যবহার করা হচ্ছে যে, দেশ হিসেবে আমাদের অভ্যাসে চলে এসেছে এটা। লাঠিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হয় কিন্তু এটা একটা ভয়াবহ অস্ত্র”।

      “কোন কিছু দিয়েই এর বর্বর ব্যবহারের বৈধতা দেয়া যায় না”।

      অনেকের বিশ্বাস লাঠির উৎস হলো দক্ষিণ এশিয়া যেখানে মার্শাল আর্টের অস্ত্র হিসেবে এটি ব্যবহৃত হতো। সামন্ততান্ত্রিক জমিদারদার তাদের প্রজাদের উপরও লাঠির ব্যবহার করতো এবং এভাবেই এটা ক্ষমতা আর কর্তৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

      ভারতে এই অস্ত্রটি আতঙ্কের কারণ হয়ে ওঠে যখন ব্রিটিশরা উনবিংশ ও বিংশ শতকে অহিংস স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদেরকে দমানে এই লাঠির ব্যবহার শুরু করে।

      ব্রিটিশরা এমনকি লাঠি ব্যবহারের জন্য গাইডলাইনও তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে, ‘জ্যাবিং’ – যার অর্থ হলো পেটের দিকে আঘাত করা, এবং ‘কাটিং’ – যার অর্থ হলো ঘাড়ে বা মাথায় আঘাত করা।

      আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক সাইয়েদ আলি কাজিম বললেন, “লাঠি হলো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের উত্তরাধিকার”।

      তিনি বলেন, “স্পষ্ট ঐতিহাসিক দলিল রয়েছে যে, (মুক্তি যোদ্ধা) লালা লাজপাত রায় নিহত হয়েছিলেন যখন ব্রিটিশরা এক বিক্ষোভের সময় তারা মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেছিল”।

      ব্রিটিশরা ১৯৪৭ সালে দেশ ছেড়ে গেছে কিন্তু লাঠির ব্যবহার এখনও রয়ে গেছে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30621/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        উত্তরপ্রদেশে আন্দোলন ঠেকাতে শক্ত দমননীতি প্রয়োগ করছে মালাউন সরকার


        নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত গোটা ভারত। আন্দোলন ঠেকাতে শক্ত দমননীতি গ্রহণ করেছে দেশটির উত্তরপ্রদেশ মালাউন সরকার। মেরুট, সম্ভল, কানপুর, ফিরোজাবাদ, লাখনৌসহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। আন্দোলন ঠেকাতে ইতোমধ্যে ৪৯৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের মিথ্যা অভিযোগে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে। গ্রেফতার হয়েছেন এক হাজার ২৪৬ জন।
        সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপরও চলছে কড়া নজরদারি। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্র জানায়, প্রায় ২১ হাজার পোস্টকে আপত্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার ৩৮০ টুইট, ১০ হাজার ৩৩৯ ফেসবুক পোস্ট এবং ইউটিউবের ১৮১টি ভিডিও। সামাজিক মাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে ৯৫টি মামলা করা হয়েছে।
        সন্ত্রাসী প্রশাসনের এই অপতৎপরতায় বাহবা জানিয়েছে মালাউন যোগীর দফতর। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ অনেকাংশে আদায় করা গেছে বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়। বুলন্দশহরে প্রায় ছয় লাখের বেশি টাকা তোলা হয়েছে। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকরা সেই অঙ্কের ডিমান্ড ড্রাফট তুলে দিচ্ছেন সরকারি অফিসারের হাতে। জানা গেছে, বিশিষ্ট মুসলিম সমাজের প্রতিনিধি দল সরকারের হাতে মোট ৬.২৭ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন।
        পাকিস্তানে চলে যান, হুমকি পুলিশের
        উত্তরপ্রদেশের বিক্ষোভে গত শুক্রবার মুসলিম বিক্ষোভকারীদেরকে সরাসরি পাকিস্তানে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন মিরাটের পুলিশ সুপার। গোটা ঘটনার ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর নতুন করে শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভকে সামাল দিতে গিয়েই ওই মন্তব্য করে পুলিশকর্তা, যা ধরা পড়েছে ভিডিওতে। মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা ভিডিওটিতে দেখা গেছে, মিরাটের পুলিশ সুপার অখিলেশ নারায়ণ সিং একটি মুসলিম প্রধান এলাকায় সরু গলির মধ্যে আরো কয়েকজন পুলিশকর্মীকে নিয়ে ঢোকেন। রায়ট গিয়ার পরে তাদের গলিতে হাঁটতে দেখা যায়।
        সেখানে মাথায় টুপি পরা কয়েকজনকে অখিলেশ বলেন, ‘কোথায় যাবে তোমরা? এই গলিতো আমি এবার ঠিক করব।’ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক স্থানীয় বাসিন্দা তখন বলেন, তারা শুক্রবারের নামাজ পড়ছিলেন। তার উত্তরে অখিলেশ বলেন, ‘সে তো ঠিক আছে। কিন্তু হাতে এসব কালো আর নীল ব্যাজ যারা লাগিয়েছে, তাদের বলে দাও পাকিস্তানে চলে যেতে।’
        পুলিশ সুপার আরো বলে, ‘এ দেশে থাকতে না চাইলে চলে যাও। থাকবে এখানে আর গান গাইবে অন্য জায়গার?’ এর উত্তরে এক মুসলিম বলেন, ‘আপনি ঠিকই বলছেন।’ প্রত্যেক ঘর থেকে প্রত্যেককে বের করে জেলে ঢুকিয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় ওই পুলিশ সুপার।

        উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভের জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৯ জনের। এক তৃতীয়াংশ জায়গায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ আর্মড কনস্ট্যাবুলারির ১২ হাজার সেনা এবং তিন হাজারের বেশি আধা সন্ত্রাসীবাহিনী টহল দিচ্ছে যোগীর রাজ্যে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30626/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আসামে মালাউনদের করা বৃহত্তম বন্দিশিবিরের নির্মাণকাজ শেষের দিকে


          সংশোধিত কথিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরুর পর গত এক সপ্তাহ আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিল, দেশে কোনো ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ (বন্দিশিবির) নেই। অথচ আসামের গোয়ালপাড়ায় ঘন বন সাফ করে সাতটি ফুটবল মাঠের সমান বন্দিশিবির নির্মাণের কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। সেখানে আছে আরো পাঁচটি বন্দিশিবির।
          ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, এনআরসি আর সিএএ অনুযায়ী যারা আর ভারতের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারবেন না তাদের মধ্যে অন্তত ৩ হাজার জনকে বৃহত্তম ওই বন্দিশিবিরে রাখা হবে। আসাম রাজ্য সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই ভারতের বৃহত্তম এই বন্দিশিবিরের কাজ শেষ হবে। আসামের প্রাদেশিক রাজধানী গোহাটি থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরের গোয়ালপাড়া মাতিয়া নামক স্থানে ২৫ বিঘা জমির ওপর ৪৬ কোটি রুপি ব্যয়ে ওই বন্দিশিবির নির্মাণ করা হচ্ছে। গোটা বন্দিশিবিরের চারপাশে তোলা হচ্ছে ২০ থেকে ২২ ফুট উঁচু দেয়াল। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
          নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সাইট সুপারভাইজার মুকেশ বসুমাতারি আনন্দবাজারকে বলেন, ‘এ মাসের (ডিসেম্বরের) মধ্যে আমাদের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় তাতে খানিকটা সময় বেশি লাগছে। কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য কাঁচামাল সময়মতো পৌঁছবে কি না, তা নিয়েই এখন আমি বেশি চিন্তিত।’
          মুকেশ বসুমাতারি জানালেন, গোয়ালপাড়ার ওই বন্দিশিবিরে চারতলা মোট ১৫টি বাড়ি বানানো হবে। প্রতিটি বাড়িতে থাকবেন কমপক্ষে ২০০ জন। এ ছাড়া সেখানে নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আবাসস্থল, একটি হাসপাতাল, একটি স্কুল, সরকারি রান্নাঘর, খাওয়ার ঘর ও কমিউনিটি হল।
          এ ছাড়া বন্দিশিবিরটির অন্যত্র নির্মাণ করা হচ্ছে টয়লেট কমপ্লেক্স। তার ৬টি ব্লক বানানো হচ্ছে। প্রতিটি ব্লকে থাকছে ১৫টি টয়লেট এবং ১৫টি বাথরুম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আসামের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আসামের কারাগারে থাকা ৯০০ বন্দীকে এই বন্দিশিবিরে আনা হবে।
          আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়া অনেক মানুষ এই বন্দিশিবির নির্মাণের সাথে জড়িত। নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে না পারলে এই শ্রমিকদের অনেকেরই ঠাঁই হতে পারে এই বন্দিশিবিরে। এ ছাড়া সম্প্রতি পাস হওয়া নাগরিকত্ব আইনে বাদ পড়া মুসলিমদেরও পাঠানো হবে এসব বন্দিশিবিরে।
          গোয়ালপাড়ার কাছাকাছি নির্মাণাধীন এই বন্দিশিবিরসহ মোট ১০টি বন্দিশিবির নির্মাণের পরিকল্পনা আছে ভারত সরকারের। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো আরো জানিয়েছে, বন্দিশিবিরগুলোকে উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে। এ ছাড়া উঁচু দেয়াল টপকে পালাতে যাতে না পারে তাই থাকবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।
          বন্দিশিবির নির্মাণের বিশাল কর্মকাণ্ড দেখতে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও আশপাশের গ্রাম থেকে অনেক মানুষ সেখানে ভিড় করছেন। ওই এলাকার চারপাশে বসেছে বেশ কিছু চা ও খাবারের দোকান। অনেকে আবার বলছেন, বন্দিশিবির চালু হলে সেখানে কাজ জুটবে আশপাশের গ্রামবাসীদের।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30627/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মালাউনদের মিথ্যাচার


            বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ২০১৯-কে হালাল করার জন্য কিছু অস্বাভাবিক কাজ করছে ভারত। দেশটির কিছু ব্যক্তি বাংলাদেশকে এমন সহিংস রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করছে, যেখান থেকে হিন্দুরা ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে।

            গত সপ্তাহে ভারতের রাজ্যসভায় পাস হয়েছে সিএএ। এই আইনের অধীনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদেরকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। বিলে মুসলিমদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়নি, রোহিঙ্গাদের মতো নির্যাতিত গোষ্ঠির নামও নেই। জাতিসংঘ এই বিলটিকে ‘প্রকৃতিগতভাবেই বৈষম্যমূলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

            কিন্তু এই পয়েন্টটি ভারতের বিলের পক্ষের লোকেরা স্বীকার করছে না। তারা বিলের বৈষম্যমূলক বৈশিষ্ট্য থেকে নজর অন্যদিকে সরাতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সামনে নিয়ে আসছে। আর সুনির্দিষ্টভাবে বললে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করছে তারা।

            তিনি এর আগে পার্লামেন্টে বলেছে যে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। সে আরও বলেছে যে, ১৯৪৭ সালে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ছিল পুরো জনসংখ্যার ২২ শতাংশ, আর এখন সেটা ৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। সে প্রশ্ন করে, “তাদেরকে কি হত্যা করা হয়েছে? তাদেরকে কি জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়েছে? তাদেরকে কি ভারতে ঠেলে দেয়া হয়েছে”?

            তার বক্তব্যে সম্পূর্ণভাবে ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করা হয়েছে, এবং আদমশুমারির তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কেননা বাংলাদেশে হিন্দুরা সংখ্যায় কম হলেও মুসলমানদের চেয়েও অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।

            এতে কোন সন্দেহ নেই যে, দেশভাগের পর থেকেই বাংলাদেশ থেকে অনেক হিন্দুরা দেশ ছেড়ে গেছে। কিন্তু শুধু এটুকু বললে সত্য অস্বীকার করা হবে। কারণ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অব্যাহত নির্যাতনের কারণে তারা দেশ ছেড়ে যায়নি। মানুষের দেশ ছাড়ার ঘটনাগুলো অনেক বেশি সূক্ষ্ম।

            শুরুতেই বলতে হবে যে, ১৯৭১ সালের আগে বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের অংশ ছিল, তখনই এর বড় একটা অংশের স্থানান্তর ঘটেছে। ১৯৭৪ সালে যে শুমারি করা হয়, সেখানেই দেখা গেছে যে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমে এক তৃতীয়াংশ কমে ১৪.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এই হার হ্রাসের একটা বড় কারণ হলো নতুন গঠিত জাতি রাষ্ট্র, যেখানে জনসংখ্যার বিনিময় হয়েছে; এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী পরিকল্পিতভাবে জাতিগত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নিধনযজ্ঞও চালিয়েছিল যাদের মধ্যে অমুসলিম ও মুসলিম উভয়ই ছিল।

            ইতোমধ্যে, অমুসলিমদের ভারত গমন বেড়ে যাওয়ার একটা কারণ ছিল পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বিহার ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে মুসলিমদের আগমণ ঘটে। ১৯৭৪ সালের আদমশুমারির হিসেবে দেখা যায় যে, ১৯৫১ সালে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৩৪ মিলিয়ন এবং ১৯৬১ সালে সেটা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৬৫ মিলিয়ন হয়ে যায়। এ কারণে আনুপাতিক হারে তারতম্য ঘটে।

            ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে মানুষের স্থানান্তরের ইতিহাস অত্যন্ত জটিল ও এই প্রক্রিয়াটি ঘটেছে প্রায় আধা শতাব্দি ধরে এবং বহু মিলিয়ন মানুষ এ সময়ে স্থানান্তরিত হয়েছে। ঘরবাড়ি, কাগজপত্রাদি এবং জীবন হারিয়েছে। জনসংখ্যার হাতবদলের সাথে সাথে মানচিত্র বদলেছে। কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকদেরকে বেহিসাবী নাগরিকত্ব দিয়ে দিলেই শুধু বহু পুরাতন এই সমস্যার সমাধান হবে না। আইনি এই পদক্ষেপটি শুধু বৈষম্যমূলকই নয়, এটা খুবই সাদামাটা এবং ঐতিহাসিক প্রক্রিয়াকে এখানে অবজ্ঞা করা হয়েছে।

            আর এটাকে বৈধ করার জন্যেই অযৌক্তিকভাবে এবং কোন তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে হিন্দুদের বৈষম্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

            SOURCE-দ্য ডেইলি স্টার


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30636/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              মালাউন বিএসএফের হাতে সীমান্তে ৪৩ বাংলাদেশী হত্যা ও ত্বাগুত সরকারের ভারত প্রীতি!


              ২০১৯ সালে ভারতীয় মালাউন বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশ সীমান্তে সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালানো ও নির্যাতন আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে, ২০১৯ সালে অর্থাৎ এক বছরেই ৪৩ জনেরও অধিক বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় বিএসএফ সন্ত্রাসী বাহিনী। গত বছর যা ছিল ১৪ জনে।

              গতকাল আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উর্ধতন সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফাইজুল কবির ডেইলি স্টারকে জানান,” ৪৩ বাংলাদেশীর মধ্যে ৩৭ জন গুলিতে নিহত হয়েছেন, বাকী ৬ জন মালাউন বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।” যা আজকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

              আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য মতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় মমালাউন বিএসএফ এর হাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪৬ বাংলাদেশী প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। ২০১৬ তে সংখ্যাটি ছিলো ৩১ জন ও ২০১৭ তে ২৪ জনে।

              মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মীদের মতে, নিরস্ত্র ও সাধারণ লোক হত্যা করা “সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ হতে পারেনা”। যা ভারত নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে করে থাকে।

              ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী লোকজন দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়মিত সীমান্ত পারাপার হয়ে থাকেন। এসময় বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী কর্তৃক ভারতীয় কোন নাগরিক হত্যা না হলেও বিপরীত প্রতিনিয়ত ভারতীয় মালাউন সীমান্ত রক্ষীদের নির্যাতন ও গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে বাংলাদেশীদের।

              ভারতীয় মালাউন বিএসএফের উর্ধতন কর্মকর্তারা সীমান্ত হত্যা শূন্যতে নামিয়ে আনার প্রতিবার অঙ্গীকার করলেও তা যেন লাগাম ছাড়া ঘোড়ার মতো দিন দিন বেড়েই চলেছে। হত্যা, নির্যাতন কী না হচ্ছে সীমান্তে ভারতীয় মালাউন বিএসএফের দ্বারা?
              এ বছরের এপ্রিলের শেষের সপ্তাহে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফ এক বাংলাদেশী যুবককে ধরে ১০ আঙ্গুলের নখ উপড়ে ফেলে!
              সীমান্তে বর্বরোচিত নির্যাতনটি মিডিয়ায় আলোড়ন তোলে, মানবাধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তর বিএসএফের এহেন ঘৃণ্য নির্যাতনের নিন্দা করে।

              জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান পত্রিকার সাক্ষাতকারে ঘটনাটিতে ভারতের অযাচিত বাড়াবাড়ি বলে উল্লেখ করলেও বিপরীতে ভারত প্রীতি বাংলাদেশ ত্বাগুত সরকার এই হত্যাকান্ডের কোন সুষ্ঠু বিচারতো দূরের কথা সামন্য প্রতিবাদটুকুও করছে না। বার বার ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র বলে দেশটির সাধারণ জনগণ এই ত্বাগুত সরকার হরহামেশাই মুলা খাওয়াচ্ছে! অন্যদিকে যারাই এর প্রতিবাদ করছে তাদেরকে ঘুম, খুন-হত্যা ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যার প্রমাণ আবরার হত্যা থেকে শুরু করে ঢাবির শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, সাংবাদিকদেরকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা, এমন কোন পন্থাই বাকি রাখেনি এই ত্বাগুত সরকার যা তারা ভারতের স্বার্থ রক্ষার্থে করেনি।

              ভারতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন,
              “…দুর্ভাগ্যের বিষয় সরকার সীমান্তের ঘটনাগুলো নিয়ে কোন বিবৃতি দিচ্ছে না। মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা ভারতের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে নিয়মিত কথা দেন, কিন্তু আমরা সীমান্তে কোন উন্নতি বা তার প্রতিফলন দেখছি না।”

              মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন,
              “সরকার বলছে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো। কিন্তু সীমান্ত হত্যা বেড়েই চলেছে…এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”

              হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এশিয়া ডিভিশনের এক্সুকিউটিভ ডিরেক্টর ব্রাড এডামস ডেইলি স্টারকে জানান,” ভারতীয় সরকারের সীমান্তে দুর্ব্যবহার ও পেশিবল হ্রাসের প্রতিজ্ঞা করা সত্ত্বেও বিএসএফ জওয়ানদের ঠাণ্ডা মাথায় সন্ত্রাসী তাণ্ডব যেন কমছেই না।”

              ২০০০ সালের পরে ১০০০ এরও বেশি বাংলাদেশী সীমান্তে ভারতীয় মালাউন বিএসেফ এর ঠাণ্ডা মাথার সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন।

              ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি ভারতের অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নিজ বাড়ীতে বাবার সাথে ফেরার পথে ১৫ বছরের ছোট্ট মেয়ে ফেলানী হত্যা বিশ্ব মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় তোলে।

              মেয়েটিকে নির্যাতন করে হত্যার পর ভারতীয় মালাউন পশুগুলো মেয়েটিকে সীমান্তের কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনাটির নয় বছর পেরিয়ে গেলেও ভোক্তভোগী পরিবারটি এখনো সুবিচার পায়নি।

              সর্বশেষ এটাই স্পষ্ট কথা যে, এই ত্বাগুত সরকার ও তার মন্ত্রীরা আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করছেনা, আমাদের জন্য তাদের বিন্দু পরিমাণও সমবেদনা নেই। তারা তো ঐপারের মালাউনদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যাস্ত। এখন আমাদেরকেই আমাদের ফলাফল বাছাই করে নিতে হবে, হয়তো লাঞ্চনার জিন্দেগি নয়তো সম্মান ও মাথা উচু করে শত্রুর চোখে চোখ রেখে রুখে দাড়াবার জিন্দেগি।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30639/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                দেওবন্দ থেকে জমিয়তের ঘোষণা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে


                জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ আরো একবার সিসিএ, এনআরসি, এনপিআরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। গত সোমবার দেওবন্দে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওলামায়ে হিন্দ নেতাদের উপস্থিতিতে এ বিক্ষোভে অংশ নেন সর্বস্তরের জনগণ।

                সমাবেশে বক্তারা বলেন, এটি কোনও বিক্ষোভ নয়, সিসিএ এবং এনআরসি, এনআপপির বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি প্রতিবাদ জানাতে, এটা আমাদের অধিকার।

                সরকারের কঠোরতা যত বাড়বে, ততই এই আন্দোলন তীব্র হবে। আমরা আন্দোলন করতে আসিনি, আন্দোলনে নামলে সরকারের পতন হবে। সিএএ এবং এনআরসি হল দেশের মানুষের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র।

                সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা জাহির আহমেদ, আমির উসমানী, মৌলভী মাহমুদ বাহরাইচি, মাওলানা ইব্রাহিম কাসিমি।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30645/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ‘সব মার্কিন প্রেসিডেন্ট শান্তি চায় কিন্তু শুরু করে যুদ্ধ’


                  যুক্তরাষ্ট্ররে সব প্রেসিডেন্ট শান্তির কথা বলে কিন্তু যুদ্ধ শুরু করে। ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছে আমেরিকার প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডেনিস এটলার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমেরিকার স্বার্থ নিয়ে কাজ করেছেন।

                  ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাব্রিলো কলেজের নৃ-বিজ্ঞানের সাবেক এ অধ্যাপক বলেন, সিরিয়া এবং ইরাকে অব্যাহতভাবে মার্কিন সেনারা যে দখলদারিত্ব কায়েম করে রেখেছে তা আন্তর্জাতিক সমস্ত রীতি-নীতি ও আইনের লংঘন। সিরিয়া সরকার এবং ইরাকের দেশপ্রেমিক শক্তিগুলো বারবার মার্কিন সেনাদের চলে যাওয়ার কথা বলেছে; তারপরেও তারা সেখানে দখলদারিত্ব কায়েম করে রেখেছে। মার্কিন সেনাদের এই দখলদারিত্বের কোন বৈধতা নেই।

                  ডেনিস এটলার বলেন, সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ চলছে তা মোটেই বিস্ময়কর কিছু নয়। প্রতিটি দেশের জনগণের নিজেদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার অধিকার থাকে।

                  সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন সেনারা যে হামলা চালাচ্ছে তার কড়া সমালোচনা করেন আমেরিকার এ বিশ্লেষক। তিনি বলেন, আমেরিকার প্রতিটি প্রেসিডেন্ট শান্তির কথা বলেছে কিন্তু তারা যুদ্ধ শুরু করেছে।

                  মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে ক্রুসেডার সন্ত্রাসী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছে তাকে পাগলামি বলে মন্তব্য করেন ডেনিস এটলার।

                  সূত্র: পার্সটুডে


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30654/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    চলতি বছর মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক: আসক


                    চলতি বছর (২০১৯ সাল) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলেছে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মতপ্রকাশের অধিকার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হেফাজতে মৃত্যু, গুম, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে এ কথা বলেছে সংগঠনটি।

                    আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে আসক। যেখানে বলা হয়, চলতি বছর বাংলাদেশে ৩৮৮ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আওয়ামী দালাল কথিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন ১৪ জন। আর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ও নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ৪৩ জন বাংলাদেশি। এর বাইরে শিশু নিহত হয়েছে ৪৮৭ জন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ গুম ও নিখোঁজের শিকার হয়েছেন ১৩ জন। ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৪১৩ জন। ২০১৮ সালে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের সংখ্যা ছিল ৭১৩ আর বিএসএফের গুলিতে মারা যায় ১৪ জন।

                    সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজ, নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব তাহমিনা রহমান, উপপরিচালক নিনা গোস্বামী ও সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির।

                    মানবাধিকারের ক্ষেত্রগুলোর চলতি বছরের পর্যালোচনায় আসক বলছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে কথিত সরকার বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বন্ধ হয়নি। উল্টো সরকারের পক্ষ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডগুলো অস্বীকার করা হয়েছে। লিখিত প্রতিবেদনে আসক বলছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৩৮৮ জনের মধ্যে সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন ৩৫৬ জন।

                    এ ছাড়া, চলতি বছর আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার উদাহরণ দিয়ে আসক বলেছে, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও সত্য প্রকাশের কারণে কথিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা মামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া, বাধা এসেছে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসী নেতা-কর্মীদের দ্বারাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হকসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২৮ জনকে নির্যাতনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

                    চলতি বছর আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ড। ওই ঘটনার উদাহরণ দিয়ে চলতি বছর নারীর প্রতি যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের চিত্র পর্যালোচনা করেছে আসক। তারা বলছে, এ বছর যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ২৫৮ জন নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়েও নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন আরও ৪৪ জন পুরুষ। উত্ত্যক্ত করার কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৭ জন নারী। আর যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে চারজন নারীসহ মোট খুন হয়েছেন ১৭ জন। ২০১৮ সালে দেশে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন ১৭০ জন নারী।

                    আসকের প্রতিবেদনে শিশু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। কন্যাশিশু ধর্ষণের পাশাপাশি ছেলেশিশুও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নিহত হয়েছে ৪৮৭ জন। এসব শিশুর মৃত্যুর অন্যতম কারণ শারীরিক নির্যাতনে হত্যা, ধর্ষণের পর হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা। ২০১৮ সালে শিশু নিহতের সংখ্যা ছিল ৪১৯।

                    এর বাইরে গণপিটুনি, শ্রমিক অধিকার, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাগুলোও তুলে ধরা হয় আসকের প্রতিবেদনে।

                    সুত্রঃ প্রথম আলো


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30648/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      শেয়ারবাজারে বিপর্যয়ের বছর


                      সূচক, শেয়ার দর, মূলধন কমে দেশের শেয়ারবাজার এখন গভীর খাদে। চরম বিপর্যস্ত শেয়ারবাজারে গত এক বছরে মূলধন কমেছে ৫৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক প্রায় ১১০০ পয়েন্ট নেমে গেছে। মন্দায় মূলধন হারিয়ে বাজার ছেড়ে গেছেন দুই লাখ বিনিয়োগকারী।

                      ব্রোকারহাউস, কোম্পানির পরিচালকরা মিলে কারসাজির সিন্ডিকেট আরও পোক্ত হয়েছে। ভুয়া আর্থিক প্রতিবেদন, মিথ্যা তথ্য, গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দর নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেটের পকেটে গেছে কোটি কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে আস্থা আসতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ ছিল না বিদায়ী বছরে।

                      আস্থার সংকট কাটানো সম্ভব হয়নি। কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে ২০১০ সালে ভয়াবহ দরপতনে পুঁজি হারানো লাখ লাখ সাধারণ বিনিয়োগকারী কিছুই পায়নি। বরং তারা নতুন করে মূলধন হারিয়েছেন। শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের জন্য চরম হতাশার বছর গিয়েছে ২০১৯।

                      বছরের শুরুতে বাজার পরিস্থিতি তুলনামূলক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ডিএসইর সূচক ৫ হাজার ৪৬৫ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হয়। ওই মাসেই সূচক প্রায় ৬ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি যায়। এরপরে জুন পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজারের ঘরে ছিল সূচক। অক্টোবর থেকে সূচকের পতন শুরু হয়

                      ডিসেম্বরে এসে সাড়ে চার হাজার পয়েন্ট থেকে নামতে নামতে এখন ডিএসইএক্স পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৩৩। শেয়ার দর কমতে থাকায় ডিএসই বাজার মূলধন কমেছে ৫৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। বছরের শুরুতে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা। বছরের শেষে এসে তিন লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কেনা শেয়ার মূল্য থেকেই কমেছে এই অর্থ। বাজারের এমন চরম দৈন্য-দশায় বছর জুড়েই ছিল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ। মতিঝিলের রাস্তায় নেমে প্রতিদিনই বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ক্রমেই নিঃস্ব হওয়া বিনিয়োগকারীরা। পুঁজি হারিয়ে দুই লাখের বেশি বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়ে গেছেন এ বছর। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর বেনিফিসিয়ারি অ্যাকাউন্ট (বিও) ছিল ২৭ লাখ ৭৯ হাজার। সর্বশেষ তা আছে ২৫ লাখ ৭৮ হাজার। অর্থাৎ কেউ আস্থা পাচ্ছে না বাজারে বিনিয়োগ ধরে রাখতে। গত দুই মাসে বাজার যেভাবে পড়েছে তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে বাজার স্থিতিশীলতায় কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার স্থিতিশীলতার জন্য দরকার বৃহৎ মূলধনী কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসা। বর্তমানে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বন্ধ থাকায় শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহে এক প্রকার ধস নেমেছে। বিদায়ী ২০১৯ সালে আইপিও ও রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে ছিল। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯ সালে আইপিও ও রাইট শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৬৪১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে এ দুই মাধ্যমে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয় ৬৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বর্তমান কমিশনের অনুমোদন দেওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দাম ইস্যু মূল্য অথবা ফেসভ্যালুর নিচে নেমে গেছে। আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর এমন করুণ অবস্থার কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে কমিশন।

                      সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30650/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        প্রভাবশালীদের স্থাপনা রেখে ছোট স্থাপনা উচ্ছেদ করলো কথিত সরকারি বাহিনী


                        চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। ভেঙে দেওয়ার জন্য বাচাইকৃত লাল ক্রস দেওয়া কয়েক ২৫০টি অবৈধ স্থাপনার ভেতর শুধুমাত্র দরিদ্রদের স্থাপনাগুলি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য কারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি।

                        জানা গেছে, আলমডাঙ্গার রেলস্টেশন থেকে লাল ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত রেলওয়ে জায়গায় অবৈধভাবে কয়েক শ মানুষ পাকা ও আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। গত কিছুদিন আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ লিজ গ্রহণসহ বৈধ-অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রকাশ করে। কয়েক মাস পূর্বে রেলওয়ে পাকশি জোনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে লাল ক্রস দিয়ে সেগুলি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। গত কয়েক দিন আগে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য স্টেশন এলাকায় মাইকিং করে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেন। ২৯ ডিসেম্বর রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়।

                        বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী জোনের বিভাগীয় ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন, রেলওয়ে পুলিশের এসআই জালাল উদ্দিন ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এস আই জিয়াউর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। সে সময় ২৫০টি অবৈধ চিহ্নিত স্থাপনার মধ্যে রেলস্টেশনের পাশের কয়েকটি দোকান ঘর ভেঙে দেওয়া হয়। পরে লালব্রিজ সংলগ্ন পশুহাট এলাকার কয়েকটি দোকান ঘর ভাঙা হয়।

                        এদিকে, কয়েক ২৫০টি অবৈধ চিহ্নিত স্থাপনার মধ্যে কিছু মাত্র উচ্ছেদ করার ঘটনা সাধারণ মানুষ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছে যে ২৫০টি অবৈধ চিহ্নিত স্থাপনার মধ্যে শুধু দরিদ্রদের ছোট ছোট কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে অভিযান চালিয়ে। আসলে প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য দখলদারদের স্পর্শ করেনি উচ্ছেদ অভিযান। অনেকেই রেলওয়ের এ উচ্ছেদ অভিযানকে আইওয়াশ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

                        তাদের দাবি, প্রভাবশালী দখলদারদের লাখ লাখ টাকায় কিছু সরকারি কর্মকর্তা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে। যাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের অনেকেই জানান, রেলওয়ের কানুনগো ও নুরুজ্জামান কিছুদিন আগে এসেছিলেন। তারা তাদের সাথে যোগাযোগ করে কাগজ করে নেওয়ার কথা বলেছিল। কাগজ করার জন্য যোগাযোগ করা হলে তারা মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। অতো টাকা জোগাড় করতে পারিনি। তবে সে সময় সমিতি করে প্রভাবশালী কয়েকজন অবৈধ দখলদার ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে দিয়ে আসে।

                        উচ্ছেদের শিকার শফিকুল, আবুল হাসান, জসিম নামের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, অবাক করার বিষয়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এই চলামান উচ্ছেদ অভিযানকে একটি পক্ষ বির্তকিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। রেলওয়ে উচ্ছেদের নামে বাণিজ্য গড়ে তুলেছে তারা। মোটা অংকের টাকা দিলে বৈধ আর দিতে না পারলে অবৈধ। কেউ কেউ বলছে, যাদের স্থাপনায় ক্রস চিহ্ন একে দিয়েছিল, তাদের বহু দোকানদারের দোকান উচ্ছেদ করেনি। যে কারণে উচ্ছেদ অভিযান বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। এমনকি কুমার নদের মাঝে যারা অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা করছে সেগুলিও স্পর্শ করেনি অথাকথিত অভিযান। নদীর মাঝের স্থাপনা কীভাবে বৈধ হয়? কীভাবে তা লিজ হয়? এমন প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

                        উচ্ছেদকৃত দোকান মালিকেরা দাবি করেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা ছোট পরিসরে ব্যবসা পরিচালনা করছি। ব্যবসার টাকায় আমরা সংসার চালিয়ে যায়। ইতোমধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাগজ করার জন্য জানায়। কাগজ করার জন্য যোগাযোগ করা হলে তারা মোটা অংকের টাকা দাবি করে।

                        শফিকুল, আবুল হাসান, জসিম নামের ব্যবসায়ীরা আরো জানায়, অবাক করার বিষয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এই চলামান উচ্ছেদ অভিযানকে একটি পক্ষ বির্তকিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। রেলওয়ে উচ্ছেদের নামে বাণিজ্য গড়ে তুলেছে। মোটা অংকের টাকা দিলে বৈধ আর দিতে না পারলে অবৈধ। কেউ কেউ বলছে, যাদের স্থাপনায় ক্রস চিহ্ন একে দিয়েছিল, তাদের বহু দোকানদারের দোকান উচ্ছেদ করেনি। যে কারণে উচ্ছেদ অভিযান বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে আমরা শুধু মাত্র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি।

                        সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30657/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          পিটিয়ে মূত্রপান করাতে বাধ্য করলো সন্ত্রাসী বিজেপি বিধায়ক


                          মোহিত নামে একজন যুবককে বেধড়ক পেটানোর পর জোরপূর্বক মূত্রপান করানোর অভিযোগ উঠেছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারখেরা এলাকায়। এ ঘটনার পর স্থানীয় বিধায়ক কিষেণলাল রাজপুত ও তার কয়েকজন অনুগামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত মোহিত গুর্জর।

                          স্থানীয়রা বলছেন, আসাম রোড থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন মোহিত। রাহুল নামে স্থানীয় এক যুবকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাইক কিনেছেন তিনি।

                          কিন্তু, রাহুলের কাছে আসল কাগজপত্র না থাকায় সেই গাড়িটি মোহিতের নামে ট্রান্সফার করতে পারছিল না। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে অনেক জলঘোলাও হয়। বাধ্য হয়ে মোহিত বাইকের বদলে নিজের টাকা ফেরত চান।

                          এরপর গত ১২ ডিসেম্বর ফোন করে আবারো টাকা ফেরত চাইলে তাকে পিলভিট মান্ডি সমিতির গেটে আসতে বলে রাহুল। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পর তাকে স্থানীয় বিধায়ক কিষেণলাল ভাইপো ঋষভের নেতৃত্বে একদল যুবক মারধর করার অভিযোগ ওঠে।

                          এমনকি তাকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। এরপর মোহিতের গলার সোনার চেন ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আসাম রোড থানায় যান মোহিত। কিন্তু, কিছুক্ষণ বাদে সেখানে গিয়ে হাজির হয় সন্ত্রাসী বিজেপি বিধায়ক কিষেণলাল রাজপুত ও তার প্রায় ৫০ জন অনুগামী।

                          মোহিতকে আবারো মারধর করার পাশাপাশি গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তারপর জোর করে তাকে মূত্রপান করানো হয়। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি।

                          সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30660/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            ঘুষের টাকাসহ ধরা খেল হিন্দু কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে


                            বগুড়ায় ঘুষ লেনদেনের সময় ধরা পড়েছে হিন্দু সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে। সে বগুড়া কর অঞ্চলের ১৫ সার্কেলের সহকারী কর কমিশনার।

                            মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক করদাতার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা খেয়েছে এই হিন্দু ঘুষখোর।

                            সুত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার ব্যবসায়ী ইউনুছ আলী কয়েক বছর আগে বেশ কিছু জমি বিক্রি করেন। এ বছর তার আয়কর ফাইলে জমি বিক্রির বিষয়টি দেখাতে চান। এজন্য তিনি কর অফিসে যোগাযোগ করলে গত ছয় মাস ধরে তার ফাইলটি আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে হিন্দু সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে।

                            বাধ্য হয়ে ইউনুস আলী বিষয়টি দুদক কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দুদক কর্মকর্তারা কর অফিসে ফাঁদ পাতেন। পরামর্শ অনুসারে ব্যবসায়ী ইউনুস আলী মঙ্গলবার সকালে দুদক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।

                            তিনি বেলা পৌনে ১টার দিকে বগুড়া কর অঞ্চলের ১৫ সার্কেলের সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দের কাছে ঘুষের টাকা দেন। এ সময় দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে দুদক কর্মকর্তারা তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও ড্রয়ার থেকে চিহ্নিত করা ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন। হিন্দু সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে টাকার ব্যাপারে সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়।

                            দুদক বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত অভিজিৎ কুমারের টেবিলের ড্রয়ার থেকে ঘুষের ৫০ হাজার টাকা উদ্ধারের পর সে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি।

                            সুত্রঃ ইনসাফ২৪


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/31/30663/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment

                            Working...
                            X