Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৫ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ০১লা জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৫ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ০১লা জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    ফিলিস্তিনে এক বছরে ১৮২ এরও অধিক মুসলিমকে হত্যা করেছে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা


    মুসলিমদের প্রথম ক্বিবলা আল-আকসার পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাঈলী সন্ত্রাসী বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরছে, নয়তো কারাবরণ করতে হচ্ছে সেখানকার ফিলিস্তিনী মজলুম মুসলিমদের। নিজ ভূমিতে আজ ফিলিস্তিনীরা নির্যাতিত, ভূমিহীন! আর অভিশপ্ত সন্ত্রাসী ইহুদীরা সেখানে লুট করছে। এ যেন চাকরের হাতে মালিকের মার খাওয়ার দৃশ্য।

    ফিলিস্তিন ভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যম জানায় যে, গত ২০১৯ সালে দখলদার ইহুদীরা বর্বরোচিত বিমান হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ১৪৯ এরও অধিক ফিলিস্তিনী মুসলিমকে! “শহীদদের জাতীয় সমাবেশ” এর সেক্রেটারি-জেনারেল মুহাম্মাদ সোবিহাত এর অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনুসারে শিশু শহীদদের সংখ্যা ৩৩ জনে পৌঁছেছে। মহিলা শহিদদের সংখ্যা ১২ জন এবং পুরুষ শহিদদের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৩৭ জনে।

    শহিদদের মধ্যে ১১২ জনই হচ্ছেন গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। পশ্চিম তীরে শাহাদতবরণ করেছেন আরো ৩৭ জন ফিলিস্তিনী। যাদের মাঝে ৬৯ জন অভিশপ্ত দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত বোমা হামলার ফলে শাহাদাতবরণ করেন।

    অন্যদিকে গত এক বছরে বন্দিত্বের শিকার হয়েছেন ৫৫০০ জন ফিলিস্তিনী, যাদের মাঝে ৮৮৯ জনই শিশু ও ১২৮ জন নারী।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30679/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফটো রিপোর্ট | ২০১৯ সাল : ফিলিস্তিনী শিশুদের উপর ইহুদীবাদের আক্রোশ!


    ২০১৯ সালে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত বিমান হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ১৪৯ এরও অধিক ফিলিস্তিনী মুসলিমকে। এদের মধ্যে কেবল শিশুর সংখ্যা ৩৩ জন। আবার, বিগত বছরে দখলদার ইহুদীরা কারাবন্দী করেছে ৫৫০০ জন ফিলিস্তিনীকে, যাদের মধ্যে ৮৮৯ জনই শিশু!










    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30684/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বাবরি মসজিদ দখল করছে মালাউনরা, ভিন্ন জায়গায় মসজিদের জমি বাছাই


      ভারতের অযোধ্যায় অবস্থিত হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের হাতে শহিদ হওয়া বাবরি মসজিদের বিকল্প জমি হিসেবে তিন এলাকার পাঁচটি জায়গা নির্বাচন করেছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুত্ববাদী মালাউন সন্ত্রাসী যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এলাকাগুলো হলো- মির্জাপুর, শামসুদ্দিনপুর ও চাঁদপুর। এ তিন এলাকায় প্রত্যেকটি জায়গায় ৫ একর করে জমি রয়েছে।

      গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশ সরকারের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

      ৮ নভেম্বর কয়েক দশকের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে করা ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ওই রায়ে ২৭ বছর আগে ভাঙা বাবরি মসজিদ ও তার লাগোয়া ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা সুপ্রিম কোর্ট হিন্দুদের দিতে বলে। আর নতুন একটি মসজিদ নির্মাণে মুসলমান সম্প্রদায়কে শহরেই নামে মাত্র আলাদা একখণ্ড পাঁচ একরের জমি বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী যোগী সরকার মসজিদের জন্য জমি নির্বাচন করে।

      যোগী সরকারের বরাত দিয়ে বলা হয়, যে জায়গাগুলো নির্বাচন করা হয়েছে, সেগুলো সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেখানো হবে। ওই জায়গাগুলোর মধ্যেই একটিকে মসজিদ নির্মাণের জন্য বেছে নিতে বলা হয়েছে। তবে তারা আদৌ এ জমি নেবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।

      ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা পর এ রায়কে সাম্প্রদায়িক আখ্যায়িত করে মামলার অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তারা মসজিদের জন্য সরকারের দেওয়া জমি গ্রহণ করবেনা। কেননা, উগ্র হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার পরও ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের জমিতে হিন্দুদের রাম মন্দির নির্মাণের আদেশ দিয়েছে।

      এছাড়া অন্যান্য মুসলিম নেতারাও রায় ঘোষণার পরেই জানিয়ে দিয়েছেন, এই খয়রাতি জমিন মুসলিমদের প্রয়োজন নেই। মুসলিমদের বাবরি মসজিদের জমিই প্রয়োজন।

      এর আগে চলতি মাসের শুরুতে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ মামলার বিতর্কিত রায়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশনের আবেদন করে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। পরে ১২ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৮টি রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয় মালাউনদের সুপ্রিম কোর্ট।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30676/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        উত্তরপ্রদেশে মুসলিমদের উপর চলছে ভয়াবহ নির্যাতন


        মুসলিম-বিরোধী নাগরিকত্ব আইন পাশের পর ভারতের অন্যান্য অনেক এলাকার মতো উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরেও চলছিল বিতর্কিত নাগরিক (সংশোধিত) আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে কোশেশ করছিলেন, কিন্তু পুলিশের আগ্রাসী ভূমিকার প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ রূপ নেয় সহিংসতায়। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ টিয়ারস্যালের পাশাপাশি নির্বিচার গুলিও বর্ষণ করতে থাকে।

        বিজনৌরের এক মসজিদ থেকে জুমার নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরছিলেন সুলেমান নামক এক মুসলিম যুবক। তাঁর পরিবার জানায়, পুলিশি এ সহিংসতা এড়িয়ে সুলেমান ঘরে ফিরতে চাইছিলেন, এরই মধ্যে বিজনৌরের পুলিশ ইনচার্জ আশিস তোমর-সহ কয়েকজন পুলিশ তাঁকে পাশের একটি গলিতে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে। গুলির আঘাতে প্রাণ হারান সুলেমান। (আনন্দবাজার পত্রিকা, ৩১ ডিসেম্বর, ১৯)

        সেদিনরই আরেকটি ঘটনা। বিজনৌরের বাসিন্দা মুসলিম যুবক আনাস। তাঁর সাত মাস বয়সী শিশুসন্তানের জন্য দুধ কিনতে বেরিয়ে বিজনৌর পুলিশের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। শিশুসন্তানের জন্য দুধ কিনে বাসায় ফেরা হয়নি তাঁর, ফিরেছেন লাশ হয়ে। আনাসের বাবা আরশাদ হুসেন গণমাধ্যমকে জানান, বিজনৌর পুলিশ তাঁর ছেলেকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। (আনন্দবাজার পত্রিকা, ৩১ ডিসেম্বর, ১৯)

        সুলেমান এবং আনাসকে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রথমে অস্বীকার করে পুলিশ। পরে কেবল সুলেমান হত্যার দায় তারা স্বীকার করে, কিন্তু আনাস হত্যার বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

        চলতি মাসে মুসলিম-বিরোধী নাগরিকত্ব আইন পাশের পর অন্যান্য রাজ্যের মতো উত্তরপ্রদেশও উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রতিবাদে, বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসেন মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনও। অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় বিক্ষোভ দমাতে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ফলে দুই সপ্তাহের বিক্ষোভে অন্তত ২৭ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের বাম সংগঠন সিপিআই লিবারেশন। নিহতদের প্রায় সকলেই মুসলিম।

        উত্তরপ্রদেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এসে লিবারেশন নেত্রী কবিতা কৃষ্ণন মঙ্গলবার ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু (মুসলিম) মহল্লাগুলোতে অভিযানের নামে পুলিশ ব্যাপক হয়রানি ও নির্যাতন চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

        গত সপ্তাহে বিক্ষোভ যখন তুঙ্গে, তখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, বিক্ষোভে ভাঙচুরের সমস্ত ক্ষতিপূরণ বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে উসুল করা হবে। এরই সূত্র ধরে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরাবাদ শহরের ৭০টিরও অধিক মুসলিম ব্যবসায়ীর দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে এক সপ্তাহে রাজ্যের আরও বিভিন্ন শহরে মুসলিম ব্যবসায়ীদের অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি নোটিশ জারি করে জানানো হয়, ভাঙচুরের ঘটনাগুলোর দাবিকৃত ক্ষতিপূরণ সরকারকে প্রদান না করলে এ সমস্ত সম্পত্তি সরকারি কোষাগারে জমা হবে।

        ফলে মুসলিম নাগরিকরা ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ইতিমধ্যে রাজ্যটির বুলন্দশহর এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে চাঁদা উঠিয়ে ৬ লাখ টাকা প্রদান করেছেন রাজ্য সরকারকে।

        এদিকে সুলেমান হত্যার দায় রাজ্য পুলিশ স্বীকার করলেও হত্যার সঙ্গে জড়িত ৬ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে নারাজ যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশের পেশাগত শিক্ষা ও স্কিল উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল দেব আগরওয়াল বিক্ষোভে হতাহত হিন্দু পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করলেও মুসলিম পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেনি। এমনকি সুলেমান ও আনাসের বাড়িতেও যায়নি। উল্টো সে এ সমস্ত পরিবারকে দাঙ্গাবাজ আখ্যায়িত করে সাংবাদিকদের কাছে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে। বিক্ষোভে নিহতদের উপদ্রুবী আখ্যা দিয়ে সে বলেছে, কেন ওদের বাড়ি যাব! যারা দাঙ্গাহাঙ্গামা করে রাজ্যে ‘লুঠপাট’ চালিয়েছে, তারা মারা গেলেও আমাদের কিছু যায় আসে না।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30691/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          নতুন বছরে মালাউন শাসকদের কবলে কতটা নতুন জীবনে প্রবেশ করল ভারতবাসী?


          নতুন একটি দশকে পা রাখার আনন্দে আপ্লুত ভারতবাসী। কিন্তু এই সব আনন্দের মধ্যেও বিশেষজ্ঞ মহলের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কারণ, নতুন বছর বা নতুন দশক যাই আসুক না কেন, দেশের পক্ষে নতুন কোনও সুখবর বয়ে আনছে না ২০২০।

          কেননা, গত ৮ নভেম্বর কয়েক দশকের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে করা ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ওই রায়ে ২৭ বছর আগে হিন্দু সন্ত্রাসীদের ভাঙা বাবরি মসজিদ ও তার লাগোয়া ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা সুপ্রিম কোর্ট হিন্দুদের দিতে বলে। উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার পরও ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের জমিতে হিন্দুদের রাম মন্দির নির্মাণের আদেশ দেওয়ার পর এ রায়কে সাম্প্রদায়িক আখ্যায়িত করেছে মামলার অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। এছাড়া মুসলমানদের মাঝেও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

          এদিকে, অর্থনীতির অবস্থা গত কয়েক দিনে আরও খারাপ হয়েছে। গাড়ি শিল্প তলানিতে। টেলিকম শিল্প, ব্যাঙ্কিং সেক্টরের অবস্থা সঙ্গীন।

          ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে বাঁচাতে বেশ কিছু ব্যাঙ্ককে কয়েকটি বড় ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিপুল লোকসানের কারণে রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, বিপিএল–কে আগামী মার্চেই বেসরকারিকরণ করা হবে বলে কয়েক দিন আগেই ঘোষণা করে দেয় কেন্দ্র। তবে সরকারি অনুদান পাওয়ায় বিএসএনএল–এর আপাতত বেসরকারিকরণ হচ্ছে না।
          ধসে পড়া অবস্থার জন্য পরিকাঠামো শিল্প দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক মহলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

          পেঁয়াজের দাম এখনও ১০০ টাকার উপরে। রসুন, আদা অনেক আগে থেকেই উপরেই ঘোরাফেরা করছে। সম্প্রতি বেড়ে গিয়েছে আলুর দামও। প্রায় প্রতি দিনই বাড়ছে পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম। চা বাগানগুলি ধুঁকছে। একই অবস্থা দেশের তামাক শিল্পেরও।
          দিল্লি থেকে তেলঙ্গানা, কর্নাটক থেকে রাজস্থান, রাতের শহরে একা মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছে কোনও রাজ্যের সরকারই। সাত বছর কেটে গেলও এখনও পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি নির্ভয়ার ধর্ষকদের।
          গত অগাস্টে জম্মু–কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পর থেকে চার মাস গড়িয়ে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি উপত্যকা। আজও গৃহবন্দি উপত্যকা রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা।

          এর মধ্যেই মুসলিম বিরোধী সিএএ আইন পাস করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারপর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল আপামর ভারতবাসী। উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, অসম, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, দেশের প্রতিটি প্রান্তে নাগরিক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন মানুষজন। বিক্ষোভকারীদের দমনে তাঁদেরই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নোটিস দিয়ে নিজেকে প্রায় স্বৈরাচারীর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এজন্য বিরোধী দল এবং সমাজকর্মীদের কাছে অরাজকতার কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে তাঁকে। আইন প্রত্যাহারের জন্য সব থেকে বেশি প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রসমাজ। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করেছে পুলিস। যার পরে আরও প্রবল হয়েছে ছাত্রবিক্ষোভ।
          আর এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার নতুন দশককে বরণ করল দেশবাসী। ঠিক কতটা নতুন জীবনে প্রবেশ করল ভারতবাসী?*


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30695/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে নিহত মুসলিমদের দাফনেও হস্তক্ষেপ মালাউন পুলিশের!


            বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভে উত্তর প্রদেশে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পর এখন নিহতদের দাফনেও বিধি-নিষেধ আরোপ করছে। অনেক পরিবারকে বাধ্য করছে গোপনে দ্রুত দাফন করতে।

            ২০ বছরের মোহাম্মদ সুলেমান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ২০ ডিসেম্বর। ওই দিন মধ্যরাতে নিহতের বাবাকে কাছের পুলিশ স্টেশনে ডেকে নিয়ে দাফনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। সুলেমানের মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল বিজনর জেলার ব্যস্ত এলাকায় নেহতাউর চৌমুহনীতে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিক্ষোভ ও স্লোগানে পুলিশ গুলি চালানোর অল্প কিছু সময় তার লাশ পাওয়া হয়।

            মৃত্যুর পর সুলেমানের মরদেহ বিজনর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তা আটকে রাখে। এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের বাবা জাহিদ হুসাইনের বাবাকে জানায়, পরদিন (২১ ডিসেম্বর) সুলেমানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। কিন্তু পরিবারের কাছে লাশ এক শর্তে হস্তান্তর করা হবে, তা হলো নেহতাউর থেকে দূরে কোথাও দ্রুতই দাফন করতে হবে। জানাজায় কোনও বন্ধু বা শোকাহতকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। কঠোর পুলিশি বন্দোবস্তের মধ্যে দাফন সম্পন্ন করতে হবে।

            সুলেমানের বড় ভাই শোয়েব পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিলেন বাবার সঙ্গে। তিনি বলেন, পুলিশ বলে তোমরা দাঙ্গাকারী। দাফনেও তোমরা দাঙ্গা শুরু করবে। তারা আরও বলে যে কোনও জায়গায় গর্ত খুড়ো এবং পুঁতে ফেলো।

            শোয়েব জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের দাফনের ধর্মীয় রীতি ধৈর্য্য ধরে পুলিশকে বুঝিয়ে বলেছেন তারা।

            ২১ ডিসেম্বর সকাল ৭টার কিছুক্ষণ পর সুলেমানের মরদেহ পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। গাড়িটি পুলিশ প্রহরায় বিজনর থেকে বাগদাদ আনসার এলাকার একটি গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানে তার নানি বাস করতেন।

            একই দিন রাতে, নেহতাউর এলাকার আরেকটি নিরুপায় পরিবারকেও পুলিশের সঙ্গে একই ধরনের সমঝোতা করতে হয়েছে। ৮ মাসের শিশুর বাবা ২১ বছরের আনাস হোসাইন একটি সরু গলিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই ঘটনাতেও পুলিশ দূরে কোথাও দাফনে রাজি না হওয়ার পূর্বে মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তরে রাজি হয়নি।

            আনাসের দাফনের সময় মিথান নামের গ্রামে একটি কবরস্থানে পুলিশ পাহারা দেয়, নিহতের ভাই কবর খুড়েন, বাবা ছেলের মরদেহকে গোসল করান। আর তার চাচা কবরে লাশের উপরে দেওয়ার জন্য কাঠ ও বাঁশের ব্যবস্থা করেন। বাবা আরশাদ হোসাইন বলেন, আমাদের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই আনাসকে শেষবার দেখার সুযোগ পায়নি।

            বিজনর এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বজিত শ্রিবাস্তব নিশ্চিত করেছেন, সুলেমান ও আনাসের মরদেহ দূরে কোথাও দাফন করার নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে। নেহতাউরের পরিস্থিতি উত্তেজনাকর থাকায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পরিবার সম্মত হয়েছে।

            উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্থান থেকে ভারতে গিয়ে বসবাস করা অমুসলিমদের দেশটির নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বৈষম্যমূলক এ আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বিক্ষোভে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। বন্দি করা হয়েছে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষকে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30694/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              রেলের ভাড়া ও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে নববর্ষের উপহার দিল সন্ত্রাসী মোদি


              নববর্ষে সন্ত্রাসী মোদি সরকারের উপহার হল, রেলের বিপুল ভাড়া, ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি।

              ভারতীয় গণমাধ্যম আজকাল সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রক রেলের ভাড়া বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি করেছে। এদিন মধ্যরাত থেকে চালু হবে নতুন মাশুল। লোকাল ট্রেন ছাড়া অন্য সমস্ত ট্রেনে যাত্রা করার জন্যই বাড়তি ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। সাধারণ নন এসি ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে বাড়বে এক পয়সা করে। এছাড়া নন এসি, মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রে কিলোমিটার প্রতি ২ পয়সা করে ভাড়া বাড়তে চলেছে। এসি ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে বাড়বে চার পয়সা করে। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদব সোমবার বলেছিল, আপাতত, রেলমন্ত্রক পণ্যবাহী ট্রেন বা যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনওরকম পরিকল্পনা করছে না। কিন্তু সেই ঘোষণাকে মিথ্যে প্রমাণ করে মঙ্গলবারই বাড়িয়ে দেওয়া হল ভাড়া। ১ জানুয়ারি থেকে বাড়তি ভাড়াতেই টিকিট কাটতে হবে। রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত, বন্দে ভারত, তেজস, হমসফর, গরীব রথ, জন শতাব্দী সহ আরও স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী বাড়ানো হবে।

              নতুন বছরে মোদি সরকারের আরেকটি উপহার হল গ্যাসের দামবৃদ্ধি। এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া বাড়ার পর বাড়ল ভর্তুকিহীন এলপিজি বা রান্নার গ্যাসের দামও। ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকেই কার্যকর করা হয়েছে রান্নার গ্যাসের নতুন দাম। এই নিয়ে পাঁচবার মাসিক মূল্যবৃদ্ধি হল রান্নার গ্যাসের।
              ইন্ডেন ব্র্যান্ডের অধীনে এলপিজি সরবরাহকারী ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন অনুযায়ী, দিল্লি ও মুম্বইয়ে সিলিন্ডার পিছু দাম যথাক্রমে ১৯ টাকা এবং ১৯.৫ টাকা করে বেড়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে ভর্তুকিহীন এলপিজির দাম দিল্লিতে সিলিন্ডার পিছু বেড়ে হল ৭১৪ টাকা এবং মুম্বইয়ে সিলিন্ডার পিছু বেড়ে হল ৬৮৪.৫০ টাকা। ডিসেম্বর মাসে সিলিন্ডারের দাম ছিল যথাক্রমে ৬৯৫ টাকা এবং ৬৬৫ টাকা।
              এদিকে কলকাতা এবং চেন্নাইতে ভর্তুকিহীন এলপিজি গ্যাসের দাম সিলিন্ডার পিছু যথাক্রমে ২১.৫ টাকা এবং ২০ টাকা করে বেড়েছে। প্রতি সিলিন্ডার তা বেড়ে হল যথাক্রমে ৭৪৭ টাকা এবং ৭৩৪ টাকা। ১ ডিসেম্বর থেকে ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দামও দিল্লিতে ইউনিট প্রতি বেড়ে ১,২৪১ টাকা এবং মুম্বইয়ের ১,১৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল অনুসারে।
              অন্যদিকে এলপিজির দাম (প্রতি ১৪.২ কিলোগ্রাম) আগস্টের পর থেকে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে সিলিন্ডার প্রতি ১৩৯.৫ টাকা এবং মুম্বইয়ের সিলিন্ডার প্রতি ১৩৮ টাকা করে বেড়েছে। এই বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ২৪.২৮ শতাংশ এবং ২৫.২৫ শতাংশ।

              এদিকে, অর্থনৈতিক মন্দা চলছে দেশজুড়ে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। তার মাঝে নতুন বছরে কোনও আশার আলো দেখাতে পারেনি মোদি সরকার। উল্টে বছরের প্রথমদিনেই বাড়িয়ে দেওয়া হল ট্রেনের ভাড়া, ও গ্যাসের দাম। মোদি কবলে, কোথায় যাবেন দেশের মানুষ?*


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30708/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুসলিমদের মধ্যে কেন এমন আতঙ্ক?


                ভারতের মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তাতে সবচাইতে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে। গত ২০ ডিসেম্বর এই বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

                কানপুর শহরের বাবুপুরা এলাকায় থাকেন মোহাম্মদ শরিফ। জায়গাটা খুবই ঘিঞ্জি, সরু সরু গলি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। টিনের চাল দেওয়া ছোট বাড়ি। একটিই মাত্র ঘর, যার একটা অংশে দিনের বেলায় রান্নাবান্না হয়, রাতে পুরোটাই হয়ে যায় শোবার ঘর।

                ঘরের সামনে বসেছিলেন ছিলেন মোহাম্মদ শরিফ। আমাকে দেখে তিনি উঠে দাঁড়ালেন, আমাকে জড়িয়ে ধরলেন- আর তখন কান্নায় ভেঙে পড়লেন। কয়েক মিনিট আমরা কেউ কথা বলতে পারছিলাম না।

                ‘আমি সব হারিয়েছি। আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নেই’ চোখের পানি সামলানোর চেষ্টা করতে করতে বলতে লাগলেন মোহাম্মদ শরিফ। ‘আমার ছেলে কি দোষ করেছিল, কেন হিন্দুত্ববাদী পুলিশ তাকে গুলি করল?’ গত ২৩ ডিসেম্বর তার ছেলে মোহাম্মদ রইস (৩০) মারা গেছেন। রইসের পেটে গুলি লেগেছিল। তিন দিন পর তিনি মারা যান।

                ‘আমার ছেলে তো কোনো বিক্ষোভও করছিল না। সে রাস্তায় বসে জিনিসপত্র বিক্রি করত। যেখানে বিক্ষোভ হচ্ছিল- ঘটনাচক্রে সে সেখানে ছিল। কিন্তু যদি সে বিক্ষোভ করেও থাকে, তাহলেও কি পুলিশ তাকে মেরে ফেলতে পারে?’

                মোহাম্মদ শরিফ বলছিলেন, ‘আমরা মুসলিম বলেই কি তাকে মরতে হলো? আমরা কি এ দেশের নাগরিক নই? আমি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এ প্রশ্ন করেই যাব!’

                যে বিক্ষোভে মোহাম্মদ রইস গুলিবিদ্ধ হন- নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের আরো বহু জায়গায় সেরকম বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ হয়েছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও। কোথাও কোথাও পাথর ছুঁড়তে থাকা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সহিংস সংঘর্ষও হয়েছে।

                ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্যগুলোর অন্যতম এই উত্তর প্রদেশ। বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

                নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এবং তা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যসূচক।

                কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ভারতের বিজেপি সরকার বলছে, যেসব ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশ ছাড়ছে এ আইনটি তাদের সুরক্ষা দেবে। সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেছে, এই আইন মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়।

                কিন্তু উত্তর প্রদেশ- যেখানে ৪ কোটি মুসলিম বাস করে- এবং ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছে, যারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে। সে বলেছে, ‘সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাদের বাড়িঘর বাজেয়াপ্ত করা হবে।’

                পুলিশ তার নির্দেশ পালন করেছে। তারা ‘ফেরারি’ লোকদের চিহ্নিত করেছে – যাদের অধিকাংশই মুসলিম – এবং কানপুর জুড়ে দেয়ালে দেয়ালে তাদের পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। এর ফলে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেখা দিয়েছে আতংক।

                বাবুপুরওয়ায় আমার সঙ্গে বেশ কয়েকজন নারীর কথা হয়, যারা বলেছেন যে তাদের স্বামী-সন্তানরা গ্রেপ্তার-নির্যাতনের ভয়ে অন্য শহরে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ১০ বছরের ছেলেও আছে। এই ভয় আরো বেড়েছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসির কারণে।

                ‘এনআরসির কারণে মানুষকে এখন প্রমাণ করতে হবে যে, সে ভারতের নাগরিক’- বলছিলেন কানপুরের মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন নেতা এবং রাজনীতিবিদ নাসিরুদ্দিন।

                ‘কল্পনা করুন, একটি মুসলিম পরিবার এবং আরেকটি হিন্দু পরিবার- উভয়েই নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলো। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ হওয়ার পর এখন হিন্দু পরিবারটি সেই আইন ব্যবহার করে নাগরিকত্ব দাবি করতে পারবে, আর মুসলিম পরিবারটি তার নাগরিকত্ব হারাবে।’

                ভারত সরকার বলছে, তাদের এখনই জাতীয় নাগরিকপঞ্জী করার কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু মুসলিম জনগোষ্ঠী ভয় পাচ্ছে যে তারা হয়তো তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার মতো কোনো দলিলপত্র দেখাতে পারবে না।

                নাসিরুদ্দিন আরো বলছেন, এই রাজ্যের মুসলিমরা আরো ভয়ে আছেন, কারণ তারা ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টিকে বিশ্বাস করেন না।

                ‘আমাদের কী দোষ? এখানে কোনো ব্যাপারে আমরা একমত না হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু আমাদের রক্ষকই এখন ভক্ষক হয়ে গেছে। আমরা এখন কোথায় যাব’- বলছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী।

                এলাকাটির আরো কয়েকটি গলি ঘুরে দেখলাম। সবখানে একই দৃশ্য। পুরুষ এবং বালক দেখা যাচ্ছে খুবই কম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নারীদের জটলা- যেন তারা অপেক্ষা করছে, কখন কেউ তাদের দিকে কিছু একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেবে।

                আরো একজন নারী, তিনিও প্রকাশ করতে চাননি, নিজে থেকেই বললেন, ‘পুলিশ রাতে আমাদের এলাকায় এসেছিল। বলেছে, তারা সব পুরুষদের গ্রেপ্তার করবে। তারা আমাদেরকে বলেছে, আমরা যেন বিক্ষোভকারীদের চিনিয়ে দিই।’

                মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের করা আগেকার কিছু মুসলিমবিরোধী মন্তব্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে সে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্টাইলে ভারতের মুসলিমদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেছে, মুসলিম পুরুষদের বিরুদ্ধে হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ এনেছে, বলিউড তারকা শাহরুখ খানের সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি হাফিজ সাঈদের তুলনা করেছে।

                অনেকেই বিশ্বাস করেন ভারতীয় সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী মোদি যে ‘জোরদার হিন্দু জাতীয়তাবাদের’ কথা বলছে, ঠিক সেটাই অনুসরণ করছে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

                নাসিরুদ্দিনের কথায়, ‘উত্তর প্রদেশ এখন এই আদর্শের প্রধান পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে।’

                গত কিছুদিনের মধ্যে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে হাজার হাজার লোক আটক হয়েছেন যাদের অধিকাংশই মুসলিম, দিনের পর দিন বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সেবা, বহু নেতৃস্থানীয় অধিকার কর্মী আটক হয়েছেন – যার মধ্যে আছেন একজন সাবেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাও।

                পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা মুসলিমদের ভীতি প্রদর্শন করছে। কানপুর থেকে এমন ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে যাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশই গভীর রাতে মুসলিম-প্রধান এলাকায় গাড়ি ও বাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে।

                আমার একজন সহকর্মী উত্তর প্রদেশের অন্য কিছু জায়গা থেকেও এমন ঘটনার খবর পেয়েছেন।

                কানপুর থেকে ৩৬০ মাইল দূরের মুজাফফরনগরে বেশ কিছু জায়গায় মুসলিমদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, একটি বাড়িতে পুলিশ টিভি, ফ্রিজ ও রান্নার হাঁড়িপাতিলসহ সব জিনিসপত্র একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে।

                তিনি আরো জানান, তার সঙ্গে এমন পুরুষ ও বালকদের কথা হয়েছে যারা বলেছে পুলিশ তাদের মারধর করেছে, আটক করেছে।

                এই এলাকাগুলোতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছে। তাদের পরিবারের লোকজন বলছেন পুলিশই তাদের গুলি করেছে – কিন্তু পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

                এসব বিবরণ শুনলে মনে হয়, যেন ঘটনার একটা ছক দাঁড়িয়ে গেছে। লোকজনকে আটক করা, তার পর রাতের বেলা মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় গাড়ি ও বাড়িঘর ভাঙচুর-তছনছ করা। কিন্তু রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা- যিনি আইন-শৃঙখলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত – তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

                পিভি রামাশাস্ত্রী বলেছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য যারা দায়ী তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং ‘ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণের’ ভিত্তিতে তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

                আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, পুলিশ ভিডিও থেকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু তাদের নিজেদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তা করছে না কেন?

                সে জবাব দিল, ‘অভিযোগ করার স্বাধীনতা যেকোনো লোকেরই আছে।’

                পুলিশ কারো বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে এমন অভিযোগও অস্বীকার করলো সে। যখন আমি তাকে কথিত ঘটনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখালাম, তখন সে বলল, ‘কেউ কোথাও একটা ভিডিও পোস্ট করলেই কি হয়ে গেল? তা তো নয়।’

                ‘তাকে সেই লোকালয়টা চিহ্নিত করতে হবে, পটভূমি দিতে হবে। কোনো একটা ভিডিওর ভিত্তিতে কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়া যায় না।’

                উত্তর প্রদেশ রাজ্যে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাতে পুলিশের কোনোভাবে জড়িত থাকার কথাও অস্বীকার করল রামাশাস্ত্রী। বললো, তদন্ত চলছে।

                কিন্তু সমাজকর্মী সুমাইয়া রানা বলছেন, পুলিশকে এর দায় নিতে হবে।

                তিনি আরো বলেন, ‘সহিংসতা দিয়ে কোনো কিছুর সমাধান হয় না, কিন্তু এ কথা উভয় পক্ষের জন্যই প্রযোজ্য। সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, কিন্তু বিক্ষোভকারীদের গুলি করাটাই কি একমাত্র উপায়?’

                ‘এতগুলো মানুষ মারা গেল – আমরা দাবি করছি এর একটা সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’

                আমি ঘটনাস্থলে কয়েকজন পুলিশের সঙ্গে কথা বললাম। তাদের কয়েকজন বললো, তারা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করছে। নাম প্রকাশ না করে একজন বললো, তাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে ‘যেকোনো মূল্যে বিক্ষোভ দমন করতে’।

                ‘আমাদের ব্যাটন চার্জ করতে হয়েছে, টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছে। নিজের দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করা সহজ নয়। কিন্তু আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে যে পুলিশ আসলে দুই পক্ষের মাঝখানে আটকা পড়ে গেছে।’

                সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30724/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  বিক্ষোভকারীদের ভারত মহাসাগরে ডুবিয়ে মারা উচিত বলে মন্তব্য সন্ত্রাসী বিজেপি নেতার


                  ভারতের মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের একহাত নিয়েছেন মদন দিলাওয়ার নামের একজন হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বিজেপি নেতা। মঙ্গলবার রাজস্থানের এ বিধায়ক বলেছে, নাগরিকত্ব আইনের যারা বিরোধিতা করছেন তারা এ দেশের মানুষ নয়। তাদের ভারত মহাসাগরে ডুবিয়ে মারা উচিত। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডানকান হেরাল্ড।

                  মদন দিলাওয়ার বলেছে, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে যারা বিক্ষোভকারীরা যদি পাকিস্তান বা বাংলাদেশকে ভালবাসেন তাহলে তারা যেন সেখানে চলে যায়। যারা এই বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিচ্ছে; তা সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা কিংবা রাহুল যেই হন না কেন, তাদেরও ভারতে থাকার কোনও অধিকার নেই।

                  ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন পাসের পর থেকে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। আইনটিকে মুসলিমবিরোধী ও বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে চলা এই বিক্ষোভে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সন্ত্রাসী পুলিশ।

                  সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30733/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ভারতীয় মালাউন সেনাদের উপর কাশ্মীরী মুক্তিকামীদের হামলা, নিহত ২ আহত আরো ৩ মালাউন সেনা।


                    নতুন বছরের প্রথম দিনেই কাশ্মীরী মুক্তিকামীরা উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সেনাদের উপর হামলা চালিয়ে এই বার্তারই জানান দিল যে, তারা তাদের স্বাধিনতা সংগ্রাম থেকে এক বিন্দুও সরে আসেননি। বরং তারা তাদের অবস্থানে অবিচল আছেন।

                    আজ ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন, এই দিন জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি অভিযানে নামে ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসী সেনারা। তখনই কাশ্মীরী স্বাধীনতাকামীদের গুলিতে দুই ভারতীয় মালাউন সেনা নিহত হয়, আহত হয় আরো ৩ মালাউন সেনা। জম্মুভিত্তিক উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় মালাউন সেনাবাহিনীর গণসংযোগ কর্মকর্তা লে. কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ এক বিবৃতিতে ২ সন্ত্রাসী ভারতীয় সেনার নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

                    জম্মু-কাশ্মীরের নওশেরা সেক্টরে আজ সকাল বেলায় মুক্তিকামীদের সন্ধানে ‘ঘেরাও-তল্লাশি’ অভিযান চালাতে নামে ভারতীয় মালাউন বাহিনী, তখনই মুক্তিকামীদের হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

                    উল্লেখ্য, আগস্টের শুরুতে কাশ্মীরের রাজ্য ও বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে উগ্র হিহিন্দুত্ববাদী ভারতের সন্ত্রাসী বিজেপি সরকার। কারফিউ জারির পাশাপাশি মোবাইল ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় কাশ্মীরের সঙ্গে পুরো বিশ্বের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন।

                    এসময় কাশ্মীরের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রীসহ ২০০ জনের মতো স্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে মালাউন বাহিনী। এছাড়াও আটক করে রাখা হয়েছে আরো ৮-৯ হাজার কাশ্মীরীকে। যাদের অনেককেই আবার রাজ্যের বাইরের কারাগারে রাখা হয়েছে।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30736/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      চীনে বন্দিশিবিরে আটক মুসলিম নারীদের জোর করে গর্ভপাত!


                      চীনে মুসলিম নারীদের বিভিন্নভাবে নিপীড়ন করা হচ্ছে। দেশটির বন্দিশিবিরে আটক মুসলিম নারীদের জোর করে গর্ভপাত করানো হচ্ছে। ওই বন্দি শিবিরে একসময় বন্দি হয়ে থাকা অনেক নারী এমন অভিযোগ করেছেন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জাননো হয়।

                      প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারা। ওই নারীরা জানান, তাদের নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় আনতে তাদের করার কিছুই নেই। চীনের বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে আসা গুলজিরা নামে এক মুসলিম নারী জানান, তিনি গর্ভবতী ছিলেন। পরে খবর পেয়ে চীনের বন্দিশিবিরের কর্তৃপক্ষ জোর করে গর্ভপাত ঘটায়। গর্ভপাতের পর তারা ওই নারীকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে কিছু ওষুধ দেয়।

                      চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের কারণে চীনা সরকারের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। চীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে যে তারা বিপুল সংখ্যক উইঘুর মুসলিমকে কতোগুলো বন্দি শিবিরের ভেতরে আটকে রেখেছে।

                      একটি প্রতিবেদনে জানা যায় ১০ লাখের মতো উইঘুর মুসলিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে কয়েকটি শিবিরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন বলছে, এসব ক্যাম্পে তাদেরকে ‘নতুন করে শিক্ষা’ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বেইজিং সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

                      জেনেভায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের এক অধিবেশনে চীনা কর্মকর্তা বলছে, ১০ লাখ উইঘুরকে বন্দি শিবিরে আটকের রাখার খবর ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। কিন্তু তারপরে চীনের একজন কর্মকর্তা লিও শিয়াওজুন বলেন, চীন সেখানে কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে যেখানে লোকজনকে নানা ধরনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30721/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        থার্টিফার্স্ট নাইটে অসামাজিক কার্যকলাপ ধরা খেলো সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা


                        থার্টিফার্স্ট নাইটে পিকনিকের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ আর মাদক সেবনের আসর বসেছিল রাজশাহী মহানগরীর একটি বাড়িতে। সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ এদের মধ্যে তিনজন তরুণীও রয়েছে। বাড়িটি থেকে মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

                        বিডি প্রতিদিনের বরাতে জানা যায়, ধরা খাওয়া আওয়ামী লীগ নেতার নাম মেহেদী হাসান রনি (৩২)। তিনি রাজশাহী নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অন্যরা হলেন মো. রুমেল (৩৫), মনিরুল হক (৩৬), রিপন আলী (৩২), পিয়াল মাহমুদ (২২), আলেয়া রহমান (১৯), আজমিরি খাতুন (২০) এবং মাহি আক্তার স্মৃতি (২০)।

                        নগরীর পঞ্চবটি এলাকায় রুমেলের বাড়ি থেকে তাদেরকে পাওয়া যায়।

                        নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাড়ি। স্থানীয় মানুষ বাড়িটি থেকে ২ বোতল বিদেশি মদ, ২ বোতল দেশি মদ, ১৩ পিস ইয়াবা বড়ি এবং মাদকসেবনের নানা উপকরণ দেখতে পায়। বাড়িটিতে পিকনিকের নামে মাদক সেবনের আসর বসেছিল।


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30715/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          অবশেষে বিদায় হলো সেই ডিজি সামীম আফজালের!


                          দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে বিদায় ঘটলো সামীম মুহাম্মদ আফজালের। তার পরিবর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

                          সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক অফিস অধ্যাদেশে এ পরিবর্তন আনে।

                          আদেশে বলা হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মুহাম্মদ আফজালের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেষ হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা) মু.আ. হামিদ জমাদ্দারকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে আর্থিক ক্ষমতাসহ মহাপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক যোগদান না করা পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল থাকবেন এবং বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন।

                          সাবেক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামীম মুহাম্মদ আফজাল বিগত ১১ বছর ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুনীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে কয়েকমাস আগে ইফা কর্মীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30727/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            মায়ের সামনে সন্তানকে বর্বর নির্যাতন করলো সন্ত্রাসী আ.লীগ নেতা


                            কিশোরের হাত-পা বেঁধে মায়ের সামনে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন ইউনিয়ন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের এক নেতা। এরই মধ্যে নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

                            বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

                            নির্যাতনের শিকার কিশোর কাজিয়াতল গ্রামের রাখাল চন্দ্রের ছেলে রাজু চন্দ্র। অভিযুক্ত আবু তাহের দারোরা ইউনিয়ন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

                            এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) আবু তাহেরকে আসামি করে কুমিল্লা মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার রাজু চন্দ্রের বড় ভাই সজল চন্দ্র বিশ্বাস।

                            স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে হাত-পা বেঁধে ওই কিশোরকে অমানুষিক নির্যাতন করেন আবু তাহের। একাধিকবার বাধা দিয়ে কাজ না হওয়ায় সন্তানকে নির্যাতনের দৃশ্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন মা।

                            ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোরের গায়ের জামা-কাপড় খুলে হাত-পা বেঁধে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। পা দিয়ে মুখে ও বুকে লাথি মারছেন আবু তাহের। বার বার কান্না করলেও তার বাঁধন খুলে দেয়া হয়নি, উল্টো তাকে আরও কয়েকটি লাথি মেরেছেন আবু তাহের।

                            এ বিষয়ে নির্যাতিত কিশোরের ভাই সজল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমার ভাইয়ের ওপর এমন অমানবিক নির্যাতনের বিচার চেয়ে আমরা এলাকার মাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে এখন ক্লান্ত।

                            সুত্রঃ ইনসাফ২৪


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30718/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              স্মার্টফোন শরীরের স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়


                              স্মার্টফোন আসক্তি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যা। সব সময় সঙ্গে মোবাইল রাখা কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। কী নোটিফিকেশন এল, স্ট্যাটাস আপডেট করার পরেও এখনো কেন নোটিফিকেশন এল না, এই চিন্তা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। মোবাইলফোন নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি আমাদের স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এই স্ট্রেস হরমোনের কারণে ওজনও বেড়ে যায়!

                              স্মার্টফোনের যেমন নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। তেমনি অতিমাত্রায় স্মার্টফোনের উপর নির্ভরতা আপনাকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে।

                              সম্প্রতি স্মার্টফোনের উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সারাক্ষণ স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রবণতা বাড়ছে।

                              এতে তারা হাতের মুঠোয় সারা বিশ্বের জ্ঞান নিয়ে আসতে পারছে ঠিকই, কিন্তু তাদের মানসিক ক্ষতিও বাড়ছে। এগুলো মস্তিষ্কের ক্ষমতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সৃজনশীলতাকে হ্রাস করছে।

                              গবেষকরা বলছেন, মানুষের মস্তিষ্কের মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা সীমিত। মস্তিষ্কের বেশিরভাগ মনোযোগ যদি ফোনের পেছনে থাকে, তাহলে অন্যান্য কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায়, ফলে সেসব কাজে দক্ষতা কমে। দৃষ্টিসীমার মাঝে একটি ফোন থাকা মানেই মনোযোগ কমে যাবে।

                              মানুষ ছোটখাট কাজ করতে ব্যর্থ হবেন এবং স্মৃতিশক্তি কমে যাবে। ফোন পকেটে, ব্যাগে এমনকি পাশের ঘরে থাকলে মনোযোগে এত ব্যাঘাত ঘটে না।

                              সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/01/30718/
                              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X