বিগত বছরে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সন্ত্রাসবাদের একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান!
বছরের পর বছর ধরে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাঈলের সন্ত্রাসী বাহিনী ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর চালিয়ে যাচ্ছে বর্বরোচিত জুলুম-অত্যাচার। ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই নির্যাতন আজ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। অথচ, জাতিসংঘের মতো কথিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিদার সংগঠনও ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ায়নি। ওআইসি নামে মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার জন্য গড়ে উঠা সংগঠনও ফিলিস্তিনীদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। বরং এই সংঘগুলো সবসময়ই দখলদার সন্ত্রাসী ইহুদীদেরকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে গেছে। সামনে মানবতার কথা বললেও বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের মূলহোতা তারাই। তাদেরই সমর্থনে আজও ফিলিস্তিন মুমিনের রক্তে রঞ্জিত, ইহুদীরা আজ পূর্বের চেয়েও ভয়ানক হিংস্র হয়ে উঠেছে।
ল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের তথ্য মতে, ইহুদীবাদী ইসরাঈল শুধু ২০১৯ সালেই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে অবৈধভাবে ৬৪৮টি মুসলিম বাড়ি ও আবাসন ধ্বংস করেছে, ৬৮ হাজার dunums পরিমাণ খাস ভূমি বাজেয়াপ্ত করেছে, ১৫ হাজার জলপাই গাছ উপড়ে ফেলেছে, পশ্চিম তীরে নতুন ৩৪ টি চেকপোস্ট বানিয়ে মোট চেকপোস্টের সংখ্যা ৮৮৮ টি করেছে। প্রকৃত জবরদখলের পরিমাণ আল্লাহই ভালো জানেন।
এছাড়াও দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা ২০১৯ সালে গাজায় ৫২০টি শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনি শিল্পকারখানা বহুল বাজেয়াপ্তকরণ, সামরিক অভিযান আর ফিলিস্তিনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ইহুদীবাদী অভিশপ্ত ইসরাঈলের শয়তানী কাজের অংশে পরিণত হয়েছে। আর তাদের এসকল শয়তানী কার্যক্রমের কারণে ফিলিস্তিনের অর্থনীতি হুমকির মুখে! হাজার- হাজার লোক কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে দরিদ্রতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
৩৫ হাজারেরও অধিক লোক পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে তা ৩ থেকে ৫ হাজারে নেমে এসেছে। তুলা শিল্প আগে ৩০ হাজার গাজাবাসীর কর্মসংস্থান করতো, কিন্তু বর্তমানে তা মাত্র ৩ হাজার লোকের কর্মস্থল।
অন্যদিকে বিগত ২০১৯ সালে ফিলিস্তিনী সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী ইসরাঈল ৫৯৮টি সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে লাইভ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ, স্টান গ্রেনেড/টিয়ার গ্যাস হামলা, প্রহার ও গ্রেপ্তার, তাদের যন্ত্রসামগ্রী জব্দকরণ এবং তাদেরকে বিদেশ সফরে যেতে বাধা দানের মতো জঘন্য ঘটনা।
১৯৬৭ সাল থেকে ইহুদিবাদী ইসরাঈলী দখলদার বাহিনী প্রায় 1 মিলিয়ন ফিলিস্তিনীকে গ্রেপ্তার করেছে। শুধু গত বছরেই ৫৫০০ এরও অধিক নিরপরাধ ফিলিস্তিনীকে বন্দী করেছে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা। যাদের মাঝে শিশুদের সংখ্যাই হচ্ছে ৮৮৯ এবং মহিলাদের সংখ্যা ২২৮।
গত ২০১৯ সালে দখলদার ইহুদীরা বর্বরোচিত বিমান হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ১৯২ এরও অধিক ফিলিস্তিনী মুসলিমকে!
AQN এর অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনুসারে শিশু শহীদদের সংখ্যা ৩৩ জনে পৌঁছেছে। মহিলা শহিদদের সংখ্যা ১২ জন। শহিদদের মধ্যে ১১২ জনই হচ্ছেন গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। পশ্চিম তীরে শাহাদতবরণ করেছেন আরো ৩৭ জন ফিলিস্তিনী। যাদের মাঝে ৬৯ জন অভিশপ্ত দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত বোমা হামলার ফলে শাহাদাতবরণ করেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30823/
বছরের পর বছর ধরে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাঈলের সন্ত্রাসী বাহিনী ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর চালিয়ে যাচ্ছে বর্বরোচিত জুলুম-অত্যাচার। ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই নির্যাতন আজ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। অথচ, জাতিসংঘের মতো কথিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিদার সংগঠনও ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ায়নি। ওআইসি নামে মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার জন্য গড়ে উঠা সংগঠনও ফিলিস্তিনীদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। বরং এই সংঘগুলো সবসময়ই দখলদার সন্ত্রাসী ইহুদীদেরকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে গেছে। সামনে মানবতার কথা বললেও বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের মূলহোতা তারাই। তাদেরই সমর্থনে আজও ফিলিস্তিন মুমিনের রক্তে রঞ্জিত, ইহুদীরা আজ পূর্বের চেয়েও ভয়ানক হিংস্র হয়ে উঠেছে।
ল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের তথ্য মতে, ইহুদীবাদী ইসরাঈল শুধু ২০১৯ সালেই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে অবৈধভাবে ৬৪৮টি মুসলিম বাড়ি ও আবাসন ধ্বংস করেছে, ৬৮ হাজার dunums পরিমাণ খাস ভূমি বাজেয়াপ্ত করেছে, ১৫ হাজার জলপাই গাছ উপড়ে ফেলেছে, পশ্চিম তীরে নতুন ৩৪ টি চেকপোস্ট বানিয়ে মোট চেকপোস্টের সংখ্যা ৮৮৮ টি করেছে। প্রকৃত জবরদখলের পরিমাণ আল্লাহই ভালো জানেন।
এছাড়াও দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা ২০১৯ সালে গাজায় ৫২০টি শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনি শিল্পকারখানা বহুল বাজেয়াপ্তকরণ, সামরিক অভিযান আর ফিলিস্তিনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ইহুদীবাদী অভিশপ্ত ইসরাঈলের শয়তানী কাজের অংশে পরিণত হয়েছে। আর তাদের এসকল শয়তানী কার্যক্রমের কারণে ফিলিস্তিনের অর্থনীতি হুমকির মুখে! হাজার- হাজার লোক কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে দরিদ্রতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
৩৫ হাজারেরও অধিক লোক পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে তা ৩ থেকে ৫ হাজারে নেমে এসেছে। তুলা শিল্প আগে ৩০ হাজার গাজাবাসীর কর্মসংস্থান করতো, কিন্তু বর্তমানে তা মাত্র ৩ হাজার লোকের কর্মস্থল।
অন্যদিকে বিগত ২০১৯ সালে ফিলিস্তিনী সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী ইসরাঈল ৫৯৮টি সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে লাইভ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ, স্টান গ্রেনেড/টিয়ার গ্যাস হামলা, প্রহার ও গ্রেপ্তার, তাদের যন্ত্রসামগ্রী জব্দকরণ এবং তাদেরকে বিদেশ সফরে যেতে বাধা দানের মতো জঘন্য ঘটনা।
১৯৬৭ সাল থেকে ইহুদিবাদী ইসরাঈলী দখলদার বাহিনী প্রায় 1 মিলিয়ন ফিলিস্তিনীকে গ্রেপ্তার করেছে। শুধু গত বছরেই ৫৫০০ এরও অধিক নিরপরাধ ফিলিস্তিনীকে বন্দী করেছে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা। যাদের মাঝে শিশুদের সংখ্যাই হচ্ছে ৮৮৯ এবং মহিলাদের সংখ্যা ২২৮।
গত ২০১৯ সালে দখলদার ইহুদীরা বর্বরোচিত বিমান হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ১৯২ এরও অধিক ফিলিস্তিনী মুসলিমকে!
AQN এর অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনুসারে শিশু শহীদদের সংখ্যা ৩৩ জনে পৌঁছেছে। মহিলা শহিদদের সংখ্যা ১২ জন। শহিদদের মধ্যে ১১২ জনই হচ্ছেন গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। পশ্চিম তীরে শাহাদতবরণ করেছেন আরো ৩৭ জন ফিলিস্তিনী। যাদের মাঝে ৬৯ জন অভিশপ্ত দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত বোমা হামলার ফলে শাহাদাতবরণ করেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30823/
Comment