Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৯শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৯শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    সিরিয়া | আসাদ সরকারের শিয়া সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় ১৮ মুসলিম নিহত, আহত আরো ৬৫!



    সিরিয়ান আহলুস সুন্নাহর সর্বশেষ আশ্রয়স্থল ও নিয়ন্ত্রিত ইদলিব সিটির কয়েকটি স্থানে আজ বুধবার (১৫ই জানুয়ারি) ব্যাপকহারে বোমা হামলা চালিয়েছে কুফ্ফার রাশিয়া ও মুরতাদ আসাদ সরকারের শিয়া সন্ত্রাসীরা।

    কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনীর হামলায় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন ইদলিব সিটির “আরিহা ও বানাশ” এলাকার মুসলিমরা।

    সিরিয়ান ভিত্তিক কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা যায় যে, ইদলিবের উক্ত দুটি এলাকাতেই কেবল নিহত হয়েছেন ১৮ জন মুসলিম এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ৬৫ এরও অধিক।

    এছাড়াও ইদলিব সিটির আরো বেশ কিছু এলাকায় হামলা চালিয়েছে কুফ্ফার রাশিয়া ও শিয়া সন্ত্রাসীরা। যার ফলে অনেক মুসলিম নিহত ও আহত হয়েছেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31375/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবারে বি-বাড়িয়ায় মাদরাসা ছাত্রদের ওপর কাদিয়ানিদের হামলা



    বাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার ছাত্রদের ওপর কাদিয়ানিরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাহাফফুজে খতমে নবুওত মাদরাসার পাশে কাদিয়ানীদের উপাসনালয়ের নিকটে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলায় আহত চার ছাত্রকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর দেশের কাফের-মুরতাদ ও বাতিলপন্থীরা বার বার হামলা চালিয়েছে, ছাত্রদের রক্তাক্ত করেছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের বরাত দিয়ে ইসলাম টাইমস২৪ নামক বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, কান্দিপাড়া এলাকায় মাদরাসায়ে তাহাফফুজে খতমে নবুওতের পাশেই কাদিয়ানিদের একটি উপাসনালয় আছে। সেখানে গতকাল তারা একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রতি বছর এমন একটি সম্মেলন করে থাকে তারা। এখানে বেশ কিছু মুসলিমকে প্রতি বছরই নতুনভাবে কাদিয়ানি ধর্ম গ্রহণ করানো হয় এবং সম্মেলন থেকে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে নানা আলোচনা চলতে থাকে।

    এবারের সম্মেলনের খবর জানতে পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড় মাদরাসা হিসেবে পরিচিত জামিয়া ইউনুসিয়ার কয়েকজন ছাত্র সন্ধ্যার সময় সম্মেলন কর্তৃপক্ষকে বলেন, ইসলামের নামে এমন অনুষ্ঠান করা যাবে না, তাছাড়া আপনারা প্রশাসনের অনুমতিও নেননি। ছাত্ররা তাদেরকে সম্মেলন বন্ধ করার জন্য এ কথা বললে তারা ছাত্রদের দিকে তেড়ে আসে এবং বর্বরোচিতভাবে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।

    কাদিয়ানীদের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিবাড়িয়ার রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। বাদ ইশা হাজার হাজার ইসলামপ্রিয় জনতা ও মাদরাসার তালিবে ইলমরা প্রতিরোধ ও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বলে জানায় ইসলাম টাইমস নামক বার্তাসংস্থা।

    হামলায় আহত জামিয়া ইউনুসিয়ার এক ছাত্র বলেন, কাদিয়ানিরা যখন আমাদের দিকে তেড়ে আসে তখন অল্প কয়েকজন ছিলাম আমরা। বিতণ্ডার কথা জানতে পেরে খতমে নবুওত মাদরাসার ছাত্ররাও এসে হাজির হন। তখন ফুটে ওঠে কাদিয়ানিদের আসল রূপ। তারা পূর্ব থেকেই অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিল। খতমে নবুওতের ছাত্ররা ছুটে আসতেই তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।

    তিনি বলেন, অস্ত্রের মুখে আমরা টিকতে না পেরে খতমে নবুওত মাদরাসার দিকে গেলে তারা মাদরাসা পর্যন্ত আসে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে। এ সময় জামিয়া ইউনুছিয়ার বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে চারজনকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাদিয়ানিরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মাদরাসার দিকে এগিয়ে যাবার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাজির হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুরো এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এবং আগামীকাল এনিয়ে স্থানীয় আলেম ওলামা এবং সরকারি লোকজন পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন বলে জানা গেছে।

    কাদিয়ানিদের ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, কাদিয়ানিরা হলো যিন্দিক। যিন্দিক হলো ঐসকল মুরতাদ, যারা ভ্রান্ত ব্যাখ্যার মাধ্যমে নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করলেও, প্রকৃতপক্ষে তাদের মধ্যে ইসলামী আক্বিদা অনুপস্থিত। কাদিয়ানিরা যেহেতু গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নামক এক ভণ্ড নবীর অনুসারী, আবার নিজেদের তারা মুসলিমও দাবি করে, তাই তাদেরকে যিন্দিক বলা হয়। যিন্দিকের ব্যাপারে ইসলামের বিধান হলো, যিন্দিক গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তওবা করলে তার তওবা কবুল করা হবে, কিন্তু গ্রেফতারের পর তার তওবা কবুল হবে না। গ্রেফতারের পর তাকে হত্যা করা হবে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31332/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আযাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তানে বৃষ্টি ও ভারী তুষারপাতে ভূমিধস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে 130 ছাড়িয়ে গেছে!



      আযাদ কাশ্মীরের নীলম উপত্যকায় ও বাকওয়ালি গ্রামে বৃষ্টি ও ভারী তুষারপাতের ফলে ভূমিধস ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। যার ফলে উপত্যকায় ১৩০ টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, 67 জন মারা গেছেন, উদ্ধার কর্মীরা উপত্যকা থেকে ৬১ জনের মৃতদেহ এবং ৫৩ জনকে আহত অবস্থায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন, বাকিদেরকে উদ্ধার করার জন্য পাক সেনারা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রখেছে।

      এদিকে বেলুচিস্তানে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ চুড়ায় এসে পৌঁছেছে। যেখান এখন পর্যন্ত ২১ জন নিহত হয়েছেন।

      বিশদ তথ্য মতে, আজাদ কাশ্মীর উপত্যকার সরগুন অঞ্চলে একটি বরফের হিমালয় থেকে বরফের বিশাল খন্ড ধসে পড়ে, যার ফলে সেখানকার বাকওয়ালী ও সিরি নামক দু’টি গ্রাম ডুবে যায়, এর ফলে 67 জন মারা যান, যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত এবং রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ফলস্বরূপ স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার সময়মতো ত্রাণ কাজ শুরু করতে পারেনি বলে দাবি করছে পাকিস্তান।
      মঙ্গলবার সকালে পাক আর্মিরা হেলিকপ্টার দিয়ে বাকাওয়ালি গ্রাম ও সেরি গ্রাম থেকে 61 জনের লাশ উদ্ধার করেছে এবং 53 জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে।

      এমনিভাবে দুধনিয়ালায় বরফের আচ্ছাদিত বাড়ি একটি বাড়ি থেকে হাফিজ নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কাইল এলাকার “ধোকি চাকনার” এলাকায় ছয়টি বাড়ি বরফের আচ্ছাদিত হয়ে পড়লে সেখান থেকেও আরো ৮ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপত্যকার “নারিল” এলাকা হতে চল্লিশটি পরিবারকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

      অন্যদিকে বেলুচিস্তানেও গত 24 ঘন্টার তীব্র বৃষ্টিপাত ও ভারী তুষারপাতের ফলে “খানোজাইয়” এলাকায় কয়েকটি বাড়ির ছাদ ধসে ৫ শিশু সহ ২১ জন নিহত হয়েছেন।



      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31374/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে ২কোটি নতুন চাকরি তো দূর, চলতি বছরে চাকরি কমবে ১৬লক্ষ!



        একেই দেশের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। এর মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির মতো খারাপ খবর পাওয়া যাচ্ছে চারপাশে। শুধু তাই নয়, বেকারত্বের সংখ্যাও হু হু করে বেড়ে চলেছে। আর এর মধ্যেই সামনে এল আরও ভয়ানক এক তথ্য। জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরের থেকে চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ১৬ লক্ষ কম চাকরি হবে দেশে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষের তৈরি রিপোর্টে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮–১৯ আর্থিক বছরে পে–রোলে ৮৯.*৭ লক্ষ চাকরি হয়েছিল। কিন্তু নয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরে অক্টোবর পর্যন্ত পে–রোলে চাকরি পেয়েছেন ৪৩.*১ লক্ষ। আর মার্চ পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ৭৩.*৯ লক্ষে। অর্থাৎ আগের আর্থিক বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ লক্ষ চাকরি কম তৈরি হবে। এসবিআইয়ের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার খুবই কমে গিয়েছে। এই মুহূর্তে তা ৫ শতাংশে নেমে দাঁড়িয়েছে। এর প্রভাব যে কর্মসংস্থানের ওপর পড়বেই তা তো বলাই বাহুল্য। যাঁদের বেতন ১৫ হাজারের মধ্যে, তাদের চাকরির ভিত্তিতেই মূলত এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। এনপিএস তথ্য অনুযায়ী কেন্দ্র, রাজ্য ও বেসরকারি চাকরি (*১৫ হাজারের উর্ধে)– এর ক্ষেত্রেও *চলতি আর্থিক বছরে ৩৯ হাজার চাকরি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সৌম্যকান্তি ঘোষের রিপোর্টে এও জানা গিয়েছে, যাঁরা দেশের বাইরে কাজ করেন তাঁরাও বাড়িতে আগের চাইতে কম টাকা পাঠাচ্ছেন।

        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31343/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          উত্তর প্রদেশে মুসলিম আইনজীবীকে গ্রেফতার করে মালাউন পুলিশের নির্যাতন!



          ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সহায়তা করার জন্য আইনজীবী মুহাম্মাদ ফয়সাল উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে লকআপে ফেলে, তাঁকে মারধরসহ নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইনজীবী ফয়সাল জানিয়েছেন, তিনি এব্যাপারে উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন। গতকাল (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমে এসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

          রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা আইনজীবী মুহাম্মাদ ফয়সাল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (এনসিএইচআরও)-এর পক্ষ থেকে জনগণের আইনী সাহায্যের জন্য উত্তর প্রদেশে গিয়েছিলাম। আমরা জানতে পারি শামলিতে কিছু লোককে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় তিনি সেখানে তথ্যগুলো জানতে এবং লোকদের সহায়তা করতে গিয়েছিলেন। এই সময়ে আমার সঙ্গে ওই ঘটনা ঘটে।’

          মুহাম্মাদ ফয়সাল বলেন, যখন কৈরানা আদালতে লোকেদের আইনী সহায়তা দিচ্ছিলাম সেই সময় পুলিশের এসওজি টিম সন্ধ্যা ৫ টা নাগাদ এসে আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। যখন আমি তাদের বিরোধিতা করি এবং বলি যে আমি একজন আইনজীবী কিন্তু তারা (পুলিশ) বলে যে তারা গ্রেফতার করে ছেড়ে দেবে। এরপরে আমাকে যখন তাকে কৈরানা থানায় নিয়ে যায়, আমি তাঁদেরকে রাজস্থান বার কাউন্সিলের পরিচয়পত্র দেখাই। কিন্তু পুলিশ জানায় যে ওই আইডি ভুয়ো, আপনি আইনজীবী নন, আপনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখানে সহিংসতা ছড়াতে এসেছেন।

          আইনজীবী মুহাম্মাদ ফয়সাল বলেন, ‘এরপরে পুলিশ আমাকে মারধর করে, মানসিক নির্যাতন চালায়, নোংরা গালি দেয়। এসময় আমাকে কমপক্ষে চার বার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা হয়। রাত ১১ টা নাগাদ আমাকে লকআপে পাঠানো এবং এক ভুয়ো এফআইআর দায়ের করা হয়। ওই এফআইআরে দাবি করা হয় যে আমি ২০ ডিসেম্বরে প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলাম, যা একটি মিথ্যা। ২২ ডিসেম্বরের এফআইআর-এর ভিত্তিতে আমাকে গ্রেফতার করে ২৪ তারিখে আদালতে পেশ করা হয়। এবং সেখান থেকে আমাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।’

          আইনজীবী ফয়সালের অভিযোগ, সহিংসতা ছড়ানোর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) লিফলেট বিতরণের অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পিএফআই-এর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি তাঁদের সদস্যও নন। তিনি ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (এনসিএইচআরও)-এর সদস্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে পিএফআইয়ের লিফলেট বিলির অভিযোগ করা হয়েছে। এব্যাপারে উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে মানহানি অথবা নির্যাতনের মামলা করবেন বলেও আইনজীবী মুহাম্মাদ ফয়সাল জানিয়েছেন।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31356/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সিএএ এর বিরোধিতা মাহাথিরের; ভারত-মালয়েশিয়া বাণিজ্যিক তিক্ততা শুরু



            কাশ্মীর ও নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা পরিশোধিত পামওয়েলের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার। এখন নতুন করে আরো কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে সন্ত্রাসী এই ভারত সরকার। তারা মালয়েশিয়া থেকে মাইক্রোপ্রসেসরের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে যে বিবাদ শুরু হয়েছে তা সহসা সমাধান হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ খবর দিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

            এতে বলা হয় টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সূত্রগুলো বলেছে, ভারত যেটাকে আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে, সে বিষয়ে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধামনমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।

            তার এমন ভূমিকায় ভারতে মোদি সরকার মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা মাইক্রোপ্রসেসরের বিষয়ে প্রযুক্তিগত মানদন্ড আরোপে কাজ করছে। পাশাপাশি টেলিকম বিষয়ক সরঞ্জামের বিষয়ে একটি কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার বা মান নিয়ন্ত্রণ নির্দেশনা দেয়ার বিষয়ে কাজ করছে।

            মালয়েশিয়া থেকে ভারতে প্রবেশ কড়াকড়ি করতে মান নিয়ন্ত্রণ নির্দেশনা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে। এটাকে দেখা হচ্ছে একটি দেশের রাজনৈতিক অবস্থানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম বাণিজ্যিক প্রতিশোধ হিসেবে। ভারতের এমন বাণিজ্যিক বিধিনিষেধের বিষয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ড. মাহাথির মোহাম্মদ। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন যে, ভুল বিষয়ের বিরুদ্ধে তিনি অব্যাহতভাবে কথা বলে যাবেন। রাজধানী কুয়ালালামপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অবশ্যই আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ, আমরা ভারতের কাছে প্রচুর পামওয়েল বিক্রি করি। অন্যদিকে আমাদেরকে আরো খোলামেলা হওয়া উচিত এবং দেখা উচিত কোনো অন্যায় হচ্ছে কিনা। এটা নিয়ে আমাদেরকে কথা বলতে হবে। যদি আমরা অন্যায়কে চলতে দিই এবং শুধুই অর্থ সংশ্লিষ্টতার কথা ভাবি, তাহলে আমার মনে হয় আমাদের দ্বারা, অন্য লোকদের দ্বারা অনেক অন্যায় কাজ হবে।

            সূত্রঃ নয়া দিগন্ত


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31361/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গুলি করে অস্ট্রেলিয়ায় হত্যা করা হলো ৫ হাজার উট



              পাঁচ দিনে গুলি করে ৫ হাজার উট হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। চলতি মাসেই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে থাকা ১০ হাজার উটকে গুলি করে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ৫ হাজার উট হত্যা করা হয়েছে বলে কেনিয়া ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি নেশনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

              ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হেলিকপ্টার থেকে পেশাদার শ্যুটার দিয়ে গুলি করে উটগুলো হত্যা করা হয়েছে।

              উটের বিশাল দল শহর ও ভবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, উটগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলেই মেরে ফেলা হয়েছে।

              এদিকে, এতগুলো উট একসঙ্গে মারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চল খুবই খরাপ্রবণ এলাকা।

              যে কারণে এ অঞ্চলে পানির খুব সংকট রয়েছে। বন্য এ উটগুলো খুব বেশি করে পানি খেয়ে নিচ্ছে। পানির খোঁজে তাদের বিচরণের কারণে সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া মিথেন গ্যাস সৃষ্টির জন্যও দায়ী তারা।

              সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31340/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                মাটিতে শুয়ে গেছে শেয়ারবাজার



                দেশের শেয়ারবাজার এখন মাটিতে শুয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই শেয়ারের দর নামছে। কেউ কোনো দিশা দিতে পারছেন না। পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

                ফলে ভয়াবহ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে শেয়ারবাজার। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ৮৭ কমে ৪ হাজার ৩৬ পয়েন্টে নেমেছে। ২০১৩ সালে চালু করা সূচকটির ভিত্তি পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে।

                চলতি সপ্তাহের তিন দিনের লেনদেনে সূচক কমেছে ১৮৬ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৭৪ পয়েন্ট। বাজারের এই চরম দৈন্যদশায় আতঙ্কিত ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা মতিঝিলে ডিএসইর সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেছে।

                ২ জানুয়ারি ডিএসইর পরিচালন পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পরও কোনো উন্নতি দেখা যায়নি শেয়ারবাজারে।

                বাজারে দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও ক্রেতা সংকটে ধারাবাহিক দরপতন চলছে। চলতি বছরের আট দিনে ডিএসই প্রধান সূচক কমেছে ৪০০ পয়েন্টের বেশি

                আগের সপ্তাহের পাঁচ দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমে ২৬১ পয়েন্ট। এর মধ্যে মঙ্গলবার কমেছে ৮৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের তৃতীয় দিনের লেনদেন শুরু পতন দিয়ে। একপর্যায়ে সূচক ১০৩ পয়েন্ট পর্যন্ত কমে যায়, লেনদেন শেষে ৮৭ পয়েন্ট কমে স্থির হয় ৪ হাজার ৩৬ পয়েন্টে। এই বড় পতনের প্রতিবাদে লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান। তারা দরপতনের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করেন।

                শেয়ারের ক্রেতা সংকটে বাজারে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। গত বছরের ৫ ডিসেম্বরের পর ডিএসইর লেনদেন আর ৪০০ কোটি টাকার ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে আটকে রয়েছে। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বাজার লেনদেন শেষে দেখা গেছে, হাতবদল হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। লেনদেনকৃত ৩৫৫টি কো¤পানির মধ্যে ২৯৩টির শেয়ার দর কমে যায়। দাম বেড়েছে মাত্র ৩২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩০টি কোম্পানির শেয়ার। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২১টির, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির।

                ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক হিসেবে ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৫৫ ভিত্তি পয়েন্ট হিসেবে চালু করা হয় ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি। শুরুর অবস্থান থেকে সূচকটি এখন ১৯ পয়েন্ট কম রয়েছে। প্রধান মূল্য সূচকের থেকেও করুণ দশা বিরাজ করছে ডিএসইর অপর সূচকগুলোর। ব্লু চিপস হিসেবে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ এক হাজার ৪৬০ পয়েন্ট নিয়ে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হওয়া সূচকটি এখন এক হাজার ৩৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার এ সূচকটি কমেছে ২৬ পয়েন্ট। ডিএসইর আরেক সূচক ডিএসই ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি এ সূচকটি যাত্রা শুরু করে। শুরুতে এ সূচকটি ছিল ৯৪১ পয়েন্টে। সর্বশেষ লেনদেন শেষে সূচকটি ২২ পয়েন্ট কমে ৯০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি থেকে অফিসিয়ালি ডিএসইর ওয়েবসাইটে সূচকটি উন্মুক্ত করা হয়। ৪০টি কোম্পানি নিয়ে শুরু হওয়া সূচকটির ভিত্তি ভ্যালু ধরা হয় ১০০০ পয়েন্ট। তবে এখন সূচকটি ৮১১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সবকটি মূল্য সূচকের এমন উল্টো যাত্রায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। অনেক বিনিয়োগকারী ধারণ করা শেয়ারের দাম কমিয়েও বিক্রি করতে পারছেন না। এতে দিন যত যাচ্ছে শেয়ারের দাম তত কমছে, আর ভারী হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা।

                বাজারের করুণ পরিস্থিতি কেউ কোনো দিশা দিতে পারছেন না। কয়েক দিন ধরে ভয়াবহ পতনের প্রতিকারে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) ও ডিএসইর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এখন বাজারের বেহাল অবস্থা চরমে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীসহ বৃহৎ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সবাই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। এদিকে ডিএসইতে এমডি নিয়োগ কেন্দ্র করে পরিচালকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে বাজার আরও বেশি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

                এদিকে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ দরপতনের যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্লেষকরা। পতনের প্রবণতা দেখে অনেকেই বিস্মিত। তবে তারা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট আর সুশাসনের অভাবে শেয়ারবাজারে এ দুরবস্থা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বাজারের ওপর অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন যে, তারা আর কোনো ভরসা পাচ্ছেন না। এটা অশনিসংকেত।

                সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31337/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ড্রেসকোড পরিবর্তন, ওড়না ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা



                  রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের ড্রেসকোড পরিবর্তন করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা। আগে মেয়েদের ড্রেসকোডে মাথায় স্কার্ফ বা ওড়না ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও নতুন প্রণীত ড্রেসকোডে সেখানে স্কার্ফ বা ওড়না ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে ছেলেদের মাথায় টুপি ব্যবহারকেও অঘোষিতভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, শিক্ষকদের মধ্যেও আগে যারা পাঞ্জাবী পড়ে স্কুলে আসতেন তাদেরকে এখন পাঞ্জাবী পড়তে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কেউ পাঞ্জাবী পড়লেও পাঞ্জাবীর উপরে আলাদাভাবে কটি পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন তারা ড্রেসকোডে কোনো পরিবর্তন আনেননি। মেয়েদের ওড়না বা স্কার্ফ ব্যবহার এবং ছেলেদের টুপি ব্যবহারকে পুরোপুরি নিষেধও করা হয়নি। তবে এই ড্রেসগুলোকে শুধু ঐচ্ছিক করা হয়েছে মাত্র।

                  মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান ফটকে গিয়ে দেখা গেলো স্কুলের বালক শাখার ছুটি হয়েছে। দলে দলে বের হয়ে আসছে ছেলেরা। তবে অনেক শিক্ষার্থীর মাথায় টুপি নেই। আগে যেখানে প্রায় প্রতিটি বালকের মাথায় টুপি ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকতো মঙ্গলবারের চিত্র ছিল সম্পুর্ণ বিপরীত। নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্তে ড্রেসকোডে পরিবর্তন এনে ছেলেদের টুপি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ করেছেন অনেক অভিভাবক। প্রথম সারির দাবিদার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিলে প্রধান শাখা ছাড়াও মুগদা ও বনশ্রীতেও আরো দু’টি শাখা রয়েছে।

                  দুপুর দুইটার একটু আগে মূল স্কুল ভবনের ভেতরের মাঠে গিয়ে দেখা গেল বেশ কিছু মেয়ে স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে মাঠে খেলাধুলা করছে। অনেকে আবার স্কাউটিং এর অনুশীলন করছে। অনেক মেয়েরা মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে সেই খেলা দেখছে। কিন্তু কোনো একজন শিক্ষার্থীর শরীরে বড় ওড়না বা স্কার্ফ পরিহিত নেই। দু’একজনের সাথে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলতে চাইলে তারা স্কুলের ড্রেসের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হলো না।

                  স্কুলের বাইরে রাস্তার পাশের একটি বইয়ের দোকানের বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানালেন, আগে বালক বা বালিকা শাখার যে কোনো শিফটের ছুটি হলে স্কুলের বাইরে অন্যরকম একটি দৃশ্যের অবতারণা হতো। যে কেউ স্কুলের ড্রেস দেখলেই সহজে বুঝতে পারতো আইডিয়াল স্কুল ছুটি হয়েছে। কিন্তু এখন দেখুন, অনেক ছেলেদের মাথাতেই টুপি দেখা যায় না। একই ভাবে তিনি জানালেন, নতুন ড্রেসকোড দেয়ার পর মেয়েদের মাথায়ও এখন আর আগের সেই স্কার্ফও দেখা যায় না।

                  পেশায় আইনজীবী এম এস রহমান নামের এক অভিভাবক নয়া দিগন্তের প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে স্কুলে গিয়ে আমরা শিক্ষকদের কাছে সরাসরি কোনো অভিযোগ করতে পারি না। এই স্কুলের মূল শাখায় (মতিঝিলে) আমার ছেলে ও মেয়ে পড়ালেখা করছে। আগের ড্রেসকোড পরিবর্তন করায় আমি ব্যক্তিগতভাবে মর্মাহত হয়েছি। ইসলামী ভাবধারায় ভবিষ্যতে সন্তানদের গড়ে তোলার আশা নিয়ে এখানে সন্তানদের ভর্তি করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সেই আশাও পূরণ হবে না।

                  রেশনা নামের এক মা অভিযোগ করেন আমার মেয়ে আগে যেখানে নিয়মিত গায়ে ওড়না জড়িয়ে আর মাথায় স্কার্ফ বেঁধে স্কুলে আসতো এখন সে শুধু একটি সাধারণ ওড়না ক্রস আকারে শরীরে দিয়ে স্কুলে আসছে। কোনো কোনো শিক্ষক নাকি আমার মেয়েকে আগের ড্রেস পড়ে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন।

                  মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের দিবা শাখার এক শিক্ষক নয়া দিগন্তকে জানান, সম্প্রতি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় ড্রেস কোড পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি ছিলেন। তার নাম আবু হেনা মোর্শেদ জামান। সরকারের কোনো কর্মকর্তা যখন স্কুল কমিটিতে কোনো সিদ্ধান্ত দেন তখন অন্যান্য সদস্যদের ওই সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হয়। নতুন ড্রেসকোডের ক্ষেত্রেও সরকারি ওই কর্মকর্তার মতামতকেই প্রাধান্য দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, শিক্ষকদের ড্রেসের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষক এখন থেকে আর পাঞ্জাবী পড়ে স্কুলে আসতে পারবেন না। পাঞ্জাবী পড়লেও এর উপরে বাধ্যতামূলকভাবে আলাদা কটি পড়তে হবে। শিক্ষকদের জুতা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আলাদা কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

                  শিক্ষার্থীদের ড্রেসকোডের বিষয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় তার অফিসে নয়া দিগন্তের এই প্রতিবেদককে বলেন, স্কুলের ড্রেসকোড নিয়ে বাইরে যেভাবে প্রচার হচ্ছে বিষয়টি আসলে সেই রকম না। ড্রেস আগে যা ছিল তাই আছে। তবে মেয়েরা আগে মাথায় আলগা মতো একটি ওড়না ব্যবহার করতো । এখন সেটিকে ভালভাবে পড়তে বলা হয়েছে। তবে একথা ঠিক যে, এই ওড়না বা হিজাব পড়াটাকে আমরা ঐচ্ছিক করেছি। চাইলে কেউ এই হিজাব ভালমতো পড়বে আর কেউ না চাইলে না পড়বে।

                  আগে তো’ মেয়েদের বড় ওড়না ব্যবহার আবশ্যিক ছিল, তাহলে এখন কেন এটাকে ঐচ্ছিক করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না; বিষয়টি এরকম নয়। একথা ঠিক যে, আগে মেয়েরা একটি বড় ওড়না ব্যবহার করতো কিন্তু সব মেয়েই কিন্তু ভেতরে ক্রস আকারে ডেসের সাথে মিল রেখে বেল্ট দিয়ে একটি ওড়না ব্যবহার করতো। এখন উপরের বড় ওড়নাটাকেই ঐচ্ছিক করা হয়েছে। ওই বড় ওড়নাটা অনেকে সুন্দর করে পড়ে স্কুলে আসতো না। তাই আমরা বলেছি সুন্দর করে ওড়না পড়তে হবে। যেনতেন বা অগোছালোভাবে ওই ওড়না পড়া যাবে না। কাজেই ওড়নাতো একটি আছেই। আর যে কথাটি বলা হচ্ছে ওড়না নেই এটা আসলে সঠিক না।

                  ছেলেদের টুপির বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে অন্য ধর্মের বাচ্চারা পড়াশোনা করে। মুসলিম ছাড়া অন্য কাউকেতো টুপি পড়তে বাধ্য করা যায় না। তাই আমরা টুপি ব্যবহারকে ড্রেসে কোডে ঐচ্ছিক করেছি।

                  শিক্ষকদের পায়জামা আর পাঞ্জাবী পড়ার বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষকদের আমরা স্মাট হিসেবে দেখতে চাই। কেউ পাঞ্জাবী পড়ে স্কুলে আসতে চাইলে আমরা বলেছি শুধু পাঞ্জাবী পড়ে স্কুলে আসা যাবে না। পাঞ্জাবীর উপরে অবশ্যই আলাদা একটি কপি পড়তে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের জুতা ব্যবহারের বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31365/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    স্কুলের পাশেই গোয়ালঘর করলো সাবেক ইউপি সদস্যে!



                    স্কুলের পাশে সাবেক এক ইউপি সদস্য গড়ে তুলেছেন গরুর গোয়ালঘর! স্কুলে যাওয়ার কাঁচারাস্তার ওপর বেঁধে রাখা হয় গরু।

                    ইউপি সদস্যের অন্য দুই ভাই ভবনের পেছনে দেয়াল ঘেঁষে করেছেন রান্নাঘর। রান্না করার সময় চুলার ধোঁয়া শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। তাদেরও রয়েছে বেশ কয়েকটি গরু। স্কুলজুড়ে গোবর ও গো-মূত্রের দুর্গন্ধ।

                    পাবনার চাটমোহর উপজেলার ১৩০ নম্বর ছাইকোলা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ এটি।

                    স্কুল কর্তৃপক্ষ গরুর গোয়াল ও রান্নাঘর সরিয়ে নিতে ওই ইউপি সদস্যকে বললেও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে উল্টো প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং মারধর করতেও আসেন তারা বলে অভিযোগে জানা যায়।




                    এর আগে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বারবার বলার পরও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। এতে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। এ কারণে দিনে দিনে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে যাচ্ছে।

                    সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সামনে ও পেছনের অংশজুড়ে ছাইকোলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আলীম, তার দুই ভাই আতাউর ও আলীমের বসতঘর। স্কুলে প্রবেশ মুখের কাঁচারাস্তার পাশে আবদুল আলীম তৈরি করেছেন গোয়ালঘর। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাঁধা থাকে গরু।

                    আর বিদ্যালয় ভবনের পেছনে দেয়াল ঘেঁষে তার দুই ভাই আতাউর ও তালেব হোসেন তৈরি করেছেন রান্নাঘর। ভবনের পেছনে বেঁধে রাখা হয় তাদেরও বেশ কয়েকটি গরু।

                    ক্লাস চলাকালীন হাওয়া প্রবেশের জন্য জানালা খুললেই গোবর ও গো-মূত্রের উৎকট গন্ধে ভরে ওঠে। আর চুলার ধোঁয়ায় ভরে ওঠে শ্রেণিকক্ষ। যে কারণে স্কুল চলাকালীন শ্রেণিকক্ষের জানালা বন্ধ রাখতে হয়। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টে ভোগে এবং আলোর স্বল্পতার কারণে পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

                    মাঝেমধ্যেই অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর রাস্তা বন্ধ করে তাদের দেখাদেখি স্কুলের চারপাশে অন্যরাও রোদে শুকাতে দিয়েছেন গোবরের শলা।

                    স্কুলটির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতি খাতুন, হুমায়রা খাতুন ও মান্না হোসেন যুগান্তরকে বলে, গোবর, গো-মূত্র এবং রান্নাঘরের চুলার ধোঁয়ার কারণে শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়। যে কারণে মাঝেমধ্যে স্কুলে অনুপস্থিত থাকতে হয় বলে জানায় তারা।




                    শহীদুল ইসলাম ও সবুজ্জ্বল হোসেন নামে দুই অভিভাবক যুগান্তরকে বলেন, স্কুলের পাশে গরু বেঁধে রাখা এবং রান্নাঘর সরানোর জন্য এর আগে বহুবার ওই মেম্বারকে বলা হয়েছে কিন্তু তারা কোনো কিছুই কানে নিচ্ছেন না।

                    স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদা পারভীন যুগান্তরকে বলেন, এমনিতেই স্কুলটি শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। তার পর আবদুল আলীম ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা নানাভাবে অত্যাচার করে। এ ছাড়া স্কুলের বেশ কিছু জায়গা তাদের দখলে রয়েছে। সমস্যার কথা বলতে গেলে উল্টো তারা নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়।

                    বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরও কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানান তিনি।

                    অভিযোগে ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আলীমের কাছে জানতে গেলে উল্টো তিনি এই প্রতিবেদককে প্রশ্ন করে বলেন, আপনাকে কে খবর দিয়ে নিয়ে এসেছে? আমরা কী গরু-ছাগল লালন-পালন করব না? আর আশপাশের সবাই গরুর গোবর শুকাতে দেয়, শুধু আমার বেলায় স্কুলের লোকজন এমন করে কেন?

                    আমরা কী তা হলে এখান থেকে বাড়িঘর তুলে নিয়ে যাব?

                    এদিকে ওই ইউপি সদস্য রাস্তার পাশের একটি বড়ইগাছের কয়েকটি ডালকে রক্ষা করতে রীতিমতো যুদ্ধংদেহী অবস্থা!




                    পাশেই তাদেরও গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। শুধু ইউপি সদস্যেই নয়, আশপাশের অনেকেই স্কুলের রাস্তা বন্ধ করে শুকাতে দেন গোবরের শলাকা। চারদিকে শুধু গরুর গোবর ও গো-মূত্রের দুর্গন্ধ। জানালা খুললেই শ্রেণিকক্ষ চুলার আগুনের ধোঁয়ায় ভরে উঠছে। শিক্ষার্থীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।

                    বিদ্যালয়ের এমন পরিবেশের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31369/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ঘরে-বাইরে সর্বত্রই দুর্ভোগে রাজধানীবাসী



                      রাজধানী ঢাকাবাসীকে বর্ষাকালে ভুগতে হয় জলাবদ্ধতায় আর শুষ্ক মৌসুমে পোহাতে হয় ধুলার দুর্ভোগ। কোনো মৌসুমেই নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে রাস্তাঘাটে চলাচল করতে পারে না। শুধু তাই নয়, কাজ শেষে ঘরে ফিরেও শান্তি নেই। বাসায় ফেরার পর শুরু হয় মশার জ্বালা। মশার ভোঁভোঁ শব্দ এবং কামড়ে বিরক্ত ও অতিষ্ঠ রাজধানীর নগরবাসী। অর্থাৎ ঘরে-বাইরে সবখানেই যেন জ্বালা, কোনো স্থানেই স্বস্তিতে নেই রাজধানীবাসী। রাজধানীর ঢাকা শহর দিন দিন দুর্ভোগের নগরীতে পরিণত হচ্ছে। ঢাকা শহর এখন অনেকটাই ধুলায় ঢাকা। এই ধুলার কারণেই নগরবাসীকে দিন-রাত নাকাল হতে হচ্ছে নানাভাবে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বাড়ছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে ধুলার পরিমাণ। তাছাড়া রাজধানীতে বর্তমানে এডিস মশা তেমন একটা না থাকলেও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে কিউলেক্স মশা। রাত-দিন এসব মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজধানীবাসী।

                      কিউলেক্স মশা ঠেকাতে ঢাকা-উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) বেশকিছু পদক্ষেপ নিলেও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) চলছে ধীরগতিতে। এনায়েত হোসেন খাঁন। রাজধানীর মিরপুর কালশী এলাকার বাসিন্দা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কী আর বলব! রাজধানীতে ঘরে-বাইরে সবখানেই জ্বালা। সকালে অফিস যাওয়ার জন্য যখন বের হই, তখন পুরো রাস্তায় ধুলা এমনভাবে ওড়ে, দেখে মনে হয় কুয়াশায় ছেয়ে আছে। এখন রাজধানীতে মেট্রোরেলের কাজ চলছে। বাইরে থেকে ফেরার পর পরনের জামা-কাপড়ের ওপর ধুলার আস্তরণ জমে থাকে। আবার দিনের বেলায় ধুলাবালি মিশ্রিত অবস্থায় বাসায় ফেরার পরও শান্তি নেই। তখন শুরু হয় মশার উৎপাত।

                      ডেঙ্গুর প্রকোপ চলাকালীন প্রতিদিন খুবই আতঙ্কে দিন কেটেছে খিলক্ষেতের সাইফুল ইসলামের। এখন শুরু হয়েছে শীতকালীন মশার জ্বালা। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে এত মশার উপদ্রব বাড়ে যে, ঘরের ভেতরেও মশা জেঁকে ধরে। মশার কয়েল, অ্যারোসল কিছু দিয়েই মশাকে প্রতিরোধ করা যায় না। আর ডেঙ্গুর সময় দুই সিটি কর্পোরেশন মশা মারতে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও বর্তমানে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্মসূচি চোখে পড়লেও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। ফলে বাইরে ধুলা আর বাসায় মশার জ্বালায় আমরা অতিষ্ঠ!’

                      নগরবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে মশক নিধন কর্মীদের তেমনভাবে আর মাঠে দেখা যাচ্ছে না। কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচি দেখতে পাচ্ছে না নগরবাসী। সংস্থাটি ঘোষণা দিয়েছিল ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বছরজুড়ে কাজ করবে তারা। কিন্তু দু-তিন মাসের ব্যবধানে তাদের কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।

                      সূত্রঃ মানবকন্ঠ


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31384/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমবাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ



                        বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দীর্ঘদিন থেকে সঙ্কুচিত হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক মান্দাসহ নানা কারণে বিগত কয়েক বছর থেকেই ভুগতে হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের। অধিকাংশ দেশই বাংলাদেশ থেকে নিচ্ছে না কোনো শ্রমিক। আবার দু’একটি দেশ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিলেও তাদের প্রবাস জীবন সুখকর নয়। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকও নিচ্ছে কম। এর মধ্যে গত বছর সৌদি আরবে অস্থিরতা ছিল সবচেয়ে বেশি। আকামা (কাজের অনুমতি) থাকা সত্তেও অনেক শ্রমিকদের ধরে দেশে পাঠায় দেশটি।

                        বাংলাদেশ থেকে সে দেশে যাওয়া নারী শ্রমিকদেরও কর্মজীবন সুখকর ছিল না। শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে সহস্রাধিক নারীকে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের মার্কেটে কম দক্ষ বা আধাদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। আমরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী যুগোপযোগী কর্মী তৈরি করতে পারছি না। এজন্যও শ্রমবাজার হারাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

                        অন্যদিকে দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে শ্রমবাজারের চাহিদায়ও পরিবর্তন আসছে। কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার অভাব, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা এবং অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের পাশাপাশি বেসরকারি জনশক্তি রতানিকারকদের সিন্ডিকেট আর দালালদের দৌরাত্ম্যে সঙ্কুচিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন খাত। তার ওপর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানিতে সঙ্কট, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যাও দেখা দিয়েছে নতুন করে।

                        এ প্রসঙ্গে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস ইউনিটের (রামরু) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী মানবকণ্ঠকে বলেন, শ্রমবাজার একটু একটু করে প্রফেশনাদের দিকে যায়, কিন্তু আমরা একটি মার্কেটে শ্রমশক্তি পরিচালনা করছি। এটার একটি বড় কারন হচ্ছে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে পারছে না। দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে পারলে আমরা কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও উন্নত দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানি করতে পারতাম। আমাদের দ্বিমুখী শিক্ষাব্যবস্থার (ভোকেশনাল ও মূলধারা) কারণে মূলধারা থেকে যে পাস করে সে দক্ষতা পায় না আর যারা ভোকেশনালে আসতে তাদের সংখ্য খুব সামান্য।

                        তিনি বলেন, যে কোনো রাষ্ট্রই দীর্ঘদিন একটি বাজারে শ্রমশক্তি পরিচালনা করতে করতে অন্য বাজারে চলে যায়। আমাদেরও নতুন বাজারে যেতে হবে। আর নতুন বাজারে যাওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হবে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ভোকেশনালকে মূলধারার শিক্ষার অংশ হিসেবে করে নিতে হবে। তারপর আমরা ভালো ফলাফল পাব। না হলে দেখা যাবে কোনো বছর বেশি কর্মী যাবে, কোনো বছর কম যাবে, কোনো বছর আরেকটু বাড়বে। সেগুলো সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সম্পর্কে শ্রমবাজার চালু করায় থেকে যাবে। আমাদের এখন এই বড় সঙ্কট উত্তোরণের সময়।

                        জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন মানবকণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন কারণে মধ্যপ্রচ্যে শ্রমবাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে বিভিন্ন দেশ আগের চেয়ে এখন নিজেদের কর্মীদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। কুটনৈতিকভাবেও আমাদের ভুমিকা দুর্বল রয়েছে। এটিকে জোরালো করতে হবে। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বিশ্বের মার্কেটে কম দক্ষ বা আধাদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। এখন আমরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী যুগোপযোগী কর্মী তৈরি করতে পারছি না। এ জন্যও শ্রমবাজার হারাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

                        খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের শ্রম রফতানির ৮০ ভাগই মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক। নানা অসঙ্গতির কারণে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কয়েকটি শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের জন্য বিধিনিষেধ তৈরি হয়েছে। নানা কারণে টানা সাত বছর কর্মী নিয়োগ বন্ধ রাখার পর ২০১৫ সালে বাংলাদেশের জন্য বাজার খুলে দেয় সৌদি আরব। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় চাকরির বাজার সৌদি আরবে প্রায় ১৩ লাখ বাংলাদেশি কাজের সুযোগ পায়। তবে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ বেকারত্ব কমাতে ১২ ধরনের কাজে কোনো বিদেশি কর্মী নেবে না সৌদি সরকার। অন্যদিকে গত বছরের শুরু থেকেই সৌদি শ্রমবাজারে শুরু হয় অস্থিরতা। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের প্রবাস জীবন সুখকর হয়নি। নিয়োগকর্তা কর্তৃক শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক দেশে ফিরেছন। আর গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পুরুষ শ্রমিক ফিরেছেন ২৪ হাজার ২৮১ জন।
                        তাদের অধিকাংশ শ্রমিকই অভিযোগ করেন তাদের আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) থাকা সত্তেও তাদের আটক করে দেশে পাঠিয়েছে সৌদি পুলিশ। এদের অনেকইে দেশে ফিরেছেন শূন্যহাতে। চলতি বছরে কাটেনি এ অস্থিরতা। এ পর্যন্ত ৪০ নারীসহ ৭৬৭ বাংলাদেশি শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের পর বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম চাকরির বাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত।

                        জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যানুযায়ী, ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে ১৬ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক আরব আমিরাতে চাকরি নিয়ে গেছেন।
                        সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ না হওয়ায় আমিরাত সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয়; যা সরকার নানা দেনদরবার করেও চালু করতে পারেনি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে আরব আমিরাতের বাজার খুলে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

                        সূত্রঃ মানবকন্ঠ


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/15/31388/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment

                        Working...
                        X